নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“নুহাশ পল্লীর যাদুকর“
আহমাদ ইউসুফ
এইখানে শুয়ে আছে স্বপ্নের কারিগর
আবেগের ফেরি করে, হৃদয়ে ঝড় তুলে
থেমে গেছে এক যাদুকর।
নুহাশ পল্লীতে মিশে আছে একাকার।
হিমুর চোখে জল, মিসিরের শোকানল
শুভ্রর শুদ্ধতা, রুপার কোমল মন,
আজও ঠিক অম্লান।
হাজারো ভক্তের মনে
মিশে আছ হৃদয়ের গোপন কোঠরে।
আপন সৃষ্টির সম্মোহনে।
ছবির জগতে কিংবা নাটকের সংলাপে
সুর ও সংগীতের জৌলুসে
নিজেকেই ছাড়িয়েছ কেবল নিজের প্রতিদ্বন্দী হয়ে।
ছড়িয়েছ র্মূছনা তরুন প্রান অন্তরে
এক মহান যাদুকর হয়ে
এ যাদুর শহরে।
তোমার চিন্তা ও কর্মে বুদ
তোমাতেই মত্ত হাজারো তরুন
উচ্ছাসে ভাসে তোমার লেখনীতে।
তুমি চলে গেছ ঘোর জমাট অন্ধকারে
নিঃশব্দের দেশে একাকী নিরবে
শুয়ে আছ নুহাশ পল্লীতে।
শিয়রে তোমার শেফালীর ছায়া
দখিনে আম্রকানন আর উত্তরে জাম।
লিচুর ঘ্রানে ভাঙ্গবে কি তোমার ধ্যান?
তোমার স্মৃতি অমলিন আজও
ভূত বিলাস হয়ে লীলাবতীর ঘাটে
পদ্মপুকুরে কিংবা মত্সকন্যার পটে।
ফিরে এস আবারও কোন ক্ষনে
তোমার কর্ম ও জ্ঞানে
পিরুজালী গায়ে নুহাশ পল্লীতে।
চলে এস আবারো ঘন বর্ষার দিনে
শিমুল পলাশের ঘ্রানে
কোন এক চাঁদনি পসর রাতে।
***জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার অমর সৃষ্টি পাঠক হৃদয়ে যে সীমাহীন আবেগের জম্ন দিয়েছে তা অতুলনীয়। তার অকাল প্রয়ান বাংলা সাহিত্যের জ্ন্য এক অপূরনীয় ক্ষতি।যদিও তার ব্যক্তিজীবন অনেককেই বিব্রত করে। তবুও সাহিত্যে তার অসামান্য অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে কোটি বাঙ্গালীর হৃদয়। আজ 13 নভেম্বর 2015 হুমায়ূণ আহমেদের 67 তম জম্নবার্ষিকী। হুমায়ূন আহমেদ স্মরনে রচিত “নুহাশ পল্লীর যাদুকর“কবিতাটি পড়ার আমন্ত্রন রইল।
কবিতাটির রচনাকালঃ ঢাকা, 2040 ঘঃ 08 মার্চ 2014 ইং।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৬
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪১
সাবলীল মনির বলেছেন: খুব ভাল লেগেছে ।