নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেশীর ভাগ হিন্দু আওয়ামী লীগে ভোট দেয় বা সমর্থন করে – এই কথাটা কতটা সত্য

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫৯

ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কে কাকে ভোট দিচ্ছে এটা জানার কোন উপায় নেই। কারণ প্রকাশ্যে ব্যালট পেপার ব্যালট বাক্সে ফেলা হয় না। যদিও আওয়ামী লীগ আমলে বিভিন্ন সময়ে অনেক কেন্দ্রে বাধ্য করা হয়েছে আওয়ামী পাণ্ডাদের সামনে ব্যালট পেপার ব্যালট বাক্সে ফেলার জন্য। এই ব্যতিক্রমকে অগ্রাহ্য করলে বলা যায় যে কারও পক্ষে জানা সম্ভব না কে কাকে ভোট দিচ্ছে। যদি না ভোট দাতা নিজে প্রকাশ করে। আমাদের দেশে বহু বছর ধরে একটা ধারণা প্রচলিত যে বেশীর ভাগ হিন্দু আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। তবে তথ্য উপাত্ত দিয়ে এটা প্রমাণ করা কঠিন। কারণটা প্রথমেই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি।

তবে গত কয়েক বছরে হিন্দু বা অমুসলিমদের সংগঠনগুলির বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন বক্তব্য থেকে অনুমান করা যায় যে আওয়ামী লীগের সমালোচনা তারা করলেও শেখ হাসিনার ডাকাতি ভোট ব্যবস্থাকে তারা অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছে। একটা উদাহরণ দেয়ার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাসগুপ্ত ৪ জানুয়ারী, ২০১৯ সালে বলেছিলেন (সূত্র - ঐ তারিখের যুগান্তর পত্রিকা) যে সংখ্যালঘুরা শঙ্কাহীনভাবে ভোট দিয়েছে। শুধু তাই নয় এ জন্য তারা সরকার, নির্বাচন কমিশনসহ সব রাজনৈতিক দলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। অথচ একটা স্কুলের বাচ্চাও জানে যে ২০১৮ সালে কি ধরণের ভোট ডাকাতি হয়েছিল।

আমরা জানি বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদে হিন্দুদের প্রভাব এবং প্রতিনিধিত্বও বেশী। কারণ এই দেশে বৌদ্ধ বা খৃস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা কম। এই সংগঠনটিকে সাধারণ হিন্দুরা সমর্থন করে থাকে। এই ধরণের সংগঠনের নেতা যখন ২০১৮ সালের ডাকাতির নির্বাচনকে সমর্থন করে এবং সরকারকে ধন্যবাদ জানায় তখন এটা বোঝা যায় যে হিন্দু জনগোষ্ঠীর বড় অংশের এতে সায় আছে। কারণ সাধারণ হিন্দুদের বিরুদ্ধে এই সংগঠনের কথা বলার কথা না। হিন্দুদের প্রতিনিধি হিসাবে যখন রানা দাসগুপ্তের মত ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা বলে থাকে যে শেখ হাসিনা সরকারের ভোট প্রক্রিয়ায় তারা সন্তুষ্ট। এটা থেকে কি অনুমান করা যায় না যে হিন্দুদের একটা বড় অংশের এই ডাকাতির ভোটে সমর্থন আছে। এই সংগঠন অতীতে কখনও বিএনপির সময়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচন সম্পর্কে এই ধরণের সন্তুষ্টি কি প্রকাশ করেছে? আমার ধারণা করে নাই। কারণ এই সংগঠনটা শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ ঘেঁষা। মাঝে মাঝে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করলেও তারা আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষে কোন দিন কথা বলেনি। অনেকটা ব্লগের সোনাগাজীর মত। উনি হাসিনার অনেক সমালোচনা বিভিন্ন সময়ে করেছেন। কিন্তু উনি পরিষ্কার ভাষায় এখনও বলে যাচ্ছেন যে তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সমর্থক।

