নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মায়ামন বড় নিঃসঙ্গ কাটে অনাথ রাত্রীযাপন

কবিতা তুমি বুকে মাংশ গোলাপ নিয়ে শুয়ে থাকো,আমি হাত ভরে পান করি জ্যোৎস্না

সোমহেপি

আমি কিছুই না।বুদবুদ।

সোমহেপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুকুর ও ভাগাড় বিষয়ক (সাইড ইফেক্ট গল্প)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩১

কাক এবং অন্যান্য মাংশাসী পাখিরা আগেই এসে মৃতটাকে ঘিরে দাঁড়িয়েছে।বৃত্তাকারে।দাঁড়কাক এবং পাতিকাকগুলো কা কা করে এলাকা সরগরম করে ফেলেছে।এ অবস্থায় তাদের অবশ্য করার কিছুই নেই।কেননা কুকুরেরা এখনো আসেনি।তাদেরকে কুকুরদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।কুকুরেরা আসবে।শক্ত চামড়া ধারালো দাঁত আর নখ দিয়ে ছিঁড়ে বের করবে সুস্বাদু নরম মাংস।ততক্ষণ পাখিগুলো চিৎকার করেই যাবে।



পশুর মালিক আর ওমুখো হবে না যতদিন তার প্রিয়তম পশুর স্মৃতিচিন্হটুকু মুছে না যায়।



পথচারিনী তরুণীরা যেতে যেতে যখন দেখে একটি মরা গরু পড়ে আছে তখন তারা তাদের স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে তাদের মায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আহলাদ করে বলে,

-মা মা,দেখো দেখো,গরু- গরু-!মরে পড়ে আছে!!

তাদের চোখে রাজ্যের বিস্ময় আর আহলাদ ঝরে ঝরে পড়ে।



শকুনেরাও খবর জেনে যায়।রওনা হয়ে যায় পালে পালে।



দক্ষিণ পাড়ার গরু বলে কথা।তাই মৃতপশুটার উপর এ পাড়ার কুকুরদের দাবিটাই ন্যায়সংগত কারণে বেশি।কাকগুলো কা-কা করে উৎসাহ যোগায়।

এগিয়ে যাও!

কয়েক ঘা কামড় বসাতে না বসাতেই উত্তর পাড়ার কুকুরগুলো এসে হাজির।তারা লেজ নাড়ে,মাথা নাড়ে।মৃদৃ ঘেউ ঘেউ করে।ভাবটা এমন -কাজটা কি ঠিক হলো?এতবড় একটা কান্ড ঘটে গেলো কোন খবর পাই নাই!খবর না দিলে কি হবে?গন্ধটাতো আর আটকায়ে রাখতে পারলে না!গন্ধের ভাগিদার যেহেতু হতে পেরেছি তাই তাতে আমাদের মাংশেরও ভাগ আছে!



দক্ষিণপাড়ার কুকুরগুলো চোখ তুলে তাদের দেখে।তাদের কাছে ব্যাপারটা অসহ্য ঠেকে।দলবেঁধে তীব্র আক্রোসে আক্রমণ।আক্রমণে টেকতে না পেরে উত্তরপাড়ার কুকুরগুলো এবেলা পিছু হটে কিন্ত্ত মাঠ একেবারে ছেড়ে দেয় না।নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে থাকে।তকে তকে।এদিক ওদিক দেখে সামান্য এগিয়ে আসে আবার পরিস্থিতি খারাপ মনে হলে পিছিয়ে যায়।

দূর খেকেই তারা তাদের দাবিটা জানায়।মিনমিনে গলায়।স্বরটা উদারাতে রেখে।

দক্ষিণ পাড়ার কুকুরগুলো দেদারছে কামড়ায়।খাবলিয়ে মাংশ খায়।কাকগুলো সুযোগ পেলে ঠোঁকর বসায়।অথবা কুকুরের মুখ গলে ছোট মাংশের টুকরা বেরিয়ে গেলে সেটি নিয়ে দূরে সরে পড়ে।

দক্ষিণপাড়ার কুকুরগুলো মাঝে মাঝেই মুখ তুলে উত্তর পাড়ার কুকুরগুলোর গতিবিধি পরখ করে।

কতগুলো তাগড়া কুকুর ওদের কে আরো খানিকটা দূরে তাড়িয়ে দিয়ে আসে।



শত শত শকুন আসে।আকাশে চক্রাকারে ঘুরে ঘুরে পরিস্খিতি পর্যবেক্ষণ করে।কারো কারো বাড়ির গাছের ডালে বসে।লোকালয়ের বাসিন্দারা সচরাচর শকুন দেখে না।তারা আগ্রহ নিয়ে শকুন দেখে।তারা শকুনের ইন্দ্রিয় ক্ষমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।



