নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুপারনোভা

আহেমদ ইউসুফ

I am a introverts person would like to hide myself.

আহেমদ ইউসুফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

৥৥৥ কোরবানীর আত্মত্যাগ ও পশুপ্রেমী সম্প্রদায়ের যুক্তির অসারতা ৥৥৥

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৭


*** মুসলমানদের একটি অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান হল ঈদ-উল-আযহা। প্রচলিত ভাষায় আমারা যাকে কোরবানীর ঈদ বলি। প্রতি বছর বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও আত্মত্যাগের সুমহান শিক্ষা নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয় ঈদ-উল-আযহা বা কোরবানীর ঈদ। বরাবরের মতো এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু মহান আল্লাহর পবিত্র বিধান কোরবানী নিয়ে কিছু মানুষের অজ্ঞানতা ও মূর্খতা দেখে যারপর নাই বিস্মিত হলাম। তাছাড়া পশুপ্রেমী কিছু অর্বাচীনের শিশুসুলভ অসাঢ় যৌক্তির লেখনীও লক্ষ্য করলাম বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে।


*** ডয়েচে ভেলেসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে রক্তে লাল ঢাকার রাস্তার অসংখ্য ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ রাস্তায় এত রক্ত দেখে বিস্মিত অনেকে। সুযোগ সন্ধানী ছিচকে আধুনিক (পড়ুন উজবুক!) মুসলমানসহ বিধর্মীরা বিতর্কের একটা দারুন খোরাক পেয়ে গেলেন। কারো কারো আশঙ্কা বিদেশীরা তো বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা বিরাট নেতিবাচক ধারণা পেয়ে গেল বলে! প্রকৃত ঘটনা হল ঈদের দিন ঢাকায় বৃষ্টির কারনে বিভিন্ন অলিগলিতে জমে থাকা কোরবানীর পশুর রক্ত সব ধুয়ে রাস্তায় এমন লাল রং সদৃশ নদীর সৃষ্টি করেছিল। কারন ঢাকা শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা তো নৈব নৈব চ।


*** এবার আসল কথায় আসা যাক। মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলার মত আবুলের সংখ্যা এদেশে কম নয়। কিন্তু সমস্যা হল সেইসব আবুল মার্কা লোকগুলো নিজেদের প্রগতিশীল, সেকুল্যার ও আধুনিক ভাবেন। প্রকৃত সত্য হল, কোরবানী নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও নেগেটিভ ধারনা/মন্তব্যকারী আবুল সম্প্রদায় নিতান্ত গেয়ো, আনস্মার্ট ও গর্দভ টাইপের মূর্খ ছাড়া আর কিছুই নয়।


*** এবার আসা যাক পশুপ্রেমী সম্প্রদায়ের যুক্তির অসারতায়। ইউরোপ আমেরিকায় প্যাকেটজাত বীফের সহজলভ্যতা কিন্তু এড়ানো দায়। আবার ঢাকা কিংবা দিল্লীর রেস্তোরায় খাসীর বিরিয়ানির কিন্তু ভালই কদর। ধানমন্ডির ষ্টার কাবাব কিংবা জিনজিয়ান সিজন ফোরের আলো আধারীতে দেশী মুরগীর ঠ্যাং চিবানো কারো নিতান্তই স্ট্যাটাস বজায়ের উদ্দেশ্যে হলেও প্রাণী হত্যা কিন্তু চলছেই সেকথাটা অন্তত মাথায় রাখুন। বাড়িতে নিরামিষ খাবেন ভাল কথা জগদীশ বাবুর (স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু) কথাটা আর একবার শুনুন। শাক-সবজি, ফলমূল, গাছ গাছড়া সবকিছুরই নাকি প্রাণ আছে। ভারী মুশকিলের কথা। এই যে শুনুন, রোগের জন্য ঔষধ খাবেন? সর্ব্বনাশ ঔষধ কি দিয়ে তৈরি জানেন তো?সেও কিন্তু প্রানী (গাছ) হত্যার এক বিশাল আয়োজন।

*** কোরবানীর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটঃ কোরবানী মহান আল্লাহ তায়ালার একটা পবিত্র বিধান। প্রিয়বস্তুকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবান বা উৎসর্গ করাই হল কোরবানী। কোরবানীর সূচনালগ্নে তৎকালীন পশুপালন সমাজে গবাদি পশু অত্যন্ত উপকারী ও প্রিয়বস্তু ছিল সেকথা ঐতিহাসিকভাবেই প্রমাণিত। হযরত ইবরাহিম (আঃ) এর প্রিয়বস্তু কোরবানীর ঐশী নির্দেশে (স্বপ্নযোগে) তিনি প্রথমে তার পালিত গবাদি পশুই কোরবানী করেছিলেন। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা হযরত ইবরাহিম আঃ এর কাছে আরও অধিকতর প্রিয়বস্তুর কোরবানী চাইলেন। তখন ইবরাহিম আঃ চোখা বাঁধা অবস্থায় তার কলিজার টুকরো হযরত ঈসমাইল(আঃ)কে কোরবানী করার জন্য উদ্যত হলেন। মহান আল্লাহ ইবরাহিম(আঃ)এর এহেন মহিমান্বিত আত্মত্যাগ ও স্থির সিদ্ধান্তে খুশী হয়ে হযরত ঈসমাইল(আঃ)কে ছুরির নিচ হতে ফেরেশতাদের মাধ্যমে সরিয়ে একটি দুম্বা স্থাপন করালেন। কোরবানী হয়ে গেল। আল্লাহকে রাজী-খুশি করার জন্য হযরত ইবরাহিম আঃ তার প্রিয়বস্তু নিজ সন্তানকে কোরবানী করার যে ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সে স্মৃতি রক্ষার্থে মুসলমানদের উপর কোরবানী করা ওয়াজিব করে দিয়েছেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।


*** পোষ্টটি রীতিমত রচনা হয়ে গেছে। যদিও এত দীর্ঘ পোষ্ট পড়ার মতো ধৈর্য্য ও ইচ্ছা অনেকেরই নেই, তবুও মনের তাগিদে লিখলাম। আমার লেখনি কারো বন্ধ মনের দরজায় সামান্য করাঘাত করতে পারলেও কৃতার্থ হব।

16/09/2016 খ্রিঃ, পাবনা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনিও ইব্রাহিমের মত করা উচিত, আল্লাহকে ভালোবাসলে উনি আপনার চুরির নীচে দুম্বা রাখবেন।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫০

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: আসেন ভাই আমরা মহানন্দে খাসির রেজালা খাই আর মুরগীর ঠ্যাং চিবাই। ওগুলো তো প্রাণী নয়!

বিঃদ্রঃ প্রকৃত সত্য হল, কোরবানী নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও নেগেটিভ ধারনা/মন্তব্যকারী আবুল সম্প্রদায় নিতান্ত গেয়ো, আনস্মার্ট ও গর্দভ টাইপের মূর্খ ছাড়া আর কিছুই নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.