নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
হযরত ফাতেমা (আ) সম্পর্কে বুখারী শরীফে (ভলিউম ৫)-এ উল্লেখ আছে- 'রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ''ফাতেমা আমার অংশ, এবং যে ফাতেমাকে রাগান্বিত করে, সে আমাকেও রাগান্বিত করে।'' আর, বিদ্যার দরজা মওলা আলী (আ) সম্পর্কে মহানবী (সা) বলেছেন- ''আমি যার মওলা, আলীও তার মওলা।''
যে লোক হযরত ফাতেমা (আ)-এর বাড়িতে আগুন দিতে যায়, তার উপর আল্লাহর লানত পড়ুক। সাহাবী আবু বকরের নির্দেশে, সাহাবী উমর এই কাজ করেছিলেন। এই দু'জন বিবি ফাতেমা (আ)-কে রাগান্বিত করেছিলেন।
কিছু সুন্নী আলেম এই ঘটনাকে উল্লেখ করেছেন। সেগুলো নেটেই পাওয়া যাবে। সেই রেফারেন্সগুলো হচ্ছে-
১) আল ইমামা ওয়া আল সিয়াসা পৃষ্ঠা ১৮-৩০ যিকর বাইয়া আবু বকর
২) তারীখ আবুল ফিদা খন্ড ১ পৃষ্ঠা ১৫৬ যিকর বাইয়া আবু বকর; আমরা মাওলানা করিমউদ দ্বীন আল হানাফী পৃষ্ঠা ১৭৭-১৭৯ এর উর্দু অনুবাদের উপর নির্ভর করেছি;
৩) ইকদ আল ফরীদ পৃষ্ঠা ১৭৯
৪) তারীখ আল তাবারী ভলিউম ১৩ পৃষ্ঠা ১৮১৮ জিকর ওয়াফাথ নবী, (আমরা ইংরেজি অনুবাদ ভলিউম ৯ পৃষ্ঠা ১৮৭ এর উপর নির্ভর করেছি)
৫) আল-ইসতিয়াব, ইবনে আবদ আল-বার ভলিউম 1 পৃষ্ঠা ২৪৬ আবি কুহাফায় জিকর আবদুল্লাহ
৬) শারহ ইবনুল হাদীদ খণ্ড ১ পৃষ্ঠা ১৫৭
৭) আল মিহাল ওয়া আল নিহাল খণ্ড ১ পৃষ্ঠা ৭৭, যিকর নিজামিয়া
৮) আবদ আল-হাসান আলী ইবনে আল-হুসাইন আল মাসুদি রচিত মুরুজ আদ-ধাহাব খণ্ড ৩ পৃষ্ঠা ১৯৮
৯) আল মুহাদ্দিস শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী রচিত ইজালাতুল খিফা ভলিউম ২ পৃষ্ঠা ২২৬ (উর্দু অনুবাদ, কুরআন মেহল প্রকাশক, করাচি)
১০) আল বায়না ইজালাতুল খিফা ভলিউম 2 পৃষ্ঠা ২৯
১১) ইবনে আসির রচিত তারীখ কামিল ভলিউম ১১ পৃষ্ঠা ১১৩
১২) আহমাদ হুসেন খান সাহেবের ১১১-১১২ পৃষ্ঠায় তারেখ আহমদী
১৩) তাওফা ইথনা আশআরী, আল মুহাদ্দিস শাহ আব্দুল আজিজ দেহলভীর পৃষ্ঠা ২৯২ যিকর মুথাইন উমর
১৪) হাফিয আব্দুল রহমান আল হানাফি রচিত আল মুরতাদা পৃষ্ঠা ৪৫ (অমৃতসর সংস্করণ)
১৫) মুখতাসার কানজ আল উম্মাল বুর হুশিয়া মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল খণ্ড ২ পৃষ্ঠা ১৮৪ (মিশর)
১৬) কিতাব মুখতাসার ফী আহবার আল বাশার খন্ড ১ পৃষ্ঠা ১৫৬
১৭) তাহকীক মুবাশরাব সুন্নি পৃষ্ঠা ১১০ মাওলানা ওয়াহেদুদ্দিন খান আল হানাফী ১৮. আনসার আশরাফ, আল-বালাধুরী, v1,
পৃষ্ঠা ৫৮২-৫৮৬
১৮) তারীখ ইয়াকুবী, v-২, p - ১১৬
১৯) ফাতহুল আইনীন পৃষ্ঠা ৮৮
২০) আল ফারুক ভলিউম ১ পৃষ্ঠা ৯২ যিকর সাকীফা বনী সা'দা
২১) রুহ আল মুস্তাফাই খন্ড ৩ পৃষ্ঠা ৩৬
এই রেফারেন্সগুলো থেকে, কিছু উদ্ধৃত করছি-
১)
ثم إن أبا بكر بعث عمر بن الخطاب إِلى علي ومن معه ليخرجهم من بيت فاطمة رضي الله عنها وقال : إِن أبوا عليك فقاتلهم .فأقبل عمر بشيء من نار على أن يضرم الدار فلقيته فاطمة رضي الله عنها وقالت : إِلى أين يا ابن الخطاب أجئت لتحرق دارنا قال : نعم أو تدخلوا فيما دخل فيه الأمة
[তারীখ আবুল ফিদা [আরবী], পৃষ্ঠা 235]
আমি গুগল ট্রান্সলেটর ব্যাবহার করে ইংরেজিতে যা পেয়েছি, তা এরকম-
''Then Abu Bakr sent Omar Ibn Al-Khattab to Ali and those with him to expel them from the house of Fatima, may God be pleased with her, and said: If they refuse you, then fight them. So Omar came with some fire to set the house on fire, so Fatima, may God be pleased with her, met him and said: Where, O Ibn Al-Khattab, have you come to burn our house? He said: Yes, or do you interfere in what the nation is involved in''
২)
আবু বকর বাইয়্যা (আনুগত্যের শপথ) নিতে ব্যর্থ হয়ে আলীর সাথে একত্রিত হওয়া দলটির পিছনে ধাওয়া করার জন্যে উমরকে পাঠান। তিনি (উমর) তাদেরকে আলীর ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য ডাকলেন, কিন্তু তারা বের হতে অস্বীকার করলেন। এভাবে (উমর) (তাঁর লোকদের) কাঠ আনতে বললেন, তারপর তিনি বললেন: 'আমি যে উমরের জীবন নিয়ন্ত্রণকারী তাঁর শপথ করে বলছি, তোমরা যদি ঘর থেকে বের না হও তবে আমি তাতে আগুন ধরিয়ে দেব এবং ভিতরের সবাই আগুন ধরিয়ে দেব। কিছু লোক বললঃ হে আবু হাফস (উমর), ফাতিমাও এ ঘরেই আছেন। উমর জবাব দিলেন, ‘আমি পাত্তা দিই না’ অতঃপর আলী ছাড়া বাকি লোকেরা ঘর থেকে বের হয়ে আনুগত্যের শপথ করলো। [আল ইমামা ওয়া আল সিয়াসা, আবু মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ বিন মুসলিম বিন কুতায়বা (মৃত্যু ২৭৬ হিঃ)]
৩)
الذين تخلفوا عن بيعة أبي بكر – في والعباس والزبير وسعد بن عُبادة. فأما عليّ والعباس والزبير، فقعدوا في بيت فاطمة حتى بَعث إليهم أبو بكر عمرَ ابن الخطاب ليُخرِجهم من بيت فاطمة، وقال له: إِن أبوا فقاتِلْهم. فأقبل بقَبس من نار على أن يُضرم عليهم الدار، فلقيته فاطمةُ، فقالت: يا بن الخطاب، أجئت لتُحرق دارنا؟ قال: نعم، أو تدخلوا فيما دخلتْ فيه الأمة.
[ইবনে আবদ রাব্বাহ-এর বই ইকদ আল ফরীদ, ভলিউম ৩ পৃষ্ঠা ২৭৩]
গুগল ট্রান্সলেটরের সাহায্য নিয়ে এই আরবী'র অনুবাদে আমি যা পেয়েছি, তা হচ্ছে এরকম-
Those who left the pledge of allegiance to Abu Bakr - in Al-Abbas, Al-Zubayr and Saad bin Ubadah. As for Ali, al-Abbas and al-Zubayr, they stayed in Fatima’s house until Abu Bakr sent Omar Ibn al-Khattab to them to expel them from Fatima’s house, and he said to him: If they refuse, then fight them. So he approached with a receptacle of fire to set the house ablaze on them, so Fatima met him and said: O Ibn Al-Khattab, have you come to burn our house? He said: Yes, or intervene in what the nation has entered into.
