নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের ভাবনা চিন্তায় এমন কিছুর অদৃশ্য প্রভাব থেকেই যায়, যা মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বুঝতে পারা যায় না। ভাবনা চিন্তায় এসব ফাঁদ থেকে গেলে পারিবারিক, সামাজিক ও বড় স্কেলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে, ধ্বংসাত্মক পরিবেশও সৃষ্টি করা যায়। ২১ শতকে মানুষ পড়াশোনো করে শিক্ষিত হয়েছে বিধায় এটা সেটা বুঝতে চাচ্ছে এবং পেরেছে ; যার মাধ্যমে এসব তথ্য, জ্ঞান কাঝে লাগিয়ে নিজের ভাবনা চিন্তায় পরিবর্তন আনা সম্ভব হচ্ছে। ব্লগারদের মধ্যে বায়াস মুক্ত থাকা সম্ভাবনা থাকতে পারে, উনার দেশের শিক্ষিত স্যাম্পল।কিন্তু এতটাও শিক্ষিত নয় যে,"সাইকোলজি" পার্টের গবেষণা করে আলাদা থিউরীর জন্ম দেবে।
দেশের আকাশে চাঁদ রেডী হচ্ছে ঈদের জন্য, চাঁদটা কিছুদিন পর বড় হয়ে সবার চোখে পড়বে, কিন্তু কারও কারও চোখে পড়তে পারে চাঁদে কারও নুরানী চেহারা। সর্বশেষ "সাইদীর' চেহারা ভাড়া করতে আনতে হয়েছিলো। এসব ঘটলে ব্লগারেরা সংস্কার চেয়ে পোস্ট আনবে ব্লগে। কিয়ামত সোনার বাংলায় দেখার জন্য অনেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলো, কিছুদিন আগেও তেমন খবর মার্কেটে চালু ছিলো।ব্লগে এমন টাইপ কেয়ামত নিয়ে রম্য পোস্ট এসেছে,কিন্তু আসল কিয়ামত নিয়ে অনেক জ্ঞানগর্ভ পোস্ট আসে, জ্ঞান আহরণ করা যায় এবং মেনে নেয়া হয় ঐ কেয়ামত আমরা দেখে যেযেতে পারবো না। ব্লগে একজন নির্দিষ্ট ব্লগারের(ব্যান কিং) নিয়ে কিছু লিখলে 'কমেন্টের বন্যা শুরু হতে যেতে পারে, অন্য কিছুতে তেমন ঘটার সম্ভাবনা কম।ব্যাপারটা দেখলে মনে হয় : গ্রামের মেলায় বহদিন পর বায়োস্কোপ এসেছে, সবাই দল বেধে চোখ বসাতে চাচ্ছে।উপরে যা বলা হলো : এসব কোনো না কোনো বায়াসের প্রোডাক্ট। "Clustering Illusion,Availability Cascade,Hindsight Bias.
কিছু কমন বায়াস নিয়ে আড্ডায়ও আলোচনা হতে পারে, যার সম্পর্কে কিছু না কিছু তথ্য মগজে প্রসেস করাই থাকে। তেমন কমন কিছু বাদে, সহজেই বুঝতে পারা যায় না কিছু ব্যাপার হলো : Confirmation Bias, Survivorship bias, Availability bias & Cognitive resonance.
