নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৬ সনের ফেব্রুয়ারীতে সারে বার টাকা খরচ করে “চিত্রবাংলা” সাপ্তাহিক এ একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম “বহুদিনের বহু প্রতিক্ষিত ‘মা’ এর অপেক্ষায় আছি”। মা’র মৃত্যুর পর তাঁর অভাবের তীব্রতা আমাকে কেন এতটা উতলা করত তা জানিনা ! আরও অনেক ভাই-বোনের মধ্যে শুধু আমার ভিতরেই মা পাওয়ার ব্যতিক্রমী এ চিন্তা স্বভাবতই পরিবার এবং পরিবারের বাইরের কেও-ই মেনে নেয়নি। টিপ্পনী, বাঁকা চাউনি আর কত প্রকারের মন্তব্য যে আমাকে শুনতে হয়েছে ...। যাক যথারীতি বিজ্ঞাপনটি ছাপা হল। সে বছরেরই কোন এক বিকেলে ডাকপিয়ন এসে সরকারী খামের একটি চিঠি আমাকে দিল। বুঝতে পারছিলাম না কোথা থেকে এল। ওপরে প্রেরকের ঠিকানা লেখা নেই। অত্যন্ত কৌতুহল নিয়ে চিটিটা খুললাম। আশ্চর্য ! আমার ‘মা’ হওয়ার প্রস্তাব সুদুর যশোরের নড়াইল থেকে ! বার- বার, বহুবার চিঠিটা পড়লাম। মনের গভীরে ভীষন আলোড়ন আর সীমাহীন গতিতে কল্পনা ! সে কল্পনা কত যে ডালপালা, পাতা, শিরা উপ-শিরা ছাড়িয়ে মহাশূণ্যের কোথায়, কতদুর পর্যন্ত যে ছড়িয়ে পড়ল। টিউশনি, খাওয়া, ঘুম সব ধর্মঘটে গেল। অদম্য আগ্রহ নিয়ে মা’কে লিখতে বসবো ভাবছি, কিন্তু কি লিখবো ! যাক্- গভীর রাতে সাড়ে বার টাকায় পাওয়া অচেনা মা’কে প্রথম পত্র লিখতে বসলাম। কি লিখেছি মনে নেই ...। তারপর উত্তর এল, উত্তর গেল। উত্তর একটা এলো তো দু’ টো গেল। ডাকপিয়নের সাথে ভাব হলো ভীষন। নিয়মিত মা’র চিঠি না এলে ভালো লাগতো না কিছুই। ‘মা’র কথা সবার কানে গেলেও আমার একটি মাত্র বন্ধু ছাড়া আর কারও অন্তরে তাঁর তেমন স্থান হলো না। মা’র ঝাপসা একটা ছবি পেলাম। টেবিলের ড্রয়ারে আলাদা করে সযতনে মা’র চিঠিগুলো সাজিয়ে গুছিয়ে রাখি। মাঝে মধ্যে পুরোনো চিটিগুলো পড়ি। স্নেহ- ভালোবাসা মাখা মা’র হাতের লেখা প্রগাঢ় শ্রদ্ধা নিয়ে চেয়ে দেখি। মনের মধ্যে শত - সহস্র প্রদীপের আলো জ্বলে। মনের বাগানে লক্ষ-কোটি ফুল-প্রজাপতির মেলা। বাইশ বছর বয়সের সেই আমি ছোট শিশুর মত মায়ের আচলের ছায়ায় মায়ার সময় কাটাই । এ পৃথিবীতে তার চেয়ে প্রিয় আমার আর কেউ রইল না।
প্রায় ছয়মাস এক রকম আচ্ছন্নের মত সময় কাটলো। আমার সমস্ত কাজ, সমস্ত চিন্তার জগৎ জুড়ে ‘মা’ রইল কপালের চন্দন হয়ে। গর্ভে জন্ম না নিয়েও এমন করে ‘মা’ কে ভালোবাসা কোন অভিনয় ছিলনা, ছিল না কোন ছলনা কিংবা অতি ছেলেমানুষী। আমার শূণ্য হৃদয়ের সে আবেগ অনুভূতি নিস্পাপ এ সম্পর্ককে বিবেক বর্জিত বলেও কখনও ভাবেনি।
