নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ নিজের টাকা ও পণ্য দিয়ে নিজে চলতে পারবে কি?

১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৩৪



ধরুন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যে দেশে আছে, সেই দেশটি তা বাজেয়াপ্ত করে নিলো। বাংলাদেশের সুইফট একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলো। বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যগুলোর রপ্তানি বন্ধ করতে হলো। তখন, কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি চালাবে একটি সরকার? খুব দুরূহ একটি কাজ। সন্দেহ নেই।

সেরকম পরিস্থিতিতে কি করা প্রয়োজন তা নির্ভর করবে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর। প্রথমতঃ বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং চাকরী যে অবস্থানে বর্তমানে আছে, তা বজায় রাখতে হবে। বাংলাদেশের লিকুইড মানি এবং ব্যাংকের অলস টাকাকে অর্থনীতিতে চলমান করতে হবে সুচিন্তিত ভাবে। বাংলাদেশের ফরেন রিজার্ভ যেহেতু বাজেয়াপ্ত, সেহেতু বিদেশ থেকে ধার করে আনা টাকা রিটার্ন করার ঝামেলা থাকবে না। কিন্তু, সেক্ষেত্রে, কলকারখানার যন্ত্রাংশ বা অনেক কাঁচামাল বা খাদ্যদ্রব্য আমদানি করা যাবে না।

বাংলাদেশ কি পারবে সেরকম মূহুর্তে টিকে থাকতে? বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো কীভাবে মিটানো সম্ভব সেরকম পরিস্থিতিতে? আপনি সরকারে থাকলে কীভাবে নিজের দেশকে সামলাবেন?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৪১

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: পারবে
যদি ১লক্ষ(চোর ) পরিবারের চাহিদা অন্তর্ভুক্ত না করা হয়.
আমদানির ভারসাম্য মেটাতে -
১কোটির রেমিটেন্স বিশাল ব্যাপার

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৪৭

সোবুজ বলেছেন: ডলারে রিজার্ভ রাখা বন্ধ করা দরকার।রিজর্ভ কয়েকটা ভাগে রাখলে এই সমস্যা হবে না।

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৫১

জ্যাকেল বলেছেন: যেহেতু আম্রিকার সাথে আমাদের সম্পর্ক ভাল না, আমার মনে হয় সরকারের থেকে এখনই ইহা নিয়ে ভাবা উচিত। বলা তো যায় না কখন কি আপদ আমাদের ওপর এসে পড়ে।

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৫৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এই রকম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ টিকতে পারবে না। দুর্ভিক্ষ লেগে যাবে। লিকুইড মানি বাজারে ছাড়লে লাভ হবে না। উৎপাদন বাড়াতে হবে। রপ্তানি পণ্যের মূল্য অন্য দেশের মুদ্রায় নিতে হবে যাদের সাথে আমদানি বাণিজ্য বেশি। চীনা ইয়েনে বা ভারতীয় রুপিতে। তবে ইয়েনে বা রুপিতে কেউ মূল্য পরিশোধ করতে চাইবে না কারন বাংলাদেশ মাচ নিডেড পণ্য বা সেবা খুব একটা রপ্তানি করেনা।

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:০৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ব্যাপারটি সহজ নয়। হয়তো কয়েক মাস টিকে থাকতে পারবে - তারপর দুর্ভিক্ষ ও গণঅসোন্তষ দেখা দিবে সর্বত্র।

বাংলাদেশের একটি অন্যতম সমস্যা হলো দেশটি প্রকৃত বন্ধুবিহীন - তাই যতই লম্ফোঝমফ আমরা করি না কেন এক সময়ে বিড়ালের মতো মিইয়ে গিয়ে আত্মসমর্পণ আমাদের করতে হয়। পার্শবর্তীদেশ ভারতের দিকে তাকান - তারা ইউক্রেনের বিষয়ে কেমন স্ট্যান্ড নিয়েছে - এর কারণ তারা কোনো মোটেই তাদের পূর্বের পরীক্ষিত বন্ধু রাশিয়াকে ত্যাগ করতে রাজি নয়।
আমাদের এখনো সেই অবস্থা আসে নি - তাই এই ধরণের বিপদে পড়লে নিজের উৎপাদ দিয়ে গোটা দেশের জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে না।

