নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
*** পরিবর্তন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একসময় শূন্য থেকে আমাদের আবির্ভাব আবার কালক্রমে অসীম শুন্যতায় বিলীন* হওয়াটাও অমোঘ নিয়মেরই অংশ। কায়ক্লেশে জীবন নির্বাহ কিংবা উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানো জীবনের (ব্যক্তির) শেষ গন্তব্য কিন্তু একই। কথিত উচ্চ বংশীয় আর কেউকেটাদের ভীরে হাসফাস করা অর্বাচীনদের পরিনতির খুব বেশি পার্থক্য আছে বলে মনে হয় না।
*** সুতরাং প্রকৃতির অমোঘ নিয়মের বেড়াজালে প্রতিনিয়ত খাবি খাওয়া মানুষের উচিত ভবিষ্যত প্রজম্নের জন্য কিছু করা। দেখুন এ বিষয়ে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য কি বলে গেছেন.....
“এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান;
জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ-পিঠে
চলে যেতে হবে আমাদের।
চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য ক’রে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।”
সূত্রঃ কবিতা “ছাড়পত্র” --সুকান্ত ভট্টাচার্য
*বিঃদ্রঃ বিলীণ হওয়ার মানে হলো পৃথিবী থেকে হঠাৎ পাততারি গুটিয়ে চলে হওয়া, মৃত্যুর পর আর পৃথিবীতে ফিরে না আসা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দৈহিক মৃত্যুর মাধ্যমেই অবিনশ্বর আত্মার অনন্তযাত্রা শুরু।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৬
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মৃত্যুটা হয় দৈহিক। কিন্তু আত্মা অবিনশ্বর। আত্মার মৃত্যু নেই। ভাল কাজের পুরষ্কার ও মন্দ কাজের শাস্তি ভোগ করার জন্য আত্মার অনুভূতি থাকাটা জরুরী। এটা যুক্তির কথা। ইসলামসহ অন্যান্য ধর্মেও আত্মার অবিনশ্বর হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
পৃথিবীর সামান্য জীবনে এত ভাল ভাল কাজ করছে মানুষ। আবার কেউ কেউ পৃথিবীকে নরক বানাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাদের পুরষ্কার/শাস্তি পৃথিবীতে দেওয়াটা যথেষ্ট নয়। সুতরাং মৃত্যুর পরের অনন্ত জগতে অনুভূতি সম্পন্ন আত্মাই বিচরন করবে তার কর্মের ফলাফল পাওয়ার জন্য।
পুনশ্চঃ মৃত্যুর পর পুনরুত্থানে বিশ্বাস ঈমানের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: মৃত্যুর পরও কি অনুভূতি সজাগ থাকে? আপনার জানানুসারে বলবেন।