নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অগ্নিবেশ

অগ্নিবেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্যথায় জেনে রেখো যমীন আল্লাহ ও তার রাসুলের।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

বাংলাদেশ এখন মগের মুল্লুক, কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ হবে খাঁটি ইসলামিক কান্ট্রি, হিন্দু মাইরা এখন আগের মত মজা নাই, তারা পাল্টা মাইর দেয় না। মোদীর দেশের হনুমানেরাও আজকার বড় স্বার্থপর, তারা প্রতিশোধ নিতে দুই চাইরটা মুসলমানও মারে না। মারতে গেলে সেকু মাকুরা ঠেকায়ে দেয়, কি জ্বালা।

এদিকে মুখরক্ষার জন্য বাংলাদেশে কয়েকটা হিন্দু পোষার খুব দরকার হয়েছে। এতে করে ইওরোপ আমেরিকার সামনে বড় মুখ করে বলা যাবে, আমরা হিন্দুদের মন্দির পাহার দিই। আমরা কত্ত ভালো। তাই মুসল্লিগন এখন ঘর শাসনের পালা, এখন থেকে বিদাত শিরক নষ্ট করতে হবে, প্রথমে শুরু ভাস্কর্য দিয়ে, সব ভাস্কর্য শ্যাষ, এখন মাজার ভাঙ্গার পালা, এত্ত মাজার ভাঙতে দুই চাইর মাস লাগবে। নেক্সট ধরতে হবে আহলে কোরানদের যারা হাদিস মানে না। এই ব্লগে এরা রাজত্ব করে। হাদিস না মাইন্না কেমন মুসলমান?এইবার
এদের পালা, একশন একশন ডাইরেক্ট একশন। মডারেট ভাইসব, নিজের মত ইসলাম বানাইয়া অনেক পালন করছেন, কাফেরদের দাওয়াত খাইছেন, সুবিধামত তাদের সাথে অন্তরংগ বন্ধুত্ব করছেন, গান করছেন, নাটক করছেন, বেগানা নারীদের সাথে কথা কইছেন, মাঝে মাঝে লাল পানিও খাইছেন, আপনাদের সেই সব সোনালী দিন শ্যাষ। এখনো সময় আছে তওবা করে ইসলামে ফিরে আসেন, গান, বাজনা, সব বাদ, নারীদের বাইরে যাওয়া বন্ধ।
নচেৎ, মডারেট ভাইগন, বাংলাদেশে যা যা বিক্রি করার আছে বেইচ্যা দ্যান, এরপর দেশ ছাড়েন। এব্যাপারে আমেরিকার মঞ্জুর ভাই
আপনাদের এসাইলামএ সাহায্য করবে, তার দিল সমুদ্দুরের মত বড়। তিনি অনেক নেক বান্দা।

এই ব্যাপারে একটা হাদিস মনে পড়ে গেল।
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৫/ কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে ধারন
পরিচ্ছেদঃ ৩০৯২. মহান আল্লাহর বাণীঃ মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই বিতর্কপ্রিয় (১৮ঃ ৫৪)। মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা কিতাবীদের সাথে বিতর্ক করবে না………. (২৯ঃ ৪৬)
৬৮৪৭। কুতায়বা (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা মসজিদে নববীতে ছিলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদ থেকে বের হয়ে আমাদেরকে বললেনঃ তোমরা চলো ইহুদীদের সেখানে যাই। আমরা তাঁর সঙ্গে বেরিয়ে এলাম। অবশেষে আমরা বায়তুল মিদরাসে (তাদের শিক্ষাগারে) পৌছলাম। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে দাঁড়িয়ে তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেনঃ হে ইহুদী সম্প্রদায়! তোমরা ইসলাম কবুল কর, এতে তোমরা নিরাপদে থাকবে। ইহুদীরা বলল, হে আবূল কাসিম! আপনার পৌছানোর দায়িত্ব আপনি পালন করেছেন। এরপর তিনি বললেনঃ আমার ইচ্ছা তোমরা ইসলাম কবুল কর এবং শান্তিতে থাক। তারাও আবার বলল, হে আবূল কাসিম! আপনার পৌছানোর দায়িত্ব আপনি পালন করেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বললেনঃ আমি এরূপই ইচ্ছা রাখি। তৃতীয়বারেও তিনি তাই বললেন। পরিশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ জেনে রেখো, যমীন একমাত্র আল্লাহ ও তার রাসুলের। আমি তোমাদেরকে এই এলাকা থেকে উচ্ছেদ করে দিতে চাই। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যাদের অস্থাবর সম্পত্তি আছে, তা যেন সে বিক্রি করে দেয়। অন্যথায় জেনে রেখো যমীন আল্লাহ ও তার রাসুলের।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

