নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ

সরকার পায়েল

মানুষ যা অনুভব করে তাই জ্ঞান।

সরকার পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আহলে সুন্নাতের হাদীস ও মনীষীদের দৃষ্টিতে ইমাম মাহদী (আঃ)

৩১ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮

" আর সে হচ্ছে কেয়ামতের একটি নিদর্শন " ( সূরা যুখরুফঃ ৬১)



আহলে সুন্নাতের নিকট সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য হাদিস সঙ্কলন ৬ টি যা " সিহাহ সিত্তাহ " নামে পরিচিত । হাদিসের প্রামান্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করার জন্য আহলে সুন্নাতের হাদিস সংকলকগণ যে সব মূলনীতি প্রনয়ন করেছেন এ ৬ টি সংকলন সে সব মূলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত ।



৬ টি গ্রন্থঃ



১ সহীহ আল বুখারী



২ সহীহ আল মুসলিম



৩ সহীহ আত তিরমিযী



৪ সুনানে ইবনে মাজাহ



৫ সুনানে আবু দাউদ



৬ সহীহ আন নাসাঈ





ইমাম মাহদী (আঃ) সম্পর্কে সিহাহ সিত্তাহ ও আহলে সুন্নাতের অন্যান্য সূত্রে অসংখ্য হাদিস রয়েছে । নিম্নে উদ্ধৃত হাদিস ও বর্ণনাগুলো এমন যেগুলোর সত্যতা ও প্রমান্যতার ব্যাপারে আহলে সুন্নাতের হাদিস বিশারদগণ একমত ।



মহানবী (সঃ) বলেছেন , এমনকি সমগ্র বিশ্বের আয়ু যদি শেষ হয়ে গিয়ে থাকে এবং কেয়ামত হতে ১ দিনও অবশিষ্ট থাকে তাহলেও মহান আল্লাহ ঐ দিবসকে এতটা দীর্ঘায়িত করবেন যাতে তিনি ঐ দিবসেই আমার আহলে বাইতের মধ্য থেকে এক ব্যক্তির শাসন কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করে দিতে পারেন যাকে আমার নামেই ডাকা হবে । পৃথিবী অন্যায় অত্যাচারে ভরে যাওয়ার পর সে শান্তি ও ন্যায়ে পূর্ণ করে দেবে । ( তিরমিযী ২য় খণ্ড , পৃষ্ঠা ৮৬ , ৯ম খণ্ড , পৃষ্ঠা ৭৪-৭৫; আবু দাউদ , ২য় খণ্ড পৃ ৭; মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল , ১ম খণ্ড পৃ ৩৭৬,৩য় খণ্ড পৃ ৬৩; মুস্তাদরাকুস সাহীহাইন (হাকেম),৪থ খণ্ড পৃ ৫৫৭; আল মাজমা (তাবরানী), পৃ ২১৭; তাহযীবুস সাবিত ( ইবনে হাজার আসকালানী ), ৯ম খণ্ড পৃ ১৪৪ ; আস সাওয়ায়িকুল মুহরিকাহ ( ইবনে হাজার হাইসামী ) ,১১ শ অধ্যায় , উপাধ্যায় ১, পৃ ২৪৯; কানযুল উম্মাল , ৭ম খণ্ড, পৃ ১৮৬; ইকদুদ দুরার ফী আখবারিল মাহদী আল মুনতাযার, ১২শ খণ্ড , ১ম অধ্যায় ; আল বায়ান ফী আখবারি সাহিবিয যামান ( গাঞ্জি শাফিয়ী ) ১২ শ অধ্যায় ; ফাতহুল বারী ( ইবনে হাজার আসকালীন ) ৭ম খণ্ড,পৃ ৩০৫; আল তায কিরাহ ( কুরতুবী) , পৃ ৬১৭; আল হাভী (সুয়ুতি), ২য় খণ্ড পৃ ১৬৫-১৬৬; শারহুল মাওয়াহিবুল লাদুন্নীয়াহ (যুরকানী ),৫ম খণ্ড , পৃ ৩৪৮; ফাতহুল মুগীস ( সাখাভী), ৩য় খণ্ড , পৃ ৪১; আরজাহুল মাতালিব ( উবায়দুল্লাহ হিন্দী ),পৃ ৩৮০; আল মুকাদ্দিমাহ (ইবনে খালদুন), পৃ২৬৬; জামিউস সাগীর (সুয়ুতী) ,পৃ ১৬০; আল উরফুল ওয়ারদী ( সুয়ুতী), পৃ ২ ।



আশ শাফিয়ী ( ওফাত ৩৬৩/৯৭৪) বলেছেন যে , এ হাদিস বিপুল সংখ্যক সূত্রে বর্ণিত এবং বহু বর্ণনাকারী কর্তৃক তা মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র বর্ণিত ও প্রচারিত হয়েছে । এছাড়া হাদিসটি ইবনে হিব্বান ,আবু নাঈম , ইবনে আসাকির প্রমুখ কর্তৃক লিখিত গ্রন্থাদিতেও উদ্ধৃত হয়েছে ।





