নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
একজন রিক্রুটার হিসেবে বেতন নিয়ে ক্যান্ডিডেটদের সাথে প্রায়ই কথা হোয়। আমার কাছে কেন যেন মনে হয়েছে, সেলারি চাওয়া আর দেওয়ার ব্যাপারে কেমন যেন আমরা কার্পণ্য করি। অথচ, বাইরের দেশের, বিশেষতঃ পশ্চিমা দেশের কোম্পানিগুলো তা করে না। এঁর পিছনে কারণ কি? আমরা কি বেশি লাভ করতে চাই, সেই জন্যেই কি কর্মীদের বেশি বেতন দেই না?
ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই। আমেরিকাতে পিজা হাটে একজন ক্যাশিয়ার প্রত্যেক ঘণ্টা কাজের জন্যে ১৫ ডলার করে পান। ব্রিটেনে এই কোম্পানির একজন সার্ভার বা ওয়েইট্রেস পান ঘণ্টায় ৮ পাউন্ড করে। আর, বাংলাদেশে একজন পিঁজা সার্ভার কত পান একটু খোঁজ নিয়ে দেখা উচিৎ।
এখন আসি দামের ব্যাপারে। বাংলাদেশে ভালো একটি পিজার দোকানে একটা পিঁজা এর দাম কমপক্ষে ৪২৯ টাকা + ভ্যাট। আর, আমেরিকায় একটি পারসোনাল প্যান পিঁজার মূল্য ৪.৮৯ ডলার। দাম প্রায় সমান সমান!
তাহলে, বেতনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে যাচ্ছে কি? একই উদাহরণ কি অন্যান্য কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমার বাবা একজন উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন।
আপনি যাদের কথা বলছেন, তারা আমাদের দেশে ভিনগ্রহী এলিয়েন।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
২| ০৬ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমাদের পরিচিত এক ফ্যাক্টরির সিইও যা বেতন পান একই কোম্পানীর আরেকটা ফ্যাক্টরীর সিইও তার অর্ধেক পায়। পার্থক্য একজন বৈদেশি আরেকজন দেশী।
০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
এর কারণ কি শুধুই বিদেশী বলে?
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০০
কামাল৮০ বলেছেন: মজুরি একটি পণ।অন্যান্য পণ্যের মতো মজুরি নির্ধারিত হয় চাহিদা ও সরবরাহের উপর ভিত্তি করে।
০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
পিজার চাহিদা তো অনেক! কাপড়েরও তা-ই।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৪| ০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২২
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে সকল অফিস আদালত এর বেতন সরকার নির্ধারন করে দিলে মনে হয় কর্মচারীদের জন্য ভালো হবে।
৫| ০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেশ অর্থনৈতিকভাবে যত অগ্রসর হয় তত সাধারণ মানুষের আয় বাড়তে থাকে। আমরা অর্থনৈতিকভাবে অনেক পিছিয়ে। বেকারত্বের হার বেশী হলে মজুরিও কম হয়। তবে সাড়ে চার ডলারে পিজ্জা বেচে কিভাবে লাভ করে এটা নিয়ে আমার কৌতূহল আছে। সম্ভবত ঐ সব দেশে কৃষি সামগ্রীর উৎপাদন ব্যয় কম অথবা সরকার ওগুলির উপর ভর্তুকি দেয়। তা না হলে কিভাবে কষ্টিংএ পোষায় ওদের।
৬| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২৩
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমরা কর্মী ঠকিয়ে বেশি লাভ করতে চাই।
৭| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩১
বিটপি বলেছেন: আমেরিকা বা ব্রিটেনে ৩০% ট্যাক্স সেই সাথে ১৫% ভ্যাট আর এআইটি দিয়ে ব্যবসা করা লাগেনা। ব্যবসা শুরু করার জন্য এলাকার নেতাদেরকে এককালীন আর মাসে মাসে মাসোহারা দিতে হয়না। তাই ওদের কিছু লাভ থাকে - বেতন দিতে ওদের কোন অসুবিধা হয়না।
সাড়ে চুয়াত্তর - আমেরিকায় কোন ব্র্যান্ডের ব্যবসা করার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি কেন লাগেনা, কারণ বড় বড় সব ব্র্যান্ড ওদের নিজেদেরই। তাই সাড়ে চার ডলার বিক্রি করলে অন্তত দেড় ডলার লাভ থাকে। আমাদের দেশে সেইম ব্র্যান্ডের জিনিস সাড়ে চার ডলারে বিক্রি করলে অন্তত পঞ্চাশ সেন্ট দিতে হয় ফ্র্যাঞ্চাইজারকে। তাই এক ডলারের বেশি লাভ হয়না।
৮| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০২
হাসান রাজু বলেছেন: প্রাইভেট কোম্পানি ও ব্যাক্তি মালিকানাধিন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বলি, এন্ট্রি লেভেলে ওরা বেতন কম দেয়। কারন এখানে চাকুরী প্রার্থীদের যোগানটা খুব বেশি।
মিড লেভেল থেকে বেতনের একটু উন্নতি হতে থাকে। এক্ষেত্রে সততা আর পারদর্শিতা খুব জরুরী।
ঠিক এর উপরের শ্রেণির কর্মকর্তারা স্পষ্ট ভাবে দেখতে পারেন, এদেশের এডুকেশন সিস্টেম পারদর্শী এবং ক্রিয়েটিভ কর্মী কেন তৈরি করতে পারে না।
আমার মতে বেতন লেভেলটা খুব বেশি কম না। কারন বেতন লেভেলটা বেশি হলে সবাই চাকরির দিকে ঝুঁকবে। এটা ভাল হবে না। উদ্যোক্তা তৈরিতে একটা ব্যালেন্স দরকার।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সোনাগাজী বলেছেন:
সরকারের লোকেরা নতুন লোক নেয় পদ পুরণ করে ঘুষ সংগ্রহ করার জন্য; ওরা জানে, চাকুরী পেলে মানুষ কাজ করে না, বেতন দিয়ে কি হবে?