আমার ব্যক্তিগত ধারণা হল হিন্দুদের একটা অংশ আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করে না। তারা বোঝে যে আওয়ামী লীগ তাদের নিয়ে খেলছে। কিন্তু হিন্দুদের একটা বড় অংশ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে থাকে। যে কারণে আওয়ামী লীগ মনে করে তাদের একটা বাধা ভোট আছে হিন্দু সমাজে। ভোট যেহেতু গোপনে হয় তাই প্রকৃত তথ্য উপাত্ত পাওয়া মুশকিল। তবে সাধারণভাবে বহু বছর থেকেই আমাদের সমাজের মুসলমানদের ধারণা যে হিন্দুদের বৃহত্তর অংশ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় এবং সমর্থন করে। যাহা রটে কিছু তো বটে।

নতুন ছাত্র নেতা সারজিস এই কথাটাই বলতে চেয়েছিলেন ঠাকুরগাঁয়ের হিন্দুদের সম্পর্কে। সমাজে প্রচলিত ধারণার আলোকেই উনি হিন্দুদেরকে বলতে চেয়েছেন যে আপনারা বুঝে শুনে ভোট দিয়েন। আমার মতে তার কথাটা আপত্তিকর কোন কথা না। কারণগুলি উপরে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি।

ভারত যে আওয়ামী লীগকে পছন্দ করে তার কারণ তারা মনে করে আওয়ামী লীগের সাথে ইসলামী দল বা জঙ্গিদের কোন সম্পর্ক নেই। এছাড়া আরেকটা কারণ হল ঐতিহ্যগতভাবে আওয়ামী লীগ দেখাতে চায় যে তারা সেকুলার (যদিও তলে তলে তারা অনেক কিছুই করে)। বাংলাদেশের হিন্দু জনগণের মনোজগতে ভারত একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটা দোষের কিছু না। পৃথিবীতে হিন্দু প্রধান রাষ্ট্র হাতে গোনা। ১৯৭১ সালে উদ্বাস্তুদের একটা বড় অংশ ছিল হিন্দু, যাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিল ভারত। যে কারণে ভারত যখন আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে তখন দেশের হিন্দুদের একটা বড় অংশ আওয়ামী লীগকে সমর্থন ক'রে থাকতে পারে বলে আমার মনে হয়। হিন্দুদের মধ্যে যারা রাজনীতি করে তাদের সিংহভাগ আওয়ামী লীগ করে বলে আমার মনে হয়। এগুলি দোষের কিছু না। আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য হল ছাত্র নেতা সারজিসের বক্তব্যের স্বপক্ষে আমার যুক্তি তুলে ধরা। সে যা বলেছে সেটার মধ্যে সত্যতা এবং যুক্তি আছে। আমি উপরে সেটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আওয়ামী লীগ হিন্দুদের নিয়ে খেলে এবং হিন্দুদের উপরে নির্যাতনও তারাই বেশী করেছে। হিন্দুদের উপরে হামলার বিচার তারা করে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতের কারণে বা আরও বিভিন্ন কারণে (কিছু কারণ উপরে বলার চেষ্টা করেছি) হিন্দুদের একটা বড় অংশ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে।

আওয়ামী লীগ করা মানেই খারাপ কাজ এমন না। তবে আওয়ামী লীগের যারা হত্যা, গুম, নির্যাতন, দুর্নীতি, লুটপাটে জড়িত তাদের শাস্তি হতে হবে। সব দলের চেয়ে আওয়ামী লীগের বাড়াবাড়ি চোখে পড়ার মত। গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ দলটি নিজেদেরকে একটা দানবে পরিণত করেছে। হত্যা, গুম, নির্যাতন, দুর্নীতি, লুটপাটে অতীতের যে কোন রেকর্ড তারা ভঙ্গ করেছে। জাতিসংঘ জুলাইয়ের হত্যা এবং জুলুমের তদন্ত শুরু করেছে। আশা করি ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দোসরেরা শাস্তি পাবে। এদের শাস্তি না দিলে এরা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়েই যাবে। আওয়ামী লীগকে ভবিষ্যতে জনগণের কাছে আসতে হলে সাজা ভোগ করে এবং নাকে খত দিয়ে আসতে হবে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ২:১৫

আজব লিংকন বলেছেন: আওয়ামীলীগের যারা দেশে আছে এবং ধরা পড়েছে তাদের শাস্তি হবে। যারা পালিয়েছে তারা একসময় আজকের কিছু বিএনপির নেতাদের মত আবার একদিন দেশে ফিরবে। যাদের বিচার কোন কালেই এদেশে হবে না। না বিএনপির না আওয়ামীলীগের।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ হলো একটা নীতিহীন, ক্ষমতালোভী আর দূর্ণীতিপরায়ন রাজনৈতিক দল। এদের কোন দেশপ্রেমই নাই। ক্ষমতার জন্য এরা যে কোনও কিছু করতে পারে।

