নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিটি জীবই তার নতুন প্রজন্ম জন্ম দিতে চায়।মানুষও তার ব্যাতিক্রম নয়।তবে বর্তমানে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।এই সমস্যা থেকে উত্তোরনের জন্য বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন বিকল্প পথ খুলে দিচ্ছেন আমাদের সামনে।সন্তান জন্মদানের তেমনি একটি বিকল্প পথ হচ্ছে সরোগেসি।এখানে এক দম্পতির সন্তানের জন্ম হয় অন্য নারীর গর্ভ থেকে।
সরোগেসি জিনিসটা বুঝতে হলে আমাদের মানব সৃষ্টির রহস্য ভালভাবে বুঝতে হবে।মানুষের দেহ গঠিত হয়েছে কোষ নামের অতিক্ষুদ্র একক দিয়ে।কোষ মূলত দুই প্রকার।দেহকোষ এবং জননকোষ।দেহকোষ মানব দেহ গঠন করে এবং জনন কোষ নতুন প্রজন্ম সৃষ্টি করে।প্রতিটি মানুষের দেহকোষে ২৩ জোড়া বা ৪৬টি ক্রোমোসোম থাকে।ক্রোমোসোম হল মানুষের সমস্ত বৈশিষ্ট ও বংশগতির ধারক ও বাহক।অর্থাত একটা মানুষ কেমন হবে,ফর্শা না কালো,লম্বা না খাট; তার চুল,চোখ এমনকি স্বভাব পর্যন্ত এই ক্রোমোসোম নির্ধারন করে দেয়।
মানুষের জনন কোষের ক্রোমোসোম সংখ্যা থাকে দেহ কোষের অর্ধেক অর্থাৎ ২৩টি।জনন কোষ হল শুক্রানু এবং ডিম্বানু।এই দুইএর মিলনেই মানব শিশুর জন্ম হয়।মানুষের ক্রোমোসোম এর ৪৬টির মধ্যে ৪৪টি অর্থাৎ ২২ জোড়া হচ্ছে অটোসোম এরা বিভিন্ন বৈশিষ্ট নিয়ন্ত্রন করে।আর বাকি এক জোড়া হচ্ছে সেক্স ক্রোমোসোম।এই এক জোড়া ক্রোমোসোম নির্ধারন করে সন্তানটি ছেলে হবে না মেয়ে।যে মানুষের এই সেক্স ক্রোমোসোম জোড়া XX সে মেয়ে আর যার সেক্স ক্রোমোসোম জোড়া XY সে ছেলে।মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রতি মানুষের দেহ কোষ বিশেষ প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে জনন কোষ সৃষ্টি করে।যাকে বলে মায়োসিস বিভাজন যার মাধ্যমে সংখ্যা অর্ধেক হয়ে যায়।একজন মেয়ের শরীরে শুধু XX ক্রোমোসোম থাকে তাই ডিম্বানু সবসময় X ক্রোমোসোম বহন করে।কিন্ত একজন ছেলে XY উভয় সেক্স ক্রোমোসোম থাকে তাই ছেলেটি দুই ধরনের শুক্রানু তৈরী করে যেখানে অর্ধেক থাকে X বাকি অর্ধেকে থাকে Y ক্রোমোসোম।যখন নারীর ডিম্বানুর সাথে পুরুষের X ক্রোমোসোম বাহী শুক্রানু মিলিত হয় তখন সন্তানটি হয় মেয়ে আবার এক্ষেত্রে যদি Y ক্রোমোসোম বাহী শুক্রানু মিলিত হয় তবে সন্তানটি হয় ছেলে।এক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা সমান অর্থাৎ ৫০%।
শুক্রানু ডিম্বানুর মিলন হলে একটা বৃহত্তর কোষ সৃষ্টি হবে যেখানে ২৩+২৩=৪৬টি ক্রোমোসোম থাকবে।এই কোষটির নাম জাইগোট।বিস্ময়কর এই কোষটি দেহকোষ বিভাজনের সাধারন প্রক্রিয়া অর্থাৎ মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে সৃষ্টি করবে মানব ভ্রুন।সেই ভ্রুন আরো বিকশিত হয়ে প্রায় নয় মাসে সৃষ্টি করবে পুর্নাঙ্গ মানব শিশু।যা ভুমিষ্ঠ হয়ে আপনার জীবন আনন্দে পরিপুর্ন করে তুলবে।এই শিশুটির দেহ গঠনের জন্য আপনি এবং আপনার সঙ্গী যেহেতু সমান সংখ্যক ক্রোমোসোম দিয়েছেন তাই তার সব বৈশিষ্টই হবে হুবুহু আপনাদের দুজনের মত বা আপনাদের দুজনের মিশ্রনের ফলে নতুন কিছু।এখন এই ভ্রুনটি বেড়ে ওঠার জন্য দরকার একটি সুরক্ষিত পরিবেশ।যেটা হচ্ছে একজন মায়ের জরায়ু।