আহরণ বলেছেন: ভাইয়া একদম ঠিক, আমরা সবাই তালেবান।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: হ ভাই, একদম ঠিক।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৫৮

বিষন্ন পথিক বলেছেন: অনেক আশা ছিল এই আলোকিত বাংলা ও হাফ পূর্বপাকিস্তানে আপনি কিছুটা লাইনে আসবেন, এখনো সময় আছে লাইনে আসুন। পর্দা টাঙায়ে কাওয়ালীর দিন শেষ, ইনুচ সাবের পাকদেশ। গুজব ছড়াবেন না, নিজের মুসলিম ভাইয়ের মাজার ভাঙলেও সনাতনী ভাই দের পুজো আর তাদের স্ত্রী দের রক্ষার ভার আমাদের।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: হ ভাই দোয়া কইরেন যাতে বে লাইন না হই, আল্লাহ আমারে হেদায়েত দান করেন। হিন্দুগো নিয়ে আমি মোটেও আর চিন্তিত নই, আপনারা আছেন, ইনুচ স্যার আছেন, আপনাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আপনারাই পাহারা দেবেন। খুব ভালো। আমার চিন্তা এখন ব্লগের মডারেট ভাইদের নিয়ে। তাদের আপনারা কি করবেন?

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১২

বিষন্ন পথিক বলেছেন: মডারেট ভাইবেরাদাররা মনে প্রাণে পাকি ইনকিলাব ছিলো, আছে থাকবে, সময়ের প্রয়োজনে ক্লিন সেভ, আর হিন্দুয়ানী পোষাক পরতে হয়েছে, সে কালিমা মোছার জন্য এখন খালি কাডল পাতা চিবাবে আর ল্যাদাবে, কাডল গাছের সাময়িক সংকট দেখা দিলেও এখন ভরপুর, দর্কার হয় নেক মাটি পাকিস্তান থিকা বড় ভাই পাঠায় দেবে। চিন্তাএন্না।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: পঠিক ভাই, কি কইলেন বুঝবার পারি নাই, এক একটু পরিষ্কার করেন।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ‘বাতিল কিতাবে উপস্থাপিত ‘সকল বিদয়াত পথভ্রষ্টতা’ কথাটি সুনিশ্চিতভাবে বাতিল- ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:২৬’ আমার এ পোষ্ট পড়লে আপনার রেফারেন্সের ওজন বুঝতে পারবেন।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: চাচা, আমি আপনার সকল পোস্ট পড়ি, কিন্তু ইসলামে সাফ কথা, নতুন করে কোরানের কোনো অর্থ বাইর করা যাবে না, মহম্মদ, সাহাবী, তাবে তাবেঈনগন যাহা বুঝেছেন তাহাই ইসলাম। আর্লি স্কলাররা যাহা লিখেগেছেন তাহাই ইসলামের দৃষ্টিতে সঠিক।
আপনি নতুন কইরা ব্যাখ্যা করলে তাহা গ্রহনযোগ্য হবে না। আপনি ফিতনা ছরাবেন।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২১

শেরজা তপন বলেছেন: বাংলাদেশে মাজার ভাঙা নিয়ে' আপনাদের দেশী হুজুরের বয়ান
দেখুন তো ব্রো উস্কানি কারা দেয় কিভাবে দেয়?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: তপন ভাই, আজ সকালেই এনার বয়ান শুনেছিলাম, আমি ভাগ্যবান আমার নিউজ ফিডে এখন এনাদেরই আনাগোনা, হয়ত মহান আল্লাহ তালা এনাদের উছিলায় আমাকে লাইনে আনতে চান। পশ্চিমবাংলাতে এনারা হলেন দুধেল গাই, আমাদের মমতা পিসী এনাদের পুষিয়া থাকেন, এই গাইয়ের দুধ বেচেই পিসী ভোটের বৈতরনী পার হয়ে হন।

