নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিঃদ্রঃ এই লেখাটি গত সপ্তাহের মসজিদ খোলার সিদ্ধান্তের আগের।
(আত্মসচেতনামূলক পোষ্ট। অনেকের চিন্তা আমার সাথে নাও মিলতে পারে।)
গত দুই জুম’আ (জোহর) বাসায় পড়ার পর আজকে মনে হলো একটু মসজিদে গিয়েই দেখি হালচাল কি? এ অভিপ্রায় ব্যক্ত করার সাথে সাথে অর্ধাঙ্গী বাধ সাধল।তার যুক্তি হলো, মসজিদে গেলে তো করোনার সংক্রমন হতে পারে।
★★★ হ্যা আমিও মনে করি মসজিদে গেলে করোনা সংক্রমন হতে পারে। কিন্তু এটাও তো হতে পারে, আমার কিছুই হলোনা, করোনা আমার নাগালই পেলো না। আল্লাহু সুবহানা তায়ালা চাইলে, করোনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জুম’আর নামায পড়ে দিব্যি বাসায় ফেরত আসতে পারলাম।
★★★ করোনা কি শুধুমাত্র মসজিদ হতে ছড়ায়। অর্ধাঙ্গীকে বললাম, আমি যে বাজার করতে যাই, সেখান থেকেও করোনা ছড়াতে পারে। ব্যাংকের এটিএম মেশিন হতেও করোনার সংক্রমন হতে পারে।দোকানদারের কাছ থেকে যে খুচরা টাকা নেই সেখান থেকে করোনা আসতে পারে। সবজির সাথে করোনা আসতে পারে। মাছের সাথে করোনা আসতে পারে।
★★★ আচ্ছা ধরো, গতকাল যে তোমার জন্য এক কেজি কাঁচা আম কিনলাম। ওখানে আমি দোকানদারকে প্রত্যেকটা আম নিজ হাতে বেছে বেছে দিয়েছিলাম। ওখানেরই কোন একটা আমে কিছুক্ষন আগে একজন করোনা রোগী স্পর্শ করে ভাইরাস রেখে দিয়েছে। অথবা দোকানদারই কোভিড-19 আক্রান্ত (লক্ষন প্রকাশ পায়নি/ সুপ্ত অবস্থা)। আচ্ছা এরকম কি হতে পারে না? অর্ধাঙ্গী বললো, হুম সেটা হতে পারে।। তারপরও আমাদের সাবধান তো থাকতে হবে।
★★★ হ্যা, আমিও বলি আমাদের সাবধান থাকতে হবে। সাবধানতার কোন মাইর নাই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, শুধুমাত্র সাবধানতাই কি আমাদের রক্ষা করতে পারে??
ওকে ফাইন, আপনি সাবধানতাবশত জলন্ত আগুনে হাত দিলেন না, উত্তাল সাগরে ঝাপ দিলেন না। তো আপনি বেঁচে গেলেন। কিন্তু আপনি যখন উত্তাল সাগরে কোন জাহাজের যাত্রী হিসাবে ভ্রমন করেন, কিংবা আকাশে শান্তির নীড় বিমানে ভ্রমন করেন তখন আমার আপনার সাবধান হওয়ার সুযোগ কতটুকু? উত্তাল সাগরে জাহাজ ডুবি কিংবা আকাশে বিমান দূর্ঘটনায় পতিত ব্যক্তি যদি একশ একটা সাবধানতা/ উপায় অবলম্বন করেও তবু কতটা শেষ রক্ষা হবে তা আল্লাহই ভালো জানেন। সতর্কতা হিসাবে ধরুন, সাগরে লাইফ জ্যাকেট ও আকাশে প্যারাস্যুট ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী কিন্তু মারা যাবে লাইফ জ্যাকেট ও প্যারাস্যুট ব্যবহার করার সময়/সুযোগ না পাওয়ার জন্য।
*** সুতরাং সব কথার শেষ কথা হলো, শুধুমাত্র আল্লাহর ইচ্ছায়ই আমরা রোগাক্রান্ত হতে পারি, আবার তিনিই আমাদের শেফা (আরোগ্য) দান করেন। রোগ-শোক, মহামারী মানুষের জন্য আল্লাহর পরীক্ষামাত্র। কিন্তু এবারের করোনা (মহামারী) পরীক্ষায় আমরা সবাই পাশ করবো তো?
পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছেঃ-
(১) ‘আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে।’ (সূরা বাকারা:১৫৫)।
(২) ‘আর ভালো এবং মন্দ দ্বারা আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করে থাকি।’ (সূরা আম্বিয়া:৩৫)।
২| ১০ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
রাজীব নুর বলেছেন: মসজিদ খুলে দিয়েছে। না খুললেও সমস্যা কিছু ছিলো না। ঘরে নামাজ পড়া যায়।
সহমত।
৩| ১০ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:২২
আল-ইকরাম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্ । মোবারকবাদ ভাই আহমেদ ইউসুফ। আল্লাহ্ সুবাহান আল্লা তায়ালা’র পক্ষ থেকে যে কোনো আযাব, গজব বা বিপদ আপদ যেমন আল্লাহ্’র বান্দার জন্য পরীক্ষা স্বরূপ, তেমনি এটাও ধ্রব সত্য যে, আমাদের অজ্ঞতা, মুর্খতা, বিবেকহীন কর্ম, হীন স্বার্থ চরিতার্থকরণ, পরশ্রী কাতরতা, মনুষ্য জ্ঞানের অভাব, মানবিক মূল্যবোধের বিলুপ্তি, বিচক্ষণতার অভাব ইত্যাদিও আল্লাহ্ সুবাহান আল্লা তায়ালা’র পক্ষ থেকে নানান আযাব, গজব আসার কারণ। পড়া লেখা করে হয়তো শিক্ষা অর্জন করা যায়, শিক্ষিত হওয়া যায়; কিন্তু সুশিক্ষা আরও ব্যাপক বিষয়। যে শিক্ষা নিজেকে সম্মান করতে, শ্রদ্ধা করতে শেখায় না, শিষ্ঠাচার শেখায় না, মানবিক মূল্যবোধের চর্চায় প্রেরণা যোগায় না, সে শিক্ষা দ্বারা মানুষ কিভাবে অন্যকে সম্মান করবে? শ্রদ্ধা করবে? মানুষ কিভাবে নিয়ম নিষ্ঠ হবে? কিভাবে মানবিক আচরণ বিশিষ্ট মানুষ্ হবে? আল্লাহ্ পাক আমাদেরকে পারস্পারিক সহমর্মিতা, মানবিক মূল্যবোধ, মনুষ্য জ্ঞান, বিচক্ষণতা ই্ত্যাদি প্রয়োজনীয় মানবীয় গুণে সমৃদ্ধ করুন এই আমাদের হৃর্দিক প্রত্যাশা। শুভেচ্ছা অগনিত।
৪| ১০ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:২৯
অদ্বিত বলেছেন: সবকিছু নির্ভর করে সম্ভাব্যতার উপরে। আপনি বেশী সাবধানতা অবলম্বন করলে ( লাইফ জ্যাকেট পড়া থাকলে বা প্যারাসুট হাতের নাগালে পেলে ) জাহাজ ডুবি হবার পর বা বিমান দুর্ঘটনা হবার পর থেকে বেঁচে যাবার সম্ভাবনা বেশী থাকবে। আর কম সাবধান থাকলে জাহাজ ডুবি অথবা বিমান ক্রাশ থেকে বাঁচার সম্ভাবনা কম থাকবে। সোজা হিসাব। ছোটবেলায় সমাজ বইতে পড়েছিলাম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি - "মুখ দিয়েছেন যিনি, আহার দিবেন তিনি।" .... ঠিক সেরকম করোনা ছড়ানোর কারণও আপনার মত মানুষদের দৃষ্টিভঙ্গি - "আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা আক্রান্ত হই, আল্লাহর ইচ্ছায় সুস্থ হই।"
যখন আর্সেনিক ছড়িয়েছিল, টিউবয়েলে লাল সবুজ রং দেয়া হত তখনও মানুষ এটাকে আল্লার গজব ভেবেছিল। পরে দেখা গেছে তা সত্য নয়। যদ্দিন প্রতিষেধক আবিস্কার না হয়েছে, তদ্দিনই আল্লার গজব। যেই ভ্যাক্সিন বের হবে ( হয়ে গেছে তয় এখনও ফার্মেসিগুলোয় আসেনি ) আল্লার গজব কর্পূরের মত উবে যাবে।
৫| ১০ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:১৫
সুপারডুপার বলেছেন:
চাঁদগাজী সাহেব : বেহেশতের দরজা কেন খোলা রাখা হয়?
নূরু হুজুর : বেহেসতের সব দরজা খোলা থাকার কারনে পৃথিবীতে একটা স্বর্গীয়ভাব বিরাজ করে।
- এখন বেহেশতের সব দরজা খোলা ও পৃথিবীতে একটা করোনাভাব বিরাজ করছে । তার মানে করোনা বেহেশত হতে ছড়ায়।
=========================================================================
সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন-এই অপূর্ব ছন্দে একাত্ন হয়ে সুখ-সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবেন এই শুভকামনা করি।
৬| ১০ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:০৩
নতুন বলেছেন: *** সুতরাং সব কথার শেষ কথা হলো, শুধুমাত্র আল্লাহর ইচ্ছায়ই আমরা রোগাক্রান্ত হতে পারি, আবার তিনিই আমাদের শেফা (আরোগ্য) দান করেন। রোগ-শোক, মহামারী মানুষের জন্য আল্লাহর পরীক্ষামাত্র। কিন্তু এবারের করোনা (মহামারী) পরীক্ষায় আমরা সবাই পাশ করবো তো?
যারা অন্ধবিশ্বাসী তাদের জন্য তো বিজ্ঞানের নিদে`শনা মান্য করার দরকার নাই।
৭| ১০ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৪৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাঙ্গালী মক্কা মদিনা খুলে দেওয়ার জন্য আন্দোলন করতে পারে
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:০০
রাজীব নুর বলেছেন: মসজিদ খুলে দিয়েছে। না খুললেও সমস্যা কিছু ছিলো না। ঘরে নামাজ পড়া যায়।