নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই।

সৈয়দ মশিউর রহমান

লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।

সৈয়দ মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দূর্গাপূজা ও সম্প্রীতি

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬



একবার ভাবুন তো যে লোকটি বা লোকগুলো আজন্ম আপনার সংগে থেকেছে, একসংগে বেড়ে ওঠেছে, খেলাধুলা, লেখাপড়া, গল্পগুজব, ব্যবসা বাণিজ্য সবই একসংগে করেছে হঠাৎ কী এমন হলো যে আপনি সেই লোকটির পথের কাঁটা হয়ে গেলেন? ধর্মবাদ দিয়ে আগে মানুষ হোন যদি মানুষই না হতে পারেন তাহলে ধর্ম দিয়ে আপনার কিছুই হবেনা। ৫০/৬০ বছর পাশাপাশি বসবাস করার পরও প্রতিবেশিকে আপনি আপন করতে পারলেন না তাহলে আপনাকে মানুষ বলি কীভাবে?

সামনে দূর্গাপূজা আসছে। ইতিমধ্যেই হিন্দু সম্প্রদায় সহিংসতার আশঙ্কা করছে, তাদের উৎসবে বিশৃঙ্খা সৃষ্টির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের কথা বলছে। যদি সেরকম কিছু ঘটে তাহলে আমাদের সবাইকে যার যার জায়গা থেকে সাধ্যমতে এগিয়ে আসতে হবে যাতে তারা নির্ভয়ে পূজাপার্বণ পালন করতে পারে। দিন শেষ তারা বাংলাদেশেরই নাগরিক, আমাদেরই প্রতিবেশী, আমাদেরই দাদা-কাকা-খুড়া। আমার যেমন অধিকার তাদেরও তেমন অধিকার, আমার চেয়ে তাদের একবিন্দু অধিকার কম নেই।


পশ্চিমা দেশগুলির দিকে তাকান সেখানে সবধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের স্বস্ব ধর্ম পালন করছে কেউ কাউকে বাধা দিচ্ছেনা আর একারনেই তারা আজ এতো উন্নত এবং তারা সব ধরণের নাগরিক সুবিধা ভোগ করে উন্নত জীবন যাপন করছে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলো দিকে তাকান এখানে বিভেদ যত বেশি নাগরিক সুবিধাও তত কম, জীবনমান অনূন্নত, নাই কোন সুযোগ সুবিধা। তাই আসুন, আমরা মানুষ হিসেবে সবাই সবাইকে শ্রদ্ধা করি এবং উন্নত জীবন গড়ি।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:১৬

নতুন বলেছেন: একবার ভাবুন তো যে লোকটি বা লোকগুলো আজন্ম আপনার সংগে থেকেছে, একসংগে বেড়ে ওঠেছে, খেলাধুলা, লেখাপড়া, গল্পগুজব, ব্যবসা বাণিজ্য সবই একসংগে করেছে হঠাৎ কী এমন হলো যে আপনি সেই লোকটির পথের কাঁটা হয়ে গেলেন? ধর্মবাদ দিয়ে আগে মানুষ হোন যদি মানুষই না হতে পারেন তাহলে ধর্ম দিয়ে আপনার কিছুই হবেনা। ৫০/৬০ বছর পাশাপাশি বসবাস করার পরও প্রতিবেশিকে আপনি আপন করতে পারলেন না তাহলে আপনাকে মানুষ বলি কীভাবে?

ধর্মীয় বক্তারা তো এই সম্পর্ক তৌরি করতে নিষেধ করতেছে। মানুষ স্কুলে বন্ধু বানাতে হিন্দু, মুসলমান ভাবেনা।

মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়।

বক্তারাই মানুষের মাঝে বিভেদ তৈরি করছে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আগে মানুষ হতে হবে তা নাহলে আপনি ধার্মীক হতে পারবেন না। কোন ধর্মেই বিভেদ সৃষ্টি করতে বলেনি সে যে ধর্মই হোক।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৪১

মেঘনা বলেছেন: পৃথিবীতে বিভিন্ন ধর্ম আছে। তার মধ্যে ইসলামী একমাত্র ধর্ম যারা অস্ত্র হাতে ধর্ম প্রচার করে। ১৪০০ বছর আগেও ইসলাম এটা করেছে, এখনো করছি। এই যে হিজবুল্লাহর হাসান নাসরাল্লাহ মারা গেল, তার পরিচয় কি? তিনি একজন সিয়া ধর্ম গুরু এবং জঙ্গি সংগঠনের কর্তা। আইসিস প্রধান আবু বক্কর, তার পরিচয় কি -খলিফা।

