নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ

সরকার পায়েল

মানুষ যা অনুভব করে তাই জ্ঞান।

সরকার পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম জঙ্গির আবির্ভাব

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬





জঙ্গি নামক এই শব্দটি কিন্তু মুসলমান বা ইসলামের সৃষ্টি কোন বিষয় নয় ।পশ্চিমা বিশ্বের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সম্পদ চুরির বিশেষ কিছু নিল নক্সার ফল এই মুসলিম জঙ্গি শব্দটি । আদতে যার কোন অস্তিত্ব বা বিশেষত্ব নেই । যা আছে তা হচ্ছে কাল্পনিক এবং মিথ্যা কিছু গল্প যা সম্পূর্ণ পশ্চিমা মিডিয়ার কাল্পনিক মিথ্যা প্রচারণা ছাড়া আর কিছুই না। আসুন দেখি পশ্চিমরা কিভাবে এই মিথ্যা গল্প এবং জঙ্গি ফানুস তৈরি করল -



>ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল জন্মের পূর্বে মধ্যপ্রাচ্যে কোন জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব ছিলনা ।



>৪৭ এর দেশ ভাগ ও ব্রিটিশ খেদানোর পূর্বে এই উপমহাদেশে কোন জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব ছিলনা ।



>আফগানিস্তানে আমেরিকা আসার পূর্বে সেখানে কোন জঙ্গি সংগঠন ছিলনা তখন ছিল আফগান মুজাহিদ যারা ব্রিটিশ ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিজ দেশের মাটির মুক্তির জন্য লড়াই করে । কিন্তু আমেরিকা আসার সাথে সাথেই পশ্চিমা মিডিয়ার কল্যাণে এই মুজাহিদরাই হয়ে গেল জঙ্গি ।



উল্লেখিত তিনটি ঘটনার বহু পূর্বে যদি যাই নবী (সঃ) এর সময় বা তার পরবর্তী খলীফাদের সময়ে মুসলমানরা নানা দেশে যুদ্ধ পরিচালনা করেছে এবং তা নিজেদের আয়ত্তে এনেছে ইতিহাসে তা পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক বলা হয় । কিন্তু ইতিহাসের সে সময়ের মুসলিম মুজাহিদদের আজো ইতিহাসের কোথাও জঙ্গি বলা হয়না ।



ব্রিটিশ , ফরাসী , পর্তুগীজ , ওলন্দাজ ও অন্যান্য পশ্চিমা জাতি সারা পৃথিবীতে লুণ্ঠন ও চুরি করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশে ব্যবসার নামে ঢুকে নানা শঠতায় সে সকল দেশ দখল করে ও ঔপনিবেশ শাসনের জন্ম দেয় । যাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ চোর ও হঠকারী জাতি ছিল ব্রিটিশরা ।



ইসরাইল বা পশ্চিম আর মোনাফেকদের কুকুর - আমেরিকা আবিস্কারক কলম্বাস আবিস্কারের সময় ভেবেছিল এটি ইন্ডিয়া ও নাম দেয় রেড ইন্ডিয়া । ব্রিটিশ ও অন্যান্য পশ্চিমা জাতি জানত ইন্ডিয়া নামে সমৃদ্ধ একটি মহাদেশ আছে তাই সে দেশ চুরির উদ্দেশ্যে ওরা সবাই বের হয় ।



আমেরিকা আবিস্কারের পর পুরো ইউরোপ ও ব্রিটেন জুড়ে যত চোর , ছ্যাঁচড় , বদমাইশ , ভবঘুরে , ভূমুহীন কাঙ্গাল অর্থাৎ পশ্চিমের সকল অসভ্য ও নিম্নমানের লোক জড় হতে থাকে আমেরিকায় ।তখন আমেরিকা পরিণত হয় পুরো ইউরোপ তথা পশ্চিমের জঞ্জালের ভাগাড়ে । কারণ যার সম্পদ ও ভূমি রয়েছে সে আমেরিকায় যেয়ে অনিশ্চিত জীবনের মুখোমুখি হবেনা । আজ যে সাদারা আমেরিকার মালিক ও পুরো পৃথিবীতে সকল যুদ্ধ ও অশান্তির মূল তাদের পূর্ব পুরুষরা হচ্ছে পুরো পশ্চিমের ওই সকল জঞ্জাল।ঠিক সেরকমই হল ইহুদীরা । পশ্চিমের সকল জাতি তাদের অভিশপ্ত জাতি বলে বিশ্বাস করত । তাই পশ্চিমের বা ইউরোপের কোথাও কোন জাতি বা দেশ ওদের জায়গা দিতনা । কারণ ওরা সব জায়গাতেই নানা জটিলতা ও সমস্যার সৃষ্টি করত । ইহুদীরা সত্যিকারভাবেই অভিশপ্ত জাতি ।



