নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.....

শূন্য সারমর্ম

কঠিন সত্য কি মানুষ বদলাতে পারে?

শূন্য সারমর্ম › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিল্লা পছন্দ করা মানুষগুলো তুরাগ তীরে ভীড় করেছে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:০৫



ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ, দ্বিতীয় পর্ব ফজরের পর শুরু হবে মানুষ ভিড় করছে, গতকাল দেখলাম মসজিদের সামনে গাড়ি পার্ক করা এগিয়ে আসতেই দেখি ইজতেমার গাড়ী, মসজিদসহ আশপাশের পরিবেশ দেখে মনে হলো আজ চাঁদ রাত,হাসিখূশি সবকিছু,ব্যবসা জমছে, মানুষজন ব্যাগ গুছিয়ে নিচ্ছে। মিডিয়ায় কিছু খবর চোখে পড়েছিলো ১ম পর্ব নিয়ে, এই যেমন : ব্যবহার্য পানিজনিত সমস্যা,ময়দানে মৃত্যু ও ঢাকার ট্রাফিক সিস্টেমের অবস্থা। সবচেয়ে বেশি দৃষ্টিকটু লেগেছিলো একটা স্থিরচিত্রে তা হলো : বাসের ছাদে নামায আদায়। অনেক মানুষ হয়তো ভাবছে মোনাজাতে অংশীদার হতে হবে,যেভাবেই হোক।আপনারা যারা ঢাকায় থাকেন ইজতেমায় যাবেন বা ১ম পর্বে গিয়েছেন?

চিল্লা সম্পর্কে নিশ্চই জানেন,ওখান থেকে কার্যক্রম শেষ করে এসে মানুষের মাঝে কেমন পরিবর্তন দেখেছেন? আমার দিক থেকে বলি : বয়স্ক একজন ছিলো পরিবার/সমাজ ছেড়ে চিল্লা করে বেড়াতো , এলাকায় সেমি -মোড়ল, সামনাসামনি কথায় কেউ পারবে না, পড়াশোনা করেনি তাই জীবনে বির্তকে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নেই।
পেছনে কেউ ভালো বলতে আজ পর্যন্ত শুনিনি; উনি নাকি বিশ্ব বৃটিশ, বাহ!!

বয়ঃসন্ধি ক্রস করার সময় ছেলেমেয়েদের যে পরিবর্তন দেখা দেয়,ঐখানে হেদায়াতের ছোয়া লাগাতেই ছেলেকে চিল্লায় পাঠিয়ে দিয়েছিলো একজন পরিচিত বাবা যা এখন চিল্লার পরিমাণ কমলেও বন্ধ হয়নি ; বছরের পর বছর দেখে আসছি ছেলে মাদকাসক্ত,ভালো হয়নি; কথা শুনলে মাঝেমধ্যে মনে হয় তালেবানী প্রভাব কিছুটা আছে।পড়াশোনা বাদ দিয়ে চিল্লায় ডুকে হেদায়াত হয়েছিলো অনেকের ডেফিনিশনে; আমার দেখায় তাদের একজন সিএনজি চালায়, বছরে বছরে মাহফিল/চিল্লায় ঘুরে বেড়ায়। সুখী মানুষ মনে হয়; সালাম দিয়ে কথা বলে, আয়াত/হাদীস ঠোটের ডগায় থাকে। কোনো আড্ডায় জোট বেধে থাকা তরুন প্রজন্মের কাছে গিয়ে সবচেয়ে হতাশা কাজ করে উনার বেশি, প্রজন্ম কথা শুনতে চায় না, উঠে এদিক সেদিক চলে যায়।

সমাজে,মননে,মগজে চিল্লার প্রভাব কেমন; আপনারা যা দেখেছেন জানাতে পারেন,তুরাগের পাড়ে থাকা মানুষগুলো ঠান্ডা উপেক্ষা করেও অনুভব করছে সম্ভবত।ইজতেমার ইতিহাস ইন্টারনেট পড়া যায়,জানা যায় ; তুরাগের ময়দানে থাকা মানুষগুলো জানে কিনা। ব্লগে কেউ লিখেছিলো কখনো ইতিহাস নিজের মত করে।


মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:২২

ফেরদৌসী মাসুদ বলেছেন: ভালো পাঠক না হ‌ওয়ার কারনে , দুই বার পড়েও বুঝতে পারলাম না।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:২৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আপনার আগুন আমার আগুন মিলে গেছে, তবুও বুঝতে পারেননি কেন? - আমি বলতে চেয়েছি চিল্লা থেকে ফেরত আসা মানুষের ভিতরে কি কি পরিবর্তন দেখা যায়, তা শেয়ার করা।

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:০৫

সোনাগাজী বলেছেন:




