নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
#জন্মদিন_ফ্যাক্টস#
----একান্তই নিজস্ব অভিমত (একমত না হলেও সমস্যা নাই)----
*** ফেসবুক প্রায়ই মনে করিয়ে দেয় আজ ওমুকের জন্মদিন তো কাল তমুকের জম্নদিন। সারা বছরই কারো না কারো জন্মদিন লেগেই থাকে। কাহাতক আর সহ্য করা যায়! তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি বন্ধুদের কাউকেই আর জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাবো না।
*** দিবস কেন্দ্রীক যেকোন আচারের বিরোধী আমি (শরীয়ত সম্মত দিবস ব্যতীত)। সেক্ষেত্রে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর বিষয়টা বাহুল্যই বলা চলে, অন্ততপক্ষে আমার মতে। অনেকেই হয়তো নাখোশ হবেন আমার প্রতি। অসামাজিক ট্যাগ দিতে নিশ্চয়ই কসুর করবেন না কেউ কেউ।
*** এবার বলছি যুক্তির কথা:- মানুষ হিসাবে জন্ম দিবস সিলেকশনে অামাদের কোন হাত নেই। আপনি কোথায়, কবে জন্মেছেন তাতে আপনার কোন ক্রেডিট নাই। মানুষের ক্রেডিট বিদ্যা শিক্ষায়, জ্ঞানের উৎকর্ষতায় ও ব্যক্তিগত সাফল্য অর্জনে। সুতরাং সাধারণ মানুষ হিসাবে জন্মদিন নিয়ে আদিখ্যেতা করা নিতান্তেই অপ্রয়োজনীয় আমার মতে।
*** এবার আসি জন্মদিন উপলক্ষ্যে পালনীয় কিছু আচারের (অনাচার) বিষয়ে, যা নিতান্তই অযৌক্তিক ঠেকে আমার কাছেঃ-
1. আমাদের জীবনে এক একটা জন্মদিন অাসা মানে আমাদের জীবন থেকে এক একটা বছর কমে যাওয়া। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে আমাদের বয়স বাড়ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে একটা বছর ঘুরে অাসা মানে আমাদের জীবনের থোক বরাদ্দ (আয়ু) থেকে একটি বছর কমে যাওয়া। তার মানে আমি আরও 30 বছর বাঁচলে তার থেকে 01 বছর কম অর্থাৎ 29 বছর পৃথিবীতে বেঁচে থাকব। যেখানে আমাদের হা হুতাশ করার কথা, তা না করে আমরা করি উল্লাস। কি সেলুকাস নিয়ম রে বাবা!
2. জন্মদিনে কেক কাটবেন, প্রিয়জনকে গিফট দিবেন। ভালো কথা, তাতে কিন্তু লাভ ব্যবসায়ীর। যদিও উপহার আদান-প্রদানে আমাদের চিত্ত সাময়িক বিনোদিত হইবে এই যা! আপনি ইচ্ছা করলে অন্য কোন দিনে উপলক্ষ্য ছাড়াই প্রিয়জনকে গিফট দিতে পারেন। অামার মনে হয় তাতে আপনার প্রিয়জন অপ্রত্যাশিত গিফট পেয়ে আরো বেশি খুশী হবেন।
ঢাকা, 18 অক্টোবর 2017 খ্রিঃ।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬
Safin বলেছেন: ভাই জন্মদিনে উইশ করাটা আমার কাছেও অত্যন্ত বিরক্তিকর। ফেসবুকে প্রতিদিন কারো না কারো জন্মদিন থাকে, তাই বিরক্ত হয়ে উইশ করাই বন্ধ করে দিয়েছি।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: ভালো করেছেন। ধন্যবাদ।
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ইসলাম জন্মদিন মৃত্যুদিন বিবাহবার্ষিকী সমর্থন করেনা।
কিন্তু আমরা অন্যদের অনুকরণ না করে খুশী হতে পারিনা।
তাইতো সমাজে আজ এত অধপতন।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা তো আছেই। মানবিক যৌক্তিকতার বিচারেই তো এটা বর্জনীয়।
৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬
এম আর তালুকদার বলেছেন: এই বিষয়টা নিয়ে অনেক লিখেছি কিন্তু কেউ শুনতে চায়না। ভাল লাগলো পোষ্টটি। ধন্যবাদ।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: জন্মদিন,মৃত্যু দিন পালন ইসলামে হারাম।তারপরও এগুলো নিয়ে আমরা বাড়াবাড়ি একটু বেশিই করি মনে হয়।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০০
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: হুম। বাড়াবাড়ির চুড়ান্ত জম্নদিন পালন। ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা তো আছেই। মানবিক যৌক্তিকতার বিচারেই তো এটা বর্জনীয়।
৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১
যোজনী ২ বলেছেন: ভাই উইস নিয়া এই পর্যন্ত যে কত বিড়ম্বনায় পরেছি,, এখন নোটিফিকেশন দেখলেই এডিয়ে যাই।।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৫
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: ভালো করেছেন। মানবিক যৌক্তিকতার বিচারেই এটা বর্জনীয়। যদি আপনি তা অনুভব করেন।
৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৮
নতুন বলেছেন: কারুর জন্মদিনে যদি আপনি তাকে হাসিমুখে শুভেচ্ছা জানান এবং যদি সে খুশি হয় তবে সেটা করতে আপনার খারাপ লাগার কারন দেখি না।
যারা হাসিখুশি মানুষ তারা কিন্তু অন্যদের হাসিখুশি দেখতে পছন্দ করে।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৯
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: খারাপ লাগার কোন কারন নাই! কি বলছেন আপনি? ধরুন আপনি ক্যান্সারের রোগী। ডাক্তার বলল আপনার আয়ু আর মাত্র ৩০ দিন বা তার কিছু বেশী। আপনার ১৫ দিন কেটে গেল। হাতে রইল ১৫ দিন বা তার বেশী কিছু। এই অবস্থায় ১৬তম দিনে বন্ধূ বান্ধব হাসিমুখে অভিবাদন জানাতে এসে হই হুল্লোড়, আনন্দ স্ফুর্তি করল। এটা কতটা যৌক্তিক।
জীবন সম্পর্কে এভাবে চিন্তা করলে আর কিছু হলেও জন্মদিন উদযাপন করার কোন যৌক্তিকতা আপনি খুজে পাবেন না।
৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: জন্মদিন পালন করা ইসলাম সম্মত নয়। কিন্তু জন্মদিন-এর উসিলায় কাউকে উইশ করলে হৃদ্যতা বাড়বে। দুই পক্ষই একটা উপলক্ষ পাবে ভালো লাগার...
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: তা বটে। উপলক্ষ্য করে সম্পর্কের চর্চা অামার কাছে একঘেয়েমী মনে হয়। হৃদ্যতা বাড়ার জন্য মনের ইচ্ছাই যথেষ্ট। তবে হ্যা অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য জন্মদিন (হোটেল রেইনট্রি ফ্যাক্ট), ভ্যালেন্টাইনস ডে, পহেলা বৈশাখ ইত্যাদি যথেষ্ট প্রভাবক হিসেবে কাজ করে এই যা।
৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫০
এভো বলেছেন: জন্ম দিন পালন কেন ইসলাম সম্মত নহে তার কোন প্রমাণ কি কেউ দিবেন কোরান বা হাদিস থেকে ? এখানে কি কোন শরিকি করা হয় বা পুজা করা হয় । কি কারনে ইসলাম সম্মত নহে বা ইসলামের সাথে এর বিরোধ কোথায় জানালে খুশি হব ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আমিও আগে জানতাম না। পরে ইসলাম নিয়ে কিছুটা পড়ালেখার কারণে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি। তাই সহমত।