এই ইহুদীদের কোন ভূমি থাকবেনা এরা চির যাযাবর জাতি এটি খোদার ঘোষণা । কি আশ্চর্য লক্ষ্য করুন আজকের আমেরিকার সাদারাও ছিল ইউরোপের জঞ্জাল যাদের কোন ভূমি ঠিকানা কিছুই ছিলনা । প্রকৃতিগত ভাবে আজকের আমেরিকার সাদারা আর ইহুদীরা উভয়ই ভূমিহীন নিকৃষ্ট জাতি ।কি অদ্ভুত প্রকৃতিগত মিল তাই না !



২য় বিশ্বযুদ্ধের পর পশ্চিমের নজর পড়ল মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদের দিকে । পুরো পশ্চিম মিলে নক্সা করল এতগুলো দেশ একসাথে দখল সম্ভব নয় । তাই সেখানে বিষফোঁড়া বা পশ্চিমের দারোয়ান করে ইহুদীদের সেখানে নিয়ে আসলো। ওদের যুক্তি এটা ইহুদীদের পূর্ব পুরুষের বাসস্থান। কি ঠুনকো যুক্তি !!!! ইরানের শাহ্‌রা যুগ যুগ ভারত শাসন করেছে আজ যদি ইরানের শাহ্‌রা আসে ভারতের দাবী করে তা কতটা যুক্তিসঙ্গত ??? আজ যদি ডাইনোসর আসে মানুষকে বলে পৃথিবী ছেড়ে দাও এটা আমাদের আদি বাস , মানুষ কি ছেড়ে দেবে ?



মূল কথা হচ্ছে শক্তি আছে দখল করেছে যেদিন শক্তি থাকবেনা সেদিন আবার ইহুদী জোকাররা ভূমিহীন । ইসরাইল পশ্চিম আর মুসলমান নামধারী মোনাফেকদের পা চাটা কুকুর বা দারোয়ান ছাড়া আর কিছুই না ।



মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিমদের দেশগুলোর দিকে একটু লক্ষ্য করলেই পুরো বিষয়টি দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে যাবে । এর জন্য কোরআন হাদিস বা আলেম হওয়ার দরকার নেই । খেলাফত শাসনের দিকে তাকালেই বর্তমান মুসলমান নামধারী ইবলিশ মোনাফেকদের চিত্র আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।



খেলাফতের কোথায় বা কবে উত্তরসুরি বা বংশানুক্রমিক রাজার ছেলে রাজা হবে এই নীতি ছিল ????



খেলাফতের কখনো কোথাও ছিলনা উত্তরসূরি শাসনভার নেবে এই প্রথা নেই । কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব , কুয়েত , আরব আমিরাত সহ অনেক মুসলিম দেশ রাজতন্ত্রের নিয়মে চলে এবং গণতন্ত্রের পূজারী পশ্চিমা শয়তানদের সাথে এই রাজতন্ত্রের পূজারীদের বেশ কঠিন বন্ধুত্ব । এই মুসলমান নামধারী মোনাফেকরা নিজেদের ক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য মূলত পশ্চিমের পূজা করে । আর এই সুযোগে পশ্চিম আজ পুরো মুসলমানদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে । এই পশ্চিমের চোরের দল এবং মোনাফেকরাই শুধু ইসলাম নয় পুরো মানবতার শত্রু । পৃথিবীর শত্রু পুরো মানবজাতির জন্য হুমকি।



আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন , মধ্যপ্রাচ্যের রাজতন্ত্রধারি , জন সম্প্রিক্ততাহীন সরকারগুলোই ইসরাইল বা ইহুদীদের সাথে ভালো সখ্য । কারণ পশ্চিম আর ইহুদীদের দিয়েই ওরা ক্ষমতা দখল করে আছে । আর ইহুদী জোকার ইসরাইল কেবল মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিম এবং মুসলিমরূপি মনাফেকদের কুকুর বা দারোয়ান হিসেবেই আছে । এখানের সমীকরণ খুব সহজ , পশ্চিম মধ্যপ্রাচ্যের রাজতন্ত্রধারি মোনাফেকদের ইহুদীদের দিয়ে ক্ষমতার নিরাপত্তা দিচ্ছে বিনিময়ে ইসরাইলের বৈধতা নিচ্ছে ।আর এই ইসরাইল নামের কুকুর দিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে নানা ফেতনা ফাসাদ এবং মোনাফেকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। যেদিন পুরো মধ্যপ্রাচ্য পশ্চিমের দখলে যাবে সেদিন থেকে ইহুদীদের ইতিহাস ঠিক আগের মতই হয়ে যাবে ভূমিহীন অভিশপ্ত জাতি । কারণ তখন ইহুদীদের দিয়ে পশ্চিমের কোন দরকার নেই । ইহুদীরা আবার নিক্ষিপ্ত হবে আস্তাকুরে।







বলা হয় ইসরাইলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে ,পশ্চিমের মিথ্যা বানোয়াট জাল তথ্য। ওদের কাছে এক কণা পরমাণু নেই । পশ্চিম কখনই ওদের এই অস্ত্র দিবেনা । এটা খুব স্বাভাবিক । বাড়ির কুকুরকে তার মালিক দয়া করে দু টুকরো রুটি বেশী দেবে কিন্তু কখনই বাড়ির মালিক হতে দেবেনা ।আমি বাজি ধরে বলতে পারি ইসরাইলের কাছে কিছুই নেই যা আছে তা কেবল পশ্চিমের দেয়া দান কিন্তু রং দিচ্ছে ইসরাইলের ।যা আছে তা হচ্ছে কুকুরের ঘেউ ঘেউ



যখনই পশ্চিমা চোর , রাজতন্ত্র এবং সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে তখনই সে দেশের সরকার যে বিরুদ্ধে কথা বলে তাকে জঙ্গি ঘোষণা করে আর পশ্চিমের মিডিয়া তাতে রঙ্গ চড়ায়।



৪৭এর দেশ ভাগ - খেয়াল করুন এখানেও সেই ব্রিটিশ তস্করের কারসাজী । এই তস্করের জাত বের হওয়ার আগে মুসলিম হিন্দু জাতিগত বিদ্বেষের জন্ম দিয়ে গেল যা ওরা করেছে আমেরিকায় সাদা কালো নিয়ে । সেখানেও কালোদের নিজের ভুমিতে ওদের অত্যাচার করেছে সাদা ব্রিটিশ ও ইউরোপের বদমাইশরা । এখানেও তারা এই বিদ্বেষ করে গেল । জঙ্গিদের উর্বর ভূমি হয়ে গেল আমেরিকার দালাল পাকিস্তান । আমেরিকা ভারতকে সায়েস্তা করার লক্ষে পাকি মাথা মোটাদের ব্যবহার করল । আর পাকিরা বিপুল উৎসাহে তাতে সায় দিয়ে মোনাফেক মুসলমান নামধারিদের দিয়ে হাদিস কোরআনের ভুল মিথ্যা ব্যখ্যা করে নিরীহ , অশিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত উপজাতি মুসলমানদের ধর্ম যুদ্ধের নামে নিজেদের ফায়দা লুটে নিল । আর পশ্চিম পেল নতুনভাবে মুসলমান, ইসলামকে কলঙ্কিত করার অস্ত্র ।



আফগানে আমেরিকান তস্করদের আগমন- একটি ছবি ফাঁস করে দিবে পশ্চিমা মিডিয়ার মিথ্যাচার এবং পশ্চিমের চুরির উৎকৃষ্ট সাক্ষী ,







আজ যখন ক্রিমিয়ার সর্ব স্তরের জনতা ভোট দিল রাশিয়ার পক্ষে তখন পশ্চিমের কাছে অবৈধ। ঠিক সেদিন যে মুসলমানরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে মাতৃভূমি রক্ষায় যুদ্ধ করেছে তারা ছিল পশ্চিমা মিডিয়ার ভাষা মুজাহিদ । যখন আবার আফগানরা বুঝল আমেরিকারা চুরির মতলব যখন ওদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিল তখনই হয়ে গেল জঙ্গি । পশ্চিম আর তাদের মিডিয়া নিজের প্রয়োজনে অন্যের সম্পদ দখল লুণ্ঠনে নিজেদের মত করে ব্যবহার করে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এরকম হাজার হাজার প্রমাণ দেয়া যাবে । কিন্তু আজ পৃথিবীর সামনে পশ্চিমের উলঙ্গ চেহারা পরিষ্কার । পৃথিবীর ছোট্ট একটি শিশুও জানে আমেরিকা জাতিসংঘ প্রতারক চোর ছাড়া আর কিছুই না।