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, পুতিন, সাদ্দাম হোসেন, শেখ হাসিনা,হিটলার, এরাও ভয়ঙ্কর হিংস্র কিন্তু এরা রাজনীতিবিদ। অন্যদিকে হাসান নাসরাল্লাহ, খামেনি, আবু বক্কর, জামাত এরা ইসলামী ধর্ম গুরু।

এখানেই অন্য ধর্মের সাথে মুসলিমদের পার্থক্য। মুসলিম হলে আপনাকে বিশ্বব্যাপী খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে হবে অর্থাৎ অমুসলিমদের হত্যা করতে হবে। এটাই মুসলমানের নিয়তি।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: না আপনার জানার মধ্যে ভুল আছে, অস্ত্র হাতে কোন ধর্মই বিস্তৃতিলাভ করেনি। যারা বিভেদ সৃষ্টি করে তারা ধার্মিক না।

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: দেশের জনগণের মধ্যে সদ্ভাব যত বাড়বে দেশের উন্নয়ন তত হবে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: একদম ঠিক কথা, দেশের জনগণের মধ্যে সদ্ভাব যত বাড়বে দেশের উন্নয়ন তত হবে।

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর থাকুক সবার সাথে সবার সম্পর্ক

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:০৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সম্প্রীতি ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:১৬

কামাল১৮ বলেছেন: হিন্দুরা প্রতিবাদ করতে শিখছে।ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছে।সাবধানে পা ফেলতে হবে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:১১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: প্রতিবাদ হিন্দুরা করেনি করেছে আওয়ামীলীগ; আওয়ামীলীগ হিন্দুদের ভিতর ঢুকে স্বার্থ হাসিলের ধান্ধায় ছিল।

৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৪:০২

রিফাত হোসেন বলেছেন: উপরে মাল্টি আছে। এখন পদ্মা, যমুনা দিয়ে ব্লগে ১৫-১৭ বছরের গুণগাণ শুরু হবে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:১২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এমনিতেই বোঝা যায় কোনটা মাল্টি।

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৬:২৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২২/ হজ্ব (হাজ্জ)
পরিচ্ছেদঃ ১০১৪. কা’বা ঘরের ভিতরে চারদিকে তাকবীর বলা
১৫০৬। আবূ মা’মার (রহঃ) … ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন (মক্কা) এলেন, তখন কা’বা ঘরে প্রবেশ করতে অস্বীকৃতি জানান। কেননা কা’বাঘরের ভিতর মূর্তি ছিল। তিনি নির্দেশ দিলেন এবং মূর্তিগুলো বের করে ফেলা হল। (এক পর্যায়ে) ইবরাহীম ও ইসমা’ইল (আঃ) এর প্রতিকৃতি বের করে আনা হয়- তাদের উভয়ের হাতে জুয়া খেলার তীর ছিল। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ! (মুশরিকদের) ধ্বংস করুন। আল্লাহর কসম! অবশ্যই তারা জানে যে, (ইব্রাহীম ও ইসমা’ঈল (আঃ)) তীর দিয়ে অংশ নির্ধারণের ভাগ্য পরীক্ষা কখনো করেন নি। এরপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা’বা ঘরে প্রবেশ করেন এবং ঘরের চারদিকে তাকবীর বলেন। কিন্তু ঘরের ভিতরে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন নি।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)

৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৬:২৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৮/ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ ১৮৯৫. ঘরবাড়ী ও খেজুর বাগান জ্বালিয়ে দেওয়া
২৮১১। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তুমি কি আমাকে যিলখালাসার ব্যাপারে শাস্তি দিবে না? খাশআম গোত্রে একটি মূর্তি ঘর ছিল। যাকে ইয়ামানের কাবা নামে আখ্যায়িত করা হত। জারীর (রাঃ) বলেন, তখন আমি আহমাসের দেড়শ’ আশ্বরোহী সাথে নিয়ে রওনা করলাম। তারা নিপুন অশ্বারোহী ছিল। জারীর (রাঃ) বলেন, আর আমি অশ্বের উপর স্থির থাকতে পারতাম না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার বুকে এমনভাবে আঘাত করলেন যে, আমি আমার বুকে তাঁর আঙ্গুলীর চিহৃ দেখতে পেলাম এবং তিনি আমার জন্য এ দোয়া করলেন যে, ‘হে আল্লাহ! তাকে স্থির রাখুন এবং হেদায়েত প্রাপ্ত, পথ প্রদর্শনকারী করুন।’
তারপর জারীর (রাঃ) সেখানে গমন করেন এবং যুলখালাসা মন্দির ভেঙ্গে ফেলে ও জ্বালিয়ে দেন। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ সংবাদ নিয়ে এক ব্যাক্তিকে তাঁর নিকট প্রেরণ করেন। তখন জারীর (রাঃ)-এর দূত বলতে লাগল, কসম সে মহান আল্লাহ তা‘আলার! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আমি আপনার নিকট তখনই এসেছি যখনই যুলখালাসাকে আমরা ধংস করে দিয়েছি। জারীর (রাঃ) বলেন, তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহমাসের অশ্ব ও অশ্বারোহীদের জন্য পাচঁবার বরকতের দু‘আ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জারীর ইবনু আবদুল্লাহ আল বাজলী (রাঃ)

৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৬:২৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৬/ শর্তাবলী
পরিচ্ছেদঃ ১৭০১. যুদ্ধরত কাফিরদের সাথে জিহাদ ও সন্ধির ব্যাপারে শর্তারোপ এবং লোকদের সাথে কৃত মৌখিক শর্ত লিপিবদ্ধ করা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ২৫৪৭, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ২৭৩১ – ২৭৩৩
২৫৪৭। …
তখন আবূ বকর (রাঃ) তাকে বললেন, তুমি লাত দেবীর লজ্জাস্থান চেটে খাও। আমরা কি তাঁকে ছেড়ে পালিয়ে যাব?

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মারওয়ান ইবনু হাকাম (রহঃ)

