নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“একজন সন্তান হিসাবে মায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার মতো দুঃসাহস আমাদের কারো নেই। গর্ভধারন করেন বলেই তিনি গর্ভধারীনি আবার জম্ন দেন বলেই তিনি জননী। এসবই মায়ের ভূমিকার এক একটি খন্ডচিত্র মাত্র। আসলে মাকে কখনোই সম্পূর্ন রুপে সংজ্ঞায়িত করা যায় না। কেননা সন্তানের জীবননাট্যে ‘মা’ যে অপরিহার্য ও প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন তা সর্বজন ও সর্বসমাজে বিদিত। ছোট্ট একটি শব্দ ”মা” ডাকটি যে কতো মধুর তা সন্তান মাত্রই বুঝতে পারেন। অনেকে হয়তো মা জীবিত থাকতে তার স্বরুপ উপলদ্ধি করতে পারেন না। মাকে নিয়ে কবিতা গল্প উপন্যাস এ পর্যন্ত কম লেখা হয়নি। মায়ের বন্দনা, স্তুতি সংগীতেও মুর্ছনা ছড়িয়েছে। জেমস এর “মা” গানটির কথা উল্লেখযোগ্য। ম্যাক্সিম গোর্কির “মা” আর আনিসুল হকের “মা” এর মধ্যে আমি কোন পার্থক্য খুজে পাইনি। কেননা ‘মা’ সার্বজনীন। ইংরেজ, আমেরিকান আর বাঙ্গালীর “মা”এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। মায়ের আদর ভালোবাসা সেই সৃষ্টির আদিকাল থেকে যেমন ছিল আজও তেমনি আছে। মাকে নিয়ে এর আগে কখনো লেখা হয়নি। তাই ‘মা’কে এতটা উপলব্ধিও করিনি কখনো।
আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ‘মা’। সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা সেই চিরন্তন ও সার্বজনীন। যদিও কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা মায়ের মর্যাদাকে ধুলি ধুসরিত করছে। যেমন শিশু সামিউলকে মায়ের সহযোগিতায় হত্যা, একটি অন্যতম ও ব্যতিক্রমী ঘটনা। তবুও আমরা মাকে অনেক শ্রদ্ধা জানাই। পরিশেষে আজকের ‘মা’ দিবসে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে জগতের সকল মায়ের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করছি।
আহমাদ ইউসুফ
পাবনা সদর, ১১ মে ২০১৪ ইং।
©somewhere in net ltd.