নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পর্ব-১
বিঃদ্রঃ অপর কোন জীবিত ও মৃত ব্যক্তি, ঘটনা ও প্রেক্ষাপটের সাথে আমার সহি (সিগনেচার) নকলের সহি (সত্য) কাহিনীর কোন মিল নাই, যদি কেউ কোন ধরনের মিল খুজিয়া পান তবে ইহা নিতান্তই কাকতালীয় মাত্র।
এবার মূল ঘটনায় আসা যাকঃ-
★★★ আমি তখন পিরোজপুর জেলা শহরের সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস সিক্সের ছাত্র। চারু ও কারুকলা সাবজেক্ট সবে নতুন। তেল রং, জল রং, থিম, ফোকাস কিছুই মাথায় ঢোকেনা। উজ্জ্বল গৌড় বর্নের ঝাকড়া চুলের কমল স্যার ছিলেন তখনকার ত্রাস। প্রতি দিনই প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি আঁকার কাজ থাকত আমাদের হোমওয়ার্ক। আমরা আনাড়ি পোলাপান যত্রতত্র রং ছিটিয়ে আগডুম বাগডুম কিছু একটা অাঁকার চেষ্টা করতাম। কিন্তু হোমওয়ার্কের খাতা সিগনেচারের জন্য স্যারের কাছে গেলেই হইছে কান মলা, চড়-থাপ্পড় ছিল অবধারিত। ম্যাক্সিমাম এই দশা, দু একজন বাদে। ওনার আর একটা বিশেষত্ব হলো উনি মিলিটারী কায়দায় শাস্তি প্রবর্তনের অগ্রদূত। যাই হোক এহেন দুর্যোগ থেকে পরিত্রানের উপায় খুজতে লাগলুম। কি করা যায়?
★★★ অবশেষে হোমওয়ার্কের খাতা টেবিলে জমা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। সময়ের অভাবে ৬০-৭০ জনের খাতা স্যারের দেখা হতো না প্রায়শই। ওকে ডান! সেটাই হবে, মনে মনে আত্মপ্রসাদ লাভ করলুম। এভাবে চলল কিছুদিন। কিন্তু একদিন কি মনে করে স্যারের মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি খেলল কে জানে? হঠাৎ হুঙ্কার ছাড়লেন কি ব্যাপার হোমওয়ার্কের খাতা এত কম কেন ? ওকে লেট সী, কে কে খাতা জমা দাওনি? দাড়াও। মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল আমার। দোয়া দুরুদ পড়ে বুকে ফু দিয়ে দাড়ালাম। বাহ বেশ তো আমার সাথে দেখলাম অনেকেই আছে। ওকে সবাই খাতা নিয়ে আস? বাবরি চুল ঝাকিয়ে হুকুম করলেন স্যার। সবাই মোটামুটি অজুহাত দেখিয়ে হালকা উত্তম মধ্যম গলাধঃকরন করে পার পেয়ে গেল।
★★★ কিন্তু আমি কেস খেলাম জটিল, স্যারের সিগনেচার নকলের ভয়ানক অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে। যদিও ঘটনা সত্য, হোমওয়ার্কের প্রত্যেক পাতায় কমল স্যারের সিগনেচার দিয়ে দিয়েছি। ভবিষ্যতে দূর্ভাগ্যক্রমে খাতা ওল্টালে যাতে স্যারের নিজেরই সিগনেচার বলিয়া দৃষ্টিভ্রম হয়। স্যার গর্জে উঠলেন, পারেন তো চিবিয়ে খান! আমাকে কি কি ধরনের কঠিনতর শাস্তি দিবেন তা একটু সময় ভাবলেন। কিন্তু পরক্ষনে আমার মতো ক্রিমিনালকে শায়েস্তা করার মতো যথোপযুক্ত শাস্তির কৌশল তার আয়ত্বের বাইরে বিবেচনা করিয়া আমাকে হেড স্যারের অফিসে হাজির হওয়ার হুকুম জারি করিয়া তিনি তৎক্ষনাৎ প্রস্থান করিলেন। চলবে....
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: Click This Link
২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পুরা ঘটনা এখানেই শেষ করতে পারতেন। যাই হোক কি শাস্তি পেয়েছিলেন পরে জেনে নিবো।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৩
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: ধন্যবাদ। সময়ের অভাবে পুরা লেখা শেষ করতে পারি নাই। অাজই বাকীটা লিখলাম। Click This Link
৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১২
শামচুল হক বলেছেন: পড়লি তো পড় মালির ঘাড়ে
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৬
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: হুম। ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ। পরবর্তী লেখা পড়ুন..। Click This Link
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০
রানা আমান বলেছেন: তারপর ?