নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

লগবুক - ১ঃ PhD বা DPhil কেন করবেন?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৩



ডক্টরেট স্তরের যোগ্যতার জন্য অধ্যয়ন করা, একটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং কাজ যা নিজের জীবনের জন্যে অনেক সফলতা বয়ে আনতে পারে। ডক্টর অফ ফিলোসফি যা সংক্ষেপে পিএইচডি (বা ডিফিল) হিসাবে পরিচিত। এটি কোন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ ডিগ্রি। PhD সাধারণতঃ তিন বছরের পূর্ণ-সময়ের অধ্যয়ন (কখনও কখনও অতিরিক্ত এক বছর পিএইচডি থিসিস লেখার জন্য ব্যয় করা হয়) বা খণ্ডকালীন বা দূরশিক্ষণের মাধ্যমে ছয় বছরের অধ্যয়নের (সর্বোচ্চ সাত বছরের নিবন্ধন সময়কাল সহ) মাধ্যমে অর্জন করা হয়।

এই অধ্যয়ন শেষে একটি ৮০,০০০ শব্দের থিসিস লিখতে হয় যা ডক্টরেট ছাত্র হিসাবে আপনার নির্বাচিত কোন বিশেষ রিসার্স এরিয়াতে জ্ঞান বিকাশে অবদান রাখে। পরবর্তীতে, এই থিসিসটি আপনি যে রিসার্স এরিয়াতে কাজ করছেন সেটার উপর যারা বিশেষজ্ঞ রয়েছেন তাঁদের সামনে একটি মৌখিক উপস্থাপনা এবং আলোচনা ('ভাইভা ভয়েস';) দ্বারা পরীক্ষা করা হয়।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে, আপনি কেন এই চ্যালেঞ্জ নিতে যাবেন? এর উত্তরে যেসব উত্তরগুলো উঠে আসে-

১) আপনি হয়তো একাডেমিক ও সামাজিক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং জ্ঞানে অবদান রাখতে চান,
২) এটা হতে পারে একজন পণ্ডিত বা গবেষক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করার জন্যে আপনার প্রথম বড় পদক্ষেপ,
৩) পূর্ববর্তী অধ্যয়ন এবং অভিজ্ঞতা থেকে ইতিমধ্যে অর্জিত জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে নিজেকে এগিয়ে নেওয়া,
৪) নিজের স্বাধীন (এবং কখনও কখনও দল-ভিত্তিক) গবেষণা দক্ষতা বিকাশ এবং তা আরও উন্নত করতে এই অধ্যয়ন,
৫) সামাজিক বা অর্থনৈতিক নীতি এবং অনুশীলনের উপর প্রভাব ফেলতে আপনি ইচ্ছুক,
৬) সংশ্লিষ্ট পেশায় প্রবেশের জন্য আপনি নিজেকে প্রস্তুত দেখতে চান,
৭) কোন শিল্পের একটি নির্দিষ্ট সেক্টরে উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যেই আপনার এই PhD।

এগুলো হয়তো একজন একাডেমিশিয়ানের জন্যে উত্তর হিসেবে আসে। অনেকেই কিন্তু PhD শেষে একাডেমিক ক্যারিয়ারের দিকে যান না। তাঁদের জন্যে অন্য কারণও থাকতে পারে। সে যা-ই হোক, আপনি যদি ভবিষ্যতে PhD করতে চান, তবে, সবার আগে নিজের আগ্রহটাকে প্রকাশের সাথে সাথে এর পিছনের কারণটি জানার চেষ্টা করুন। আমার লেখা এই ৭টি কারণ ছাড়া অন্য কোন কারণে যদি ডিফিল করতে চান, তাহলে নিচের কমেন্ট সেকশনে শেয়ার করতে পারেন।


======
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ লিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়
========================

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৫৪

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: খণ্ডকালীন বা দূরশিক্ষণের মাধ্যমে PhD বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে করায় কি?

২| ০১ লা মার্চ, ২০২২ রাত ২:২৭

সোনাগাজী বলেছেন:



মালয়েশিয়া থেকে বাংগালীরা কি পিএইচডি করছে?

৩| ০১ লা মার্চ, ২০২২ রাত ২:৩৭

এপোলো বলেছেন: বিএসসি কিংবা মাস্টার্স এর মতো পিএইচডিকে বছরের সীমায় বাঁধা খুব দুরূহ একটা কাজ যেটা লেখক খুব সহজেই করে ফেলেছে। অনেকদেশে ৩ বছরের মধ্যে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হবে বলে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করানো হয়। একাডেমিক হিসেবে এইসব "ধরাবাঁধা" ডক্টরেটদেরকে তেমনভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। তারপরও যদি বছরের হিসেবে এই ডিগ্রী হিসাব করা লাগে, তাহলে একটা ধারণা দিচ্ছি, আমেরিকাতে ৪-৫ বছর লাগে পিএইচডি শেষ করতে।
অনেক শিক্ষার্থীকে দেখেছি, পিএইচডি শুরু করে মাঝপথে সিদ্ধান্ত বদলে মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়েই চাকরিজীবনে প্রবেশ করতে। বিভিন্ন কারণে এরকম ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে একটা কারণ হলো, চিন্তা-ভাবনা না করেই পিএইচডিতে এনরোল করা। অনেকেই বলে, বিয়ে টিকিয়ে রাখার চাইতে বেশি মনোবল লাগে পিএইচডি শেষ করতে। যদি একান্তই দরকার না হয়, হুদাই পিএইচডি এর প্যারা নেওয়া শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:০৬

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ঢাবি থেকেপিএইচডি করলে ,অন্যেরটা নিজের নাম চালিয়ে দেয়া যায়
অর্থাৎ যারা পিএইচডি করে ও করে উভয়ে চোর

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.