মানব জন্মের ক্ষেত্রে হাজারটারও বেশি সমস্যা দেখা দিতে পারে।কিছু আছে যা সহজেই কাটিয়ে উঠা যায়,কিছুর জন্য বেশ কষ্ট করতে হয়,কিছুর জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নিতে হয় আবার কিছু কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়না। একজন পুরুষকে তখনই সত্যিকার অর্থে বন্ধ্যা বলা যায় যখন তার শুক্রানু উতপাদনের ক্ষমতা থাকেনা,তেমনই একজন নারী বন্ধ্যা তখনি হয় যখন তার ডিম্বানু উতপাদনের ক্ষমতা থাকেনা অথবা ডিম্বাশয় থাকেনা।কিন্ত সাধারন ক্ষেত্রে যদি নারীর জরায়ু না থাকে বা তাতে কোনো সমস্যা থাকে তখনও নারীকে বাধ্যগতভাবে বন্ধ্যা হতে হয়।কারন জরায়ু হচ্ছে একটা ভ্রুনের বেঁচে থাকার স্থান।নারীর ডিম্বাশয় বা ওভারি এবং জরায়ু বা ইউটেরাস কিন্ত আলাদা জিনিস।মানুষের দুটি ডিম্বাশয়ের কাজ ডিম্বানু উতপাদন করা আর জরায়ুর কাজ ভ্রুনকে আশ্রয় দেয়া এবং পুর্নাঙ্গ শিশু হিসাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করা।একটা মেয়ে শিশু ছোট থেকেই এই দুটি জিনিস নিয়ে জন্মায়।কিন্ত যখন সে বড় হয় এবং তার ডিম্বাশয় ডিম্বানু উতপাদন শুরু করে তখনই তার ঋতুচক্র শুরু হয়।কারন ডিম্বানু উতপাদনের সাথে সাথেই জরায়ু একটা ভ্রুনকে আশ্রয় দেবার জন্য তৈরী হতে থাকে।ভ্রুনটি যদি না আসে তবে কিছুদিন পর জরায়ুর দেয়ালের রক্তবাহী নালীসহ পুরো সিস্টেমটি ভেঙ্গে পড়ে যেটি ঋতুস্রাব নামে পরিচিত।ভেঙ্গে পড়ার পর এটি নতুন করে তৈরী হয় প্রতিমাসে এবং এই চক্র চলতে থাকে ততদিন যতদিন একজন নারী ডিম্বানু উতপন্ন করতে পারে।
অনেক কারনেই মানুষের জরায়ুতে সমস্যা হতে পারে যেমন জন্মগত ত্রুটি,টিউমার ,ক্যান্সার ইত্যাদি।এমন হলে অনেক সময় জরায়ু কেটে ফেলা দরকার হয়।তার ফলে একটা মেয়ে মা হওয়ার ক্ষমতা হারায় কারন তার ডিম্বানু উতপাদনের ক্ষমতা আছে কিন্ত ভ্রুনকে বাঁচিয়ে রাখার স্থানটি নেই।তবে কি সেই মেয়েটি একটা সন্তান থেকে বঞ্চিত থাকবে?একসময় হয়ত থাকতে হত কিন্ত এখন এই সমস্যা সমাধানের উপায় আছে।আপনার সঙ্গিনীর যদি এমন কোনো সমস্যা থাকে তবে হয়ত আপনি চিকিতসার ব্যবস্থা করবেন,তাতে যদি কাজ না হয় তবে হয়ত মেনে নেয়ার চেষ্টা করবেন।আর যদি আপনি যথেষ্ট সাহসি হন তবে হয়ত অন্য কারো সন্তান পালনের জন্য গ্রহন করবেন।আপনি যদি আর একটু সাহসি হয়ে একটা বিকল্প পদক্ষেপ নেন তাহলে হয়ত নিজ রক্তের সন্তান পালন করার সুখ পেতে পারবেন।এটাই সরোগেসির সাফল্য এবং মুল কথা।
