নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুঁজির লোভ ছেড়ে ছদ্মবেশ নিয়েছিলাম হেয়ালীর। কিছুকাল জ্ঞানীদের মস্তিষ্কে হারিয়ে গিয়ে অবনমন শিখেছি,নিউরনের বিলাশীতা আঁচ করেছি; দার্শনিকদের মগজ ঘেটে সভ্যতার প্রভাব দেখেছি, সমান্তরালে চলার মতবিভ্রান্তি বুঝতে চেয়েছি; ধর্মপ্রচারকদের ধ্যানে কি থাকে? দূর থেকে অস্পষ্ট দেখে যাবার চেষ্টা করেছি বছরের পর বছর।
চোখ বন্ধ করে আর চোখ খুলতে না পারার আক্ষেপ কোনোদিন মিটবে না। সময়ের অপব্যয়ী মানুষ কেদে উঠে;ধুমড়ে মুচড়ে নিয়ে যায় ভিতরে। স্মৃতি ভাসে, পাপ ভাসে;পাপের কাতার থেকে নাম মুছতে কল্পনায় ইরেজার ব্যবহার করে;ঢোক গিলে। ভয় পায় কিসের তাড়নায়। প্রতিটি নিশ্বাসের ওপারে কি থাকে.? অক্সিজেন কি শুধু নিলেই হয়,দায়িত্ববোধ বহন করে না? পরিচিত সমাজ মিটমিট হাসে, আস্তে আস্তে হাসিটা পরিণত হয় অট্রহাসিতে।মানুষ অমানুষ হয়। যুগ বদলায়। যুগ বদলানোর কারিগররা একসময় ঘুমিয়ে পড়ে। অমানুষের সংখ্যা কমে না। কুকুরকে রাস্তায় সংগম করতে দেখে, অমানুষ মজা নেয়। ঢিল ছুড়ে। প্রিয় মানুষ তীর ছিড়ে চলে যায় স্বার্থসাধনে, লোভে পড়ে।
কষ্ট একসময় নিংড়ে রোদে শুকাতে দিয়েছিলাম।লাভ হয়নি;বৃষ্টি এসেছিল। রাতের আকাশে চাদঁ নিয়ে কল্পনায় হারিয়ে যেতেই পেচাঁর ডাকে পেচাঁকে আপন করতে হয়েছিল। ইনসমনিয়ায় ভুগতে ভুগতে মস্তিষ্কের গঠন পরিবর্তিত হয়েছিল।ভরদুপুরে লাশ নিয়ে যেতে দেখেছি;পিছু নিয়েছি, সবাই কার্যসম্পাদন করে চলে যাবার পর অনেক বছর অপেক্ষা করেছি। রোদে পুড়েছি, বৃষ্টিতে ভিজেছি, হুশ ফিরতো বজ্রপাতের শব্দে। দিনের পর দিন লাশের মাটির ক্ষয় দেখেছি। কতবার যে জিগ্যেস করেছি "কেমন আছেন ভিতরে.? উত্তর আসেনি।এখনও আসেনা।
আগের মত আর টানে না নতুন লাশ, শশ্মানে পোড়ানো গন্ধ, মর্গের বিভীষিকা। গতকাল কাদঁতে বসেছিলাম সর্ব শক্তিমানের সামনে। অভিনয় করেও পারিনি;মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে অন্যশক্তি। মনে হয়েছিলো রেললাইনে গিয়ে শরীরকে দ্বিখন্ডিত করবো কি? কখনও মানুষ হত্যা করিনি, নিজেকে প্রতিনিয়ত মারি;তলিয়ে যাই অতল গভীরে। কেদেঁ উঠি;অন্ধকার রুমে কয়েকমাস মানুষিক রোগীর মত আচরন করেও সুখ পাইনি, তৃপ্তি পাইনি। সাদা কাগজে ডিপ্রেশনের ১০০ পয়েন্ট উল্লেখ করে রচনা লিখেও কাজ হয়নি। পোড়াতেই হয়েছে সেই কাগজ;পোড়াদাগ সরে না ভিতরে থাকা অন্তরে; গন্ধ পাই। চুলকায় মাঝেমধ্যে।মুগ্ধতা হারিয়ে গেছে।সিগারেটের ধোয়া দিয়ে চারপাশ ঘিরে রেখেও মুক্তি পাইনি। চোখের সামনে বাচ্চা নিমগাছ অশরীরী হয়ে গেলো। মানুষ কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান কল্পনায় থরকে বাস্তবে রূপ নিলো। তবে আমার নিজের কৃষ্ণগহ্বর ব্যাখ্যার জন্য ইচ্ছা হয় সূএ নিয়ে বসি;আজ হাতে কলম আছে, মগজের ধারে বর্ণমালা আছে, ব্যবহার টুকটাক শিখতে শুরু করেছি। তবুও এখনও ইরেজার হাতে নিয়ে পাপ মুছি, অন্যায় লিখে "ন কেটে দেই।
১০ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১৪
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
পঠনের জন্য ধন্যবাদ।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১৬
সোনাগাজী বলেছেন:
ইহা কি আমাদের তরুণদের জাতীয় সংগীত?
১০ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
হতে পারে ; যদিও রবীন্দ্রনাথের মত সুর দেয়া সম্ভব কিনা বলা কঠিন।
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০৮
সোবুজ বলেছেন: বক্তব্য সুন্দর কিন্তু একটু কঠিন।অনেক দিন পর মনে হলো সিকদার আমিনুল হকের কবিতা পড়ছি।
১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫০
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ফিডব্যাকের জন্য ধন্যবাদ ; সিকদার আমিনুল হক কে?
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০৪
সোবুজ বলেছেন: সিকদার আমিনুল হক একজন প্রখ্যাত কবি।আধুনিক কবিদের অন্যতম।গুগলে সার্স দিন পেয়ে যাবেন।
১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
কলকাতায় জন্ম ঢাকায় মৃত্যু ;মাঝখানে ২২ টি গ্রন্থ।
৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: হতাশা কাটানো যায় কি করে? সেটা বলেন?
আপনি তো নিজের হতাশা অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
১১ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:২১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
জ্ঞানার্জন করে কাটানো সম্ভব।
৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৪৫
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি কাল্পনিক_ভালোবাসার পোষ্ট কমেন্ট করে আপনার অবস্হা জানায়েছেন?
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
না, থাকুক দেখি কতদিন যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৩৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমাদের ব্লগের অনেক কবিরই উচিত এই গদ্যাংটুকু পাঠ করা।
শব্দের গাথুনিতে তৈরি মজবুত প্রতিটি বাক্য রচনার জন্য + রইলো।