নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
ছবিতে শার্ট পড়া যে মানুষটিকে দেখতে পাচ্ছেন, তিনিই বঙ্গতাজ শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ। যে শার্টটি তিনি পড়ে আছেন, কথিত আছে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এটাই ছিলো তাঁর একমাত্র শার্ট। যখন ময়লা হয়ে যেতো, তা তিনি নিজের হাতে ধুয়ে নিয়ে পড়তেন।
এই মানুষটিকে বাঘের মতো ভয় পেতেন পাকিস্তানের জুলফিকার আলী ভূট্টো। একবার ভূট্টোকে বলতে শোনা গিয়েছিলো- "আলোচনা বৈঠকে মুজিবকে আমি ভয় পাই না । ইমোশনালি কায়দায় মুজিবকে কাবু করা যায় , কিন্তু তাঁর পেছনে ফাইল বগলে চুপচাপ যে নটোরিয়াস লোকটি বসে থাকে তাঁকে কাবু করা শক্ত।"
আরেকবার, ১৯৭২ সালে, বিশ্বব্যাংকের সাথে মিটীং-এ বসেছেন তাজউদ্দীন সাহেব। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট রবার্ট ম্যাকনামারা তাজউদ্দীন সাহেবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন- কি দরকার বাংলাদেশের। বাংলাদেশ যা চাইবে তাই দেওয়ার চেষ্টা করবে বিশ্বব্যাংক। উত্তরে কি বলেছিলেন তাজউদ্দীন সাহেব জানেন? তিনি বলেছিলেন-
'আমাদের যা দরকার তা আপনি দিতে পারবেন কি-না আমার সন্দেহ আছে। 'মিস্টার ম্যাকনামারা, আমার গরু এবং দড়ি দরকার। যুদ্ধের সময় গরু সব হারিয়ে গেছে। এখানে-ওখানে চলে গেছে, মরে গেছে। পাকিস্তান যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে, চাষিরা এদিক-সেদিক পালিয়ে গেছে, তখন গরু হারিয়ে গেছে।
এখন যুদ্ধ শেষ, চাষি ফিরেছে কিন্তু গরু নাই, তাই চাষ করবে কীভাবে? কাজেই আমাদের অগ্রাধিকার চাহিদা হলো গরু। ম্যাকনামারার চোখ-মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে। তাজউদ্দীন আহমদ বললেন, 'আর আমাদের সমস্ত দড়ি তো পাকিস্তানিরা নষ্ট করে ফেলেছে, এখন গরু পেলে গরু বাঁধতে দড়ি প্রয়োজন। গরু এবং দড়ি প্রয়োজন খুব তাড়াতাড়ি, না হলে সামনে জমিতে চাষ হবে না।'
মিটিং শেষে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, কেন তিনি বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সাথে এমন ব্যবহার করেছিলেন। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন- কেন, গরু ছাড়া কি চাষ হয়? মহা রেগে গিয়েছিলেন তিনি। বলছিলেন- 'এই লোকটি তো আমেরিকার ডিফেন্স সেক্রেটারি ছিলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছে আমেরিকা। আমাদেরকে স্যাবোটাজ করেছে। শেষ পর্যন্ত সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছে আমাদেরকে ধ্বংস করে দিতে। আর তার কাছে সাহায্য চাবো আমি?'
==========
আজ তাঁর জন্মদিনে আমরা এই মহান মানুষটি থেকে শিক্ষা নিতে পারি কি?
================================================
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট
২| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০৩
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: সালাম মহান নেতাকে।
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৩
মোগল সম্রাট বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা জাতির এই সুর্য সন্তানকে.........
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৮
রানার ব্লগ বলেছেন: তাজউদ্দীন ছিলেন বলেই ১৯৭১ আমাদের যুদ্ধ রাজনৈতিক ভাবে এতোটা শক্তিশালী ছিলো। তার সময় উপযোগী সিধান্ত আমাদের যুদ্ধ কে আরো বেগবান করেছিলো।
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৬
কামাল৮০ বলেছেন: শেখ মুজিব ছিল ডান ঘরানার লোক আর তাজউদ্দিন সাহেব ছিলেন বাম ঘরানার লোক।তাই মিলে মিশে থাকতে পারেন নাই।
৬| ২৪ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৪৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তার মতো সৎ ও সাহসী মানুষ
বাংলায় খুব কমই আছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একজন খাঁটি মানুষ ছিলেন। সম্ভবত কোরআনে হাফেজ ছিলেন। যতদূর মনে পড়ে।