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমরা না হয় দূর্মুখো- আপনাদের কোন ভালো কাজই আমাদের সহ্য হয় না।
কিন্তু আপনাদের এত ঘনিষ্ঠ মিত্র যাদের সাথে যোগসাজশ করে রাশিয়া থেকে এতদিন ধরে সারা বিশ্বকে ফাঁকি দিয়ে তেল চুরি করে আসছেন- তাদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা যে কইলো যে ভারতে মুসলিম নির্যাতন হয়; যাকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতন আর চীনের উইঘুরের মুসলিম নির্যাতনের সাথে তুলনা করেছেন,এখন আপনি তাকে কি কইবেন?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫০

অগ্নিবেশ বলেছেন: তপনভাই মনে হয় ভারতরে ইওরোপ আমেরিকা মনে করেন। ভারতে মানবাধিকারের অবস্থান বাংলাদেশ থেকে কিছুটা ভালো হলেও এখনো উন্নত দেশের কাতারে আসতে পারে নাই। উত্তর ভারতে মুসলমান নির্যাতন হয়। কাশ্মীর থেকে মুসলমানেরা হিন্দু পণ্ডিতদের খেদায়ে দিছে, পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানের রাজত্ব চালায়। উত্তর ভারতে শূদ্র পরিচয় দিলে কাম কাজ কিচ্ছু পাবেন না। সেই তুলনায় দক্ষিন ভারত একটু ভালো তবে হিন্দি কইলে তারা মাইর দেয়। এডাই ভারত। এডা অস্বীকার করে কোন হনুমান? ইরানী তুরানীরা সবাই সবার পেছন বাঁচাতে অন্যরে দোষ দেয়। নিজের দোষ কেউ দেখে না।

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: পর্দা নিয়ে গতকাল জামাতের নায়েবে আমির যা বললেন
আমি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে পারি আমি জামায়াত তো বটেই কোন মৌলবাদী দলকেই আমি সাপোর্ট করি না।আমি কোন ভাবেই চাই না তারা ক্ষমতায় আসুক। তবুও আমার মনে হয় এই বক্তব্যটা শোনা উচিত সবার। আপনিও শুনুন ও আপনার মন্তব্য জানান প্লিজ?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: তপন ভাইয়ের ভিডিও দেখলাম, খুবই মুগ্ধ হইলাম, জামাতকেই তাহলে ক্ষমতায় আনেন। তারা শরীয়া ল আনলেও, আপনারা যারা মডারেট মুসলমান আছেন তাদের অনেক ডিসকাউন্ট দেবেন। আপনাদের জন্য গান বাজনার ব্যবস্থা করে দেবেন, বেগানা নারীদের সাথে কথা বলার ব্যবস্থা করে দেবেন। রিকোয়েস্ট করলে দুই একটা পানশালাও বানিয়ে দিতে পারেন।

তবে ভাই, আমি খারাপ লোক, কপাল পোড়া আদমি, আমি হেদায়েত পাই নাই, তাই আমি শুধু ফুটো খুজে পাই।
সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
২১/ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ ৫. যুদ্ধে মিথ্যা ও ধোকার আশ্রয় নেওয়ার অনুমতি আছে
১৬৭৫। আমর ইবনু দীনার (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যুদ্ধ হল ধোঁকা।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৮৩৩, ২৮৩৪)
আবূ ঈসা বলেন, আলী, জাইদ ইবনু সাবিত, আইশা, ইবনু আব্বাস, আবূ হুরাইরা, আসমা বিনতু ইয়াযীদ, কাব ইবনু মালিক ও আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছদে হাদিস বর্ণিত আছে। এ হাদিসটি হাসান সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু দীনার (রহঃ)