আমি ব্রুকলীনের মসজিদে এদের দেখেছি, এরা মোটামুটি বেকুব ধরণের লোকজন।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বিশ্বব্যাপী ঘুরে বেড়ায়,দাওয়াতি কাজকারবারে।

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:০৫

কামাল১৮ বলেছেন: তৃতীয় পর্বের অপেক্ষায় আছি।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


৩য় পর্ব নেই মনে হয়।

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০১

শেরজা তপন বলেছেন: চিল্লা আমার অপছন্দের একটা বিষয়। ঘর সংসার ছেড়ে মাসের পর মাস চিল্লা অনেকটা বৈরাগ্যবাদের মত।
ইসলাম নাকি বৈরাগ্যবাদ সমর্থন করে না। অনেক অভাবী মানুষ আছে যারা পরিবার পরিজন আল্লাহর হাওলায় ছেড়ে দিয়ে নিজে চিল্লা করে একটু ভাল-মন্দ খাওয়াদাওয়া করে আসেন।
আমার দু'য়েকজন বন্ধু চিল্লা দেন। তারা মানুষ হিসেবে খারাপ নয় তবে বেশী কথা বলে আর দেখা হলেই সুদীর্ঘ সময় ধরে নসিহত দেয়।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


চিল্লায় থাকার ফলে যে প্রাকটিস হয়, তাদের বিভিন্ন ওয়াজ/মাহফিলে বয়ান করে তেমন সফলতা দেখা যায় না।

৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১০

কামাল১৮ বলেছেন: দ্বিতীয় পর্বও ছিল না।হতে কতোদিন।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

বুঝতে পেরেছি, সাদ ও জুবায়ের বাদে সিরিয়ালে কে আছে।

৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধর্মীয় বিশ্বাসে যে যেভাবে ইবাদত করে শান্তি পায় সেভাবেই করুক।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

জ্বী ' করুক। সুখ অনুভব করে সুখী হোক।

৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: আইন করে এসব চিল্লা ফিল্লা বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


এভাবেই চলবে।

৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমি চিল্লায় গিয়েছি কিন্তু তুরাগে যাইনি কখনো এখনো

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ব্লগারদের মাঝে আপনি চিল্লায় গিয়েছেন।

৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বছর বছর ইজতেমায় লোক বাড়ছে। তারমানে এটার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তবে বড় সংগঠনে কিছু সমস্যা থাকতেই পারে। এটাকে ভারতের তাবলীগ জামাত কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচালনা করে থাকে। এক সময় আল্লাহর ওলিদের দ্বারা তাবলীগ জামাতের শুরু হয়েছিল। ভারতের মওলানা ইলিয়াস এবং শায়খুল হাদিস মওলানা জাকারিয়া এটার সূচনা করেন এবং দিক নির্দেশনা দেন। দুই জনেই অত্যধিক পরহেজগার এবং বুজুর্গ ছিলেন। পরবর্তীতে আরও অনেক বুজুর্গ এতে শরিক হন। উইকিপিডিয়া থেকে তাবলীগ জামাত সম্পর্কে কিছু তথ্য দিলাম।

আন্তর্জাতিক প্রচারণাঃ
১৯৪৬ সালে হেজাজে (পশ্চিম সৌদি আরব) এবং ব্রিটেনে সংগঠনটির প্রথম বিদেশী প্রচারণা সফর পাঠানো হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে এবং ১৯৭০ ও ১৯৮০র মধ্যবর্তী সময়ে ইউরোপ মহাদেশেও তাবলীগ জামাত একটি বৃহত্তর অবস্থান প্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৬০-এর দশকে এটি ফ্রান্সে কাজ শুরু করে, এবং ১৯৭০ থেকে পরবর্তী দুই দশকে এটি লক্ষনীয়ভাবে প্রসারিত হতে থাকে।