৪) যদিও সময়টি স্পষ্ট নয়, তবে মনে হয় আলী এবং তার দল সাকিফা সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন সেখানে যা ঘটেছিলো তা ঘটার পরে। এ সময় তার সমর্থকরা ফাতেমার বাড়িতে জড়ো হন। আবু বকর এবং উমর, আলীর দাবি সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন এবং তার সমর্থকদের কাছ থেকে গুরুতর হুমকির ভয়ে, তাকে আনুগত্যের শপথ নেওয়ার জন্য মসজিদে ডেকে পাঠান। আলী তা প্রত্যাখ্যান করেন, এবং তাই আবু বকর এবং উমরের নেতৃত্বে একটি সশস্ত্র দল দ্বারা বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছিল, যারা আলি এবং তার সমর্থকরা আবু বকরের প্রতি আনুগত্যের শপথ নিতে অস্বীকৃতি জানালে সে (উমর) আগুন লাগানোর হুমকি দেয়। দৃশ্যটি তখন হিংসাত্মক হয়ে ওঠে এবং ফাতিমা ক্ষুব্ধ হন।
৫) আমি আল তাবারীতে পড়েছি (ইংরেজি অনুবাদ), ভলিউম ৯ পৃষ্ঠা ১৮৭:
উমর ইবনুল খাত্তাব আলীর বাড়িতে এলেন। তালহা ও জুবায়ের এবং কয়েকজন অভিবাসীও বাড়িতে ছিলেন। উমর চিৎকার করে বললেন, "আল্লাহর কসম, হয় তুমি আনুগত্যের শপথ নিতে বের হও, নয়তো আমি ঘর জ্বালিয়ে দেব।" আল-জুবায়ের তার তরবারি নিয়ে বেরিয়ে এলেন। সে (কোন কিছুতে) হোঁচট খেয়ে তলোয়ারটি তার হাত থেকে পড়ে যাওয়ায় তারা তার উপর সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাকে ধরে ফেলে।”
[আনসাব আশরাফ, আল-বালাধুরি দ্বারা তার, ভলিউম-১, পৃষ্ঠা ৫৮২-৫৮৬;
তারীখ ইয়াকুবী, ভলিউম-২, পৃষ্ঠা- ১১৬) ;
আল-ইমামাহ ওয়াল-সিয়াসাহ, ইবনে কুতায়বাহ, ভলিউম-১ , পৃষ্ঠা ১৯]
=================
আবুক বকর এবং উমরের এই কাণ্ড আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
যাদের উপর রাসূলুল্লাহ (সা)-এর রাগান্বিত হোন, তারা ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য কি?
====================================================
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
বাসায় দাওয়াত করে এনে বই দেখানোটা বাদ দিলেন কেন?!!!
ধন্যবাদ নিরন্তর।
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: শাইয়্যান ভাই, আল্লাহ ভালো জানেন সকল প্রকৃত ঘটনা।
যাইহোক, আপনাকে ধন্যবাদ পোস্টের জন্য। তবে সাসুম ভাইয়ের মন্তব্যটি আপনি গুরুত্বের সাথে নিলেই ভালো করতেন। সঠিক পরামর্শ গ্রহনে দ্বিধা থাকা উচিত না। আপনি অনেক রেফারেন্সের নাম দিয়েছেন। কিন্তু এই বিষয়টি গ্রহনযোগ্য করে তোলার জন্য একটু কষ্ট করতে হবে। এটা সঠিক আলোচনার স্বার্থে কোন নির্দিষ্ট ধর্ম বা কোন সম্মানিত ব্যক্তিকে অপমান করার জন্য নয়।
রেফারেন্স হিসাবে বই হলে সেটার নাম, প্রকাশক সংস্করণ
কোন সাইট হলে সেটার লিংক।
আপনার কাছে সংরক্ষিত কোন বই হলে সেটার নির্দিষ্ট পেইজের ছবি।
এটাই প্রকৃত রেফারেন্স দেয়ার একটা নিয়ম।
আপনাকে ধন্যবাদ। আমি আশা করব আপনি যৌক্তিকভাবে আলোচনায় অংশ নিবেন। নিজের জানার ভুল থাকলে নিজেকে সংশোধন করে নিবেন আর অন্যদের জানার ঘাটতি থাকলে তারা সেটা জেনে নিবেন।
শুভ ব্লগিং!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আল্লাহ্ ভালো জানেন কোন ঘটনা বলে।
অবশ্যই, তিনি তাঁর ন্যাক বান্দাদেরও কিছু ক্ষমতা দেন যাতে তাঁরা সত্য ঘটনা জানতে পারেন।
রেফারেন্স হিসেবে বইগুলোর নাম এবং প্রকাশের কাল দিতে পারবো। তবে, সেজন্যে আমার উপর আগে আমার উপর বিশ্বাস আনতে হবে। যদি কেউ তা না করে, তাকে গুলিয়ে খাওয়ালেও বিশ্বাস করবে না। যেমন- আবু লাহাব আর আবু জেহেল করেনি।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
এই বইয়ের ১৮৭ নং পেইজটি পড়ে দেখুণ, প্লিজ - Click This Link
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৯
দূরের যাত্রী বলেছেন: The UNBROKEN Rib: Fall of a Lie, Fall of an Ideology
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:
সূরাঃ ৯ তাওবা, ৪০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪০। যদি তোমরা তাঁকে সাহায্য না কর, তবে আল্লাহতো তাঁকে সাহায্য করেছিলেন যখন কাফিরগণ তাঁকে ধাওয়া করেছিল (হত্যা করার জন্য), আর তিনি ছিলেন দু’জনের মধ্যে দ্বিতীয় জন। যখন তাঁরা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিলেন, তিনি তখন তাঁর সঙ্গিকে বলেছিলেন, তুমি বিষণ্ন হয়ো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন।অতঃপর তাঁর উপর আল্লাহ তাঁর প্রশান্তি নাজিল করেন এবং তাঁকে শক্তিশালী করেন এমন সৈন্যবাহিনী দ্বারা যা তোমরা দেখনি।আর তিনি কাফেরদের কথা তুচ্ছ করে দেন।আর আল্লাহর কথাই সুউচ্চ। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী সুবিজ্ঞ।
# সূরাঃ ৯ তাওবা, ৪০ নং আয়াতের তাফসির তাফসিরে ইবনে কাছির
৪০। আল্লাহ তা’আলা জিহাদ পরিত্যাগকারীদেরকে সম্বোধন করে বলেছেন, তোমরা যদি আমার মহান রাসূলের (সা.) সাহায্য সহযোগিতা ছেড়ে দাও তবে জেনে রেখ যে, আমি কারো মুখাপেক্ষী নই। আমি নিজে তাঁর সহায়ক ও পৃষ্ঠপোষক। ঐ সময়ের কথা তোমরা স্মরণ কর যখন হিজরতের সময় কাফেররা আমার রাসূলকে (সা.) হত্যা করা বা বন্দী করা বা দেশান্তর করার চক্রান্ত করেছিল। তখন তিনি প্রিয় সহচর আবু বকরকে (রা.) সঙ্গে নিয়ে গোপনে মক্কা থেকে বেরিয়ে যান। সেই সময় তাঁর সাহায্যকারী কে ছিল? তিনদিন পর্যন্ত তারা সাওর পর্বতের গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য এই যে, তাঁদের ধাওয়াকারীরা তাঁদেরকে না পেয়ে যখন নিরাশ হয়ে ফিরে যাবেন, তখন তাঁরা মদীনার পথ ধরবেন।ক্ষণে ক্ষণে আবু বকর (রা.) ভীত বিহবল হয়ে উঠেন যে, না জানি কেউ হয়ত জানতে পেরে রাসূলকে (সা.) কষ্ট দিবে। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে সান্তনা দিয়ে বললেন, হে আবু বকর! দু’জনের কথা চিন্তা করছ কেন? তৃতীয় জন যে আল্লাহ রয়েছেন।
* সুতরাং হযরত আবু বকর (রা.) শুধুমাত্র রাসূলের (সা.) সাহাবা নন তিনি আল্লাহরও সাহাবা ছিলেন।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০০। মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথম অগ্রগামী এবং যারা ইহসানের সাথে তাদের অনুসরনের কাজ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট, আর তারাও তাঁর প্রতি সন্তষ্ট।তিনি তাঁদের প্রতি প্রস্তুত রেখেছেন জান্নাত, যার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত, যেথায় তারা চিরস্থায়ী থাকবে। এটা মহাসাফল্য।
* হযরত আবু বকর (রা.) সবচেয়ে বড় মুহাজির ছিলেন। কারণ তিনি ছিলেন স্বয়ং রাসূলের (সা.) হিজরতের সঙ্গী। সুতরাং আল্লাহ তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট। তো আল্লাহ যার প্রতি সন্তুষ্ট আল্লাহর বান্দা হিসাবে আমরা তাঁর প্রতি অসন্তুষ্ট হই কেমন করে? সুতরাং আপনার আবেদনে সাড়া দিতে না পেরে দুঃখিত।
সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। মোহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে।তাদের লক্ষণ তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় নতুন পাতা, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীদের জন্য আনন্দ দায়ক। এভাবে মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।
* হযরত আবু বকর (রা.) রাসূলের (সা.) সহচর। প্রমাণ সূরাঃ ৯ তাওবা, ৪০ নং আয়াত। সুতরাং আল্লাহর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তিনি আল্লাহর ক্ষমা ও মাহাপুরস্কার প্রাপ্ত হবেন। তো আল্লাহ যাঁকে ক্ষমা করে দিবেন আমরা তাঁকে ভালবাসতে অক্ষম হব কেন?