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: পরপর দুটো মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেবার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার সাথে আমি যৌক্তিক আলোচনা করতে আগ্রহী - সেজন্যই বারবার মন্তব্যে আসছি।
প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে; বাংলাদেশে পরবর্তীতে আসলেই কি মুসলিম মৌলবাদীরা ক্ষমতায় আসছে? তাদের কি সেইভাবেই পথ তৈরি করে দেয়া হচ্ছে? তারাও কি প্রস্তুতি নিচ্ছে?
উত্তর যদি হ্যাঁ কিংবা এমন ব্যাপক সম্ভাবনা হয় তবে প্রশ্ন; তারা ক্ষমতায় আসলে সেক্যুলার ধারার মানুষ, নারী, ও অন্য ধর্মীয় এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের কি হবে?
আমার উত্তরঃ প্রথমগুলো 'না' বাংলাদেশের মানুষ যতই ধর্মান্ধ কিংবা জঙ্গি মৌলবাদী টাইপের কিংবা ধর্মীয় অনুভুতিসম্পন্ন হোক না কেন তারা ঘুরে ফিরে হাসিনা-খালেদাকেই ভোট দিবে। ধরে নিই জামায়াতের বাংলাদেশে ১ কোটি ভোটার আছে, এখন বিশেষ পরিস্থিতিতে সেটা দুই কোটিতে উন্নীত হবে কিন্তু আসন ৩০ টা থেকে ৫০ খানা খুব হলে ৭০ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
বাংলাদেশে আহমেদী ও মাজার তরিকাপন্থী, আল-সুন্নাহ, হেফাজত সহ অন্য কোন ধর্মীয়পন্থীদের সাথে জামায়াতের আদর্শগত ব্যাপক পার্থক্য আছে। ওরা দরকার হলে হিন্দুপন্থীদের ক্ষমতায় আনবে কিন্তু জামায়াতকে আসতে দিবে না- ওদের সাথে জামায়াতের কোনদিনও মতপার্থক্য দূর হবে না।এমনকি বিএনপি-আওয়ামীলীগ জোট হতে পারে কিন্তু ওদের হবে না।
জামায়াতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এদের স্বাধীনতা বিরোধী ট্যাগ। শুধু এজন্য ওদের পছন্দ করলেও অনেকেই এদের ভোট দিবে না- তবে আশ্চর্যজনকভাবে বাংলাদেশের ৮০-৯০ ভাগ মাঝারি ও বয়স্ক মহিলারা চায় জামায়াত ক্ষমতায় আসুক।
এনজিও আধিক্যের সরকার কখনোই চাইবে না কোন ইসলামপন্থীরা ক্ষমতায় আসুক। এরা শুধু নিজেদের প্রয়োজনে ধর্মকে ব্যাবহার করে। সময় মত ঠিকই গ্যাঁড়াকলে ফেলে দিবে। ইসলামপন্থীরাও এনজিওদের বিশ্বাস করে না কিন্তু ওরা এখন অনেক বেশী কৌশলী। সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে।
প্রথম উত্তর না হলে দ্বিতীয় উত্তরের আর প্রয়োজনীয়তা কি। আপনাদের মতে, মোদীর সময়ে ভারতের মুসলমানেরা সবচেয়ে ভাল অবস্থানে আছে। আমাদেরও এমন হতে পারে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: যেহেতু আমি কোনো ধর্ম বা জাতীয়তাবাদ পছন্দ করি না, কারণ এই দুটোই মানবতার বিরোধী, তাই আমি কোনো দেশ বা ধর্মের পক্ষে না থেকে নিরপেক্ষভাবে বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করি। আমার পর্যবেক্ষণে, বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই মৌলবাদীদের হাতে চলে গেছে। এটি ব্লগার হত্যার মাধ্যমে শুরু হয়, আর এর দায় আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না। সবচেয়ে বড় দায় বর্তায় আপনাদের উপর, যারা নিজেদের মডারেট মুসলমান বলে দাবি করেন। দিনের পর দিন হুজুররা জিহাদি বয়ান দিয়ে গেছেন, আর আপনারা নীরব থেকে সেটার প্রতি মৌন সম্মতি জানিয়েছেন।

আপনারা এখনও ভাবছেন যে এসব হুজুরদের মনগড়া কথা, এর সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। আপনি নিজেই বলেছেন, বাংলাদেশের ৮০-৯০ শতাংশ মাঝবয়সী ও বয়স্ক মহিলারা চান জামায়াত ক্ষমতায় আসুক। আমিও চাই বাংলাদেশে জামায়াত ক্ষমতায় আসুক, শরিয়া আইন চালু হোক। হয়তো আপনার মনেও জামায়াতের জন্য কোনো সফট কর্নার আছে। আপনি প্রশ্ন করেছেন, জামায়াত ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের সেকুলার, মুক্তমনা বা নারীদের কী হবে? এর উত্তর আপনি ইরানের দিকে তাকালেই পাবেন। ইরানের পূর্বের অবস্থা আর বর্তমান অবস্থার তুলনা করে দেখুন। একবার ইসলামী দল ক্ষমতায় এলে, তাদের ক্ষমতা থেকে সরানো খুব কঠিন হয়ে যায়।

