নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

৬ আগস্টঃ বিংশ শতাব্দী\'র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একজন স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং-এর জন্মদিন আজ

০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২৭



''অপ্রস্তুত মন কখনো সুযোগের প্রসারিত হাত দেখতে পায় না।''

ইম্পেরিয়াল ওয়ার মিউজিয়ামের সংগ্রহশালা থেকে প্রাপ্ত পোস্টে দেওয়া ছবিটি যে মহান ব্যক্তির সেই স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং উপরের কথাগুলো বলেছেন। কৃষক পিতা'র ঘরে জন্ম নেওয়া আলেকজান্ডার ফ্লেমিং মাত্র ৭ বছর বয়সে বাবাকে হারান। স্কটল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করা তরুণ এই চিকিৎসক এবং মাইক্রোবায়োলজিস্ট প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্রিষ্টিশ রয়্যাল আর্মি মেডিকেল কর্পসের একজন ক্যাপ্টেন হিসেবে ফ্রান্সে রণাঙ্গনে অংশগ্রহণ করেন।

১৯২১ সালে ফ্লেমিং নিজের নাকের সর্দি কিছু ব্যাকটেরিয়ার কালচারে ফেলে তা মিশ্রিত করে কয়েক দিন পরীক্ষা চালান। এরফলে, এন্টিসেপটিক এনজাইম লাইসোজাইম আবিষ্কৃত হোয়। এই লাইসোজাইম ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। আজ লাইসোজাইম ঠাণ্ডা এবং গলার সংক্রমণের চিকিৎসায়, ক্রীড়াবিদদের পা রক্ষায় এবং খাদ্য সংরক্ষনে ব্যবহৃত হয়।

সত্যি করে বললে, পেনিসিলিন আবিস্কার আসলে হঠাৎ করেই হয়েছিলো। ফ্লেমিং তখন স্ট্যাফাইলোকোকি নিয়ে গবেষণা করছিলেন। স্টাফ সংক্রমণ স্টাফিলোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়। এই ধরণের ব্যাকটেরিয়া স্বাস্থ্যবান লোকদের নাকে দেখতে পাওয়া যায় যা কোন ক্ষতি করে না। আর করলেও, তা ছোটখাটো চর্ম রোগের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে। যাহোক, এই ধরণের ব্যাকটেরিয়া নিয়ে কাজ করার সময়ে ফ্লেমিং দেখতে পেলেন যে, একটি ছত্রাক স্টাফিলোকক্কা ব্যাকটেরিয়া দিয়ে তৈরী একটি কালচারের কাছে এসে তা দূষিত করে ধ্বংস করে দেয়, অথচ, দূরে থাকা স্টাফিলোকক্কা'র কালচারগুলোর কোন ক্ষতিই হলো না!

এই নিয়ে আরও গবেষণা ও পরীক্ষা চালানোর পরে ফ্লেমিং নিশ্চিৎ হলেন যে, এই ছত্রাকের ছাঁচটি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তিনি এই পেনিসিলিয়াম গ্রুপকে প্রাথমিকভাবে 'mould juice' বলে ডাকলেও ১৯২৯ সালের ৭ মার্চ এই পদার্থের নাম দেন পেনিসিলিন।

জানা যায়, তাঁর কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ অ্যালেক্সান্ডার ফ্লেমিং ১৯৪৫ সালে নোবেল প্রাইজে জেতেন। এর আগে, রাজা ষষ্ঠ জর্জ তাঁকে 'নাইট ব্যাচেলর' হিসেবে নাইটহুডে ভূষিত করেন। নোবেল প্রাইজ জেতা এই চিকিৎসা বিজ্ঞানীর আমেরিকা ভ্রমণের সময়ে তাঁকে ১,০০,০০ মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হলে তিনি তা গ্রহণ না করে সেইন্ট মেরি হাসপাতাল মেডিকেল স্কুলকে দান করে দেন।

আজ এই মহান আবিষ্কারকের জন্মদিনে তাঁকে শত সহস্র শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


পেনিসিলিন আবিষ্কারে উনি কখনো বলেছেন প্রকৃতিই আমাকে এটা দিয়েছে?

০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আমার জানা নেই।

আপনার জানা থাকলে বলতে পারেন।

ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জন্মদিনের শুভেচ্ছা

০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আপনার শুভেচ্ছা পৌঁছে যাক সঠিক গন্তব্যে।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.