দেখার প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে অনেক গুলো লেখার পর অবশেষে সে বছরের আগস্টের শেষে অনুমতি পেলাম মা’কে দেখতে যাওয়ার। আমার চাঞ্চল্য, স্পৃহা কিংবা উগ্রতা সবকিছুকে সীমা ছাড়িয়ে গেল। অপূর্ব এক পাওয়ার পরিপূর্ণতার আশায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে পত্র লিখলাম মা’মনিকে। আমার এ যাওয়া যে কি যাওয়া আর এ যাওয়ার কেমন যে ফল-প্রাপ্তি ঘটবে এ দোলচালে শুধূই মন নিষ্পেশিত হচ্ছিল। তবে ‘মা’, তাঁর বাড়ী কিংবা পারিপার্শি¦ক যেকোন পরিস্থিতির জন্য শুধুমাত্র লজ্জা ছাড়া আর কোন বিরুপ চিন্তাই আমার মনে ঠাই পাচ্ছিল না। যাত্রার আগের রাতে মানসিক উত্তেজনা আর অদ্ভূত এক কষ্ট। ভোর ছ’টায় দ্রুতি পরিবহনের গাড়ীতে ছুটে চললাম যশোরের উদ্দেশ্যে। মা’র জন্য কিছুই নেয়া হয়নি শুধুমাত্র সুন্দর একটি চিরুনী ছাড়া।
দুপুরে যশোর পৌছে গাড়ী বদলে নড়াইলের বাসে চড়লাম। যতই ‘মা’র নিকটবর্তী হচ্ছি, আমি হয়ে যাচ্ছি মোহাচ্ছন্ন। আমার বিশ্বের মধ্যাকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু যেন ‘মা’। শেষমেশ নড়াইল-এ নেমে ভ্যানে চড়ে রওনা হলাম মাইজপাড়া, গড়ের ঘাটের উদ্দেশ্যে। সে সময়ে প্রচন্ড গরমে আমি অর্ধেক সেদ্ধ হয়ে গেলেও মা শীতল পরশ যেন আমার অন্তরে সুশীতল বারিপাত করছিল। নৌকায় একটা ছোট্ট শাখা নদী পার হয়ে মা’র বাড়ির ঘাটে পৌছালাম। ঘাটে বাসন-পেয়ালা মাঝা-ঘষা চলছিল। আমাকে দেখে কাজের মানুষ তার কিছু পানিতে ভাসিয়ে দৌড়ে সংবাদ দিতে পাড়ের ওপরে উঠে গেল। বাড়ীর উঠোনে দাড়িয়ে আমার সতৃঞ্চ নয়ন শুধুই মা’কে খুজছিল। এক মামা এলেন, ঘরে বসিয়ে কথা-বার্তা বল্লেন। ঘরের আশে-পাশের হরেক রকমের মানুষের ফিসফিসানি আমার কানে ভেসে আসছে--- অমুকের ছেলে আসিছে, দেইখে যা--- মৃদু হাসি, চুড়ির শব্দ। সবমিলিয়ে এক অদ্ভুত শিহরণময় পরিবেশ। আমি অপেক্ষা করছি মা’মনির। বেশ সময় পরে ‘মা’ আমার এলেন। প্রায় বোধ শক্তিহীন আমি ভালো করে ‘মা’কে দেখার আগেই তাঁর পায়ের মাটি কপালে ছোঁয়ালাম। ঘন্টা খানেক পর কিছুটা ধাতস্ত হয়ে কথার ফাঁকে ফাঁকে মা’কে দেখলাম মহাবিশ্বের মহাবিশ্বয় নিয়ে। অল্প-স্বল্প কথাতে জেনে গেলাম ‘মা’ আমার ইংরেজিতে অনার্স পড়ছেন। ছেলেমানুষী/খেয়ালের বসে আমাকে ছেলে বানানোর ঘটনায় তাঁর এ পরিণতি। তবে মা’র লেখায় বা আচরণে সন্তান সম সেনহো-ভালোবাসার বিন্দু মাত্রও কমতি ছিল না। যাক কল্পনা আর বাস্তবের মা’কে নিয়ে সে সময় মুহুর্তে মুহুর্তে আমার হৃদয়ে তাঁর অস্থিত্বের ভাংগা-গড়া চলছিল।
চারদিন কাটালাম মা’র কাছে। নানা-মামাদের আদর-স্নেহ, আমর মা’র স্বর্গীয় ভালোবাসায় পরিপূর্ণ সে দিন গুলো আজও আমার ফেলে আসা অতীতের শ্রেষ্ঠতম দিন।
চলে আসার সময় বার বার মনে হচ্ছিল মা’র কাছে আমার আত্মার সবটুকু শ্রদ্ধা-ভালোবাসা রেখে যাচ্ছি। কিন্তু এই ‘মা’ কি চিরদিনের জন্য আমার থাকবে !