আজ পুরো বিশ্বে যত অশান্তি ও যুদ্ধ বিগ্রহের মূলে এই চির লোভী ও চোরের জাতি ব্রিটিশ ,ইউরোপ ও পশ্চিমের জঞ্জাল সাদা আমেরিকান ,অভিশপ্ত জাতি ইহুদী ও তাদের মিত্র মুসলিম নামধারী রাজতন্ত্রের পূজারী মোনাফেকের দল ।আজ মুসলিম জঙ্গির সৃষ্টির মূল কারণ ওরাই আর এর ফলও ওদের অবশ্যই ভোগ করতে হবে ।সাথে ফল ভোগ করবে ওদের কাছে ঈমান বিক্রি করা মুসলমান নামধারী শয়তানের ও প্রাচুর্যের পূজারীরা । আমাদের দেশেও এইরকম ঈমান বেচা শয়তানের দল রয়েছে। ধর্ম নিয়ে যাদের বিন্দু মাত্র মাথাব্যথা নেই যারা ইসলাম সুন্নাহর অনুসারিও নয় তাদের মূল ও অন্যতম লক্ষ্য ক্ষমতার মসনদ।



জঙ্গিবাদ পশ্চিমের একটি মিথ্যা বানোয়াট ফানুস । মূলত এর কোন সত্যতা বা অস্তিত্বই নেই । যে মুসলিম সংগঠন বা মুসলিম জাতি তাদের অধিকার আদায়ে পশ্চিমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাদেরকেই পশ্চিমারা জঙ্গি বলে প্রচার করে ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

নহে মিথ্যা বলেছেন: উল্লেখিত তিনটি ঘটনার বহু পূর্বে যদি যাই নবী (সঃ) এর সময় বা তার পরবর্তী খলীফাদের সময়ে মুসলমানরা নানা দেশে যুদ্ধ পরিচালনা করেছে এবং তা নিজেদের আয়ত্তে এনেছে ইতিহাসে তা পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক বলা হয় । কিন্তু ইতিহাসের সে সময়ের মুসলিম মুজাহিদদের আজো ইতিহাসের কোথাও জঙ্গি বলা হয়না।

আপনার লেখা পড়তে যাইয়ে এই লাইন গুলা পইড়া পড়া থামায় দিলাম... আর পড়ার ইচ্ছা নাই...

প্রথমত, ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য মহানবী (সঃ) যখন যুদ্ধ করতেন তখন বীরের মত সম্মুখে যুদ্ধ করতেন এবং শত্রুকে পরাস্ত করে তাদের প্রতি এবং সেই সকল পরাস্ত লোক গোষ্ঠির নারীদের সন্মান করতেন। যা সে সময় ছিল সম্পূর্ন যে কোন যুদ্ধের চিত্রের বিপরীত।


ভাই বর্তমানে যারা ইসলামের নামে যুদ্ধ করছে তারা কেউই মহানবী (সাঃ) আদর্শে নেই... যদি থাকত তাহলে তারা নিজ দেশে অন্তত্য ভয়ের পাত্র হয়ে উঠত না।

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

সরকার পায়েল বলেছেন: আপনার সাথে সম্পূর্ণ এক মত। এখানে আমি তাই বিস্তারিত ভাবে বলার চেষ্টা করেছি ।পুরোটা পড়লে হয়ত আপনিও আমার সাথে একমত হতেন।

কোন দেশে কেন কে যুদ্ধ করছে তা আমার বলার উদ্দেশ্য না । আমার বলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলাম এবং মুসলমান নামে মিথ্যা জঙ্গি অপবাদ দেয়া হচ্ছে । যার কোন সত্যতা বা ভিত্তি নেই।

