নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার খুব পরিচিত আত্নীয়ের সন্তানের বয়স ৫/৬ বছর হবে, ছেলে সন্তান। ফিন্যানসিয়্যাল অবস্থা এত আহামরি না হলেও, ছেলের বাবা/মা নিজের জীবনের ছোটবেলার অপূর্নতা ঘুচতে ছেলের জন্য খেলনার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। সর্ব্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার খেলনা থেকে শুরু করে সম্ভবত ১০/২০ টাকার খেলনাও আছে ;খেলনার জন্য একটা রুম বরাদ্দ করা। যাই হোক,আমার কিছু ব্যক্তিগত কারণে উনাদের বাসায় থাকতে হয়েছিলো অনেক দিন,তাই মাঝে মধ্যে আমি উনাদের ছেলে মানুষ করার বিদ্যা বুঝতে চাইতাম, তবে কখনো কিছু বলার প্রয়োজন মনে করতাম না।
গতকাল ছেলেটি ১০/২০ পদের খেলনা সাজিয়ে নেড়েচেড়ে দেখছে, আমি গিয়ে পাশে বসলাম। সাথে ওর বাবাও ছিলো, আমি বললাম ' তোমার অনেক খেলনা আমার তোমার মত অনেক বন্ধু আছে ওদের কোনো খেলনা নেই, তুমি যদি কিছু খেলনা শেয়ার করো ওরা খুব খুশি হবে। তুমি কি দিবে??সে কাঁদো কাঁদো হয়ে ২/৩ মিনিট টোটালি না করলো, এগুলো আমার দেয়া যাবে না, ওরা কিনে নিবে।পরে ওর বাবা কিছু একটা বলাতে সে চিন্তা করতে লাগলো, কত পুরোনো, এখন তেমন পছন্দ নয়, এমন খেলনা দেয়া যায় কিনা। সে কিছু খেলনা দিলো, যেগুলো তেমন খেলার উপযোগী ছিলো না। পরে আমি বললাম, তুমি যদি তোমার পছন্দ থেকে কিছু খেলনা দাও তাহলে ওরা আরও বেশি খুশি হবে, তারপর সে না দেবার জন্য অনেক কথা বলতে লাগলো, যেমন- ওদের বাবা ভালো হলে কিনে দিবে,আমার খেলনা ভেঙে গেলে আমার খারাপ লাগবে এমন টাইপ। সে নিজের কিছু পছন্দের খেলনা বের করে সাজালো, তবুও সেখান থেকে কিছু দিলো না, আম্মু নাকি কিছু বলবে,আম্মুকে জিঙ্গেস করতে হবে।
আম্মু থেকে পারমিশন নিয়ে এসে, কিছুটা খেলার উপযোগী খেলনা দিয়ে বললো , ওদের দিও এবং খেলা শেষে রাতে নিয়ে আসবে।আমি তো বললাম,এগুলো দিয়ে দিলে আনা যাবে না এবং সে বললো "আম্মু আমাকে বকা দিবে। আমার যতটুকু মনে পড়ে, একবার এক বাচ্চা ওর সাথে খেলতে আসায় ওর আম্মু খেলনা লুকিয়ে রাখতো,কারণ বাচ্চাটি নাকি নিজের বাসায় নিয়ে যায়,পুরোনা ভাঙা খেলনা বের করতো এবং পরে বাচ্চাটির আম্মুর কাছে গিয়ে গল্প করতো ওরা খুব ভালোমত খেলনা দিয়ে খেলে, নতুন খেলনা পেলে উৎসাহী হয়,;তবে বাস্তবতা তেমন ছিলো না মোটেও। কিন্তু আমি গতকাল উনাদের প্যারেন্টিং স্কিল সম্পর্কে একটু ধারণা পাওয়া গেলো, যা ৫/৬ বছরের পরিশ্রমের ফল।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫০
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আমার কিছুটা আগ্রহ জন্মেছে।
তবে আমা্র নিজের ও আশপাশ থেকে কিছু ডাটা এন্যালাইজ করা হয়েছে ; যেমন - আজ ঢাকার রাস্তায় চোখে পড়েছে একজনের সাথে সিএনজি ড্রাইভারের মারামারি, একটু পর দেখলাম ছেলের মা ড্রাইভারকে মারার জন্য হাতে জুতা নিয়ে এসেছে, ঠিক তখনি আমার মাথায় এসেছে যে এমন মা ছিলো বিধায় ছেলে ড্রাইভারের সাথে সম্ভবত মারামারিতে জড়িয়েছে।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৬
শায়মা বলেছেন: আমি যখন বাচ্চাদেরকে বলি আমি তোমাদের বাসায় যেতে চাই। তখন তারা অনেক খুশি হয়ে বলে চলো চলো কবে যাবে?
