নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
★★★ ঢাকা ভ্রমনের ইতিবৃত্ত লিখলে মহাকাব্য লেখা যাবে। পাঠকের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটবে ভেবে সেদিকে যাচ্ছি না। আগের একটা লেখায় সম্মানিত মেয়র মহোদ্বয়ের ডাস্টবিন বিলাস নিয়ে লিখেছিলাম। আজ সকালে পৌছে মোহাম্মাদপুরে আপার বাসায় উঠলাম। উদ্দেশ্য খানিকটা যাত্রা বিরতি। একটু আয়েশে দৈনিক পত্রিকা উল্টাতেই ডাস্টবিন সমাচার নজরে এল। দৃষ্টিনন্দন মোবাইল ডাস্টবিন চুরির খবরে টনক নড়ছে নগরপালদের। আমিও টাস্কিত দৃষ্টিনন্দন সাহেবী ডাস্টবিনের এমন পরিনতি শুনে। এছাড়াও ডাস্টবিনে ময়লা না ফেলে আশেপাশে ফেলার ইতিহাস আমাদের বহু পুরাতন। মূলত সার্বজনীন বাঙ্গালি জাতি ডাস্টবিনের ক্ষেত্রেও সার্বজনীন থাকতে চান বোধকরি।
★★★ ঢাকার রিক্সাওয়াাদের গৌরবোজ্জল! ইতিহাস অনেকেরই জানা। প্রেমিক যুগলের অশালীন ইটিস-পিটিস থেকে শুরু করে বহু ঘটনা-দুর্ঘটনার স্বাক্ষী এই মহান! দ্বিপদী জীবগুলা। এবারের ঢাকা ভ্রমনে তাদের আচার-আচারনে প্রভূত উন্নতি! লক্ষ্য করলাম। শাহবাগ থেকে তারা কিছুতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজের গেট পর্যন্তও যাবেন না, পরীক্ষা কেন্দ্র বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ তো দুরের কথা। কিঞ্চিত বিরক্ত হইয়া তাহার ইচ্ছামত গন্তব্যে যাওয়ার প্রস্তাব করলে তিনি গুলিস্তান যাওয়ার মনস্থ করলেন। নিজের চরকায় তৈল দেওয়া উত্তম মনে করিয়ে তাহাকে বেশি না ঘাটাইয়া অগ্যতা হন্টন করিয়াই গন্তব্যে যাওয়া সমীচিন মনে করলাম। ফেরার পথেও রিক্সাওয়ালাদের দৌরাত্ম ছিল চোখে পড়ার মতো। রিক্সা পার্ক করে পায়ের উপর পা তুলে মনের সুখে সিগারেট/গাঁজা ফুকছিলেন বলিয়াই সম্ভবত নিকট দুরত্বে যেতে তাদের বিরাট অনীহা।
★★★ এবার বলি যানজট প্রসঙ্গে। সদ্য সমাগত চতুর্থ ঢাকা ভ্রমনের পর একথা বলতে দ্বিধা নেই, "ঢাকাবাসীর প্রধান সমস্যা হলো যানজট সমস্যা। মেট্রোরেল আর উড়াল সড়কের সুফল ঢাকার সাধারন মানুষ পাবে কি না সন্দেহ। তবে সাধারন মানুষের জন্য নিরবচ্ছিন্ন যান চলাচলের ব্যবস্থা করতে পারলে হয়তো যানজট কিছুটা কমবে বলে আমার বিশ্বাস। নিরবিচ্ছিন্ন যান চলাচলের মানে হলো চৌরাস্তায় কোন সিগনাল থাকবে না। গাড়িগুলো আন্ডার পাস/ওভার পাস দিয়ে একে অপরের দিকে অতিক্রম করবে। এটা একান্তই নিজস্ব মত। দ্বিমত থাকতেই পারে।
আড়ং মোড়, মানিক মিয়া এ্যাভিনিউ, ঢাকা
০২ জুন ২০১৬, রাত ২০০০ ঘটিকা।
©somewhere in net ltd.