মহানবী (স ) বলেছেন, মাহদী আমাদের অর্থাৎ আহলে বাইতের সদস্যদের একজন ।"( ইবনে মাজাহ , ২য় খণ্ড , হাদিস নং ৪০৮৫ )



হাদিসে যেমন আমরা দেখতে পাই , ইমাম মাহদী (আঃ) মহানবী (সঃ) - এর আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত ।

তাই তিনি হযরত ঈসা (আঃ) হতে পারেনা । ঈসা (আঃ) ও মাহদি (আ) ভিন্ন ২ ব্যাক্তি , তবে তাঁরা দুজন একই সময়ে আগমন করবেন । নিম্নোক্ত হাদিসে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে , ইমাম মাহদি হযরত মুহম্মদ (সঃ) এর বংশধর ।





রাসুলুল্লাহ (সঃ) , মাহদি ফাতিমার বংশধর । ( ইবনে মাজাহ , ২য় খণ্ড , হাদিস নং ৪০৮৬ ; নাসাঈ ; বাইহাকী ; আস সাওয়ায়িকুল মুহরিকাহ , অধ্যায় ১১ , উপ অধ্যায় ১, পৃ ২৪৯ -এর বর্ণনা অনুসারে অন্যান্য হাদিস সংকলকগণ ।





মহানবী (সঃ) , আমরা আবদুল মুত্তালিবের বংশধরগন বেহেস্তবাসিদের নেতা , স্বয়ং আমি , হামযাহ , আলী , জাফর , হাসান , হুসাইন ও মাহদী ।' ( ইবনে মাজাহ , ২য় খণ্ড , হাদিস নং ৪০৮৭ ; মুস্তাদরাকে হাকেম ( আনাস ইবনে মালিক- এর সূত্রে বর্ণিত ); দাইলামী ; আস সাওয়ায়ীকুল মুহরিকাহ ,অধ্যায় ১১, উপ অধ্যায় ১ , পৃ ২৪৫ )



মহানবী (সঃ) , মাহদি আমার উম্মাহর মাঝে আবির্ভূত হবে । সর্ব নম্ন ৭ বছর ও সর্বোচ্চ ৯ বছরের জন্য আবির্ভূত হবে । এ সময় আমার উম্মাহ অফুরন্ত আশীর্বাদ ও অনুগ্রহ প্রাপ্ত হবে যা তাঁরা আগে কখনো প্রত্যক্ষ করেনি । উম্মাহ তখন বিপুল পরিমাণ খাদ্যের অধিকারী হবে যার ফলে তাদের খাদ্য সঞ্চয় করে রাখার প্রয়োজন হবেনা । ( ইবনে মাজাহ , ২য় খণ্ড হাদিস নং ৫০৮৩)





এখানে আহলে সুন্নাতের হাদিস ও সহীহ সিত্তাহ ও সুন্নি মনীষীদের যৎ কিঞ্চিত প্রকাশ করা হল । এর পরেও যদি আরও হাদিস ও প্রমানাদির প্রয়োজন কেউ বোধ করেন , আমি আমার যথা সাধ্য চেষ্টা করবো । আপনাদের সেবা প্রদানের জন্য । ধন্যবাদ ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আহলে সুন্নাতও ইমাম মাহদী রা. কে মানে। এই চোদ্দশ বছর ধরেই মেনে আসছে। আহলে সুন্নাতের সকল ফকীহ্, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, শাইখ, সূফি, আলিম- সবাই মেনে এসেছেন।

সুন্নি হোক বা শিয়া হোক, ইমাম মাহদী রা. কে যে মানবে না, সে তো মুসলিমই নয়। তারতো ঈমানই নেই।

আহলে সুন্নাহ মানে, কিন্তু এখনকার কথিত আহলে হাদিস, জামাতে ইসলাম, সালাফী, নানা ধরনের খেলাফতের আন্দোলনগুলো মানে না।

৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

সরকার পায়েল বলেছেন: আহলে সুন্নাহ মানে, কিন্তু এখনকার কথিত আহলে হাদিস, জামাতে ইসলাম, সালাফী, নানা ধরনের খেলাফতের আন্দোলনগুলো মানে না।

খুব স্বাভাবিক ওরা কেউ মুসলমান না ওরা ইসলাম মানেনা কোরআন মানেনা । শুধু মাথায় টুপি আর দাড়ি রেখে ধর্ম বেচে । কিন্তু সাধারন মানুষ বুঝেনা এরা মোনাফেক ।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২০

দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: খুব সুন্দর ।

অফ টপিক
@ সরকার পায়েল আপনি হিন্দু না মুসলমান?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

সরকার পায়েল বলেছেন: ধন্যবাদ । আমি মুসলমান পুরো নাম সরকার মেহেদি হাসান পায়েল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.