যারা মহানবীর (স) আদর্শের বাইরে যেয়ে যুদ্ধ করছে তারা অবশ্যই মুসলমান না তারা মোনাফেক এবং মহানবী (স) এই বিষয়ে সতর্ক করে গেছেন , শেষ জামানায় তোমাদের মুসলমান নামধারী কিছু লোক ধর্মের নামে ফেতনা ফাসাদ করবে । আসলে তারা মোনাফেক ব্যতীত আর কিছুই নয় । তাদের বিষয়ে অবশ্যই সাবধান।

২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

মিমায়িত জীবন বলেছেন: মদীনায় নাজিল হওয়া কোরানের নির্দেশ থেকে আমরা পাই :
যেখানেই মুশরিক/ অবিশ্বাসীদের পাওয়া যাক তাদের হত্যা কর (২:১৯১, ৯:৫)।
তাদের সাথে সংঘাতে লিপ্ত হও, কঠোর ব্যবহার কর (৯:১২৩), আর যুদ্ধ করে যাও (৮:৬৫)।
যারা আল−াহ্ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে থাকে, হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি (৫:৩৩) ।
কাফেরদের গর্দানে আঘাত কর (৪৭: ৪)।
বিধর্মীদের উপর জিজিয়া কর আরোপ কর (৯:২৯)।
মুশরিকেরা ‘অপবিত্র’ (৯:২৮), এদের স্থান স্থান দোজখে (৫:১০) ।
তোমরা তাদের (অবিশ্বাসীদের) সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল−াহ্র দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয় (২:১৯৩)।
তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না (৫:৫১)।
ইহুদীরা বানর এবং শুকরের সমতুল্য (২:৬৫, ৫: ৬০, ৭:১৬৬)।
তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, তোমাদের কাছে অপছন্দনীয় হলেও (২:২১৬)।
তাদের (অবিশ্বাসীদের) মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল−াহ্'র পথে হিজরত করে চলে আসে। অত:পর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর (৪:৮৯)।
যারা ঈমান এনেছে, দেশ ত্যাগ করেছে এবং আল−াহ্'র রাহে নিজেদের জান ও মাল দিয়ে জেহাদ করেছে, তাদের বড় মর্যাদা রয়েছে আল−াহ্'র কাছে (৯:২০)।
আমি তাদেরকে (অবিশ্বসীদের) আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে থাকে (৪:৫৬)।
যারা আল−াহ্'র রাস্তায় নিহত হয়,তাদের মৃত বলো না (২: ১৫৪)।
ইসলামই হচ্ছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম (৩:৮৫)। ইত্যাদি।
মুহম্মদ নিজেই মদীনায় নাজিল হওয়া উপরোক্ত আয়াতগুলোর সার্থকতা দিতে গিয়ে ৬২৪ খ্রীস্টাব্দে বনি কুয়ানুকা, ৬২৫ খ্রীস্টাব্দে বনি নাদির আর ৬২৭ খ্রীস্টাব্দে বনি কুরাইজার ইহুদী ট্রাইবকে আμমণ করে তাদের হত্যা করেন। বনি কুয়ানুকার ইহুদীদের সাতশ জনকে এক সকালের মধ্যে হত্যা করতে সচেষ্ট হন৪৪, আর বনি কুরাইজার প্রায় আটশ থেকে নয়শ লোককে আক্ষরিক অর্থেই 'কচুকাটা' করেন, এমনকি তারা আত্মসমর্পণ করার পরও৪৫। হত্যার ভয়াবহতা এতোই বেশি ছিলো যে, ক্যারেন আর্মস্ট্রং-এর মতো লেখিকা, যিনি মুসলিম সমাজের পছন্দের তালিকায় শীর্ষস্থানীয় হিসবে গন্য হন, তিনি পর্যন্ত মুহম্মদের কর্মকান্ডকে নাৎসী ভয়াবহতার সাথে তুলনা করেছেন৪৬। খাইবার দখলের পর মুহম্মদ (দঃ) সাফিয়া নামের ১৭ বছরের সুন্দরী ইহুদী নারীকে অধিগ্রহণ করেন, এবং তা করেন তার বাবা, মা, ভাই বোন এবং আত্মীয় স্বজনকে হত্যার পরপরই। রায়হানাকে অধিগ্রহণ করেন বনি কুরাইজা দখলের পর। তার এই কাজকর্ম কোন 'শান্তির' বাণী বয়ে আনে না, বরং কোরানের 'পরমত সহিষ্ণুতা'র যে আলামত হাজির করার চেষ্টা করেন মুসলিম স্কলারেরা, তাকে প্রতিনিয়ত যেন ব্যাঙ্গ করে।
বহু ইসলামী স্কলার মনে করেন যে, মদীনায় নাজিল হওয়া পরবর্তী আয়াতগুলো আসলে আগেকার শান্তিময় আয়াতকে বাতিল করে দেয়। মদীনা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং সহী বুখারি এবং কোরানের অনুবাদক ডঃ মুহম্মদ খান পরিস্কার করেই বলেন৪৭ -
'আগে বিধর্মীদের সাথে লড়াই নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো, কিন্তু পরে সেটা বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়।'
জালালুদ্দিন সুতি (ঔধষধষঁফফরহ ঝুঁঁঃর) আরো পরিস্কার করে বলেন -
'মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর- ৯:৫ এই আয়াতের মাধ্যমে আগেকার সকল পরমতসহিষ্ণু নির্দেশকে বাতিল করা হয়েছে।'
অন্যান্য ইসলামিক স্কলারেরাও (Ibn Hazm al-Andalusi, Ga'far ar-Razi, Rabi' Ibn 'Ons, 'Abil-'Aliyah, Abd ar-Rahman Ibn Zayd Ibn 'Aslam) "Slay the idolaters wherever you find them (9:5) cancelled those few earlier verses that called for tolerance in Quran and were revealed when Islam was weak"