১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৬:২৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: বিভিন্ন অভিযান ও প্রতিনিধি প্রেরণ (السَّرَايَا وَالْبُعُوْثِ):
১. মক্কা বিজয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় কাজকর্ম সুসম্পন্ন করার পর যখন তিনি কিছুটা অবকাশ লাভ করলেন তখন ৮ম হিজরীর ২৫ রমযান উযযা নামক দেব মূর্তি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ)-এর নেতৃত্বে একটি ছোট সৈন্যদল প্রেরণ করলেন। উযযা মূর্তির মন্দিরটি ছিল নাখলা নামক স্থানে। এটি ভেঙ্গে ফেলে খালিদ (রাঃ) প্রত্যাবর্তন করলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন,‏ (‏هَلْ رَأَيْتَ شَيْئًا‏؟‏‏)‏‘তুমি কি কিছু দেখেছিলে?’ খালিদ (রাঃ) বললেন, ‘না’ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, ‏(‏فَإِنَّكَ لَمْ تَهْدِمْهَا فَارْجِعْ إِلَيْهَا فَاهْدِمْهَا‏)‏ ‘তাহলে প্রকৃতপক্ষে তুমি তা ভাঙ্গ নি। পুনরায় যাও এবং তা ভেঙ্গে দাও।’ উত্তেজিত খালিদ (রাঃ) কোষমুক্ত তরবারি হস্তে পনুরায় সেখানে গমন করলেন। এবারে বিক্ষিপ্ত ও বিস্ত্রস্ত চুলবিশিষ্ট এক মহিলা তাঁদের দিকে বের হয়ে এল। মন্দির প্রহরী তাকে চিৎকার করে ডাকতে লাগল। কিন্তু এমন সময় খালিদ (রাঃ) তরবারি দ্বারা তাকে এতই জোরে আঘাত করলেন যে, তার দেহ দ্বিখন্ডিত হয়ে গেল। এরপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে তিনি এ সংবাদ অবগত করালে তিনি বললেন, ‏(‏نَعَمْ، تِلْكَ الْعُزّٰى، وَقَدْ أَيِسَتْ أَنْ تَعْبُدَ فِيْ بِلَادِكُمْ أَبَدًا‏) ‘হ্যাঁ’, সেটাই ছিল উযযা। এখন তোমাদের দেশে তার পূজা অর্চনার ব্যাপারে সে নিরাশ হয়ে পড়েছে (অর্থাৎ কোন দিন তার আর পূজা অর্চনা হবে না)।
২. এরপর নাবী কারীম (সাঃ) সে মাসেই ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ)-কে ‘সুওয়া’ নামক দেবমূর্তি ভাঙ্গার জন্য প্রেরণ করেন। এ মূর্তিটি ছিল মক্কা হতে তিন মাইল দূরত্বে ‘রিহাত’ নামক স্থানে বনু হুযাইলের একটি দেবমূর্তি। ‘আমর যখন সেখানে গিয়ে পৌঁছেন তখন প্রহরী জিজ্ঞেস করল, ‘তোমরা কী চাও?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর নাবী (সাঃ) এ মূর্তি ভেঙ্গে ফেলার জন্য আমাদের নির্দেশ প্রদান করেছেন।’
সে বলল, ‘তোমরা এ মূর্তি ভেঙ্গে ফেলতে পারবে না।’
‘আমর (রাঃ) বললেন, ‘কেন?’
সে বলল, ‘প্রাকৃতিক নিয়মেই তোমরা বাধাপ্রাপ্ত হবে।’
‘আমর (রাঃ) বললেন, ‘তোমরা এখনও বাতিলের উপর রয়েছ? তোমাদের উপর দুঃখ, এই মূর্তিটি কি দেখে কিংবা শোনে?’
অতঃপর মূর্তিটির নিকট গিয়ে তিনি তা ভেঙ্গে ফেললেন এবং সঙ্গীসাথীদের নির্দেশ প্রদান করলেন ধন ভান্ডার গৃহটি ভেঙ্গে ফেলতে। কিন্তু ধন-ভান্ডার থেকে কিছুই পাওয়া গেল না। অতঃপর তিনি প্রহরীকে বললেন, ‘বল, কেমন হল?’
সে বলল, ‘আল্লাহর দ্বীন ইসলাম আমি গ্রহণ করলাম।’
৩. এ মাসেই সা‘দ বিন যায়দ আশহালী (রাঃ)-এর নেতৃত্বে বিশ জন ঘোড়সওয়ার সৈন্য প্রেরণ করেন মানাত দেবমূর্তি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে। কুদাইদের নিকট মুশাল্লাল নামক স্থানে আওস, খাযরাজ, গাসসান এবং অন্যান্য গোত্রের উপাস্য ছিল এ ‘মানত’ মূর্তি। সা‘দ (রাঃ)-এর বাহিনী যখন সেখানে গিয়ে পৌঁছেন তখন মন্দিরের প্রহরী বলল, ‘তোমরা কী চাও?’
তাঁরা বললেন, ‘মানাত দেবমূর্তি ভেঙ্গে ফেলার উদ্দেশ্যে আমরা এখানে এসেছি।’
সে বলল, ‘তোমরা জান এবং তোমাদের কার্য জানে।’
সা‘দ মানাত মূর্তির দিকে অগ্রসর হতে গিয়ে একজন উলঙ্গ কালো ও বিক্ষিপ্ত চুল বিশিষ্ট মহিলাকে বেরিয়ে আসতে দেখতে পেলেন। সে আপন বক্ষদেশ চাপড়াতে চাপড়াতে হায়! রব উচ্চারণ করছিল।
প্রহরী তাকে লক্ষ্য করে বলল, ‘মানাত! তুমি এ অবাধ্যদের ধ্বংস কর।’
কিন্তু এমন সময় সা‘দ তরবারির আঘাতে তাকে হত্যা করলেন। অতঃপর মূর্তিটি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দিলেন। ধন-ভান্ডারে ধন-দৌলত কিছুই পাওয়া যায় নি।
৪. উযযা নামক দেবমূর্তিটি ভেঙ্গে ফেলার পর খালিদ বিন ওয়ালীদ (সাঃ) প্রত্যাবর্তন করলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ৮ম হিজরী শাওয়াল মাসেই বনু জাযামাহ গোত্রের নিকট তাঁকে প্রেরণ করেন। উদ্দেশ্য ছিল আক্রমণ না করে ইসলাম প্রচার। খালিদ (রাঃ) মুহাজির, আনসার এবং বনু সুলাইম গোত্রের সাড়ে তিনশ লোকজনসহ বনু জাযীমাহর নিকট গিয়ে ইসলামের দাওয়াত পেশ করেন। তারা (ইসলাম গ্রহণ করেছি) বলার পরিবর্তে (আমরা স্বধর্ম ত্যাগ করেছি, আমরা স্বধর্ম ত্যাগ করেছি) বলল। এ কারণে খালিদ (রাঃ) তাদের হত্যা এবং বন্দী করতে আদেশ দিলেন। তিনি সঙ্গী সাথীদের এক একজনের হস্তে এক এক জন বন্দীকে সমর্পণ করলেন। অতঃপর এ বলে নির্দেশ প্রদান করলেন যে, ‘প্রত্যেক ব্যক্তি তাঁর নিকটে সমর্পিত বন্দীকে হত্যা করবে। কিন্তু ইবনু উমার এবং তাঁর সঙ্গীগণ এ নির্দেশ পালনে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন। অতঃপর যখন নাবী কারীম (সাঃ)-এর খিদমতে উপস্থিত হলেন তখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলেন। তিনি দু’ হাত উত্তোলন করে দু’বার বললেন, ‏(‏اللهم إِنِّيْ أَبْرَأُ إِلَيْكَ مِمَّا صَنَعَ خَالِدًا) ‘হে আল্লাহ! খালিদ যা করেছে আমি তা হতে তোমার নিকটে নিজেকে পবিত্র বলে ঘোষণা করছি।’(1)
এ পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র বনু সুলাইম গোত্রের লোকজনই নিজ বন্দীদের হত্যা করেছিল। আনসার ও মহাজিরীনগণ হত্যা করেন নি। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আলী (রাঃ)-কে প্রেরণ করে তাদের নিহত ব্যক্তিদের শোণিত খেসারত এবং ক্ষতিপূরণ প্রদান করেন। এ ব্যাপারটিকে কেন্দ্র করে খালিদ (রাঃ) ও আব্দুর রহমান বিন আওফ (রাঃ)-এর মাঝে কিছু উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এবং সম্পর্কের অবণতি হয়েছিল। এ সংবাদ অবগত হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন,
‏(‏مَهَلًّا يَا خَالِدُ، دَعْ عَنْكَ أَصْحَابِيْ، فَوَاللهِ لَوْ كَانَ أَحَدٌ ذَهَبًا، ثُمَّ أَنْفَقَتْهُ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ مَا أَدْرَكَتْ غُدْوَةَ رَجُلٍ مِّنْ أَصْحَابِيْ وَلَا رَوْحَتَهُ‏)‏‏
‘খালিদ থেমে যাও, আমার সহচরদের কিছু বলা হতে বিরত থাক। আল্লাহর কসম! যদি উহুদ পাহাড় সোনা হয়ে যায় এবং তার সমস্তই তোমরা আল্লাহর পথে খরচ করে দাও তবুও আমার সাহাবাদের মধ্য হতে কোন এক জনেরও এক সকাল কিংবা এক সন্ধ্যার ইবাদতের নেকী অর্জন করতে পারবে না।(2)