একটা বাচ্চা পেয়েছিলাম সে বলতো, প্লিজ আমাদের বাসায় আসবে না। আমার আম্মু খুব রাগ করবে। আমার বাবার অনেক কম টাকা আছে যা দিয়ে সে শুধু আমাকেই পিজ্জা চকলেট কিনে দিতে পারে। আর কারো জন্য পারবে না।
হা হা
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আম্মু রাগ করবে, বকা দিবে " এসবের উপর বড় হচ্ছে বাচ্চারা।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৮
শায়মা বলেছেন: হা আর এসব মনটাকে ছোট করে দিচ্ছে প্রান খুলে বড় হতে পারছে না তারা।
বাবা মায়েদের শাসনে বারণে মিশে থাকছে কঠিন কঠোর বাস্তবতা যা কোমলমতী শিশুদের জন্য সঠিক নহে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
সঠিক ; আদর- শাসনের ব্যালেন্সিং স্কিল কঠিন মনে হয়।
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:২৪
দারাশিকো বলেছেন: বাচ্চাদেরকে শেখানো খুব একটা সহজ কাজ না। এমন অনেক বাচ্চাকেই দেখেছি যাদের বাবা মা নানাভাবে শেখালে মোটিভেট করলেও খেলনা ছাড়তে রাজি হয় না। এটা অবশ্য শুধু বাচ্চাদের ব্যাপার নয়। আমি অনেক দিলদরিয়া মহিলাকে দেখেছি যারা অপরের প্রয়োজনে টাকা খরচ করতে রাজী কিন্তু নিজের উদ্বৃত্ত থেকে দান করতে রাজী হন না।
তবে ভাই। একটা বাচ্চাকে দেখেই বাবা মায়ের প্যারেন্টিং স্কিল সম্পর্কে ধারণা না করাই উত্তম।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৪৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আলটিমেট ডিসিশনে পৌছাতে চাইনি,তাই স্কিল সম্পর্কে ধারণা করছি এবং বাচ্চাটা মাকে ভয় পায়।
৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৪৯
কামাল১৮ বলেছেন: বাচ্চাকে নিজের মতো বড়হতে দেয়াই ভালো।সে তার খেলনা অন্য কে দিবে কি দিবে না সেটা তার স্বাধীনতা।তার স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ করলে তা বিকাশে বাধাগ্রস্ত হবে।তবে প্রাণ খুলে আলোচনা করতে হবে।শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করা ঠিক না।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
প্রাণখুলে আলোচনা বাচ্চাদের সাথে করা যায় নাকি?
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:০৩
কামাল১৮ বলেছেন: অবশ্যই যায় তবে সৃষ্টি তত্ত্ব নিয়ে না।সব বয়সের বাচ্চাদের সাথেই আলোচনা করা যায়।বাবু তুমি খেয়েছো।এটাই তার সাথে আলোচনা।
প্রান খুলে আলোচনা বলতে আপনি কি বোঝেন?আমি বুঝি কপোট বা কৃত্তিম না।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
বিভিন্ন প্রশ্ন করলে বাচ্চারা কি ভাবছে তা বুঝা যায়, তখন সঠিকটা বলে দেয়া যায়।
৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: কোনো কিছু নিয়েই আর আগ্রহ নাই।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আপনার বয়সে পৌছি তখন হয়তো আমারও থাকবে না কিছুতে।
৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১০
কামাল১৮ বলেছেন: বাচ্চাদের সব সময় সহজ করে সত্যটা বুঝাতে হবে।মিথ্যা প্রবোধ দেয়া একদম উচিত না।মিথ্যা আশা দেয়াও উচিত না।বাচ্চাদের হাজারো প্রশ্ন করতে উৎসাহীত করতে হবে।বাচ্চার সাথে বাচ্চার মতোই মিশতে হবে।
এই বিষয়ে জানতে হলে অনেক বই পাওয়া যায়।সায়মার বিদেশে ভালো ট্রেনিং আছে।তার কিছু লেখাও আছে ব্লগে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
যত প্রশ্ন, তত প্রসারণ।
৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৩
কামাল১৮ বলেছেন: শায়না হবে
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
শায়না নাকি শায়মা?
১০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
বাচ্চা বড় করা অনেক কঠিন কাজ।
বাচ্চা বড় করতে গেলে পিতামাতার অনেক কিছুই মাথায় থাকে না।
তবে বাচ্চারা নিজে থেকেই অনেক ভালো কিছু শেখে। উহারাই পারফেক্ট।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
পিতামাতার ভুলে যাওয়া সেই সব অনেককিছুর মধ্য থেকেই বাচ্চাদের বেড়ে উঠায় খুব গুরুত্বপর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করে মাঝেমধ্যে।
১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: নিত্য নতুন অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়ে যাচ্ছি।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
অভিজ্ঞতাসমূহ লিখুন এখানে।
১২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের বাসায় ৫ টা বাচ্চা। এই ৫টা বাচ্চা চোখের সামনে বড় হচ্ছে। অনেক কিছু জানছি। দেখছি। ভালো লাগে।
এই পোষ্টে কামাল১৮ সাহেব ভালো মন্তব্য করেছেন।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আপনার কন্যাসমাচার সযতনে তুলে রাখুন।
১৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১৯
শাওন আহমাদ বলেছেন: পরিবার পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ আর বাবা-মা সেই বিদ্যাপিঠের শিক্ষক। আমাদের নৈতিক শিক্ষাটা পরিবার থেকেই আসে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
বাঙালী বাবা-মা থেকে নৈতিক শিক্ষা পায় তারপর সমাজে এসে অনেক কিছুই আমূল পরিবর্তিতত হয়ে যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৬
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার নিরীক্ষা হয়েছে ১ পরিবারের ১ বাচ্চার উপর; এই ডাটা থেকে কিছু বলতে চান?