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৭

সরকার পায়েল বলেছেন: কোরআন হাদিস আল্লাহ দিছে সাথে মগজটাও দিছে । একটু খাটাতে হবে । কোরআনে এটিও বলা আছে , নবী (স) হচ্ছে তোমাদের জন্য উৎকৃষ্ট উদাহরণ তাকে অনুসরণ কর ।

মক্কা বিজয়ের পর নবী (স) কাফেরদের সাথে কি করেছেন এবং তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কাফেরদের সাথে কি ব্যবহার করেছেন তা পরিষ্কার ইতিহাস আছে । আমাদের সেই মতই চলতে হবে । কাফেরদের সাথে কি করতে হবে তার জন্য নবীর (স) জীবনী যথেষ্ট , হাদিস বিশারদের দরকার নাই ।

নবীর (স) এর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মক্কায় সৌদি আরবে কি কাফের ছিলনা ? উনি কি তরবারি হাতে সারা জীবন খালি কাফের হত্যা করছে ?

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৪

সরকার পায়েল বলেছেন: জিহাদ অবশ্য পালনীয় । ধর্মের জন্য আল্লার জন্য নবীর জন্য অবশ্যই জিহাদ করতে হবে । কিন্তু তা কোথায় ? কেন ? কিভাবে ? তার প্রশ্নের উত্তর আগে বের করতে হবে ।

আমার পাশের বাড়ির লোক হিন্দু তাকে বিনা কারণে হত্যা করা জিহাদ হতে পারেনা । দেশের সংখ্যা লঘু মানুষ দুর্বল মানুষ হত্যা করা জিহাদ হতে পারেনা । নিজ দেশে বোমা মেরে মুসলমান হিন্দু মারা জিহাদ হতে পারেনা । যারা এই বোমা মারা সংখ্যা লঘু অত্যাচারের ফতোয়া দেয় ওরা কখনই মুসলমান না । ওরাই মুসরিক মোনাফেক আর কোরআনে ওদের জন্যই বলা হয়েছে , 'মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর- ৯:৫

এই মনাফেকের দল পশ্চিমের চর ওরাই পাকিস্তানের নিরীহ শিক্ষার আলো বঞ্চিত উপজাতি মুসলমানদের মিথ্যা বলে যুদ্ধে নামায় । এই মনাফেকের দলই আমার দেশে মাদ্রসার এতিম শিশুদের ধর্মের মিথ্যা ব্যখ্যা দেয় । এটি পশ্চিমের ইশারাতেই করে ।

এই পশ্চিমা শয়তানের দল একদিকে ইসরাইলকে মধ্যপ্রাচ্যে সবরকম সহযোগিতা করছে অন্য দিকে হেফাজতের মাদ্রসায় ঘুরে বেড়ায় আর বলে আমরা তোমাদের বন্ধু । ওরা ইবলিশ ওরা শয়তান যারা ওদের ইশারায় চলে ওরা মোনাফেক ।

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০৭

সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: পড়িতে হৈবে.......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.