পূর্বের ধর্মপ্রচারকদের সাথে বর্তমান ধর্মপ্রচারকদের পার্থক্য কোথায়? পার্থক্য হচ্ছে : বর্তমানরা কখনো ভাবতে পারবে না যে,আমরা আগের তুলনায় ভালোমত উক্ত কাজ করতে পারি। একটা নির্দিষ্ট "Belief System" কে মাঝখানে রেখে পূজা করা যে ব্যাপার + প্রমাণিত করবার যে আপ্রাণ প্রচেষ্টা তা থেকে মুক্ত হবার সহসা পথ খোলা নেই। আবার Survivorship bias 'এ আপনি একটু সচেতন হয়ে সবার পয়েন্ট অব ভিউ যাচাই করলেও, "Invisible Failure " নিয়ে ততটা সচেতন থাকেন না।
সবকিছু মিলিয়ে,যা জানা আছে আশেপাশে তেমন মানুষ দেখলে শুধরে দিতে ইচ্ছে হয় নাকি উনাদের "বায়াস থেকে নিজে কিভাবে উপকৃত হওয়া যায়, সে চিন্তা কাজ করে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ক্যাচাল সহসা কোথাও যাচ্ছে না, ফিরবে, ফিরতেই হবে।
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৭
আমি সাজিদ বলেছেন: আমার চিন্তা ভাবনায়ও দৃশ্যমান ও অদৃশ্য প্রভাব রয়েছে। যার ভিত্তি গড়ে দিয়েছে শৈশব, কৈশোর, পরিবেশ, স্মৃতি ইত্যাদি। আপনার ক্ষেত্রেও তাই। তবে আপনি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে লিখেছেন যা প্রমাণ করে আপনি নিয়মিত নিজের ভাবনাগুলো নিয়ে কাজ করেন।
কম বয়সে আশেপাশের মানুষ দেখলে শুধরে দিতে ইচ্ছে হয়, বয়স বাড়লে সুযোগ নিয়ে উপকৃত হওয়ার মানসিকতা চলে আসে। আবার যেখানে তীব্র প্রতিযোগিতা, সেখানে কেউ কাউকে শুধরে দেয় না। সে সুযোগ নিবে তারও যে অন্য ত্রুটি নেই, সেটি বুঝার উপায়ও তো নেই। আমার ধারণা।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫২
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
বায়াসড এক্সপার্ট হতে পারলে সফলতা ধরা দেবার পসিবিলিটি বেশি।
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:১৯
অধীতি বলেছেন: লেখাটা বুঝতে কষ্ট হলেও শেষ পর্যন্ত কিছুটা বুঝতে পেরেছি।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৪১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ইদানীং লেখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে,সহজ ফর্মুলায় যেতে হবে।
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫১
কামাল১৮ বলেছেন: নিজে ভালো করে বুঝলে সহজ করে লেখা সম্ভব।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৫৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
কমেন্টগুলোয় শুধু একজনই বুঝতে পেরেছে দেখলাম।
৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:২৩
কিরকুট বলেছেন: আর একটু সহজ ভাবে বলুন। ক্যাচাল ছাড়া কোন সমস্যাই সমাধান পায় না।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৫৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
বায়াসমুক্ত মানুষ খুজে বের করার হোমওয়ার্ক দিতে চেয়েছিলাম।
৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:০০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশের শিক্ষিত লোকেরাই বেশী দুর্নীতি আর দলবাজি করে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দিকে দেখলেই বোঝা যায়। এই শিক্ষা প্রকৃত শিক্ষা না। আমাদের দেশের ৯০% প্রতিষ্ঠিত শিক্ষিত মানুষ জ্ঞানপাপী। এই কারণে এই দেশের এই অবস্থা। এনারাও বিভিন্নভাবে বায়াসড।
আপনি অনেক টেকনিক্যাল টার্ম ব্যবহার করেছেন। উদাহরণ সহ বললে মানুষের পক্ষে বোঝা সহজ হত। সাইকোলজির থিউরি সবার পক্ষে বোঝা সহজ না।
কেউ কম বায়াসড কেউ বেশী। একদম বায়াসড না এই রকম মানুষ কম। নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করতে পারা একটা বড় গুণ। কিন্তু আমরা লোভের কারণে, আবেগের কারণে, ক্রোধের কারণে, স্নেহের কারণে, হিংসার কারণে, স্বার্থের কারণে অথবা মানুষের দেখাদেখি বায়াসড হয়ে যাই। অনেক আপাত বিবেকবান লোককে দেখা যায় কিছু জায়গাতে বায়াসড। কারণ হল এটার সাথে তার লোভ, ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং প্রাপ্তি জড়িত।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৫৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আপনি পোস্ট থেকে সারমর্ম তুলে ধরেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: কতিপয় ব্লগারকে ব্যান রাখার ফল ব্লগবাসী পেতে শুরু করেছে। যেদিন থেকে ব্যান করা হয়েছে, সেদিন থেকে ব্লগে ক্যাচাল নেই।