সন্তান জন্মদানের হাজার সমস্যার মাঝে এমন সমস্যা প্রায়ই দেখা যায় যে বাবা মা দুজন সুস্থ থাকার পরও ডিম্বানু শুক্রানু এক হতে পারে না কোনো কারনে। তখন ক্লিনিকে জীবানুমুক্ত পরিবেশে মা বাবার দেহ থেকে ডিম্বানু শুক্রানু আলাদা করে ল্যবটরিতে কৃত্তিম পরিবেশে মিলিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।যখন ভ্রুন গঠন হয়ে যায় তখন সেটিকে মায়ের জরায়ুতে স্থাপন করা হয়।যেখানে সে স্বাভাবিক ভাবেই গড়ে ওঠে মানব শিশু হিসাবে।বহুল ব্যবহৃত এই পদ্ধতির নাম টেস্টটিউব পদ্ধতি।যে সকল দম্পতি এই পদ্ধতির ব্যয় বহন করার ক্ষমতা রাখেন তার অনেকেই আজকাল টেস্টটিউব বেবী নেওয়ার চেষ্টা করেন,এক্ষেত্রে সাফল্যের হার ভালই।সরোগেসি আসলে টেস্টটিউব বেবীর আর এক রূপ।বাবা মায়ের ডিম্বানু শুক্রানু থেকে তৈরী ভ্রুন স্থাপন করা হয় অন্য একটা সুস্থ মহিলার গর্ভে।এটাকে আপনি গর্ভ ধার নেওয়া বলতে পারেন।যখন আপনার স্ত্রীর জরায়ুতে কোনো সমস্যা থাকবে বা জরায়ু থাকবে না অথবা স্বাভাবিক টেস্টটিউব বেবী জরায়ু ধারন করে রাখতে পারবেনা তখন এটাই হতে পারে একটা ফলদায়ক পদ্ধতি।এক্ষেত্রে আপনাকে এমন একজন মহিলা খুঁজে বের করতে হবে যে আপনাদের বাচ্চা জন্ম দেও্য়ার ঝুঁকি গ্রহন করতে রাজি আছে।
এক্ষেত্রে আপনি এবং আপনার সঙ্গী হচ্ছেন বাচ্চাটির বায়োলজিকাল পেরেণ্ট অথবা জেনেটিক পেরেন্ট অর্থাৎ আসল বাবা মা।যে মহিলাটি জন্ম দেবেন সে হচ্ছেন সরোগেট মাদার অর্থাত ধার করা মা।না, ভয় পাবেন না যে আপনাদের বাচ্চা ওই মহিলাটির মত হবে।এটা একেবারেই সম্ভব নয়।কারন সে শুধু আপনার বাচ্চাকে আশ্রয় দিয়ে বড় করে তুলছে তার দেহ গঠনে কোনো ভুমিকা রাখছে না।আপনার বাচ্চা গড়ে উঠবে আপনাদের ক্রোমোসোম,আপনাদের ডি এন এ দিয়ে তাই সে আপনাদের মতই হবে।শুধু মহিলাটির যদি কোনো রোগ থাকে যা সংক্রামক তবে তা বাচ্চার শরীরে আসতে পারে পেটে থাকার সময়ে।তবে আপনি নিশ্চয় সম্পুর্ন সুস্থ একজনকেই নির্বাচন করবেন।
একটা উদাহরন দিয়ে বলি।ধরুন আপনি একটা গবাদিপশুর খামার করতে চান কিন্ত আপনার হাতে অনেক বেশি পুঁজি নেই।আপনি ভাল জাতের একটা মাত্র অস্ট্রেলিয়ান গাভী আর ষাঁড় কিনলেন আপনার বেশির ভাগ টাকা দিয়ে।তার সাথে কিছু দেশি গাভী কিনলেন।এখন যদি আপনি ভাল জাতের গরু চান তবে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে আপনি বছরে একটাই অস্ট্রেলিয়ান গরু পাবেন।তবে যদি আপনি বিদেশি গরু থেকে তৈরী ভ্রুন দেশি গাভির গর্ভে দেন তবে প্রতি মাসে একটা করে বছরে মোট বারোটা গরুকে গর্ভধারন করাতে পারেন।এক্ষত্রে যে বাচ্চা হবে তা কিন্ত অস্ট্রেলিয়ান গরুই হবে দেশি গরু হবেনা।কারন দেশি গরু শুধু বাচ্চা ধারন করেছে।ভেবে দেখুন এভাবে মাত্র তিন বছরে আপনি কত অস্ট্রেলিয়ান গরুর মালিক হতে পারেন।মানুষের বাচ্চার কথা বলতে গিয়ে গরু দিয়ে উদাহরন দেওয়ায় কেউ আমার উপর ক্ষেপে যাবেন না।এই উদাহরনটি দিলাম কারন এটি একটি বাস্তব উদাহরন সরোগেসির ক্ষেত্রে।