নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
*** ঈদ নিয়ে ছোটবেলায় বেশ উৎফুল্লই থাকতাম। ফিরনি সেমাই খাওয়া, ঈদের নামায আদায় ও নামায শেষে বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে কোলাকুলি করতাম। মজার ব্যাপার হল সে সকল মুরব্বীদের অন্য সময় এড়িয়ে চলতাম বা কাছে ঘেষতে ভয় পেতাম। ঈদ উপলক্ষ্যে সে বাধা আর থাকত না। হাতে হাত রেখে সালাম -মোসাহাফা ও কোলাকুলি করতাম নির্দিদ্বায়।
*** তবে ঈদের সবচেয়ে বড় আনন্দের উপলক্ষ্য ঘটত সেলামী পাওয়াকে কেন্দ্র করে। শ্রদ্ধেয় মিয়া ভাই (আকবর দ্যা গ্রেট) এর কাছ থেকে যখন সেলামী পেতাম তখন ঈদের আনন্দ বহুগুন বেড়ে যেত। বড় আপা, মেঝো আপা, শাহাবুদ্দিন ভাইয়া ও জাকির মামাসহ অন্যান্য কাজিনদের কাছ থেকে কমবেশী সেলামী পেতাম। তবে মিয়া ভাইয়ের সেলামীর ধরন ছিল সত্যিই অসাধারন। উনি সেলামী দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই ঈদে বাড়ি ফিরতেন। চকচকে নতুন টাকার বান্ডিল মিয়া ভাইয়ের কাছে সব ঈদের দিনেই থাকত।
*** একবার হল কি? আমি তখন বেশ বড়। ক্লাস এইট বা নাইনে পড়ি। ততদিনে বৃত্তির টাকা ও অন্যান্য খাত থেকে মোটামুটি হাত খরচের টাকা আমার পকেটে থাকত। মিয়া ভাই ছোটদের সেলামী দিচ্ছেন। আমি কিছু বলছি না, সালাম দিয়ে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছিলাম। আমাকে ডেকে দাড় করালেন। কি ব্যাপার ছোট মিয়া বড় হইয়া গেছ? না না এখনও এতটা বড় হও নাই। এই নাও বলে পঞ্চাশ টাকার নোট একটা ধরিয়ে দিলেন। আমি তো আবেগাপ্লুত।
*** যাই হোক পরবর্তীতে মিয়া ভাইয়ের অনুকরনে আমিও ছোটদের সাধ্যমত সেলামী দেই। সেলামীর জন্য চকচকে নতুন টাকার বান্ডিল দু একটা আমার ব্যাগেও এখন থাকে। কিন্তু পেশাগত ব্যস্ততা ও ছুটির স্বল্পতা ঈদের আনন্দে আজ অনেকটাই ভাটা।
বিঃদ্রঃ আমাদের সাত ভাইয়ের (চাচাতো ভাই) মধ্যে মিয়া ভাই সবার বড় (আকবর) আর আমি সবার ছোট।
২৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৪
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। পেশাগত ব্যস্ততার কারনে ব্লগে নিয়মিত হতে পারছি না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২০
সুমন কর বলেছেন: ছোট করে লেখা আপনার ঈদ স্মৃতি পড়ে ভালো লাগল। +।