নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
*** লেখালেখি করা আমার অভ্যাস। নেশা বললেও বেশি বলা হবে না। অনেকেই সন্দিহান আমি কি করে লিখি! আজব তো! একজন শিল্পীর গান নিয়ে কেউ সন্দেহ প্রকাশ করে না, আর্টিস্টদের আর্ট নিয়ে কেউ তো প্রশ্ন তোলে না। তাহলে লেখকের লেখা নিয়ে কেন সন্দেহ দানা বাধবে? বিষয়টা খুব পীড়াদায়ক। লেখকদের এসব টিজিং, স্লেজিং সহ্য করার মানসিকতা থাকতেই হয় বোধহয়। যারা এসব প্রশ্ন তোলেন তাদের বুদ্ধির স্থূলতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান আমি। আমার তো মনে হয় ধার করা কিংবা অনুকরন ছাড়া কোন বিদ্যাই বিকাশ লাভ করে না। এই যেমন ধরুন গান শিখতে হলে আপনাকে ভাল ওস্তাদের কাছে গান শিখতে হবে, কিংবা কোন প্রতিষ্ঠিত গায়কের কৌশলগুলো আপনাকে নখদর্পনে নিতে হবে। চিত্রশিল্পীদের তো একই ভাবে শিক্ষক কিংবা সিনিয়র কোন আর্টিস্টের কাছে যেতে হবে। খেলোয়াড়দের কথাই ভাবুন না, ভালো খেলোয়াড়দের খেলা না দেখলে, তাদের কৌশলগুলো না জানলে আপনি ভাল খেলবেন কি করে? তেমনি লেখকের ক্ষেত্রেও ভাল লেখকের লেখা আপনাকে পড়তে হবে। তাদের লেখার স্টাইল, প্রেজেন্টেশন, বিষয় নির্বাচনের কৌশল আপনাকে খেয়াল করতে হবে। এটা কোন অবস্থাতেই নকল করা নয়! একজন লেখক যাই লিখবেন সেটাই তার ক্রিয়েটিভিটি, তার নিজস্ব মেধার প্রকাশ। তবে সরাসরি কপি করে থাকলে সেটা ভিন্ন কথা।
*** আর বইয়ের সাথে সথ্যতা ছোটবেলা থেকেই। স্কুলের পড়ার ফাকে, এমনকি ক্লাস রুমেও গল্প বা উপন্যাসের বই পড়তাম। পরীক্ষার রাতেও অপঠিত উপন্যাসের স্বাদ নিতে ভুলতাম না। আপাদের টেবিল থেকে বই চুরি করে রাত জেগে পড়ে আবার সাত সকালে উঠে বই নিয়ে বসে পড়তাম। যেকোন ধরনের বই আমি পড়ি। গল্প উপন্যাস ও কবিতার বই থেকে শুরু করে ভ্রমনকাহিনী, বিজ্ঞান-সাহিত্য ও দর্শণের বইও বাদ দিতে চাই না। আর নবী-রাসুলদের কাহিনীতো সেই প্রাইমারীতে পড়া অবস্থায় মুখস্থ। খুলনা পাবলিক কলেজে পড়ার সময় মেসের বড় ভাই লিটন কুমার দাসের কাছ থেকে ধার করা গল্প-উপন্যাস থেকে শুরু করে চন্ডীদাসের কাব্য পর্যন্ত ছিল আমার বিচরণ।
*** আমার মনে হয় পড়ার নেশাটা অনেকটাই বংশগত ব্যাপার হতে পারে। আমার মেঝো ও সেজো কাকা প্রচুর পড়াশুনা করতেন। ঐতিহাসিক কাব্য ও সমকালীন কবিতা পাঠে মেঝো চাচার খুব ঝোক ছিল বলে জেনেছি। সেজো চাচা তো এখনও ডিটেকটিভ উপন্যাস, ভ্রমন কাহিনীতে বুদ হয়ে থাকেন। পত্রিকার পাতা একটা পেলেই হলো, নতুন পুরাতন বাছ-বিচার নাই, পড়া চাই ই চাই। রাস্তাঘাটে জার্নিতে আমি খুব একটা পত্রিকা কিনি না, তবু বাড়ি যাওয়ার সময় সেজো চাচার কথা ভেবে একটা পত্রিকা অবশ্যই কিনে নিয়ে যাই।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৩
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: হুম। ভেজাল তো সবখানেই। লেখালেখিই বা বাদ যাবে কেন?
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩১
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সব কিছু কপি হয়, সংগৃহীত হয় মাগার লেখকের নামটা হতে পারে না। যারা এই সমস্ত কপি পেষ্ট করে লেখকের নামটা কাট করে ফেলে দেন তারা আর যা হউক তারা কুটিল মন মানষিকতার অধিকারী।
তবে, যে কোন শিল্পী, লেখক, গায়ক, বিজ্ঞানী কে ভক্তরা অনুসরণ করতে পারে এবং নিজের মেধা স্বত্ব ঘটিয়ে মৌলিকতার ছাপ রাখলে দোষের কিছু না।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩
সামিয়া বলেছেন: ভালো বলেছেন ভাইয়া
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫
শোভন কুমার বর্ধন বলেছেন: ভালো বলেছেন।
৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২২
ভাবুক কবি বলেছেন: লেখকদের বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তবে সরাসরি কপি করে থাকলে সেটা ভিন্ন কথা।
এই কাজটাই আজকাল ঘন ঘন ঘটছে বলে পাঠক ভালো লেখা দেখলে লেখকের প্রতি সন্দেহ পোষণ করেন।