নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
★★★ সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে আমি খুব একটা লিখি না। কারন এদেশে ইস্যু তৈরি হওয়া ওয়ান-টুর ব্যাপার। প্রতিনিয়ত ইস্যু তৈরি হচ্ছে আর ইস্যুর নিচে পুরাতন ইস্যু চাপা পড়ে যাচ্ছে। যে ইস্যু তলানীতে তার আর কোন ফিডব্যাক কেউ পাচ্ছে না। এবারের স্মরনকালের সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী বন্যার কুশীলবরা যখন জনতার কাঠগড়ায় ঝুলতে যাচ্ছিল তখনই নতুন ইস্যুর আগমন হলো দেশে। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের ইস্যু তৈরি হলো আমাদের সামনে। আমরাও হুজুগে বাঙ্গাল, ত্রান সাহায্য, সমবেদনা সব বেমালুম ভুলে গিয়ে প্রধান বিচারপতির চরিত্র নিয়ে কাটাছেড়া শুরু করলাম। প্রধান বিচারপতির ব্যবচ্ছেদ শেষ হতে না হতেই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল বাংলাদেশে হাজির। আমরা সব ভুলে খেলা দেখতে বসে গেলুম। ভারী আমুদে জাতি আমরা। না পারলাম বাঙ্গালী হতে আর না হলাম খাঁটি মুসলমান। দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান/ইবাদাত কোরবানি এসে গেল। সারা বছরের মাংস সংগ্রহের মনোবাসনায় বাজারের বড় গরুটাই এখনকার ইস্যু হয়ে দাড়াল। ওদিকে উত্তরাঞ্চলে বন্যার ক্ষত এখনো শুকায়নি। এদিকে মায়ানমার-টেকনাফ সীমান্তে সহায় সম্বলহীন রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মানবেতর জীবনযাপন কোন বিকার তৈরি করেনি আমাদের। বেশ আছি আমরা। অনেকেই হয়তো কোরবানীর গরুর ঠ্যাং চিবোতে চিবোতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্টম্যাচ দেখবো আর রোহিঙ্গাদের বিজিবি কেন ঢুকতে দিলো না এই তত্ব তালাশে পেটের ভাত হজম করে ছাড়ব।
★★★ আমার মতে, বাংলাদেশ পড়েছে উভয় সংকটে। ইতোমধ্যেই আট লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে, যাদের দীর্ঘমেয়াদী অবস্থানের কারনে মানবিক সংকট কিন্তু কমছে না। মায়ানমার থেকে আসা ইয়াবার চালান গুলো পাচারের মূল হোতা কিন্তু রোহিঙ্গারা। মায়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে যা রীতিমত গনহত্যা ও মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। রোহিঙ্গাদের এ জাতিগত নির্মূলে মায়ানমারের সেনাবাহিনী সরকারের ভাড়াটে সন্ত্রাসীর মত ভূমিকা পালন করছে। জাতিসঙ্গের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের রিপোর্ট রোহিঙ্গাদের পক্ষে ছিল। তারপরও রোহিঙ্গারা কেন সেনাচৌকিতে সশস্ত্র হামলা করবে তা মাথায় ঢোকে না। নাকি সরষের ভেতরেই ভুত। নতুন করে অভিযান চালানোর জন্য ইস্যু তৈরির মহড়া করছেন তেনারা।
★★★ রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের উচিত স্বপ্রনোদিত হয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বিষয়টা তুলে ধরা। প্রয়োজনে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে মায়ানমারের বিরুদ্ধে অভযোগ করা। মায়ানমারে রোহিঙ্গা নিধন বন্ধে জাতিসংঘের তত্তাবধানে শান্তিরক্ষী মিশন চালু করা এখন সময়ের দাবী।
২৮/০৮/২০১৭, ঢাকা।
বিঃদ্রঃ একান্তই নিজস্ব মতামত।
২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫
নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: সরকারে থাকা কিছু অপদেবতা ঘাপ্টি মেরে দেশের সর্বনাশ হওয়া দেখছে আর নিজেদের পকেট ভারি করছে। তাদের উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে গেলেই (মানে এদেশের সর্বনাশের চূড়ান্ত হলে) এরা দেশপ্রেমিক কোন সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আমেরিকা/রাশিয়ায় গিয়ে উঠবে।
৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
" না পারলাম বাঙ্গালী হতে আর না হলাম খাঁটি মুসলমান। "
-ধান বানতে শিবের গীতি কেন, বাংগালীরা বেশীর ভাগই মুসলমান, আরবেরা মুসলমান, ইন্দোনেশিয়ানরা মুসলমান; এরা তো খাঁটী মুসলমান; আপনার সমস্যা কোথায়?
৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩
তারেক ফাহিম বলেছেন: দিবসে দিবসে এ জাতী গেলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩
বিজন রয় বলেছেন: না পারলাম বাঙ্গালী হতে আর না হলাম খাঁটি মুসলমান।
ঠিক বলেছেন।