জ্বী,আমি সত্যিই বলছি,অনেক আগে থেকেই ডেইরী ফার্মে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে মানুষ তো আর গরু নয় যে ধরে বেঁধে যারতার বাচ্চা জন্ম দিতে বাধ্য করা যাবে তবে কেন কোনো মেয়ে এই ঝুঁকি নেবে শুধু শুধু। তাছাড়া বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে অনেকে মারাও যেতে পারে।এই প্রশ্নের উত্তরের একটা দিক যেমন গর্বের অন্য দিকটা তেমনি করুন।আপনার প্রতি দয়া করে কেই এই ঝুঁকি নিতে পারে ।এখানে থাকে একটি অসহায় দম্পতির জীবন পুর্ন করার সদিচ্ছা সেই সাথে আমাদের উপমহাদেশের মানুষের আর্থিক দৈন্যও একটা বড় ভুমিকা পালন করে।অনেক পরিবার আছে যেখানে দুবেলা ভাত কোনোমতে জুটলেও অন্য মৌলিক চাহিদা আর পুরন হয়না।তাই তারা এগিয়ে আসেন এমন একটা বিকল্প পথে যেখানে একজন মানুষকে সন্তান সুখ দেয়া যায় আবার নিজ সন্তানদের মুখে অন্ন তুলে দেয়া সম্ভব হয়।ভারতে এই জিনিসটি শুরু হয়েছে বেশ অনেক দিন।সাধারনত দরিদ্রতম মহিলারা এভাবে মানুষকে সেবা দিয়ে থাকেন।তার বদলে একটা দম্পতির দায়িত্ব গর্ভকালীন সময়ের সুযোগসুবিধা আর সেবা যত্ন নিশ্চিত করা এবং সন্তান জন্মের পর তার হাতে চুক্তি অনুযায়ী অর্থ তুলে দেওয়া।সাধারনত উন্নতবিশ্বের নিঃসন্তান দম্পতিরা এই সেবা গ্রহন করে থাকে।তারা এমনিতেই মুক্তমনা তাছাড়া প্রয়োজনের কাছে রক্ষনশীলতার কোনো মুল্য নেই।এছাড়া তারা এইবিষয়ের বৈজ্ঞানিক সত্যতা এবং সন্তানের শুদ্ধতার বিষয়টি জানেন।অপরদিকে আমাদের উপমহাদেশের মানুষের রক্ষনশীলতা,অজ্ঞতা এবং সামাজিক বিধিনিষেধের জন্য এই বিষয়টির ক্ষেত্রে মুক্ত মনে এগিয়ে আসা বাধাগ্রস্থ করে।
প্রশ্ন উঠতে পারে যে দুনিয়াতে এত জায়গা থাকতে ভারত বা এই উপমহাদেশ কেন?কারনটা করুন।মৌলিক চাহিদা পুরনের জন্য বা নিজের সন্তানদের একটু ভাল রাখার জন্য একমাত্র এখানকার মহিলারাই এতটা ঝুঁকি নেবেন, উন্নতবিশ্বের কোনো মেয়ে তা নিতে চাইবে না।তাছাড়া মানুষের প্রতি মমতার জন্য আমরা বিখ্যাত সারা বিশ্বজুড়ে।একজন মহিলার এই আত্মত্যাগ অন্য একটা পরিবারে যে কি পরিমান খুশি আনতে এবং বাচ্চাটির বাবা মাকে কি পরিমান তৃপ্ত করতে পারে তা হয়ত সকলে অনুমান করতে পারবে।আমি জানিনা এতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয় কিনা।কিন্ত কেও যদি খুশি মনে একটা দম্পতিকে সাহায্য করতে চায় কোনো জবরদস্তি ছাড়া তবে নিশ্চয় মানবাধিকার ক্ষুন্ন হওয়ার কথা নয়।অনেকে হয়ত বলবেন এখানে সরোগেট মাদার একটা পন্য হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।কিন্ত বাস্তবতা হচ্ছে বর্তমান দুনিয়াতে কোন ক্ষেত্রে মেয়েরা পন্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়না?একটা টুথপেস্ট থেকে একটা গাড়ির বিজ্ঞাপন এমনকি একান্তই পুরুষদের ব্যবহার্য পারফিউম বা আন্ডারওয়ারের বিজ্ঞাপনে পর্যন্ত ঝকঝকে চেহারার নারীদের চোখ ঝলসানো উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।সেই তুলনায় এটি অনেক বেশি মানবিক এবং যৌক্তিক একটা ক্ষেত্র।এই সেবাটুকু দিয়ে উভয় পক্ষই কল্পনাতীত উপকৃত হয়।
