নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
*** একুশে ফেব্রুয়ারি আজ। একুশ নিয়ে হুজুগে বাঙ্গালীর আদিখ্যেতার যেন শেষ নেই। ভাষার মাস, ত্যাগের মাস বলে যারা অযথা চিল্লাচিল্লি করছেন তাদেরকে বলছি, নিজের, পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় পরিমন্ডলে একুশের কি চেতনা ধরে রেখেছেন, বলতে পারবেন? লক্ষ প্রাণের ভাষা, ত্যাগের ভাষা বাংলা এখনও রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পায়নি। কি অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার মতো কোন কথা আমি বলছি না। অনেকেই বলবেন, বাংলা তো সেই 1956 সালে রাষ্ট্রভাষার র্মযাদা পেয়েছে! কিন্তু আমি বলছি ভিন্ন কথা।
*** রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বাংলার ব্যবহার এখনও চালু হয়নি। মোবাইলে মেসেজ লিখতে গেলে আপনি কি বাংলায় লেখেন? ফেসুবকের স্ট্যাটাস গুলো বাংলায় লেখেন, নাকি ইংরেজিতে? এই সেরেছে! অধিকাংশ এডুকেটেড পাবলিকও বাংলিশ লেখেন, না বাংলা না ইংলিশ!! মুর্খদের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম। গল্প - আড্ডায় জগাখিচুড়ি ইংরেজি বাংলা মিশিয়ে কথা বলতে আমি, আপনি অভ্যস্ত। আর এফএম রেডিও জকিদের বাংলিশ উচ্চারন ও ইদানীংকালের উদ্ভট কিছু হিপহপ গানের বদৌলতে বাংলা ভাষার বারটা বাজছে, সেদিকে নজর আছে তো? যেখানে ক্লাব-পার্টিতে হিন্দী গানের ক্রমাগত আগ্রাসনে বাংলা গানের দফারফা সেখানে কি করে আপনি একুশ নিয়ে অহংকার করেন? আপনার লজ্জা করে না ভাষা শহীদদের এমন অপমান করতে?
*** যাই হোক কাজের কথায় আসি। একুশ নিয়ে ছোটবেলার স্কুল জীবনের কিছু স্মৃতিচারন করেই শেষ করছি। একুশের সকালে পাশের বাড়ি হতে গাঁদা ফুল চুরি করে খালি পায়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করতাম। কারন আমাদের বাড়িতে কোন ফুলের গাছ ছিল না। কি আর করা? ধার (চুরি) করা ফুলেই হতো ভাষা শহীদদের অঞ্জলি। শহীদ মিনারের পাদদেশে সারিবদ্ধ হয়ে পুষ্পমাল্য অর্পন, প্রভাত ফেরি, একুশের আলোচনা এবং সবশেষে একুশের গান। তবে আর একটা কাজ আমরা মহা উৎসাহে করতাম তা হলো, আমাদের স্কুলের সামনে দিয়ে একুশের সকালে কেউ জুতা পায়ে হাটতে পারত না। কেউ ঘাড় ত্যাড়ামো করলে আমরা বিচ্ছু বাহিনী তাকে জোরর্পূবক জুতা খুলিয়েই তবে ছাড়তাম। যখন আর একটু বড় হলাম অর্থাৎ ক্লাস টেনে পড়া অবস্থায় 21 ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় এক বড় ভাই একুশের চেতনায় আঙ্গুলে পিন ফুটিয়ে শহীদ মিনারে রক্ত লেপটে দিলেন। তিনি কাজটি কেন করেছিলেন জানি না। তবে বোধ করি, নাইন-টেনের টিনএজ সুন্দরীদের নজর কারতেই হয়তো তিনি এমন দুৎসাহসিক কাজ করতে উদ্ভুদ্ব হয়েছিলেন। বড় ভাইয়ের দেখাদেখি বীরত্বের প্রমাণস্বরুপ আমার রক্তও লেগে থাকত শহীদ স্তম্ভে(যদিও সেটি ছিল নিতান্তই ছেলেমানুষী)।
বিঃদ্রঃ পরবর্তীতে জেনেছি পুষ্পমাল্য এবং রক্তের ফোটা নয় বরং ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায়ই তাদের আত্মা শান্তি লাভ করতে পারে।
21-02-2016।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০০
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: আমার কথাই আমারে শুনাইয়া লাভ কি বস! নতুন কিছু তো বলুন।
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭
দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: পরবর্তীতে জেনেছি পুষ্পমাল্য এবং রক্তের ফোটা নয় বরং ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায়ই তাদের আত্মা শান্তি লাভ করতে পারে।
একটু দেরিতে হলেও বুঝতে পারার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪২
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অধিকাংশ এডুকেটেড পাবলিকও বাংলিশ লেখেন, না বাংলা না ইংলিশ!! মুর্খদের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম। গল্প - আড্ডায় জগাখিচুড়ি ইংরেজি বাংলা মিশিয়ে কথা বলতে আমি, আপনি অভ্যস্ত। আর এফএম রেডিও জকিদের বাংলিশ উচ্চারন ও ইদানীংকালের উদ্ভট কিছু হিপহপ গানের বদৌলতে বাংলা ভাষার বারটা বাজছে, সেদিকে নজর আছে তো?
+++++