প্রতিবারই যখন গরু মারা পড়ে কুকুরগুলো মারকুটে হয়ে যায়।ভাগাড়ে সারাক্ষণ কামড়াকামড়ি চলে বিধায় তাদের ডমিস্টিক ভাবটা উবে গিয়ে বুনো হিংস্র ভাবটা প্রবল হয়ে উঠে।যার দরুণ কুকুরগুলো নিরীহ পথচারিকে প্রায়শই কামড় দিয়ে বসে।আঁচর দিয়ে বসে।লোকজনও সে কথা জেনে ওপথ খুব একটা মাড়ায় না।নিজেরা সাবধানে থাকে।ছেলেপুলেদের সাবধানে থাকতে বলে।

কিন্ত্ত এবার এক নিরীহ সনাতন ধর্মীয় বালককে কামড় দিয়ে বসে।কুকুরগুলো দলবেঁধে তার উপর হামলে পড়ে।তাকে ক্ষত বিক্ষত করে।তাকে ছিন্ন ভিন্ন করে।বেচারা মৃতগরুর মালিক এবার সমালোচনার মুখে পড়ে।মৃতগোমাংশ যেখানে বিষয় সেখানে সনাতনধর্মীয় লোকজন কেনো কুকুরের কামড় খাবে।সুতরাং ভাগাড়ে মৃত গরু ফেলাটা মালিকের অপরাধই বটে!



কুকুরগুলোও বোধয় ঘটনা আচ করতে পেরে কিঞ্চিৎ নড়ে চড়ে বসে।শকুনগুলো এ সুযোগে ঝাপিয়ে পড়ে।মিনিটেই সব সাবাড় হয়ে যায়।শকুনদের দাপটে টিকতে না পেরে কুকুরগুলো তাদের ভোজনপর্ব সমাপ্ত ঘোষণা করে বিদায় নেয়।

ততক্ষণে মাংশে পঁচন ধরে।বাতাসে দূর্গন্ধও ছড়ায় বেশ।পথচারী যারা উৎকট গন্ধে স্পর্শকাতর তারা রুমাল দিয়ে নাক ঢেকে পথ চলে।

আর মাঝে মাঝে বলে-এয়াক থু'



উত্তরপাড়ার কুকুরগুলো ঘেউঘেউ করেই যায়।ধীরে ধীরে তাদের স্বরে ধ্রুপদী আভাস ফুটে উঠে।

অন্যবার যখন উত্তরপাড়ায় গরু মরেছিলো তখন দক্ষিণপাড়ার কুকুরগুলো ধ্রুপদী ঘেউ ঘেউ তুলেছিলো।এবার কি উত্তরপাড়ায় গরু মরবে?উত্তরপাড়ার কুকুরদের ঘেউঘেউ শোনা যাচ্ছে।নিরাপদ দূরত্বে তাদের অবস্থান।তারা তাদের পাড়ায় আরেকবার গরু মরার অপেক্ষায়।





লেখাটির উৎস কবিতাঃ Click This Link





লেখক-লিটল হামা

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

মাক্স বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

সোমহেপি বলেছেন: ধন্যবাদ মাক্স

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: দারুন তো !!! কয়েকবার পড়তে হল, এবং বেশ মজা লাগলো। সুন্দর !


২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

সোমহেপি বলেছেন: ধন্যবাদ
ৎঁৎঁৎঁ

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৭

খুলনার শের বলেছেন: চরম হইছে। লাইক দিলাম ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

সোমহেপি বলেছেন: ধন্যবাদ
খুলনার শের

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

তারছেড়া লিমন বলেছেন: সেইরাম হইচে................

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

সোমহেপি বলেছেন: ঠিকাছে

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভাল লাগলো

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

সোমহেপি বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

নেক্সাস বলেছেন: বেশ সুন্দর লিখছেন । পড়লাম.।ভাল লাগলো

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

সোমহেপি বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

সোমহেপি বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: দম বন্ধ করা দৃশ্যপট আঁকসো!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

সোমহেপি বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভয়ঙ্কর সুন্দর । আতকে উঠলাম ।

গল্পটা অনেক ভাল লাগল ।
আপনার দেখার চোখের প্রতি মুগ্ধতা রইল ।
ফেবুতে শেয়ার দিলাম ।
ভাল থাকুন আপনি ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

সোমহেপি বলেছেন: আপনাকেও পুরাতন লেখা খুঁজে পড়ার জন্য ধন্যবাদ জানালাম। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.