পৃথিবীটা আসলে অনেকবড় একটা বাজারে পরিনত হয়েছে।এখানে সবকিছু নিয়েই চলে ব্যবসা।সরোগেসি নিয়ে ব্যবসা ইতিমধ্য শুরু হয়ে গিয়েছে।তৈরী হয়েছে দালাল শ্রেনীর লোক।হয়ত বিতর্কিত পেশার মহিলারা এই সেবার ক্ষেত্রে জড়িত হচ্ছেন বলে অনেকের বিতৃষ্ণা তৈরী হবে।কিন্ত ভেবে দেখুন একটা মেয়ের পেশা কলুষিত হতে পারে কিন্ত মাতৃগর্ভ কি কখনো কলুষিত হয়।নিজের রক্তমাংশ দিয়ে তৈরী একটা শিশুকে বুকে চেপে ধরার ইচ্ছা কি প্রতিটা নারীপুরুষের করেনা?নিজের অক্ষমতার কারনে সে ইচ্ছা যখন অপুর্নই থেকে যেত তখন যদি একটি মেয়ে এগিয়ে আসে আপনাকে সাহায্য করার জন্য হোক তা অর্থের বিনিময়ে তখন সেটাকে আপনি কিভাবে ছোট করে দেখবেন।তার গর্ভে আপনার চোখ মুখ,আপনার সঙ্গীর গায়ের রঙ,চুল এবং স্বভাব নিয়ে শিশুটি যখন ধীরে ধীরে বড় হবে এবং ভুমিষ্ট হবার পরে যখন দেখবেন সে ঠিক আপনার মতই গালে টোল ফেলে হাসে তখন কি আপনার জীবনটা ভরে যাবে না।তখন কি আর গর্ভে আশ্রয় দেয়া মেয়েটির পেশাতে আপনার কিছু এসে যাবে?বেশ কিছুদিন আগে আমি একটা ইন্ডিয়ান স্যাটেলাইট চ্যানেলে ‘লাখো মে এক’ নামে একটি অনুষ্ঠান দেখে ভীষন অবাক হয়েছিলাম।সেখানে মানুষের দৃষ্টান্তমুলক সাহসী পদক্ষেপগুলো রিমেক করে দেখানো হত।সেখানে এমন একজন মা কে দেখানো হয়েছিল যিনি তার দুই জমজ নাতনীর সরোগেট মাদার হয়েছিলেন।বাচ্চার আসল মায়ের জরায়ুতে জন্মগত ত্রুটি ছিল যেটা আবিষ্কৃত হওয়ার পর তার জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছিল তার শাশুড়ি ছেলের অন্য বিয়েও দিতে চেয়েছিলেন।ডাক্তার যখন এই বিকল্প পদ্ধতির কথা দম্পতিটিকে বলেন তখন বাচ্চাদের নানু নিজে এগিয়ে আসেন নিজের একমাত্র সন্তানের অপুর্নতা পুরন করতে।এই পরিবারটিকে অনেক সামাজিক সমস্যার মাঝ দিয়ে যেতে হয়েছে এমন কি বাচ্চাদের নানাও অখুশি ছিলেন।তবে সবাই একসময় বুঝতে পারেন এটা দোষের কিছু না।হয়ত আমাদের প্রিয়জনদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা আমাদের সাহায্য করতে পারতেন।শুধু সামাজিক নিন্দার ভয়ে পিছিয়ে যান।মানুষ তো তার নিজের রক্ত,কিডনী,চোখ,বোনম্যারো এসব দিয়েও প্রিয়জনের জীবন বাঁচায়।সরোগেট মা হওয়াটা তাই তেমন আশ্চর্য কিছু না।
একটা পদ্ধতি হচ্ছে পদ্ধতিই।মানুষ তা কিভাবে ব্যবহার করবে তার উপরে নির্ভর করে সেটা ভাল হবে না মন্দ।মানুষ ধীরে ধীরে সরোগেসির প্রতি এগিয়ে আসছে।হয়ত এমন এক সময় আসবে যখন দেখা যাবে ধনী মানুষের স্ত্রীরা সুস্থ হয়েও গর্ভধারনের কষ্ট করতে চাইছেন না।তাদের ক্ষেত্রে সেটা হবে বিলাসিতা।তবে আমাদের দেশে এমন অনেক দম্পতি আছেন যারা আসলেই অসহায়।এমন মানুষের জন্য এটা অশেষ আশির্বাদ হতে পারে।প্রয়োজন শুধু দৃষ্টিভঙ্গি পালটানো আর কিছুটা সাহসী হওয়া।