মোদীর শাসনকালে আরএসএস মুসলমানদের ওপর অনেক আক্রমণ করেছে, তবে ভারতের সেকুলার ও মুক্তমনা মানুষ এসব প্রতিরোধ করেছে। তবুও, অনেক জায়গায় গরু খাওয়াকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের হত্যা করা হয়েছে। মোদীর শাসনামলে মুসলিম নারীরা কিছু উন্নতি করেছে—তিন তালাক বন্ধ হয়েছে, শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে। তবে ভারতে যেই দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, মুসলমানরা যতদিন শুধুমাত্র কোরান নিয়ে পড়ে থাকবে এবং স্কুল-কলেজে না যাবে, জ্ঞান-বিজ্ঞানেও উন্নত হবে না, ততদিন তারা নিজেদের দুর্দশার জন্য অন্যকে দায়ী করতেই থাকবে।

৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০

অগ্নিবেশ বলেছেন: তপন ভাই, ইরানের কথা কইলাম, মনে মনে আনন্দ পাইয়েন না, ইরানে মহান আল্লহ তেলের ভান্ডার দিয়েছে, আপনাদের দিয়েছে চোরের ভাণ্ডার, আমি স্পস্ট দেখতে পারছি, পাকিস্থানের মত একটা নীরব দুর্ভিক্ষ আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশ খারাপ থাকলে এর ফল পশ্চিমবাংলার সীমান্তবাসীরাই বেশী ভোগে।

কাফের মেরে বেহস্তে মদ খাওয়ার চাইতে, এই পৃথিবীতেই কাফেরের সাথে মদ খাওয়া অনেক লজিক্যাল। আপনিও ভালো থাকেন, আমাকেও ভালো রাখেন।

১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৩

কিরকুট বলেছেন: শেরজা তপন বলেছেন: পর্দা নিয়ে গতকাল জামাতের নায়েবে আমির যা বললেন
আমি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে পারি আমি জামায়াত তো বটেই কোন মৌলবাদী দলকেই আমি সাপোর্ট করি না।আমি কোন ভাবেই চাই না তারা ক্ষমতায় আসুক। তবুও আমার মনে হয় এই বক্তব্যটা শোনা উচিত সবার। আপনিও শুনুন ও আপনার মন্তব্য জানান প্লিজ?


জামাত কে যদি আপনি বিশ্বাস করেন । জানুন আপনি এক টা বিষাক্ত সাপ কে বিশ্বাস করছেন । এরা যা বলবে ঠিক তার উলটা করবে । এটাই এদের নীতি ।

১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: @ কিরকুট
ভোল পাল্টানোর রাজনীতি কে না করে- আপনি কি একজন বাংলাদেশী তেমন রাজনীতিবিদের উল্লেখ করতে পারবেন যার কথায় আমরা পরিপূর্ণ আস্থা বা বিশ্বাস থাকতে পারি?
জনগণের নিরঙ্কুশ ম্যান্ডেট নিয়ে এসে আমাদের সাথে পরপর দুটো দলই বড় ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এরা সবাই এখন নির্বাচনের আগে হ্যান করেঙ্গা ত্যান করেঙ্গা এইসব বড় বড় বুলি ছাড়বে। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস বা মালিক বলে আমাদের একেবারে আকাশের উঠিয়ে দিয়ে পরে প্যারাসুট ছাড়া ছেড়ে দেবে না তার নিশ্চয়তা কি?
হাসিনা ও তার গোষ্ঠী কত ১৬ বছরে যা করে গেছেন, বহু চেষ্টা তদবির করেও এর থেকে খারাপ কেউ কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না।
তবে কোন ইসলাম পন্থী দল ক্ষমতায় আসার আগে আমি একবার বামপন্থীদের ক্ষমতায় দেখবার পক্ষে। *টেস্ট কেস হিসাবে