ইউরোপে, তাবলীগ জামাত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দিকে মনোনিবেশ করে - অর্থাৎ যারা "ইউরোপীয় সংষ্কৃতিতে প্রবেশাধিকার হতে বঞ্চিত প্রবাসী কর্মী, 'হতাশ ও আত্মহারা' কিশোর-কিশোরী এবং মাদকাসক্ত"। ১৯৭০ থেকে ১৯৮০-এর মাঝামাঝি সময়ে, সংগঠনটি জনপ্রিয়তা ও সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে পৌছায়, এবং এরপরই এ অবস্থার অবনতি ঘটে (ফ্রান্সে এই অবনতি শুরু হয় আনুমানিক ১৯৮৯ সালে) কারণ ইউরোপে শিক্ষিত মুসলিম পরিবারের তরুণ যুবকেরা "তাদের ধর্মের আরও অধিক বুদ্ধিবৃত্তিক কাঠামো" অনুসন্ধান শুরু করে, এবং সালাফি ইসলামের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ২০০৪ ফ্রান্সে ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব মুসলিম ফেইথে তা তুলে ধরা হয়। ২১ শতকের প্রথম অর্ধ-দশকে তাবলীগ জামাত ফ্রান্সে একটি বৃহত্তর পুনর্জীবন লাভ করে, যার ফলে ২০০৬ সালে এর অনুসারীর সংখ্যা ১০০,০০০-এ পৌছায়। তবে, ইউরোপে সংগঠনটির বর্তমান দৃষ্টি হল যুক্তরাজ্যের দিকে, যার প্রধান কারণ হল ১৯৬০-এর দশক হতে দক্ষিণ এশিয়ার একটি বিশাল জনগোষ্ঠী এখানে অভিবাসিত হতে শুরু করেছে। ২০০৭ সালের মধ্যে, তাবলীগ জামাতের সদস্যগণ বৃটেনের ১,৩৫০ টি মসজিদের মধ্যে ৬০০টিতে নিজস্ব জামাত প্রতিষ্ঠা করে।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর, আন্দোলনটি মধ্য এশিয়ায় তাদের প্রচারে মনোনিবেশ করে। ২০০৭ সালের হিসাব অনুযায়ী, কিরগিজস্তানে তাবলীগ জামাতের সদস্য ছিল আনুমানিক ১০,০০০, যাদের অধিকাংশ সদস্যই সংগঠনের পাকিস্তানি সদস্যদের কাছ থেকে প্রারম্ভিক অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের অনুমান অনুসারে, ১৫০ টিরও অধিক দেশজুড়ে তাবলীগ জামাতের ১.২ থেকে ৮ কোটি অনুসারী রয়েছে। তাবলীগ জামাতের অধিকাংশ অনুসারী দক্ষিণ এশিয়ায় বাস করে। তাবলীগ জামাতের আনুমানিক প্রায় ৫০,০০০ সদস্য যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় রয়েছে।

ভিয়েতনামে চামস জনগোষ্ঠীর মুসলিমদের মাঝে সালাফি মতবাদ সম্প্রসারণের একটি উদ্যোগ ভিয়েতনাম সরকারের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের দ্বারা রদ করা হয়, যা সেখানে তাবলীগ জামাতকে আরও অধিক সুবিধা দিয়েছে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


লম্বা ইতিহাস তুলে ধরেছেন,ভালো।

১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাবলীগ জামায়াতের বয়ান শুনতে ভালো লাগে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ওয়াজ/মাহফিল দক্ষতা কেমন?

১১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৩৪

বিটপি বলেছেন: "১৯৭০ থেকে ১৯৮০-এর মাঝামাঝি সময়ে, সংগঠনটি জনপ্রিয়তা ও সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে পৌছায়, এবং এরপরই এ অবস্থার অবনতি ঘটে (ফ্রান্সে এই অবনতি শুরু হয় আনুমানিক ১৯৮৯ সালে) কারণ ইউরোপে শিক্ষিত মুসলিম পরিবারের তরুণ যুবকেরা 'তাদের ধর্মের আরও অধিক বুদ্ধিবৃত্তিক কাঠামো' অনুসন্ধান শুরু করে, এবং সালাফি ইসলামের দিকে ঝুঁকে পড়ে।"

এরপরেও তাবলীগ জামাত টিকে থাকবে কারণ হলঃ

"ইসলাম নাকি বৈরাগ্যবাদ সমর্থন করে না। অনেক অভাবী মানুষ আছে যারা পরিবার পরিজন আল্লাহর হাওলায় ছেড়ে দিয়ে নিজে চিল্লা করে একটু ভাল-মন্দ খাওয়াদাওয়া করে আসেন।"

অভাবী মানুষের সংখ্যা কখনও কমবেনা। তাই তাবলীগ টিকেই থাকবে।


২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আপনি কি চান তাবলীগ টিকে থাকুক?

১২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫০

বিটপি বলেছেন: এদেশে যদি প্রত্যেকটি কর্মক্ষম তরুণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় - তবে আমি কোনভাবেই চাইবোনা তাবলীগ টিকে থাকুক। নইলে এদেশে কর্মহীন মানুষের দ্বারা ঘটা অপরাধমূলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে তাবলীগের দরকার আছে বলে আমি মনে করি।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বুঝা যাচ্ছে,তাবলীগ সহসা কোথাও যাচ্ছে না।

১৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ আর কবে বুঝবে- মাদ্রাসা, মসজিদ, ইজতেমা, হজ চিল্লা ফিল্লা কোনো কাজের জিনিস নয়।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


পাগলা মসজিদের দানবাক্সে কোটি টাকা পাওয়া যায়,এটাকে কাজে লাগানো হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.