ফিরে এসে লিখতে গিয়ে কলম ধরলেও লেখা আর আগের মতো এলো না। কেবলি মা’কে পর পর মনে হতে লাগলো। আর সত্যিইতো ‘মা’ আমার একদিন পর হয়েই যাবে।
লেখা-লেখি কমে গেল। ৮৬ -তে গ্রাজুয়েশন করে আমি বরিশাল, পরবর্তীতে খুলনায় চাকরীতে ৪/৫ বছর কাটালাম। ভাবনা থেকে ‘মা’ কিন্তু কখনও সরে যায়নি। বরং একাকীত্ব, নির্জনতায় আমার সদ্য হারানো অতীত যেন জোনাকীর মতো জ্বলছিল। কি ভেবে হঠাৎ একদিন মা’কে লিখলাম- ‘মা’ তুমি কত কাছে ! উত্তর এলো। রিভিউ মিটিং-এ ঢাকা আসার আগে একদিনের জন্য মা’কে দেখতে গেলাম। নানা, মা খুশী। মা’র লেখা-পড়া শেষ। তাঁর সামনে অজানা ভবিষ্যত। আমার ভিতরে চাপ চাপ অভিমান আর বিষাদ।
বিগত ত্রিশ বছরে দিনে, সপ্তাহে, মাসে- বছরে শত-সহস্র বার মা’কে কতইনা ভেবেছি। সহকর্মী-বন্ধু-বান্ধব- কে মা’র ইতিবৃত্ত শোনাতে গিয়ে কতবার চোখ জলে ভিজে গিয়েছে। কিন্তু ভোলা হয়নি জীবনে ঘটে যাওয়া এ অপরিনামদর্শী কাহিনী..।
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪০
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: আবেগীয় মায়াবী সম্পর্ক। পৃথিবীটাই একটা মায়া জাল। মাকড়সার মায়া জালে একবার জড়ালে নিজেকে আর ছাড়ানো যায় না। আপনার লেখায় বর্ননাশৈলির শিল্প অনেক মুগ্ধকর। পাঠে প্রীত হলাম।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
সামছুল আলম কচি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও অফুরন্ত ভালোবাসা!! জীবন আসলে এমনই। প্রত্যেকেরই ভিন্ন অভিজ্ঞতা, অনুভূতি!! আর অপ্রকাশিত কত যে কথা!! ভালো থাকবেন।
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার মা কত বয়সে পরলোক গমন করেছিলেন?
৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২
রানার ব্লগ বলেছেন: অদ্ভুত !!!
৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: বড় অদ্ভুত এই মানব জীবন!!
৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অপূর্ব অদ্ভুত মায়াজালে ঘেরা আমরা
আর মা নামটা শুনলেই বুকে সুখ হাওয়া বয়ে যায়
৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার লেখা ও জীবনের সাথে আমি মিল দেখছি না; আপনি আধা-সরকারী চাকুরী করতেন, এখনো হয়তো করেন; সেজন্য আপনার দায়িত্ববোধ কিছুটা কিংবা পুরোটাই সমস্যায় আছে; আপনি পোষ্ট দিয়ে চলে যান; কেহ মন্তব্য করলো কিনা, কারো কোন প্রশ্ন আছে কিনা, সেই বিষয়ে কোন ভাবনা আপনার নেই।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪
সামছুল আলম কচি বলেছেন: এভাবে অপমান করে লিখেন কেন ভাই?! সময় তো আমার ইচ্ছার দাস না!! আমি কর্পোরেশন জব করতাম। এখন পিআরএল শেষ। পেনশনে যাচ্ছি। i was the most responsible officer of that Corporation!! পিয়ন থেকে সচিব পর্যন্ত সামছুল আলম এর নাম শুনলে মন থেকেই শ্রদ্ধা করে এবং তা মহান আল্লাহ'র রহমতে আমার efficiency, proper & prompt decision making & higher responsibility + honesty এর জন্যে। যদিও জীবন থেকে অর্থ কষ্ট কখনও যায়নি। প্রশাসন ক্যাডারে চাকরির কোন দিনরাত ছিলোনা। ২৯ বছর এভাবেই কেটেছে। বাসায় কোন পিসি নেই। কেন নেই, তার উত্তর লিখলে দশ দিস্তা কাগজ লাগবে। আমার উত্তর পড়ে আপনি কি লজ্জা পাচ্ছেন। সত্য লিখতে আমি কিন্তু নিজেকে ছোট ভাবছিনা। তবে রাগ হচ্ছে এই ভেবে একালের অনেক লেখকদেরই শরৎ কিংবা সমরেশের মত উদার ও দয়ার্দ্র মনের অনুপস্থিতি দেখে!!!