সহিহ আল বোখারী, ৩৪২৫ নং হাদিসের অনুবাদ-
৩৪২৫। হযরত আবু মূসা আশ’আরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবীর (সা.) সাথে মদীনার কোন একটি বাগানে ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি এসে ফটক খুলে দিতে বলল। নবি (সা.) বললেন, তার জন্য দরজা খুলে দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান কর। অতঃপর আমি দরজা খুলে দিতেই দেখলাম, আগন্তুক ব্যক্তি আবু বকর (রা.)।তখন আমি তাকে নবি (সা.) এর বক্তব্য অনুযায়ী সুসংবাদ দিলাম।তিনি আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করলেন। তারপর আরেক ব্যক্তি এসে দরজা খুলে দিতে বললেন। নবি করিম (সা.)বললেন, আগন্তুককে দরজা খুলে দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও।আমি দরজা খুলতেই দেখলাম আগুন্তুক ব্যক্তি ওমর (রা.)। তখন আমিতাঁকে নবি (সা.) প্রদত্ত সুসংবাদটি জানিয়ে দিলাম। তিনিও আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করলেন। তারপর আরেক ব্যক্তি এসে দরজা খুলে দিতে বললেন। নবি করিম(সা.)বললেন, তাকে অনুমতি দাও এবং তার উপর দুনিয়ার কঠিন বিপদ আসবে একথা বলে তাকেও জান্নাতের সুসংবাদ দাও। আমি দরজা খুলে দিতেই দেখলাম, আগন্তুক ব্যক্তি ওসমান (রা.)। আমি তাঁকে নবি (সা.) এর প্রদত্ত সুসংবাদটি জানিয়ে দিলাম। তিনি আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করলেন। তারপর বললেন, আল্লাহই সহায়।
* হযরত আবু বকর (রা.) জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত। তো একজন জান্নাতিকে আমি কেন ভালবাসব না?
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৯৪ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৯৪। যুবাইর ইবনে মোতইম (রা.) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, একদা এক মহিলা বললেন, আচ্ছা বলুন তো, আমি পুনরায় আগমন করে আপনাকে না পেলে? মহিলা যেন নবির (সা.) ওফাতের দিকে ইঙ্গিত করছিলেন। নবি (সা.) বললেন, তুমি আমাকে না পেলে তবে আবু বকরের (রা.) নিকট যাইও।
* মহানবি (সা.) হযরত আবু বকরকে (রা.) তাঁর স্থলাভিষিক্ত করেছেন এবং তিনি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন, এটা বাস্তব ঘটনা। সুতরাং তাঁর বদনাম নিতান্ত অপ্রয়োজনীয় বিষয় বিধায় এমন বিষয় আলচ্য সূচীতে রাখতে আমরা নিতান্তই নারাজ। তাঁর বিরোধীদের জ্ঞানে যথেষ্ট ঘাটতি আছে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৭ থেকে ৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৭।দেশে ব্যাপকভাবে শত্রুকে পরাভূত না করা পর্যন্ত বন্দী রাখা কোন নবির উচিত নয়। তোমরা পার্থিব সম্পদ কামনা কর। আল্লাহ চান পরকালের কল্যাণ। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৬৮। আল্লাহর পূর্ব বিধান না থাকলে তোমরা যা গ্রহণ করেছ সেজন্য তোমরা মহাশাস্তিতে আক্রান্ত হতে।
৬৯। যুদ্ধে যা লাভ করেছ তা’ বৈধ ও উত্তম বলে ভোগ কর। আর আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
# আয়াতের শানে নজুল-
মুসনাদে আহমদে রয়েছে যে, বদরের বন্দীদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাহাবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। তিনি তাদের বলেন, আল্লাহ তা’আলা এ বন্দীদেরকে তোমাদের অধিকারে দিয়েছেন। বল তোমাদের ইচ্ছা কি? ওমর ইবনে খাত্তাব দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূর তাদেরকে হত্যা করা হোক। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। পুনরায় রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আল্লাহ তা’আলা এদেরকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন, এরা কাল পর্যন্তও তোমাদের ভাইই ছিল। এবারও ওমর (রা.) দাঁড়িয়ে একই উত্তর দিলেন, হে আল্লাহর রাসূল তাদের ঘাড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হোক।রাসূলুল্লাহ এবারও মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং পূণরায় ঐ একই কথা বললেন।এবার আবু বকর সিদ্দিক (রা.) দাঁড়িয়ে গিয়ে আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আমার মত এই যে, আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং তাদের থেকে মুক্তিপণ আদায় করুন। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহর (সা.) চেহারা থেকে চিন্তার ছাফ দূর হয়। তিনি সাধারন ক্ষমা ঘোষণা করেন এবং মুক্তিপন নিয়ে সবাইকে মুক্ত করে দেন। তখন মহিমাম্বিত আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন। -তাফসিরে ইবনে কাছির।
সহিহ বোখারী ৮২ নং হাদিসের (কিতাবুল ইলম) অনুবাদ-
৮২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে রেওয়ায়েত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি যে, নিদ্রিত অবস্থায় আমাকে এক পেয়ালা দুধ দেওয়া হলো। আমি তা পান করলাম। এমন কি আমার নখের ভেতর থেকে তৃপ্তি প্রকাশ পেতে দেখলাম। অতঃপর আমি আমার অবশিষ্ট দুধটুকু ওমর ইবনে খাত্তাবকে প্রদান করলাম। সাহাবীরা বললেন, হে মহান আল্লাহর রাসূল, আপনি এ স্বপ্নের কি তাবীর করছেন? তিনি বললেন, ইলম।
সহিহ আল বোখারী, ৩৪২১ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৪২১।হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবি করিম (সা.) বলেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী কিছু লোক এলহাম প্রাপ্ত ছিল। আমার উম্মতের মধ্যে এমন কেউ থাকলে সে ওমর বৈ কি?
সহিহ আল বোখারী, ৩৪২৩ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৪২৩। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, একদা আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। দেখলাম লোকদেরকে আমার সামনে আনা হচ্ছে। ঐসব লোক জামা পরিহিত ছিল। তাদের কারো জামা সিনা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। আবার কারো জামা তার চেয়ে নীচ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।তারপর আমার সামানে ওমরকে আনা হলো। তার গায়ে এরূপ একটি জামা ছিল যে, সে মাটিতে টেনে চলছিল।সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আপনি এর অর্থ কি করেছিলেন? তিনি বললেন, দীন ইসলাম।
* আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সা.) যাঁর অনেক সুনাম করলেন তিনি হযরত ওমর (রা.)। সুতিরাং তাঁর বদনাম শুনায় আমাদের বিশেষ আগ্রহ নেই। এসবে সময়ের অপচয় হয়। আর কোরআন অনুযায়ী অপচয়কারী শয়তানের ভাই। আমরা তাঁর বদনাম শুনে শয়তানের ভাই হতে চাই না।
সূরাঃ ২ বাকারা, ৩৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৪। আর যখন আমি ফেরেশতাগণকে বলেছিলাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর, তখন ইবলিশ ছাড়া সবাই সিজদা করেছিল; সে অমান্য করল ও অহংকার করল।সুতরাং সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়েগেল।
* আল্লাহর সিদ্ধান্ত শয়তানের এতটাই অপছন্দ হলো যে সে চিরস্থায়ী জাহান্নাম কবুল করে নিলো, তথাপি সে আল্লাহর সিদ্ধান্ত কবুল করেনি। তো কেউ কেউ যদি হযরত আবু বকর (রা.) ও হযরত ওমরকে (রা.) শয়তানের মতেই ঘৃণা করে তাতে আমাদের কি করার থাকতে পারে?
সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৪১০৫ নং হাদিসের (হত্যা বৈধ হওয়া সম্পর্কে অধ্যায়) অনুবাদ-
৪১০৫। হযরত শরীক ইবনে শিহাব (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার আকাঙ্খা ছিল যে, আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) কোন সাহাবীর সাথে সাক্ষাত করবো এবং খারেজীদের ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাস করবো। ঘটনা চক্রে ঈদের দিন আবু বরযা আসলামীকে (রা.) তাঁর কয়েকজন সাথীর সাথে দেখলাম। আমি জিজ্ঞাস করলাম, আপনি কি খারেজীদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট কিছু শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি নিজের কানে শুনেছি, চক্ষে দেখেছি। একদা রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট কিছু মাল আসে। তিনি তাঁর ডান দিকের এবং বাম দিকের লোকদের মধ্যে বন্টন করে দেন এবং যারা তাঁর পিছনে ছিল, তিনি তাদেরকে কিছুই দিলেন না। তখন তাদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে মোহাম্মদ (সা.) আপনি ইনসাফের সাথে বন্টন করেননি। সে ছিল কাল রং বিশিষ্ট। মুড়ানো মাথা এবং সাদা কাপড় পরিহিত। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) অতিশয় রাগান্বিত হয়ে বললেন, আল্লাহর শপথ! তোমরা কাউকে আমার পর আমার থেকে অধিক ইনসাফকারী দেখতে পাবে না। অতঃপর তিনি বললেন, শেষ যুগে এমন কিছু লোকের আবির্ভাব হবে, মনে হয় ঐ ব্যক্তি ঐ সকল লোকের মধ্যে হবে। তারা কোরআন তেলাওয়াত করবে, কিন্তু কোরআন তাদের গলার নীচে ঢুকবে না।তারা ইসলাম হতে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর শিকার হতে বের হয়ে যায়। তাদের চিহ্ন হলো তাদের মাথা মুড়ানো থাকবে। তারা এভাবে প্রকাশ পেতে থাকবে এবং তাদের শেষ দলটি দাজ্জালের সাথে বের হবে। যদি তোমরা তাদের পাও, তবে তাদেরকে হত্যা করবে। কেননা, তারা সৃষ্টির মধ্যে সবচাইতে অধম।
* স্বয়ং রাসূলের (সা.) বিরুদ্ধে যদি বে-ইনসাফীর অপবাদ আসতে পারে, তবে তেমন বে-ইনসাফীর অপবাদ হযরত আবু বকর (রা.) ও হযরত ওমরের (রা.) ওমরের (রা.) বিরুদ্ধেও আসতেই পারে। এটা তেমন অবাক হওয়ার বা বিবেচনাযোগ্য বিষয় নয়।
সহিহ আল বোখারী, ৩৪৩৮ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৪৩৮। হযরত সাদ (রা.)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবি (সা.) আলীকে (রা.) লক্ষ্য করে বলে ছিলেন, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট যে মর্যাদার দিক হতে মূসা (আ.) এর নিকট হারুণ (আ.) যে পর্যায়ের ছিলেন তুমিও আমার নিকট সে পর্যায়ে আছ।
* সেই হযরত আলীকে (রা.) খারেজীরা কাফের ফতোয়া দিয়ে হত্যাই করে ফেলে। সুতরাং উভয় পক্ষের বিরোধীদের নিকট উভয় পক্ষ জঘণ্য লোক। কিন্তু আমাদের নিকট উভয় পক্ষ মাননীয়। যে ইসলামের অনুসারী হতে পেরে আমরা নিজেদেরকে ধন্য মনে করি সেই ইসলাম প্রতিষ্ঠায় তাঁদের সবার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সেসব ঘটনাই আমাদের সবচেয়ে বেশী মনে পড়ে।
সহিহ আবু দাউদ, ৪৫৫৪ নং হাদিসের অনুবাদ-
৪৫৫৪। হজরত হাজার ইবনে হাজার(র.)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা ইয়াবাজ ইবনে সারিয়া (রা.) এর কাছে যাই, যাঁর সম্পর্কে এ আয়াত নাযিল হয়, ‘তাদের জন্য কোন অসিুবিধা নেই,যারা আপনার কাছে এ জন্য আসে যে আপনি তাদের জন্য বাহনের ব্যবস্থা করবেন। আপনি বলুন আমি তো তোমাদের জন্য কোন বাহন পাই না’।
রাবী বলেন, আমরা তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁকে সালামকরি এবং বলি,আমরা আপনাকে দেখার জন্য, আপনার সেবার জন্য এবং আপনার কাছ থেকে কিছু সংগ্রহকরার জন্য এসেছি। তখন তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের সাথে নামাজ আদায়ের পর,আমাদের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন, যাতে আমাদের চোখ অশ্রু ভারাক্রান্ত হয় এবং অন্তর ভীত-সন্ত্রস্তহয়। আমাদের মধ্যে একজন বললেন,হে আল্লাহর রাসূল! মনেহচ্ছে এটা আপনার বিদায়ী ভাষণ,কাজেই আপনি আমাদেরকে আরোকিছু অসিয়ত করেন। তখন তিনি (সা.)বলেন, আমি তোমাদেরকে তাকওয়া অবলম্বনের জন্য বলছি এবং শুনা ও মানার জন্যও, যদিও তোমাদের আমির হাবশী গোলাম হয়। কেননা তোমাদের মধ্যে যারা আমার পরে বেঁচে থাকবে, তারা বহু মতবিরোধ দেখতে পাবে। এমতাবস্থায় তোমাদের উচিৎহবে আমার ও আমার খুলাফায়ে-রাশেদার সুন্নতের অনুসরন করা। যারা সত্য ও ন্যায়ের অনুসারী। তোমরা তাদের দৃঢ়ভাবে অনুসরন করবে।তোমরা বিদয়াতের অনুসরন করা ও অনুকরণকরা হতে দূরে থাকবে। কেননা প্রত্যেক নতুন কথাই বিদয়াত এবং প্রত্যেক বিদয়াতই পথভ্রষ্টতা।
* খোলাফায়ে রাশেদার বদনাম মানে বিদয়াত। এসব সত্য ঘটনা নয়। লোকেরা পরে এসব কথা বানিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রচার করেছে তাঁদেরকে হেয় করার জন্য। আমরা এসব অকথা বিশ্বাস করি না। আর এসব কথা বিশ্বাস করা আমাদের ঈমানের অংশ নয় যে এসব কথা বিশ্বাস না করলে আমাদের ঈমানের কোন ক্ষয়ক্ষতি হবে!
৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ৯৫ তীন, ৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮। আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট বিচারক নন?
* সর্বশ্রেষ্ট ন্যায় বিচারক যাঁদের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁদেরকে মন্দলোক মনে করা কোন মুমিনের পক্ষে সম্ভব নয়। আমার মা পারেননি, আমার বাপ পারেননি, আমিও পারব না। হে পোষ্ট দাতা আমি এ বিষয়ে আপনার নিকট ক্ষমা চাই। আপনি নিজেকে সত্য পথিক মনে করলেও আপনার এ পোষ্ট আপনাকে সত্য পথিক সাব্যস্ত করে না।
৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:
সহিহ আল বোখারী, ২৫৪৩ নং হাদিসের (ওছিয়ত অধ্যায়) অনুবাদ-
২৫৪৩। হযরত আসওয়াদ (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা আয়েশার (রা.) নিকট আলোচনা করল যে, আলী (রা.) রাসূলুল্লাহর (সা.) অছী ছিলেন। তিনি বললেন, নবি (সা.) কখন তাঁকে অছিয়ত করলেন? আমি তো তাঁকে নিজের বক্ষে অথবা ক্রোড়ে ঠেস দিয়ে রেখেছিলাম। তিনি পানির তস্তরী চাইলেন এবং আমার ক্রোড়ে ঝুঁকে পড়লেন। আমি জানতে পারলাম না যে তিনি প্রাণ ত্যাগ করেছেন। তিনি কখন তাঁকে ওছিয়ত করলেন?
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ১১২ নং হাদিসের (অবতরনিকা অধ্যায়) অনুবাদ-
১১২। হযরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন হে ওসমান (রা.)! আল্লাহ তা’আলা একদিন তোমাকে এ কাজের (খিলাফতের) দায়িত্ব অর্পণ করবেন। তখন মুনাফিকরা ষড়যন্ত্র করবে, যেন আল্লাহ প্রদত্ত জামা (খিলাফতের দায়িত্ব) তোমার থেকে খুলে ফেলতে পারে, যা আল্লাহ তোমাকে পরিয়েছেন। তুমি কখনো তা’ খুলে দেবে না। তিনি এ বাক্যটি তিন বার বললেন।
# শিয়ারা মহানবির (সা) ইন্তেকালের সাথে সাথেই হযরত আলীর (রা) পক্ষে মিথ্যা হাদিস বানাতে শুরু করে। হাদিস অনুযায়ী তারা মোনাফেক সাব্যস্ত।
৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:
মুসলিম বার খলিফা ও হানাফী মাযহাবের সঠিকতার প্রমাণ তো আছে। শিয়া বার ইমাম ও তাদের শিয়া মাযহাবের সঠিকতার কি প্রমাণ আছে?
সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ হতেও; তিনি বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না।
সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ)অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।
* বার খলিফা হবেন হযরত ইব্রাহীম বংশীয় কুরাইশ। ইব্রাহীম বংশীয় কুরাইশ খলিফা হয়েছেন খোলাফায়ে রাশেদার চার জন, উমাইয়া চৌদ্দ জন, আব্বাসীয় ছাপ্পান্ন জন ও অন্যান্য দুই জন মোট ছিয়াত্তর জন। রাসূল (সা.) বললেন বার জন। রাসূলের (সা.) তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন চৌষট্টিজন।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৫ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৫। হযরত এমরান ইবনে হুছাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম হলো আমার যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা।এমরান বলেন রাছুলুল্লাহ (সা.) তাঁর যামানার পর দু’ যামানার উল্লেখ করেছেন, না তিন যামানার উল্লেখ করেছেন ত’ আমার সঠিকভাবে মনে নেই।এরপর তোমাদের পর এমন কিছু লোকের আবির্ভাব যারা সাক্ষ্য দান করবে অথচ তাদের নিকট সাক্ষ্য চাওয়া হবে না। তারা বিশ্বাস ঘাতকতা করবে। সুতরাং তাদেরকে কখনও বিশ্বাস করা যাবে না। তারা খুবই মোটা সোটা ও হৃষ্টপুষ্ট দেহের অধিকারী হবে।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৬ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৬। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, লোকদের মধ্যে সর্বোত্তম সময হলো আমার সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। তারপর এমন একদল লোকের উদ্ভব ঘটবে যাদের কেউ শপথ করার পূর্বে সাক্ষ্য দিবে এবং সাক্ষ্য দিবার পূর্বে শপথ করবে। ইব্রহীম নখয়ী বলেন, আমাদের মুরুব্বঈরা আমাদেরকে সাক্ষ্য দিবার জন্য ও ওয়াদা করার জন্য প্রহার করতেন। তখন আমরা ছোট ছিলাম।
* বিশ্বাস ঘাতক যুগের সদস্য হওয়ার কারণে রাসূলের (সা.) তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন আটচল্লিশ জন খলিফা। অবশিষ্ট রইলো আটাশ জন। স্বপক্ষে হাদিস থাকার পরেও জালিম হওয়ার কারণে খলিফা তালিকা থেকে বাদ পড়বেন তিন জন আব্বাসীয় খলিফা। অবশিষ্ট রইলেন পঁচিশ জন। উক্ত পঁচিশ জনের বার জনের পক্ষে হাদিস আছে তের জনের পক্ষে হাদিস নেই।
সহিহ আবু দাউদ, ৪৫৫৪ নং হাদিসের অনুবাদ-
৪৫৫৪। হজরত হাজার ইবনে হাজার(র.)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা ইয়াবাজ ইবনে সারিয়া (রা.) এর কাছে যাই, যাঁর সম্পর্কে এ আয়াত নাযিল হয়, ‘তাদের জন্য কোন অসিুবিধা নেই,যারা আপনার কাছে এ জন্য আসে যে আপনি তাদের জন্য বাহনের ব্যবস্থা করবেন। আপনি বলুন আমি তো তোমাদের জন্য কোন বাহন পাই না’।
রাবী বলেন, আমরা তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁকে সালামকরি এবং বলি,আমরা আপনাকে দেখার জন্য, আপনার সেবার জন্য এবং আপনার কাছ থেকে কিছু সংগ্রহকরার জন্য এসেছি। তখন তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের সাথে নামাজ আদায়ের পর,আমাদের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন, যাতেআমাদের চোখ অশ্রু ভারাক্রান্ত হয় এবং অন্তর ভীত-সন্ত্রস্তহয়। আমাদের মধ্যে একজন বললেন,হে আল্লাহর রাসূল! মনেহচ্ছে এটা আপনার বিদায়ী ভাষণ,কাজেই আপনি আমাদেরকে আরোকিছু অসিয়ত করেন। তখন তিনি (সা.)বলেন, আমিতোমাদেরকে তাকওয়া অবলম্বনের জন্য বলছি এবং শুনা ও মানার জন্যও,যদিও তোমাদের আমির হাবশী গোলাম হয়। কেননা তোমাদের মধ্যে যারা আমার পরে বেঁচে থাকবে, তারা বহু মতবিরোধদেখতে পাবে। এমতাবস্থায় তোমাদের উচিৎহবে আমার ও আমার খুলাফায়ে-রাশেদার সুন্নতের অনুসরন করা। যারা সত্য ও ন্যায়ের অনুসারী। তোমরা তাদের দৃঢ়ভাবে অনুসরন করবে।তোমরা বিদয়াতের অনুসরন করা ও অনুকরণকরা হতে দূরে থাকবে। কেননা প্রত্যেক নতুন কথাই বিদয়াত এবং প্রত্যেক বিদয়াতই পথভ্রষ্টতা।
সহিহ তিরমিযী, ৩৭১২ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭১২। হযরত আবু বকর (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) মিম্বরে উঠে বলেন, আমার এ পুত্র (হাসান) ইমাম হবে এবং আল্লাহ তার দ্বারা দুটি ঝগড়া পূর্ণ দলের মধ্যে সন্ধি স্থাপন করাবেন।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ২৭৭৬ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অনুবাদ-
২৭৭৬। আনাস ইবনে মালেকের (রা.) খালা এবং মহানবির (সা.) দুধ খালা উম্মু হারাম বিনতে মিলহান (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। অতঃপর তিনি হাসতে হাসতে জেগে উঠলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)! কে আপনাকে হাসালো? তিনি বললেন, আমার উম্মতের কতক লোককে আমার নিকট এমন অবস্থায় পেশ করা হয়েছে যে, তারা এই সমূদ্রের উপর সওয়ার হয়েছে, যেমনভাবে বাদশাহ সিংহাসনে আরোহন করে। উম্মু হারাম বললেন, তিনি তাঁরজন্য দোয়া করলেন। এরপর পুনরায় ঘুমিয়ে পড়লেন। অতঃপর প্রথম বারের ন্যায় জাগ্রত হলেন। তারপর উম্মু হারাম (রা.) অনুরূপ বললেন, রাসূলও (সা.) প্রথমবারের অনুরূপ জবাব দিলেন। উম্মু হারাম (রা.) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে বললেন, তুমি প্রথম দলের অন্তর্ভূক্ত থাকবে। আনাস (রা.) বলেন, অতঃপর তিনি তাঁর স্বামী উবাদা ইবনে সামিতের (রা.) সাথে বের হলেন জিহাদ করার জন্য, যখন মুসলিমগণ মু’আবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের সাথে সর্ব প্রথম নৌযুদ্ধে রওয়ানা করে। অতঃপর তারা জিহাদ থেকে ফিরে এসে সিরিয়ায় অবতরণ করলেন তখন সওয়ার হওয়ার জন্য তাঁর কাছে একটা জন্তুযান আনা হলো। জন্তুযানটি তাকে ফেলে দিল। এতেই তিনি ইন্তিকাল করলেন।
সহিহতিরমিযী, ৩৭০১নংহাদিসের[ রাসূলুল্লাহ (সা.) ওতাঁরসাহাবীগণেরমর্যাদাঅধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭০১।হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আলআব্বাসকে (রা.) বললেন, আগামী সোমবার আপনি আমার কাছে আসবেন এবং আপনার সন্তানদেরকেও সাথেনিয়ে আসবেন।আমি আপনার জন্য এবং আপনার সন্তানদের জন্য একটি দোয়া করব, যার দরুন আল্লাহ আপনাকেও উপকৃত করবেন এবং আপনার সন্তানদেরও।সকালে তিনি গেলেন এবং আমরাও তাঁর সাথে গেলাম।তিনি আমাদের গায়ে একখানা চাদর জড়িয়ে দিলেন, এরপর বলেন, হে আল্লাহ! আল আব্বাস ও তাঁর সন্তানদের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় দিক থেকে এমনভাবে মাফ করেদিন, যারপর তাদের আর কোন অপরাধ বাকি না থাকে।হে আল্লাহ! তাঁকে তাঁর সন্তানদের অধিকার পূরণের তৌফিক দিন।
রাযীন এবাক্যটি অতিরিক্ত বলেছেন, খেলাফত এবং রাজত্ব তার সন্তানদের মধ্যে বহাল রাখ-মেশকাত ৫৮৯৮ নং হাদিস।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৪০৮৪ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৪০৮৪। হযরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের একটি খনিজ সম্পদের নিকট তিনজন নিহত হবেন। তাদের প্রত্যেকেই হবেন খলিফার পুত্র। এরপর সেই ধনাগার তাদের কেউ পাবেন না। প্রাচ্য দেশ থেকে কালো পতাকা উড্ডীন করা হবে । তারা তোমাদের এমনভাবে হত্যা করবে, যেমনটি ইতিপূর্বে কোন জাতি করেনি। অতঃপর তিনি আরো কিছু উল্লেখ করেছিলেন, যা আমার মনে নেই। আর তিনি এও বললেন, যখন তোমরা তাঁকে দেখতে পাবে, তখন তাঁর হাতে বায়াত গ্রহণ করবে, যদিও তোমাদের বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে অতিক্রম করতে হয়। কেননা তিনি আল্লাহর খলিফা মাহদী।
* সুতরাং কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী বার জন খলিফার তালিকা হবে নিম্নরূপ-
১। হযরত আবু বকর (রা.) ২। হযরত ওমর (রা.) ৩। হযরত ওসমান (রা.) ৪। হযরত আলী (রা.) ৫। হযরত ইমাম হাসান (রা.) ৬। হযরত মুয়াবিয়া (রা.) ৭। আবু জাফর আল মানসুর ৮। আল মাহদী ইবনে মানসুর ৯। আল হাদী ১০। হারুন অর রশীদ ১১। আল আমিন ১২। ইমাম মাহদী (আ.)।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
সহিহ মুসলিম, ৪৬১৪ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৬১৪। আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে নবি করিম (সা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমার অবাধ্যতা করল সে আল্লাহর অবাধ্যতা করল। যে ব্যক্তি আমিরের আনুগত্য করে সে আমারই আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমিরের অবাধ্যতা করল সে আমারই অবাধ্যতা করল।
* বারজন খলিফার মধ্যে ইমাম মাহদী (আ.) এখনো আসেননি। অবশিষ্ট এগারজন মুসলিমদের সেরা আমির। যারা তাদের অবাধ্য হবে তারা আল্লাহ ও রাসূলের (সা.) অবাধ্য সাব্যস্ত হবে।
মেশকাত ২২৪ নং হাদিসের (ইলম অধ্যায়) অনুবাদ-
হযরত আওফ ইবনে মালেক আশজায়ী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্বয়ং আমির অথবা আমীরের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা কোন অহংকারী ব্যতীত অপর কেউ ওয়াজ করতে পারে না।
* মুসলিমগণ উক্ত এগার আমির অথবা তাঁদের নির্দেশ প্রাপ্ত ব্যক্তির ফতোয়া অনুযায়ী ইবাদত করবে। প্রথম ছয়জন আমির নিজেরাই ফতোয়া প্রদান করতেন। কিন্তু আমাদের নিকট তাঁদের কোন ফতোয়া সংকলন নেই। সপ্তম আমির ফতোয়া প্রদানের জন্য ইমাম আবু হানিফাকে (র.) নিয়োগ দান করলেও তিনি তাঁর নিয়োগ গ্রহণ করেননি। অষ্টম, নবম ও দশম আমিরের ফতোয়া প্রদানের নির্দেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন ইমাম আবু ইউসুফ (র.) ও তাঁর পরিষদ। তাঁদের ফতোয়া হানাফী মাযহাব নামে বিদ্যমাণ রয়েছে এবং অষ্টম, নবম, দশম ও একাদশ আমির হানাফী মাযহাবের অনুসারী ছিলেন। সুতরাং তাঁদের আনুগত্য করে হানাফী মাযহাবের অনুসারী হলে আল্লাহ ও রাসূলের (সা.) আনুগত্য হবে। সেজন্য উম্মতের সর্ববৃহৎ দল হানাফী মাযহাবের অনুসারী।
# উম্মতের সর্ববৃহৎ দল
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* আয়াত ও হাদিস অনুযায়ী ১। উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকা ফরজ ২। উম্মতের সর্ববৃহৎ দল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া হারাম ৩। উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদ করা হারাম।
উম্মতের সর্ববৃহৎ দল ১। সাহাবায়ে কেরামের (রা.)সর্ববৃহৎ দল ২। তাবেঈগণের সর্ববৃহৎ দল ৩। তাবে তাবেঈগণের সর্ববৃহৎ দল ৪। আমিরগণের সর্ববৃহৎ দল ৫। আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল ৬। ইমামগণের সর্ববৃহৎ দল ৭। মোয়াজ্জিনগণের সর্ববৃহৎ দল ৮। মুজাহিদগণের সর্ববৃহৎ দল ৯। হাজীগণের সর্ববৃহৎ দল ১০। উমরা আদায়কারীগণের সর্ববৃহৎ দল ১১। মুহাজিরগণের সর্ববৃহৎ দল ১২। আনসারগণের সর্ববৃহৎ দল।
সূরাঃ ৫৪, কামার ১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৭। কোরআন আমি সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?