১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৬:২৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: এস আম বি ভাই, হাদিস থেকে এই সব পাওয়া যায়, আপনি কি নিজে কখনো পড়ে দেখেছেন? তাহলে কেন বলছেন, কোন ধর্মেই বিভেদ সৃষ্টি করতে বলেনি সে যে ধর্মই হোক।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:২০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: দেখেন ২৫/৩০ বছর পড়ার পরও যখন ধর্মীয় স্কলাররা সঠিক অর্থ করতে পারেন না সেখানে আপনি একটি বয়ে বাংলা অর্থ পরেই কেন এমন বলছেন; তখনকার প্রেক্ষাপটে এসব অনেক কিছুই হয়েছে এবং সেগুলো বুঝতে হলে আপনাকে পন্ডিদের কাছে যেতে হবে নচেৎ আপনার ভুল ধারণা ভাংবেনা।

বই পড়া ভালো তবে এই গ্রন্থগুলি পড়ার সংগে সংগে পন্ডিতদের সংগে আপনার কথা বলতে হবে, কেন এরকম বলেছেন? কি জন্য বলেছেন? কোন প্রেক্ষাপটে বলেছেন ইত্যাদি জানতে হলে অবশ্যই ধর্মীয় পন্ডিদের সংগে আপনার বসতে হবে জানতে হবে।

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: যে বই পড়ে কিছু বোঝা যায় না, সেই বই ডাস্টবিনে ফেলে দেন, দেখবেন সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। সমস্যার সমাধান করতে চাইলে   মুলে আঘাত দিতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.