আমার মা ১৯৬৯ এ মৃত্যু বরন করেছেন। আমি তখন ৬.৫ বছরের।
সাড়ে বারো টাকায় পাওয়া সে মা'র সাথে ২০০৫ সালে একবার দেখা হয়েছিল। প্রকৃত ভালোবাসা বোঝে একমাত্র শিশু ও জীবজন্তুরা। তাদের কিছুটা অনুভব আমার ভিতরেও হয়তোবা রয়েছে। তাই সেই মা'কে জগতে আর বিড়ম্বনা তৈরী করতে চাইনি। রবিঠাকুর পোস্ট মাস্টার গল্পে রতন সম্পর্কে যেমনটি বলেছিল, 'ফিরিয়া আর লাভ কি"...আমিও তেমনটি জীবনে বেছে নিলাম। ব্লগার ভাই, ভালো থাকবেন।
৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ আবেগ নিয়ে পড়লাম!
৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৮
সোনাগাজী বলেছেন:
ঠিক আছে, স্যরি; মন খারাপ করবেন না; পোষ্ট দিলে কিছুক্ষণ ব্লগে থাকবেন, পাঠকদের প্রশ্ন থাকতে পারে।
আমি জানতে চেয়েছিলাম, যেই তরুণ নারী আপনার প্রতি স্নেহ দেখিয়েছিলেন, তিনি কেমন আছেন, সেটা জানতে।
১০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৪০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনি মাকে অনেক ভালোবাসতেন। অন্যদেরও মা বাবাকে ভালোলবাসা উচিত। দোয়া করি মায়ের জন্য।
১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৫০
সোনাগাজী বলেছেন:
এটি আপনার জীবনের ১টি বড় স্মৃতি; আমার মন্তব্যটা মুছে দিয়ে, পোষ্টটাকে আবার পোষ্ট করেন।
১২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: সামছুল আলম কচি,
মহার্ঘ্য একটি প্রাপ্তি আপনার।
৭ নম্বর মন্তব্যের জবাবে রবিঠাকুরের পোস্ট মাস্টার গল্প উল্লেখ করেছেন। সে গল্পের মতোই আপনার অমন স্নেহময়ী এক কুমারী (?) মা পাওয়ার কাহিনী। "এ পৃথিবীতে কে কাহার!!!" তবুও এ পৃথিবীতে কেউ একজন "কাহার" জন্যে থেকে যায়। আপনার সাড়ে বারো টাকার মা'টি বারো ট্রিলিয়ন টাকার মতোই দামী হয়ে গেছেন আপনাকে সন্তান হিসেবে কাছে টেনে।
'ফিরিয়া আর লাভ কি" ? হয়তো লাভ নেই কিন্তু মনের ভেতরে আপনার সেই মায়ের আঁচলের নীচে আপনাকে যে বারেবারে ফিরতেই হবে জীবনভর.....।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫৮
সামছুল আলম কচি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শ্রদ্ধা। হা, সশরীর না হলেও ফেলে আসা অতীতে বার বার ফিরতে হয়। সময়ের প্রয়োজনে আমরা 'একে অন্যের'। সব সময়ের জন্য সবাইকে মিস করলে কেউ সুস্থ্য থকতো না। আমরা কিছু সময়ের জন্য কোন কোন মানুষকে মিস করি। অবশ্যই সে এক মহার্ঘ্য!! তাইতো এ লেখা। ভালো থাকবেন!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩৮
সোনাগাজী বলেছেন:
কখন যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে, শেষবার যখন যোগাযোগ হয়েছিলো, তিনি কি করছিলেন?