নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বড়ই য়ান্ত্রিক হয়েছি আজ
আমি, আমার মতো হাজারো তরুন।
ব্যস্ত শহরে, ইট পাথরের ধূসর নগরে
কর্মচাঞ্চল্যে, বিদ্যার্জন কিংবা চাকুরীর সুবাদে।
তবুও নষ্টালজিয়া আর স্মৃতিকাতরতা
শৈশবের জন্য সে কি আকুলতা।s
আমি ভাবি, অন্তচক্ষে দেখি, সেই দুরন্ত ছবি
যদি কভু ফিরে আসত কৈশোর রবি?
কিন্তু হায়! এ যে নিষ্ঠুর মায়াময়
কালের খেলা বোঝা বড় দায়।
বয়সের ভারে আর কর্মের ঘেরাটোপে
পিছনে ফেলে দিন, যা ছিল শৈশবময়।
স্মৃতিতে অম্লান, চির জাগরুক
সেইসব দিন, দুরন্ত সময়।
হুড়োহুড়ি, দোস্তি আর খেলাধুলা
চষে বেড়ানো সারা পাড়াময়।
দোপহরে কিংবা গোধুলী লগনে
কড়া নির্দেশ উপেক্ষা করে
কত যে নিরুদ্দেশ হয়েছি, বনে জঙ্গলে
পাখির ছানা কিংবা ফল পাকড়ার লোভে।
কখনোবা দলবেধে পুকুর কিংবা খালের ধারে
কে কতক্ষন ডুবাতে পারে।
এই নিয়ে চলত তীব্র প্রতিযোগ
অবশেষে তাড়া খেয়ে ফিরতাম বাড়িতে নিয়ে লাল চোখ।
পড়ার টেবিলে সে এক করুন দৃশ্য।
ঢুলু ঢুলু চোখে ঠায় বসে থাকা স্ট্যাচুর মতো
বইয়ের অক্ষর সব পালিয়ে বেড়ায়
পিপড়ের দলের মতো।
তবুও পেটের তাগিদে বই নিয়ে বসে পড়া
কড়া নির্দেশে ঘুম কাতর চোখে
ঘন্টা খানেক বইয়ের সাথে বোঝাপড়া
আর টেবিলে বসে বসে ঘুমের মহড়া।
অতঃপর ঘুমের রাজ্যে যাত্রা
ঘুমকাতর চোখে, কি যে দ্যুতি ঝড়ে পড়ে।
শত দুরন্তপনা ম্লান হয়ে যায়
ফের নিষ্পাপ হয়ে যায় বাবা মায়ের কাছে।
এইতো আমি। আমার মতো সুশীলরাও তাই
দুরন্ত কৈশোর আর ছুটন্ত ঘোড়া
তফা কি তাতে ধনী আর গরীবে
সুশোভিত সবাই শৈশবের দুরন্ত আবেগে।
আহমাদ ইউসুফ
ঢাকা, ২২১০ ঘঃ ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইং।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩০
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: কৈশোরের দুরন্তপনার ইতিহাস সবারই কমবেশি আছে। দিব্য দৃষ্টিতে কৈশোরের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার এক নিটোল স্কেচ তৈরিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। জানি না কতটা সফল হয়েছি। কাব্য বিচারে তা কতটা তাৎপর্য বহন করছে তা পাঠকই ভাল বলতে পারবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।.