১২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১০

শেরজা তপন বলেছেন: পাকিস্থানের মত একটা নীরব দুর্ভিক্ষ আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছে; আপনার এই ধারণায় বিশ্বাসী হয়ে ইতিমধ্যে আমাদের মধ্যে অনেকেই চাল ডালের মজুদ করা শুরু করে দিয়েছে। এমনিতেই দুর্ভিক্ষ না আসলেও এই কারণে দুর্ভোগ আসার একটা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
হয়তো আপনার মনেও জামায়াতের জন্য কোনো সফট কর্নার আছে।
আমার মনে যে আসলে কার প্রতি সফট কর্নার আছে সেটা আমি নিজেই বুঝতে পারছি না :( এর আগে আওয়ামী লীগের অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রশংসা করে এই ব্লগে বেশ সমালোচিত হয়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে নিজের ফাঁসি দাবি করা ছাড়া আর উপায় নেই। ব্লগে কেউ কেউ আমাকে রাজাকার উপাধি দিয়েছে দেশদ্রোহী বলেছে আবার কখনো বা ভারতীয় দালাল উপাধি দিয়েছে আসলে আমি যে কার পক্ষে বুঝতে পারছি না।
মুসলমানরা যতদিন শুধুমাত্র কোরান নিয়ে পড়ে থাকবে এবং স্কুল-কলেজে না যাবে, জ্ঞান-বিজ্ঞানেও উন্নত হবে না, ততদিন তারা নিজেদের দুর্দশার জন্য অন্যকে দায়ী করতেই থাকবে।
আপনার কথা একদম ঠিক এবং যৌক্তিক। কিন্তু ভাই,
মুসলমানদের আর কি দোষ বলেন ওই একখান কিতাবই তো ১৫০০ বছর ধরে বুকে জড়িয়ে ধরে নিজের জান-মাল কোরবান করছে না হলে অনেক অন্যের জান মালের উপর হামলে পড়ছে! ওটা ছেড়ে তো আর তাদের গতি নেই তাহলে কি নিয়ে থাকবে বলুন?
সনাতনীদের তো অনেকগুলো কিতাব আছে তারা চাইলে একটু ইধার উধার করতে পারে সমস্যা হয় না :)

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হোক, এটা আমরা কেউই চাই না। কিন্তু কী করবেন? বাংলাদেশে ওয়াহাবিরা যা শুরু করেছে, তার লাগাম টানতে পারবেন? এখন বাংলাদেশে বিদেশিরা আসতে ভয় পাচ্ছে, তাহলে আপনারা পণ্য বিক্রি করবেন কাকে? গার্মেন্টগুলো একে একে বন্ধ হয়ে যাবে, ব্যাংকগুলো ধসে পড়বে। রিজার্ভে টাকা নেই, এতগুলো মানুষের খাওয়াদাওয়া কীভাবে চলবে?

সনাতনীরা একসময় সতীদাহ করত, বিধবাদের পুনর্বিবাহ দিত না, জমিদারেরা তাদের ভোগ করত। মন্দিরে সেবাদাসীরা থাকত, পুরোহিতেরা তাদের ভোগ করত। কুলীন ব্রাহ্মণদের সঙ্গে কচি মেয়েদের বিয়ে দিত। এসব খুব বেশি আগের কথা নয়, কিন্তু সনাতনীরাই আন্দোলন করে আইন করে এসব প্রথা বন্ধ করেছে। ভারতের সংবিধান রচনা করেছেন এমন একজন, যিনি একসময় সমাজের সবচাইতে নিচু জাতের মানুষ ছিলেন, যাকে ক্লাসরুমের এক কোনায় বসতে দেওয়া হত, কারণ তার গায়ে ছুঁলেই জাত যাবে বলে বিশ্বাস করা হতো।

আপনারা কী করেছেন? যারা ইসলামের পশ্চাদমুখিতার বিরুদ্ধে লিখেছে, তাদের ধর্মানুভূতির ভয় দেখিয়ে ব্লগ থেকে ব্যান করেছেন। অনেককে এই পৃথিবী থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

১৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: যুক্তি দিয়ে কারো মতামতের পরিবর্তন করা যায় না,যদি না তার ইচ্ছা থাকে সত্য জানার।
বস্তুর পরিবর্তনের মৌলিক ভিত্তি বস্তু নিজে।কোন তাপেই পাথর থেকে বাচ্ছা হবে কিন্তু ডিম থেকে হবে। বস্তুর ভিতরে পরিবর্তনের দ্বন্দ্ব খাকতে হবে।
আপনার এবং তপনের আলাপ থেকে বুঝলাম।তবে পাঠকের জন্য কিছু খোরাক আছে যদি সে সত্য জানতে চায়।দুই জনকেই ধন্যবাদ সুন্দর আলাপের জন্য।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:১৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল ভাই, আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.