নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ

সরকার পায়েল

মানুষ যা অনুভব করে তাই জ্ঞান।

সরকার পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাবনার চোরাগলি

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৩

আমরা প্রতিটি মানুষ দেখতে ভিন্ন । আমাদের হরমোন বা জীনগত গঠনএক রকম নয়। আমাদের ভাবনাগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির।



একটি চার কোনা বক্স রাখা হল এবং যে যেদিকে শুধু সে দিকেই আলো দেয়া হল অন্য সকল পাশ অন্ধকার করে দেয়া। সেখানের চারপাশে উপরে নিচে সব দিকেই মানুষ রয়েছে । প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করা হল বস্তুটি দেখতে কেমন ? সেখানে যে যে পাশে সে সেই পাশের বর্ণনা দিল এক্ষেত্রে অবশ্যই প্রত্যকের কথা এক হবেনা । খুব কম সংখ্যক অতি গভীর চিন্তার অধিকারী মানুষ পাওয়া যাবে যে পুরো বিষয়টি উপর আলো ফেলে পরিস্কার ধারণা করতে পারে ।



এই আলো দেয় মানুষ নিজেই যে যেদিক থেকে ইচ্ছা। বেশীরভাগ মানুষ প্রতিটি বিষয়ের কেবল একটি দিকেই আলো ফেলে অন্য দিকগুলো আপনা আপনি হয়ে যায় অন্ধকার। সব দিক থেকে দেখতে হলে চিন্তার ক্ষমতা থাকতে হয় বিশাল । ইচ্ছে করলেই আপনি বিশাল করে ভাবতে পারেন । সে জন্য ভাবনার চোরা গলি থেকে বের হয়ে আপনার চলে আসতে হবে দিগন্ত বিস্তৃত পথে যার কোন শেষ নেই । একসময় দেখবেন আপনি চলে এসেছেন সমুদ্রের বিশালতায় এবং তা থেকে মহাশূন্যের অনন্তে । ভাবনার শক্তি এতটাই বিশাল সে আপনাকে নিয়ে যেতে পারে মহাশূন্যের মত অনন্ত বিশালতায় ।



মানুষ শারীরিকভাবে হয়ত সীমাবদ্ধ কিন্তু তার মন তার ভাবনার কিন্তু কোন শৃঙ্খল নেই । যে যেভাবে খুশি যা খুশি ভাবতে পারে । কেউ বাঁধা দেয়ার নেই , কারও বাঁধা দেয়ার ক্ষমতা নেই এমনকি আপনিও নিজের মনকে ভাবনা বা চিন্তা থেকে আটকাতে পারেন না , চাইলেও না।হয়ত আপনার ইচ্ছা একটা বিষয় নিয়ে আপনি ভাববেন না কিন্তু আপনার মন তাই নিয়ে সারাক্ষন ভাবে। মন বা ভাবনার শক্তি কতটা ক্ষমতা রাখে !



আমরা প্রায় সবাই যে কোন বিষয়েরই কেবল একটি পাশ থেকেই দেখি অন্য পাশ নিয়ে তেমন ভাবিনা । আর মনে করি আমি যা দেখলাম যা বুঝলাম তাই ঠিক ।কিন্তু এটা মানিনা বা বুঝিনা যে আমি কেবল একটি দিক নিয়েই ভাবছি । কারণ আমাদের বেশীরভাগ মানুষেরই সকল দিক থেকে একটি বিষয় দেখার মত মেধা বা চিন্তার গভীরতা বা ধৈর্য নেই ।এখন ভুলক্রমে যদি ভুল বুঝি বা যে দিকটি আমি দেখছি তার বিপরীতে যে ঠিক আর বিপরীত অবস্থা তা মেনে নেইনা বা মেনে নিতে পারিনা ।



চিন্তার বিশালতা যার থাকে সে যে কোন পরিবর্তনকে স্বাগত জানায় বা তার বিপরীত মতকেও সে উপেক্ষা করেনা । বুঝতে চায় তার বিপরীতে যার অবস্থান সে কোন দিক থেকে বিষয়টি দেখছে এবং তা কতটা সঠিক।

আর এভাবেই সে তার ভাবনার ক্ষমতাকে করে তোলে আরও শক্তিশালী।



খুব সহজ একটি উদাহরণ দেই । ধরুন একটি চায়ের দিকানে একটি লোক চা খাচ্ছে । এখন আপনি তা দেখবেন । তারপর সেখান থেকে আপনি একজনকে সেই লোকের বর্ণনা দিলেন সেখান থেকে মুখে মুখে আরও অন্তত ১০জনের কাছে এই বর্নানটি যেয়ে ঠিক ১১ নম্বর জনের কাছ থেকে আপনারই বলা কথাটি শুনুন দেখবেন ১ম জনকে যা বলেছেন তার সাথে কোন মিল খুঁজে পাচ্ছেননা । এটাই মানুষের ভাবনার ভিন্নতা । এখান থেকেই বা এভাবেই ভিন্ন মত ভিন্ন পথের সৃষ্টি ।সবাই যদি একই দিকে ভাবত তাহলে কোন পরিবর্তন বা মানুষের কোন উৎকর্ষই সাধন হতনা । ভিন্ন ভিন্ন মত থেকেই সৃষ্টি হয় নতুন ও সঠিক পথের । একই দিকে সবাই ভাবলে একই জায়গায় মানুষ ঘুরপাক খেত।



কেমন অদ্ভুত ও মজার বিষয় সবাই একই সাথে হাঁটছে , একই সাথে ঘুমাচ্ছে সব কাজ একই সাথে করছে । এটা হত যদি সবার চিন্তার পথ একই হত । কিন্তু তা হচ্ছেনা অর্থাৎ প্রত্যেকের ভাবনার পথ স্বতন্ত্র ।



সঠিক চিন্তা ভুল চিন্তা উভয়রই প্রয়োজন আছে । কারণ ভুল ভাবনা না থাকলে কোনটা সঠিক তা বুঝবেন কিভাবে ? ঠিক তেমনি প্রয়োজন ভালো ও মন্দ ভাবনা।



আমরা সবাই চাই পৃথিবী থেকে অসুন্দর দূর হোক কিন্তু অসন্দর দূর হলে সুন্দরের মূল্য কই থাকলো ?



অসুন্দর থাকো তুমি, সুন্দরকে করো মহান।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.