বিষয়টা ব্যাখ্যা করি।

আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে, '৯৬ এর নির্বাচনের আগে হিজাব পড়া, হাতে তসবি নিয়ে হাসিনার ছবি!! এরা জাতির কাছে মাফ চেয়ে সেবার ভোটে জিতেছিল। গোলাম আযমকে কদমবুছি করে দোয়া চেয়ে জামাতকে পাশে নিয়ে আন্দোলন করে তারা ক্ষমতায় এসেছিল। বেসিক্যালি এরা হলো চেতনা ব্যবসায়ী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে খায়। ইসলামী দলগুলোর ভোট নেয়ার জন্য 'কওমি জননী' উপাধি নিয়েছিল হাসিনা। আরো বহু উদাহরন আছে।

আবার ভারতের সাহায্যে ক্ষমতায় আসার জন্য এরা হাজারো রকমের ইসলাম বিরোধী কাজ করেছে। জঙ্গী আখ্যা দিয়ে বহু মুসলমানকে তারা গুম-খুন করেছে। এদেরকে সেক্যুলার বললে জেনুইন সেক্যুলারদেরকে অপমান করা হয়। আজকে পাকিস্তান যদি নিশ্চয়তা দিয়ে বলে, আমাদের কথামতো কাজ করো তাহলে তোমরা ক্ষমতায় আসতে পারবে; তাহলে তারা পাকিস্তানেরও পা চাটবে।

এবার আসি হিন্দুদের ব্যাপারে। আমি আজ পর্যন্ত যতো হিন্দু দেখেছি তারা হয় আওয়ামী লীগের সমর্থক, অথবা বলে যে আওয়ামী লীগ বাদে কাকে সমর্থন করবো? জামাতকে? ওরা হিন্দু দেখতে পারে না। বিএনপিকে? ওরা মুখে বলে তারা হিন্দুদের অধিকারের পক্ষে, কিন্তু তলে তলে হিন্দুদের ক্ষতি করার তালে থাকে। কাজেই আওয়ামী লীগকে সমর্থন না করে উপায় নাই। ফলে তারা যে আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে, সেটা বোঝার জন্য বিরাট বিশ্লেষক হওয়ার দরকার পড়ে না। আর তাদের ভারতপ্রীতি তো আছেই; ভারত তাদের কাছে দ্বিতীয় আবাসভূমি। অথচ ভারতের মুসলমানরা কিন্তু বাংলাদেশ বা পাকিস্তানকে তাদের দ্বিতীয় আবাসভূমি মনে করে না। এখানেই বোঝা যায়, বাংলাদেশের হিন্দুদের দেশপ্রেম কতোটা শক্ত!! হ্যা, এটা ঠিক যে ব্যতিক্রম আছে। কিন্তু ব্যতিক্রম তো উদাহরন হয় না। তাই না!!!!

আওয়ামী লীগের হিপোক্রেসী নিয়ে বিরাট বিরাট থিসিস লেখা যায়, কিন্তু কি লাভ? কুত্তার লেজের মতো এদের বক্র স্বভাব-চরিত্র বদলাতে পারবেন না। সেজন্যেই বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে এই দলটাকে ঝেটিয়ে বিদায় করা দরকার.........দেশেরই স্বার্থে।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:২২

কামাল১৮ বলেছেন: এ কথাটা সম্পুর্ন সত্য।তবে গয়েশ্বর, নিতাইরা কোথায় ভোট দেয় জানি না।তাঁরাও কি আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। তারাতো জামাতকে ভোট দিতে পারে না।

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:৪১

প্রহররাজা বলেছেন: দিলে দিসে,

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:২৫

প্রহররাজা বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের জন্য খারাপই লাগে। ভারতের ড্রেনের জলে দেশ ডুবে যায়, ইজরায়েলের মোবাইল ফোনে হিজবুল্লাহারা মারা যায়, আর এই গর্ধবগুলা আছে হিন্দুরা কাকে ভোট দেয় তা নিয়ে