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে পারবো না।

৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:



জ্বালানী তেল আমদানী বন্ধ হয়ে যাবে।

৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: বংলাদেশ তথা ভারতের পুর্বাঞ্চল কখনোই বিদেশ নির্ভর ছিল না। এখনো সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশে এখন যা আমদানি হয় সবই সাধারণত বিলাস পন্য।
আর বাকি যে সব খাদ্য যা আসে সেসব না আমদানি করলে কোন পাবলিক মারা যাবে না
আদিম কাল থেকেই বাংলা সুজলা সুফলা স্বনির্ভর সম্পদে সমৃদ্ধ একটি দেশ ছিল।
ভারত উপমহাদেশ তথা বাংগালীরা ভারতীয়রা কখনোই বিদেশে ডাকাতি করতে যায়নি। খাদ্যভাবে বিদেশে দখল লুট করতে যায়নি। ভারত নিজেই সবচেয়ে সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু বারবার বিদেশী জলদস্যু বা মরুভুমির ক্ষুধার্ত তষ্কর ডাকাতদল দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল।

ব্রিটিশরা বা মরুভূমির তস্কররা বকতিয়ার ডাকাতরা চেঙ্গিশ হালাকুরা না আসলে আমাদের কোন সমস্যা হতো না।
জাপান এশিয়ার অন্যতম দেশ যারা কখনো বিদেশি তস্কর দ্বারা আক্রান্ত হয়নি, সমুদ্র বাধার কারনে বিদেশিরা দখল করতে পারেনি। তাই নিজেরা ধিরে ধিরে ভালোভাবে উন্নতি করতে পেরেছে।
ডাকাত তস্কর ঠেকাতে চীনারা দেওয়াল নির্মাণ করেছিল, ভারতের ছিল প্রাকৃতিক দেয়াল। উচু হিমালয় কাঞ্চঞ্জঙ্ঘা হিন্দুকুশ, কারাকোরাম তোরাবোরা পাহাড় ঘিরে ছিল আর ছিলো গভীর শিন্ধু নদের বাধা। পুর্বেও পদ্মা যমুনা মেঘনার কাদা মাটির দুর্গম বাধা। সহজে বহিরাগত ডাকাতরা অনুপ্রবেশ করতে পারত না।
কলম্বাস লুটপাটের উদ্দেশ্বে ভারত আবিষ্কার করতে পথভুলে আমেরিকা মহাদেশে চলে গেছিল। পরে ভাস্কোডাগামা কালিকটে আসতে সক্ষম হয়েছিল সুদুর আফ্রিকা উত্তমাশা অন্তরিপ ঘুরে।
ভারত যখন অন্যান্ন এলাকা থেকে অঙ্কশাস্ত্র জ্ঞ্যানেবিজ্ঞানে উন্নত, পুর্ব ভারতে যখন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, তখন গ্রিস ইটালী বাদে ব্রিটিষ পশ্চিম ইউরোপবাসিরা তখনও সম্পুর্ন নিরক্ষর জংলি, দিগম্বর বনে বাঁদাড়ে ঘুরে বেড়াতো।
ভারতীয়রা যদি চীনের মতো প্রাচীর দিয়ে পর্বত এর ফাঁক ফোকোর গুলো বন্ধ তরে বিদেশী ডাকাতদের রুখতে পারতো। তাহলে ভারত- বাংলাই জাপানের মত পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশ থাকতো।
আগে যেভাবে একাই চলতে পেরেছিল। লড়াকু বাংগালী এখনো পারবে।

৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৪০

খাঁজা বাবা বলেছেন: বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি আন্তর্জাতিক অর্থনীতির সাথে কানেক্টেড। বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে দুর্ভিক্ষে লাখ লাখ মানুষ মারা পরবে। বাংলাদেশ রাশিয়া বা ইরানের মত পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে না।

১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ানুষ বাচলে কি আর মরলে কি? সরকারের এতে কিছু আসে যায় না! আর আপনি দেশের মানুষ ১৭ কোটি এটা কোথায় কোন সুত্রে পেলেন, আমার তো মনে হয় ২২/২৩ কোটির কম না। বিদেশেই তো ৫/৬ কোটি হবে! হা হা হা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.