নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুপারনোভা

আহেমদ ইউসুফ

I am a introverts person would like to hide myself.

আহেমদ ইউসুফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

“ মাহে রমজান ও বিবিধ প্রসঙ্গ "

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৩


*** বর্তমানে সবাই মনের তাগিদে যা করেন বাইরে দেখান তার চেয়ে বেশী। সামাজিক রীতিনীতি, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সবকিছুতেই মানুষের লোক দেখানো ভণ্ডামি। অমুকে কি বলবে, তমুকে কি ভাববে এটা নিয়েই আমাদের যত মাথা ব্যাথা। বর্তমানে আমাদের মসজিদ পরিপাটি কিন্তু ঈমানের কমজোরি। আমলেও যাচ্ছে তাই অবস্থা। রমজান মাস এলে অনেকেই অতিথি পাখির মত মসজিদের মেহমান হয়ে যান। তবে বিশেষ লক্ষণীয় এটা পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাযের ক্ষেত্রে নয়, বরং তারাবীর সুন্নত ও অন্যান্য নফল নামাযকে ঘিরেই তাদের যত আগ্রহ। অনেকেই ওয়াক্তি ও তারাবী কোনটার ই ধার ধারেন না। শুধুমাত্র জুম্মার নামায পরেন, সবাই খালি মেঝেতে নামায পরতে পারলেও তিনি বা তাহারা অবশ্যই বগলদাবা করে একখানা জায়নামায সঙ্গে নিয়ে যান। আবার কেউ আছেন নিজের মুসলমান পরিচয় জাহির করার জন্য অন্তত ঈদের নামাযটা জামাতে আদায় করেন। ঈদের নামায ওয়াজিব আর ওয়াক্তি নামায কিন্তু ফরয, একথা মাথায় রাখতে হবে। ভালই বলেছেন দাদা, আমাদের মাথায় কিছু থাকলে তো মাথায় রাখব! আমাদের মাথায় তো বিদেশি কালচার, হিংসা-বিদ্বেষ হানাহানি আর লোক দেখানো ভণ্ডামি।

** ওহ হো! আর একটা ব্যাপার বিশেষ লক্ষণীয়, আমাদের সমাজে প্রচলিত শবই বরাতের রাতে হালুয়া- রুটি খাওয়ার উৎসব, উঠতি বয়সী পোলাপানদের কিন্তু গাঁজা খাওয়ারও উৎসব। সম্ভবত বছর পাঁচেক আগের কথা, সাভারের আমিনবাজারের চর এলাকায় ডাকাত সন্দেহে গন পিটুনিতে ছয় ছাত্র নিহত হয়েছিল। পরে জানা গেল ১৬-১৭ বছরের কিশোর ছেলেগুলো শবই বরাতের পবিত্র রাতে গাঁজা টেনে পবিত্রতা অর্জন করতে চেয়েছিল।

*** রমজানের আর একটি অন্যতম অনাচার হলো আমাদের দেশের তথাকথিত ইফতার বিলাস। ইফতার পার্টির নামে চলছে রথী-মহারর্থীদের সান্ধ্যকালীন ভূরিভোজ, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল, ঠাট বজায় আর যাচ্ছেতাই খাবারের অপচয়। এ অপ-সংস্কৃতি থেকে জাতি কবে মুক্তি পাবে তা আল্লাহই জানেন। ইফতার পার্টি যদি করতেই হয় তবে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সাথে কিংবা এতিম, ফকির মিসকিনদের সাথেই করুন। অনেকেই হয়তো সেটা মানেন কিংবা করেনও কিন্তু প্রচার ছাড়া তাদের এ বদান্যতা একেবারেই র্পুনতা পায় না। তাই আর কি ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, গনমাধ্যমে কিংবা ফেসবুকে সেলফি আপলোড করেই তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন, এক্ষেত্রে শিরোনামটা হয় এরকম, “এতিমদের সাথে ইফতার পার্টি, ফিলিং পায়াস!!! কিন্তু পায়াস হওয়া কি এতটাই সোজা?


*** মাহে রমজান রহমত, মাগফেরাত ও নাযাতের মাস। মাহে রমজান লাইলাতুল কদরের মাস(যে রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম)। মাহে রমজান সংযমের মাসও। ক্ষুধা ও কাম প্রবৃত্তির দমন রোজার প্রধান শর্ত হলেও ব্যক্তির মন-মানসিকতা ও সামগ্রিক র্কাযক্রমেরও সংযমের শিক্ষা রয়েছে এই রোজার মধ্যে। যাবতীয় লোভ লালসা, কু-প্রবৃত্তি, গীবত, পরনিন্দা, বেপর্দা-বেহায়পনা ও অশ্লীলতা থেকেও বেচে থাকা রোজার শিক্ষা। কিন্তু আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র কিন্তু উল্টো। আমাদের অনেকেই রমজান মাসে শুধু উপোসই থাকি। নামাযেও গড়িমসি ভাব, অন্যান্য আমলেও যাচ্ছেতাই অবস্থা।গীবত-পরনিন্দা তো কমছে না, ঈদ ফ্যাশনের নামে বেপর্দা-বেহায়াপনা কমছে না, অশ্লীলতা কমছে না। ব্যবসায়ীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের উপর মুনাফার লাগাম টানা যাচ্ছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় রমজান মাসই শুধু মাত্র ব্যবসায়ের মাস, যতখুশি মুনাফা করে নাও। যে যেভাবে পারছে পন্যের দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে রমজানকে সামনে রেখে।এটা কোন মুসলমানের চরিত্র হতে পারে না। আমাদের এমন হাজারো অসঙ্গতি নিয়ে লিখলে আরো অনেক লেখা যাবে। মাহে রমজান সংযমের মাস। তাই আমার লেখাটাকে সংযত করা বাঞ্চনীয় হবে। মহান আল্লাহ আমাদের দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৩

আলগা কপাল বলেছেন: রমজানকে এখন সবাই উৎসব মনে করে। তাই সবাই উৎসব পালন করে। এই রমজান আর সেই রমজান নেইরে ভাই।

২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:২৯

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: হুম। তাইতো ভাই। ইদানীং সেহেরী পার্টির প্রচলন শুরু হইছে দেশে। কালে কালে আরও কত কি দেখব!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.