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: প্রহররাজা নামক নিকটা সবার পোস্টে ব্লক করুন। এই নিক এর আকন্ঠ মিথ্যাচার , আমরা যাদের পোস্ট পড়ি বা কমেন্ট করি তাদের জন্য চরম বিরক্তিকর।


হিন্দুভোট বিষয়ে ব্লগার ভুয়ামফিজ যা বলার তা বলে দিয়েছেন। এটাই বাস্তবতা। তবে এর জন্য দায়ী আসলে আমাদের দুর্নিতিপরায়ন শাষনব্যবস্থা। যদি দেশে আইনের সাশন প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে দেশের সকল ধর্মের মানুষই নিজের দেশকে ভালবাসবে এবং বিশেষ কোন দলের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করবে না। । দুর্নিতিপরায়ন রাজনীতির বিরুদ্ধে জোড়ালো আওয়াজ ওঠা প্রয়োজন।

৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯

আহরণ বলেছেন: হিন্দুরা তাহলে বাংলাদেশের ভিক্ষাজীবী দাড়ি-টুপি ওয়ালাদের ভোট দিবে নাকি??

৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২২

প্রহররাজা বলেছেন: @ঢাবিয়ান: লজিক নাই আপনার, উত্তর দিতে না পেরে ব্লক করা, আই কিঊ বাড়ান। এখন বুঝছি লীগ কেনো আপ্নাদের পিটাইতো।

৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আহরণপ্রহররাজা এদের মতো কয়েকটি নিকের বয়স ৩দিন হয়নি কিন্তু এরা বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে অবিরত।

১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ৯৯% সত্য।

১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৫

ধুলো মেঘ বলেছেন: পিরোজপুর-১ আসনে হিন্দু ভোটার ৩৮%। সেখানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৯৯৬ সালে ও ২০০১ সালে জামায়াতের মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী হিন্দু+আওয়ামী লীগের সুধাংশু শেখর হালদারকে বিপুল ভোটে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এখন কি আপনি এটা বলতে পারবেন যে কোন মুসলিম নৌকায় ভোট দেয়নি? আমি বরং বলবো যে হিন্দু ভোটারদের অর্ধেকই জামায়াতে ভোট দিয়েছে। নইলে জামায়াত কোনদিনও এই আসন থেকে জিততে পারতোনা।

১২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তাদের কাকে সমর্থন করা উচিত আসলে? এই যে ছাত্র আন্দোলন হলো; এই আন্দোলনে হিন্দু ছাত্রদেরও অংশগ্রহণ ছিল। এখন তাদের কী দেখতে হচ্ছে? ইসলামি বাংলাদেশ? এই যে ধর্মভিত্তিক দলগুলো এভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে; হিন্দু ছাত্ররা কি চেয়েছিল বিশেষ একটা ধর্মের লোক অগ্রাধিকার পাক? তারা তো বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিল। এখন কি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে মুসলিমরাই অগ্রাধিকার পাবে? বাংলাদেশ তো ভারত বা পাকিস্তান না। ধর্মীয় অগ্রাধিকার বেশি থাকলে নিশ্চয়ই পাকিস্তান ভাঙার দরকার পড়ত না?

হিসাব করতে গেলে দেখা যাবে আওয়ামী লীগের সময়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি হিন্দুরা। একটা সময় অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে অনেক সমর্থন পেত আওয়ামী লীগ। গত কয়েক বছরে কমেছে মনে হয়। অন্য দলগুলোকে ভরসা করতে পারে না যারা প্রকাশ্যে ইসলামি রাজনীতি করে। এজন্যই বোধকরি নিরুপায় হয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করত।

কয়েকজনকে দেখলাম বলছে ভারত হিন্দুদের দ্বিতীয় আবাসভূমি। মনে হয় ভারত না হয়ে আমেরিকা-বৃটেন দ্বিতীয় আবাসভূমি হলে ভালো হতো। নিপীড়িত হলেও মাটি কামড়ে হলেও দেশে পড়ে থাকতে হবে; এই জোর না দিয়ে তাদের দোষারোপ করাটাই মনে হয় সুবিধাজনক। অথবা হিন্দুরা যদি জামায়াত ইসলামে যোগ দেয় তাহলে তো আরও ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.