আপনার সন্তান ধারনে সমস্যা থাকলে আপনি এই পদ্ধতিতে চেষ্টা করবেন কিনা সেটা সম্পুর্ন আপনাদের ব্যাপার।তবে এ নিয়ে ভুল ধারনা পোষন করা বা অন্যকে উপহাস করা ঠিক হবেনা।এখানে সেক্সুয়াল কোনো বিষয় নেই তাই গোঁড়া লোকেরা এটাকে নাজায়েজ বলতে পারবেন না।আপনার এবং আপনার সঙ্গির ডিম্বানু শুক্রানুর মিলন হবে একটা ক্লিনিকে একটা টেস্টটিউবে।সরোগেট মাদারও সেই ভ্রুন ধারন করবে ক্লিনিকে ডাক্তারি যন্ত্রপাতির সাহায্যে।তাই এখানে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের স্থান নেই।গোঁড়া লোকেরা হয়ত এটাও বলবেন যে আল্লাহ যাকে নিসন্তান করেছেন তার এতসব কাহিনী করে সন্তান নেয়াটা পাপ।আল্লাহ যাকে দিবেন,এমনিতেই দিবেন।তাদের প্রতি আমার প্রশ্ন যে কোথাও কি এমন বলা আছে আল্লাহর সাহায্য কোনো আলৌকিক ঘটনার মতই মানুষের উপর নাজিল হবে?মানুষের জ্ঞানচর্চা এবং নতুন নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবনও তো মানব জাতির জন্য স্রষ্টার সাহায্য স্বরূপ।আপনি যদি এটা মানতে পারেন স্রষ্টার ইচ্ছা ছাড়া কিছুই সম্ভব নয় তবে এটা মানতে দোষ কোথায় যে এই পদ্ধতির উদ্ভাবনও হয়েছে তাঁর ইচ্ছায়।তবে প্রয়োজনে এটা গ্রহন করতে আপনার আপত্তি করার কিছু নেই বা অন্যকে দেখে থুথু ছিটানোর কিছু নেই।
সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে একজন দম্পতি সরোগেছির সাহায্য নিবে কিনা এটা নিতান্তই তাদের নিজেদের রুচির ব্যাপার।আমার এখানে কিছুই বলার নেই।আমার এই লেখাটির উদ্দেশ্য ছিল সরোগেসি নিয়ে মানুষের ভুল ধারনার ক্ষেত্রে কিছু সত্যতার আলোকপাত করা।বায়োলজিকাল সায়েন্সের একজন স্টুডেন্ট হওয়ায় আমার এই ক্ষুদ্র জ্ঞান সবার সাথে শেয়ার করা আমার দায়িত্ব বলে মনে করছিলাম।এখানে লক্ষনীয় যে দম্পতির দুজনের একজন সত্যিকারের বন্ধ্যা হলে যিনি সক্ষম তার জননকোষের সাথে অপর কোনো মানুষের জননকোষ নিয়েও সরোগেসি করা যায় তবে এক্ষেত্রে শিশুটি দুজনের শিশু হবেনা এবং এ ব্যাপারে নৈতিকতা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ্ও রয়েছে অনেক।তাই এই আলোচনা আমার লেখার বাইরে রাখছি।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩০
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
সরোগেসি ইন বাংলাদেশ লিখে সার্চ দিলে অনেকগুলো সাইট খুলে যেখানে এই প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত তথ্য আছে
২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভারতে এটা চলছে এ বিষয়ে দু চারটে রিপোর্টে ভাসা ভাসা জানতাম।
আপনার এখঅনে বিস্তারিত জানলাম।
বদলে যাওয়া সময়ে কত কিছুই বদলে যাচ্ছে!!
আর একটা বিষয় টাচ করলে মনে হয় আরও পূর্ণ হত- এখনকার মায়েদের এই সন্তান জন্মদানে অক্ষমতার হার বাড়ছে কি কারণে? এ বিষয়ে বিজ্ঞান কি বলে?
