নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
*** ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সেটা আলোর মুখ দেখেনি। ভাষার জন্য প্রান দেওয়ার ইতিহাস একমাত্র বাংলাদেশীদেরই আছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশী শব্দটি ব্যবহার করছি কারন, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানীরাই (বর্তমান বাংলাদেশীরা) এই বিরল কৃতিত্ত্বের দাবীদার। ভাষার জন্য আত্মাহুতি দিয়েছেন রফিক, শফিক, জব্বার, শফিউরসহ নাম না জানা অনেক দামাল ছেলেরা। মূলতঃ ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েেই স্বাধীকারের চেতনার বীজ বপন হয়ে গিয়েছিল তখনকার বাঙ্গালীদের মনে। যার চুড়ান্ত পরিনতি 71 এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়।
*** এতক্ষন যা বললাম এটা সবাই জানেন ও মানেন। তবু ধান ভানতে শীবের গীত গাইলাম আরকি! ব্রিটিশদের ডিভাইড এন্ড রুলস এর চালাকী ধরার জন্য মস্ত বুদ্ধিজীবী হওয়ার দরকার নেই। তবে আফসোস লাগে তখনকার মুসলিম লীগ ও কংগ্রেসের বাঘা বাঘা নেতৃবৃন্দের মুর্খামী দেখে। তারা ঠিক কি কারনে দ্বিজাতী তত্ত্বের মতো একটি ধ্বংসাত্মক ও হিংসাত্মক নীতিকে মেনে নিয়েছিলেন? কারন ঠিক একটাই, বোধ করি ক্ষমতার মোহ। মন্ত্রীত্বের লোভ তাদেরকে তো ডুবিয়েছেই আমাদেরকেও ভুগিয়েছে যুগের পর যুগ। 1905 সালের বঙ্গভঙ্গের পর 1911 সালে সুমতি ফিরে এলেও ফের 1947 এসে কোন ভূতের পাল্লায় পড়ে সেই ডিভাইড এন্ড রুলস পলিসিকে গ্রহন করে নিলেন তা বোধমগ্য নয়।
*** ব্রিটিশদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে ভাল কথা। তোদের এখন পাততারি গোটাতে হবে, নে গুছিয়ে নে, জান নিয়ে পালা। ভারতীয় উপমহাদেশ কিভাবে শাসিত হবে? দুইভাগ হবে? না তিনভাগ হবে তা ভারতীয়রাই ঠিক করুক না! তোদের এতে নাক গলানোর কি আছে? তবে সত্য কথা হলো, ঘরের শত্রু বিভীষন আর কি? ক্ষমতার লোভে দুইভাগ কেন, ছয় ভাগ করতেও রাজি ছিলেন তৎকালীন নেতৃবৃন্দ।
** ওকে মানলাম দুইভাগ হবে? বড় দুই দলই ক্ষমতার স্বাদ নিতে চান। নিন না, মানা করছে কে? তা জনসংখ্যা কিংবা আয়তনের ভিত্তিতে নয় কেন? কেন দ্বিজাতী তত্ত্বের মতো একটি হিংসাত্মক নীতির ভিত্তিতে? আমার তো মনে হয় এই দ্বিজাতী তত্ত্বই সকল নষ্টের গোড়া। 47 পূর্ব সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশে কতগুলো হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়েছে? আর 47 পরবর্তী কতটি? পরিসংখ্যানটা একটু মিলিয়ে দেখুন না?
*** লেখাটা শুরু করেছিলাম ভাষা আন্দোলন নিয়ে। কিন্তু ক্রমশ লেখার গতিবেগ অন্যদিকে প্রবাহিত হলেও আমার মনে হয় ব্রিটিশদের এই ডিভাইড এন্ড রুলস পলিসি এবং দ্বিজাতী তত্ত্ব 1947 এর দেশভাগ থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলনসহ 71 এর মুক্তিযু্দ্ধ পর্যন্ত সবই কিছুর জন্যই দায়ী।
04-02-2016।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৫
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: কি ঠিক বস! একটু ঝেড়ে কাশুন না জনাব?
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১০
ইমরান আশফাক বলেছেন: লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী ভারত উপমহাদেশ তিন খন্ডে বিভক্ত হওয়ার কথা ছিলো। যেমন ভারত, পাকিস্তান এবং আসাম ও বাংলা। কিন্তু সুযোগ সন্ধানী ব্রিটিশরা তাদের দুই শিখন্ড জিন্নাহ ও নেহেরুকে দিয়ে দ্বিজাতী তত্ব উত্থাপন করে নিজেদের মত করে ভাগ করে দিলো যার রেশ আমরা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি। জিন্নাহ জানতো না কিভাবে নামাজ পড়তে হয় আর সেই কিনা ইসলাম ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হওয়া একমাত্র তথাকথিত ইসলামী দেশ পাকিস্তানের জনক।
আরও আছে, জিন্নাহকে বলা হয়েছিলো কলকাতা বাদে সমগ্র আসাম ও পূর্ববংগ (বর্তমানের বাংলাদেশ), আরাকান ও আন্দামান-নিকোবার দ্বীপপুন্জ পূর্ব পাকিস্তানের সাথে দেওয়া হবে। কিন্তু জিন্নাহ সাহেব বললেন কি কলকাতা ভিন্ন এই পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি তার কোন আগ্রহ নেই। এরই পরিনাম আমাদের এই খন্ডিত বাংলাদেশ নামের ভূখন্ড। ভালো কথা জিন্নাহ সাহেব ছিলেন কাদিয়ানী।
৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২১
ইমরান আশফাক বলেছেন: আর একটা কথা, দেশভাগের আগে শেরে বাংলা ও নেতাজী সুভাস চন্দ্রকে ভাগাভাগীর মন্চ থেকে সুকৌশলে বাদ দেওয়া হয়। শেরে বাংলাকে হোসেন শহীদ সোরওয়ার্দী (যিনি ছিলেন কলকাতার মেয়র) পছন্দ করতেন না কারন উনার প্রস্তাব অনুযায়ী সবকিছু হলে শেরে বাংলার ছায়াতে তাকে থাকতে হতো।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। আমার লেখাটা পূর্নতা পেল আপনার মন্তব্যে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৯
ইমরান আশফাক বলেছেন: ঠিক।