সহিহ বোখারী ৬৯ নং হাদিসের (ইলম অধ্যায়) অনুবাদ-
৬৯। হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। হযরত নবি করিম (সা.) বলেছেন, তোমরা সহজ পথ অবলম্বন কর, কঠিন করে তুলও না এবং সুখবর দাও। বিরক্তি-অস্বস্তি সৃষ্টি করও না।
* দীন সহজ। আর অনুসরনের জন্য ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণ সবচেয়ে সহজ। কারণ নামাজ পড়তে মসজিদে গেলেই তাঁদের সাক্ষাৎ ঘটে।আর তাঁদের বিস্তার ইসলামের শুরু থেকে কেয়ামত অবদি। সুতরাং উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের অনুসারি হতে ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণের সর্ববৃহৎ দলের অনুসারি হতে হবে।
# ইমাম
সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ হতেও; তিনি বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না।
সূরাঃ ২৫ ফুরকান, ৭৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৪। আর যারা প্রার্থনা করে, হে আমাদের প্রতি পালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যারা হবে আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য ইমাম কর।
সহিহ আবুদাউদ, ৬০১ নং হাদিসের (নামায অধ্যায়) অনুবাদ-
৬০১। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ঘোড়ায় চড়েন। তিনি তার পিঠ থেকে পড়ে যাওয়ায় তাঁর শরীরের ডান দিকে আঘাত পান। এমতাবস্থায় তিনি বসে নামাজে ইমামতি করেন এবং আমরাও তাঁর পেছনে বসে নামাজ পড়ি। নামাজ শেষে মহানবি (সা.) বলেন, ইমামকে এ জন্যই নিযুক্ত করা হয়, যেন তার অনুসরন করা হয়। সুতরাং ইমাম যখন দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবে তখন তোমরাও দাঁড়াবে। এরপর ইমাম যখন রুকু করবে তখন তোমারও রুকু করবে এবং ইমাম যখন মাথা উঠাবে তখন তোমরাও মাথা উঠাবে। এরপর ইমাম যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলবে তখন তোমরা বলবে ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’। ইমাম যখন বসে নামাজ পড়বে তখন তোরাও বসে নামাজ পড়বে।
সহিহ তিরমিযী, ১৯৮ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৯৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ইমাম হচ্ছে যামিন এবং মোয়াজ্জিন হলো আমানতদার। হে আল্লাহ! ইমামকে সৎপথ দেখাও এবং মুয়াযযিনকে ক্ষমা কর।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* অনুসরনের জন্য মুত্তাকীদের দীনের যামিনদার ইমাম নিযুক্ত করা হয়। তাঁদের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই উম্মত এবং হেদায়াত প্রাপ্ত। তাঁরা হানাফী বিধায় হানাফী ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের অনুসারী হওয়া সকল মুসলিমের জন্য ফরজ।
# মোয়াজ্জিন
সূরাঃ ৪১ হা-মীম আস-সাজদা, ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৩। কথায় কে উত্তম ঐ ব্যক্তি থেকে যে আল্লাহর দিকে মানুষকে ডাকে, আমলে সালেহ করে এবং বলে, আমিতো মুসলিমদের মধ্যে গণ্য।
# সূরাঃ ৪১ হা-মীম আস-সাজদা, ৩৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩৩। এ আয়াত দ্বারা মুয়াজ্জিনকে বুঝানো হয়েছে। যিনি সৎকর্মশীলও বটে। সহিহ মুসলিমে রয়েছে, কিয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনগণ সমস্ত লোকের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উচ্চ গলা বিশিষ্ট হবেন।
সহিহ তিরমিযী, ১৯৮ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৯৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ইমাম হচ্ছে যামিন এবং মোয়াজ্জিন হলো আমানতদার। হে আল্লাহ! ইমামকে সৎপথ দেখাও এবং মুয়াযযিনকে ক্ষমা কর।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* দীনের আমানতদার উত্তম কথার মোয়াজ্জিনগণ অবশ্যই মোহানবির (সা.) উম্মত। তাঁদের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই হেদায়াত প্রাপ্ত। তাঁরা হানাফী বিধায় হানাফী মোয়াজ্জিনগণের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই হেদায়াত প্রাপ্ত। সুতরাং হানাফী মোয়াজ্জিন গণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকা সকল মুসলিমের জন্য ফরজ।
# ১। ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকা ফরজ ২। ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণের সর্ববৃহৎ দল থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা হারাম ৩।ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদ করা হারাম বিধায় যারা তাঁদের সাথে মতভেদ করে তারা পাক্কা শয়তান।
সূরাঃ ১১০ নাসর, ১ নং থেকে ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে।
২। আর তুমি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করতে দেখবে।
৩। তখন তুমি তোমার রবের হামদ এর তাসবিহ পাঠ করবে, আর তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে। নিশ্চয়ই তিনি তো তওবা কবুলকারী।
* মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসার পর মহানবি (সা.) মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করতে দেখেছেন।হানাফী মাযহাব গঠিত হওয়ার পর থেকে মহানবির (সা.) উম্মতগণ দেখছে বিশ্ব জুড়ে মুসলিমদের জন্য আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসার পর মানুষ দলে দলে হানাফী মাযহাবে প্রবেশ করছে। সংগত কারণে হানাফী মাযহাব গঠিত হওয়ার পর থেকে হানাফী মাযহাব আল্লাহর দীন সাব্যস্ত হয়। সুতরাং অহানাফীদের দায়িত্ব আল্লাহর নিকট তওবা করে হানাফী মাযহাবে দাখিল হওয়া ও তাদের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকা। নতুবা তারা দীনের বাইরে থেকে জাহান্নামী হবে।
সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।
* কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী এখন মুমিনদের পথ হলো হানাফীদের সর্ববৃহৎ দলের পথ। সে পথ ছেড়ে যারা অন্য পথে চলবে আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নামে দগ্ধ করবেন। সুতরাং যারা জান্নাতে যেতে চায় আমি তাদেরকে হানাফীদের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকার বিনীত অনুরোধ করছি। হানাফীদের সর্ববৃহৎ দলের সাথে যারা সম্পৃক্ত নয় তাদের সাথে থেকে জান্নাত লাভের কোন সম্ভাবনা আমি দেখছি না।
৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৩
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: মওলা আলী ও হযরত ফাতেমা (আ) এবং আবুবকর ও উমর - কেন আপনার কাছে প্রিয় হবেন?