ধন্যবাদ। +++
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৩
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আসলেই সব বদলে যাচ্ছে।
অক্ষমতার কারন তো অনেক।১৮ থেকে ২৫ হচ্ছে সন্তান জন্মদানের সবচেয়ে ভাল সময়।এখন তো পড়ালেখা,চাকরি এইসবের পর বিয়ে হয় তখন বয়সটাও থাকে বেশি।তাই সমস্যার সম্ভাবনা বাড়ে।তাছাড়া ভেজাল খাবার,পরিবেশ দুষন,জলবায়ু পরিবর্তন,বিষাক্ত ক্যামিকেল এর ব্যবহার এই সবকিছুই মানুষের উর্বরতার উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
আপনাকেও ধন্যবাদ
৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১
হু বলেছেন: এট সম্পর্কে কিছু বিষয় আমি জানতাম, আমি আমার এক বান্ধবীর মারফতই জানতে পেরেছিলমা। আপনার এই পোস্টোর মারফত আরো ভাল ভাবে জানতে পেরেছি। এই লেখার জন্য আপনার অবশ্য ++++ পাওয়া দরকার। এরকম ভিন্ন জ্ঞানের পোস্ট ব্লগগুলোতে খুব কমই হয়।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২০
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: পোস্টটি আপনার ভাললেগেছে জেনে কৃতজ্ঞবোধ করছি
৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: যাদে স্থায়ি সমস্য তাদের জন্য নিশ্চই এটা একটা সুখবর। কিন্তু ইচ্ছে করে সরোগেসির ভিষন অপছন্দ করি। সামনে দেখবেন এই প্রযুক্তির বদলে প্রফেশনাল গর্ভধারিনি পাচ্ছেন। অনেক মহিলারা কাজের চাপে বা ইচ্ছে করেই নিজে সন্তান ধারন না করেই এদের দিয়ে সন্তান গর্ভে ধারনের মত কাজটা টাকা দিয়ে করিয়ে নিবেন। এবং পৃথীবি একটা ভয়ানক পর্যায়ে চলে যাবে।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১২
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আসলেই এমনটা হতে পারে।অনেক আগে তো শিশুর জন্য দুধমাতাও রাখা হত।যারা সুস্থ থেকেও এমন একটা বিষয়ে বিলাসিতার আশ্রয় নিবেন তাদের জন্য অবশ্যই এই লেখটা নয়।তবে এমন বিলাসী মানুষ সব কালেই আছে এবং তারা যেভাবেই হোক বিলাসিতার সুযোগ খুঁজে নেয়।প্রযুক্তি আর একটু অগ্রসর হলে এই শ্রেনীর মা্নুষ তো পারলে দোকান থেকে পছন্দ মত সন্তান প্রচুর অর্থ দিয়ে কিনে নেবে।
তবে একটাই ভরসা যে নিজ সন্তান গর্ভে ধারন করা অসম্ভব সুখের একটা ব্যাপার আর মেয়ে মাত্রই এটা জানে।সন্তান ধারন করতে না পারার মাঝে নারীত্বের একটা সুক্ষ্ম অপমান আছে।নিতান্ত বাধ্য না হলে বেশির ভাগ মেয়েই এপথে যেতে চাইবে না।তাই আশা করি অপ্রয়োজনীয় সরোগেসি মহামারী আকার নেবেনা।
৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০০
তানিয়া হাসান খান বলেছেন: প্রিয়তে রাখছি পরে সময় করে মনযোগ দিয়ে পড়ব
৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৭
খেয়া ঘাট বলেছেন: bashor_17 বলেছেন: যাদে স্থায়ি সমস্য তাদের জন্য নিশ্চই এটা একটা সুখবর। কিন্তু ইচ্ছে করে সরোগেসির ভিষন অপছন্দ করি। সামনে দেখবেন এই প্রযুক্তির বদলে প্রফেশনাল গর্ভধারিনি পাচ্ছেন। অনেক মহিলারা কাজের চাপে বা ইচ্ছে করেই নিজে সন্তান ধারন না করেই এদের দিয়ে সন্তান গর্ভে ধারনের মত কাজটা টাকা দিয়ে করিয়ে নিবেন। এবং পৃথীবি একটা ভয়ানক পর্যায়ে চলে যাবে।
পোস্টে +++++
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন:
৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৮
খেয়া ঘাট বলেছেন: মানুষের জ্ঞানচর্চা এবং নতুন নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবনও তো মানব জাতির জন্য স্রষ্টার সাহায্য স্বরূপ
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৮
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমি সত্যিই এটা বিশ্বাস করি।
ধন্যবাদ
৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪০
ড. জেকিল বলেছেন: bashor_17 এর মন্তব্যে ++++++++
রক্তের গ্রুপ অথবা এ জাতীয় বৈশিষ্ট তো মনে হয় ক্রোমাসমেই নির্ধারিত হয়ে থাকে, তাই না? তাহলে সরোগেট মাদার এর রক্তের গ্রুপ কি নবাজাতকের উপরে প্রভাব ফেলবে, যদি সরোগেট মাদার এর রক্তের গ্রুপ আর আসল মায়ের রক্তের গ্রুপ আলাদা হয়ে থাকে ?
১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: প্রভাব ফেলতে পারে যদি বাচ্চাটির ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ আর সরোগেট মায়েরটা নেগেটিভ হয়।এই ক্ষেত্রে আর এইচ সেনসিটিভিটি নামের এক ধরনের এলার্জি হয় যেটা ভ্রুনের জন্য ক্ষতিকর এমনকি জীবনঘাতিও হতে পারে।
তবে এসব আগে থেকে টেষ্ট করেই সরোগেট মা নির্বাচন করা হয়।জেনেটিক বাবা মা পজেটিভ হলে নেগেটিভ সরোগেট মা নির্বাচন উচিত নয়।
৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৮
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
ভাল লাগল পোষ্টটি +++++
১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২২
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধন্যবাদ
১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
কৈশর বলেছেন: আল্ হামদুলিল্লাহ্। অনেক ঝাপসা বিষয় সৈরাম পরিস্কার হইলো। ধইণ্যবাদের সহিত পোস্টে যোগ চিহ্ন (++++) !!!!
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫২
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনাকেও ধইন্যবাদ
১১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
আনোয়ার ভাই বলেছেন: এতে দোষেন কিছু নেই। একজন অপরজনকে সাহায্য করছে। ভাল পোস্ট।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৮
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনার জন্য ধন্যবাদ সহ শুভেচ্ছা
১২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
বুড়িগঙ্গার পাড়ে বলেছেন: এ ব্যাপারে যদি কারো সহযোগিতা লাগে তা করতে রাজি আছি।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৩
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: কিভাবে?
১৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৮
নতুন বলেছেন: সব কিছুরই ভাল এবং খারাপ দিক আছে.... তাই এটাতেও যেমন অনেকের জন্য আশি`বাদ হবে তেমনি অনেকে এইটা ঝামেলা এড়ানোর জন্য করবে...
আমরা ভালটাই আসা করবো....
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৭
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: অবশ্যই ভালটা আশা করব.ধন্যবাদ
১৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৩
বুড়িগঙ্গার পাড়ে বলেছেন: গর্ভ ভাড়া দিবে এমন একজন আছে।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪৮
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: বলেছেন: সরি ভাই আপনি ছেলে হওয়ায় চাইলেও তা পারবেন না।
ভাল থাকুন।
১৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯
বুড়িগঙ্গার পাড়ে বলেছেন: আমি দিব বলল কে। বলেছি আমার জানামতে এমন একজন মহিলা আছে।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৩
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: সেক্ষেত্রে আমার এই ব্লগ যদি এমন কেউ পড়ে থাকেন যার একজন সরোগেট মাদার প্রয়োজন সে নিশ্চয় আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।ধন্যবাদ।
১৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
বুড়িগঙ্গার পাড়ে বলেছেন: হ্যা যোগাযোগ করলে সহযোগীতা করব
১৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০
গৃহ বন্দিনী বলেছেন: সরোগেসি নিয়ে পেপারে পড়েছিলাম । আপনার পোস্ট পড়ে ধারণা আরও পরিষ্কার হল । তবে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এই পদ্ধিতির সঠিক প্রচলন করতে বেশ সময় লাগবে মনে হয় ।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়।এখন যাদের খুব সমস্যা তারা কলকাতা চলে যায় বলে শুনেছি।
১৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগল পোষ্টটি।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৯
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: পোস্টটি ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগছে।
শুভেচ্ছা রইল
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২
আলোর পরী বলেছেন: চমৎকার লেখা , মানুষকে সঠিক তথ্য জানানোর এক মহান উদ্যোগ ।
আমিও জানলাম , উপকৃত হলাম । বাংলাদেশে এমন কোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা আছে কি যারা এ বিষয়ে সাহায্য করে ?