আলহামদুলিল্লাহ
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
মওলা আলী ও হযরত ফাতেমা (আ)-এর সাথে তুলনা করলে বাকি দু'জনের নাম আসা উচিৎ নয়।
ধন্যবাদ।
৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাঁদের সবাই আমার নিকট প্রিয়। তবে তাঁদের নিয়ে মিথ্যাচার অসহ্য।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
যখন কারো উপর অত্যাচার হবে, অত্যাচারীদের বিপক্ষে যাওয়াই একজন মুসলমানের কাজ।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
১০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৪
বিটপি বলেছেন: সত্যপথিক শাইয়ান, আপনি ১০০ টা রেফেরেন্স দিন সমস্যা নেই, এর মধ্যে একটাও কোরআন হাদীসের রেফারেন্স নয় (সেই সময়ে সম্ভবও নয়)। তাই একটা রেফারেন্সও আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। হযরত আবু বকর (রা) ও উমর (রা) এরকম কাজ কোনমতেই করতে পারেননা, করতে পারেন না, করতে পারেন না। আমরা বিশ্বাস করিনা, করিনা, করিনা।
সবাই জানে ইসলামী শাসনের শেষ জমানায় মুসলিমরা বিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন। তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করবেন, একে অপরের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করবেন - এটা খুবই স্বাভাবিক। একজন একটা মিথ্যা ছড়ালো, তা আরো দশজনে রেফার করল। এভাবে ১০০ জন মিলে একটা মিথ্যা ছড়ালে সেটাই সত্যি হয়ে যায়না। মিথ্যা সর্বদাই মিথ্যা।
যারা এই মিথ্যা ছড়িয়েছে এবং যারা তা প্রমোট করে সাহাবায়ে কেরামদের ছোট করছে - সবার উপর আল্লাহ্র লানত।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
অত্যাচারীদের পক্ষে যাওয়া, তাদের গুণগান গাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
আপনার মত এবং আমার মতের মধ্যে পার্থক্য থাকতেই পারে। এটাই মানুষ হিসেবে আমাদের সার্থকতা।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
১১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৫
নতুন বলেছেন: এই কাহিনির সত্যতা প্রমান করা সম্ভব না।
কিন্তু ঝামেলা যে ছিলো সেটা ঘটনা বিশ্লেষনে বোঝা যায়।
ফাতেমা রা: যেই বয়সে মারা গিয়েছিলেন সেটা সাভাবিক না। অসুস্থতা ছাড়া মারা যাবার কথা না।
ফাতেমা রা: এর জানাজা, দাফনে ইসলামের প্রথম খলিফা, ওমর রা: এর অনুপুস্থিতি একটা বড় সমস্যার ইঙ্গিত করে।
আলী রা: আয়শা রা: মরুভুমিতে একা হয়ে যাবার ঘটনার পরে তাকে কে তালাক দেবার কথা বলেছিলেন।
আলাী এবং আয়শা রা: এর দলের মাঝে যুদ্ধ পযন্ত হয়েছিলো তাই তাদের মাঝে ঝামেলা ছিলো।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ইতিহাস প্রমাণ করার কিছু সূত্র আছে।
শ্রুতি এবং স্মৃতি থেকেই ইতিহাস প্রমাণ করা যায়, নতুন ভাই।
অত্যাচারীদের পক্ষে যাওয়ার মুমিনেরে কাজ নয়। ধন্যবাদ নিরন্তর।
১২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার পোস্ট আমি পড়েছি। আমি এই পোস্ট আবার ফিরবো।
আপনার সমস্যা কী জানেন? আপনি নিজেই সবকিছু আগে ঠিক করে নিয়েছেন - এই সাহাবী দুইজন খারাপ এবং তারপরে এর স্বপক্ষে সারা জায়গায় যুক্তি খুঁজে বেড়িয়েছেন।
অথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম নিজেই তাদের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিয়েছেন, আফসোস সেইগুলি আপনার চোখে পড়েনি। শয়তানের ধোঁকা মানূষকে অন্ধ করে দেয়।
আপনার এইসব সূত্রে বিপরীতে মাত্র দুইটা সহী হাদিসই যথেষ্টঃ
১)
‘‘আমার পরে তোমরা আবু বকর ও উমার, এই দু’জনের অনুসরণ করবে’’। (তিরমিযী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল মানাকিব।
২)
‘‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে একজন মহিলা আগমণ করল। তিনি তাকে পুনরায় আসতে বললেন। মহিলাটি বললঃ আমি এসে যদি আপনাকে না পাই তাহলে কার কাছে যাব? মনে হচ্ছে সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাওতকে উদ্দেশ্য করেছিল। তিনি তখন বললেনঃ তুমি এসে যদি আমাকে না পাও তাহলে আবু বকরের কাছে যাবে’’। (বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল মানাকিব)
আপনার লেখা যদি সত্য হয় তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম তার সবচেয়ে আদরের মেয়ের হত্যাকারীদের অনুসরণ করতে বলেছেন, নাউজুবিল্লাহ।
আল্লাহ আপনাকে রহম করুন।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনার এই দুই হাদিসের বিপরীতে আমি আহলে বায়াতের পক্ষে ৪০টি হাদিস দিতে পারি।
আমার দেওয়া এই হাদিসগুলোতে উল্লেখ থাকবে যে- আহলে বায়াত বা রাসূলুল্লাহ (সা)-এর ঘরের মানুষদের অনুসরণ করতে হবে।
১৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৮
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি হযরত ফাতেমা (আ) নামের শেষে (আ) দ্বারা কী বুঝিয়েছেন? আমাদেরকে পরিষ্কার করে বলুন?
সম্মানিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম এর কোন সাথী বা সাহাবাদের নামের শেষে রাদিয়াল্লাহু আনুহু / আনহা বলতে হয়, তারা আপনার কোন ইয়ার দোস্ত না যে তাদের নাম ধরে বলবেন। আপনার পরিচয় আপনার লেখার ভিতরে সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
হযরত ফাতেমা আলাইহিস সালাম বুঝিয়েছি।
১৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: এইসব মিথ্যা নোংরা গালগল্প ছড়ানোর জন্য দয়া করে ব্লগকে ব্যবহার করবেন না। শিয়াপন্থী ইরানীরা হযরত আলীর অনুসারি হলেও কখনো অন্যান্য খলিফা রাশেদীনদের নামে কুতসা রটায়নি। ইরানীদের বানানো হযরত উমরের জীবনী নির্ভর একটি সিরিয়াল আছে যা বিভিন্ন সহি রেফারেন্স এর উপড় ভিত্তি করে বানানো। সকল খলিফা রাশেদীন শুরা বা কাউন্সিলের সদস্যদের মতামত্ অনুযায়ী নির্বাচিত হয়েছেন এবং হযরত আলী বরাবরই এই শুরার একজন সদস্য ছিলেন এবং হযরত আলীও শুরার মাধ্যমে চতুর্থ খলিফা নির্বাচিত হয়েছিলেন। । হযরত আলীর সাথে হযরত উমরের কখনই দ্বন্দ ছিল না।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনি যা বলছেন তা মুখস্থ বুলি। অন্যের মুখে শোনা গল্প।
আর, আমি যা লিখেছি তা নিজে পড়ে লিখেছি।
ধন্যবাদ।
১৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫৩
বিটপি বলেছেন: "অত্যাচারীদের পক্ষে যাওয়া, তাদের গুণগান গাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়"
সিদ্দিকে আকবর হযরত আবু বকর (রা) রাসূলের (স) এর পর একমাত্র নবুয়তের যোগ্য উমর (রা) কে যদি আপনার কাছে অত্যাচারী মনে হয়, তবে স্যরি। আপনি সাহাবায়ে কেরামদের সম্পর্কের আলোচনা করার যোগ্য নন। তাদের গুণগান গাওয়া যদি আপনার পক্ষে সম্ভব নাও হয়, দোষ-অন্যায় সম্পর্কে বলারও কোন প্রয়োজন আপনার নেই। দূর্বল প্রমাণের ভিত্তিতে আশারায়ে মুবাশ্বারা, ইসলামের প্রথম ও দ্বিতীয় খলিফা সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু বলার আগে চিন্তা করা উচিত ছিল।
ফাতেমা (রা) মাত্র বাইশ বছর বয়েসে মারা গিয়েছিলেন। দারিদ্র্য, অসুখ বিসুখ, সংসারের ভয়াবহ বোঝা সামলাতে গিয়ে অল্প বয়েসী একটি মেয়ের মারা যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। এর জন্য অন্য সাহাবাদের দায়ী করা ছোটলোকী ছাড়া আর কিছু নয়। আলী (রা) এবং আয়েশার (রা) মাঝে যুদ্ধ হয়েছিল উসমান (রা) এর অস্বাভাবিক হত্যাকান্ডে সৃষ্ট আস্থার সংকট থেকে। এখানে আবু বকর (রা) এবং উমর (রা) এর কানেকশন কি?
১৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০
নীল আকাশ বলেছেন: ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৯০ লেখক বলেছেন: আপনার এই দুই হাদিসের বিপরীতে আমি আহলে বায়াতের পক্ষে ৪০টি হাদিস দিতে পারি। আমার দেওয়া এই হাদিসগুলোতে উল্লেখ থাকবে যে- আহলে বায়াত বা রাসূলুল্লাহ (সা)-এর ঘরের মানুষদের অনুসরণ করতে হবে।
আপনি আহলুল বায়াত নিয়ে ৪০টা হাদিস না, যত ইচ্ছে হাদিস নিয়ে আসতে পারেন, আমি প্রকাশ্যে সবার সামনে চ্যালেঞ্জ করলাম, সহী সনদ যুক্ত একটা হাদিসেও এই দুইজন সাহাবীকে নিয়ে কোন কটু শব্দ বা বাক্য দেখাতে পারবেন না।
১৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০
নীল আকাশ বলেছেন: হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু) এর উপাধি ছিল ‘সাদিক’ (সত্যবাদী) এবং ‘আতিক’ (দোযখের আগুন থেকে আল্লাহ্ কর্তৃক রক্ষাপ্রাপ্ত)। পৃথিবীর ইতিহাসে বিশ্বনবীর পর অনন্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, মাধুর্য ব্যবহার, ব্যক্তিত্বের বলিষ্ঠতা, অগাধ জ্ঞানের গভীরতা, কালজয়ী আদর্শিক একনিষ্ঠতা, কুরআনের নীতি-জ্ঞানে পরিপক্বতা, দায়িত্ব পালনে কর্তব্য-নিষ্ঠা, অধিকার বস্তবায়নে ত্যাগের মহিমা আর নিঃস্বার্থ প্রজা পালনে সমগ্র পৃথিবীব্যাপী যত রাষ্ট্রনায়ক সুখ্যাতি অর্জন করেছেন তাঁদের মধ্যে সর্বপ্রথম যাঁর নামটি শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয়, তিনি হলেন ইসলামি খিলাফাতের প্রথম খলিফা, হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রাদিয়াল্লাহু আনহু)। তিনি আশারায়ে মুবাশ্বারার একজন। হজরত আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রেসালাত প্রাপ্তির দ্বিতীয় দিনেই ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনিই হলেন বয়স্ক ও পুরুষদের মধ্যে এবং কুরাইশ বংশের ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি। দ্বীনি দাওয়াত নিয়ে কোথাও গেলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে সঙ্গে নিয়েই যেতেন। হিজরতের কঠিন সফরে হজরত আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহু)ই ছিলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সফরসঙ্গী। আল্লাহ তাআলা তাঁর শানেই সুরা আল-লাইলের ৫, ৬ ও ৭ আয়াত নাজিল করেছিলেন।
নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ ‘বন্ধুত্ব ও সাহায্য আবু বকরই আমাকে বেশি করেছিলেন। ইহজগতে যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতাম তাহলে আবু বকরকেই করতাম।’ একদিন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম) হযরত আবু দারদা (রাদিয়াল্লাহু আনহু)কে হযরত আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর আগে আগে চলতে দেখে সতর্ক করলেন এবং বললেনঃ ‘তুমি কি এমন ব্যক্তির আগে আগে চলো, যিনি ইহকাল ও পরকালে তোমার চেয়ে শ্রেষ্ঠ?’ তিনি আরো বলেছেনঃ ‘দুনিয়ায় এমন কোনো ব্যক্তির ওপর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয়নি, যে পয়গম্বরদের পর হযরত আবু বকর থেকে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ।’ ইসলামের প্রতি উনার অপরিসীম অবদানের জন্য তাকে ‘ইসলামের ত্রাণকর্তা’ বলা হয়। এ অবদানের স্বীকৃতির ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ‘দুনিয়াতে আমি প্রত্যেক মানুষের এহসানের পরিপূর্ণ বদলা আদায় করেছি কিন্তু সিদ্দিকে আকবরের ত্যাগের প্রতিদান আদায় করতে পারিনি। হাশরের ময়দানে স্বয়ং রাব্বুল আলামিন তাকে ওই প্রতিদান দেবেন।’
হিজরী ১৩ সনের জমাদিউল উখরা মাসে হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু) শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু)কে ডেকে বললেন, আমি যখন এই জগৎ ত্যাগ করবো তখন তোমার সেই হাত দিয়ে গোসল দিও যে হাত দিয়ে প্রিয় নবীকে গোসল দিয়েছ। তারপর সুগন্ধি দিয়ে কাফন পরিধান করে নবীজির রওজা পাকের সামনে রেখে নবীর দরবারে আবেদন করিও ইয়া রাসুলল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম); আপনার বাল্যবন্ধু, যৌবনকালের বন্ধু এবং হিজরতের সাথী আজ আপনার কদমে হাজির। এতে যদি সাড়া পাও তাহলে সেখানে দাফন করিও ; অন্যথায় জান্নাতুল বাকীতে দাফন করবে। তাঁর নির্দেশ মত হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু) এর দেহ রাসুলে পাক (রাদিআল্লাহু আনহু) এর রওজা মোবারকের সামনে হাজির করে উল্লেখিত আবেদন করার পর স্পষ্ট আওয়াজ এল “আদখিলুল হাবীবা ইলাল হাবীব”। অর্থাৎ তোমরা বন্ধুকে বন্ধুর সঙ্গে মিলিয়ে দাও। কারণ বন্ধুর জন্য বন্ধু অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ।
(সূত্র: খাসায়েসুল কুবরা কৃত: ইমাম জালাল উদ্দিন সুয়ুতী (রহিমাহুল্লাহ)।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রানপ্রিয় বন্ধুকে অপমানজনক নোংরা মন্তব্য করার শাস্তি আল্লাহই আপনাকে দেবেন। সবার জন্য আল্লাহ হিদায়াতের বন্দোবস্ত করেন না।
১৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: উকবা ইবনে আমির (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত এক হাদিসে আছে, রাসুল (সা) বলেছিলেন, “আমার পরে যদি কেউ নবী হত, তবে সে হতো উমার।” [আহমাদ (১৭৪০৫), তিরমিজি (৩৬৮৬), আল হাকিম (৪৪৯৫)] হযরত উমর ইবন খাত্তাব রাদিআল্লাহু আনহুর ঘটনা। আব্দুল্লাহ ইবনে হিশাম (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্নিতঃ “একদিন আমরা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম। নবীজী উমর রাদিআল্লাহু আনহুর হাত ধরা ছিলেন। উমর রাদিআল্লাহু আনহু তাকে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার জান ছাড়া আপনি আমার কাছে সবকিছু থেকে প্রিয়। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, যার হাতে আমার প্রাণ সেই সত্ত্বার কসম! তোমার কাছে আমি যেন তোমার প্রাণের চেয়েও প্রিয় হই। তখন উমর রাদিআল্লাহু আনহু তাকে বললেনঃ আল্লাহর কসম, এখন থেকে আপনি আমার কাছে আমার প্রাণের চেয়েও বেশি প্রিয়। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হাঁ উমর! এখন তুমি সত্যিকারের ঈমানদার হলে। (সূত্রঃ সহীহ বুখারী, ৬ষ্ঠ খন্ড হাদীস ৬৬৩২)
রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাহাবীগণ সকলেই দ্বীনের ব্যাপারে ছিলেন ইনসাফকারী। যেমন নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রত্যেক সাহাবীদেরকেই ইনসাফকারী বলে আখ্যায়িত করে গেছেন। যথা নবাী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের উপর আমার রেখে যাওয়া সুন্নাহ্ এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত পথপ্রদর্শনকারী খলীফাগণের সুন্নাত অবশ্যই গ্রহণযোগ্য এবং উক্ত খলীফাগণের প্রত্যেকেই ইনসাফকারী। অন্যত্র আছে, যার সানাদও সহীহ বটে, আর তা এই যে, আমার সব সাহাবীই ইনসাফকারী। ইমাম বুখারীর বর্ণনায় উক্ত সহীহ বুখারীর মধ্যেই كتاب فضائل الصحابة নামক অধ্যায়ের ৩৬৬৫ নং হাদীসে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, তোমরা (পরবর্তীকালে) আমার সাহাবীদেরকে গালি-গালাজ করো না।
“আমার পরে তোমরা আবু বকর ও উমার- এই দু’জনের অনুসরণ করবে’’।
(তিরমিযী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল মানাকিব। সিলসিলায়ে সাহীহা হাদীছ নং- ১২৩৩)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাস বলেন, “আমার সুন্নাত ও আমার হেদায়েতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত পালন করা তোমার অবশ্য কর্তব্য, এই সুন্নাতকে তোমরা হাতে-দাঁতে দৃঢ়ভাবে ধারণ করবে। আর সাবধান! ইসলামী শরীয়তে তোমরা নতুন কিছু আবিস্কার করবে না, কেননা প্রত্যেক নব আবিস্কৃারই হচ্ছে বিদ‘আত এবং প্রত্যেক বিদ‘আতই হচ্ছে ভ্রান্তি ও পথভ্রষ্টতা। (আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযি ও ইবনে মাজাহ্)
রাসূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘আমার পরে তোমরা তাঁদেরকে সমালোচনার লক্ষ্যে পরিণত করো না। তাঁদেরকে যারা ভালোবাসে, আমার মুহাব্বতের খাতিরেই তারা ভালোবাসে, আর যারা তাঁদেরকে হিংসা করে, আমার প্রতি হিংসার কারণেই তারা তা করে।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)। হযরত ইবনে উমর (রা হতে বর্ণিত। রাসূল্লাহ (সা বলেছেন, যখন তোমরা ঐ সব লোকদেরকে দেখবে যারা আমার সাহাবীদেরকে গাল-মন্দ করে, তখন তোমরা বলবে, তোমাদের প্রতি আল্লাহ তায়ালার লানত, তোমাদের এ মন্দ আচরণের জন্য। (সূত্রঃ তিরমিজী)।
সাহাবিদের মর্যাদা ও তাঁদের ফজিলত সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তারাই মুমিন, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনার পর সন্দেহ পোষণ করে না এবং আল্লাহর পথে জান ও মাল দ্বারা জিহাদ করে। তারাই (সাহাবীগণ) সত্যনিষ্ঠ বা সত্যবাদী।’ (সূরা হুজুরাত, আয়াত : ১৫)।
‘এমন সব লোকই (সাহাবীরা) সত্যিকারের মুমিন (যাঁদের ভেতর ও বাহির এক রকম এবং মুখ ও অন্তর ঐক্যবদ্ধ)। তাদেরজন্য রয়েছে স্বীয় পরওয়ারদিগারের নিকট সুউচ্চ মর্যাদা ও মাগফিরাত এবং সম্মানজনক রিযিক। (সূরা আনফাল, আয়াত : ৪)।
সাহাবিদের মহান মর্যাদা সম্পর্কে এসেছে অসংখ্য হাদিস। তার মধ্য থেকে কয়েকটি উল্লেখ করছি। আবু সাঈদ খুদরী (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন ‘তোমরা আমার সাহাবীগণকে গাল-মন্দ করোনা। কেননা তারা এমন শক্তিশালী ঈমান ও সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী যে, তোমাদের কেউ যদি ওহুদ পাহাড় পরিমাণ সোনাও আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, তবুও তাদের এক মুদ (৩ ছটাক প্রায়) কিংবা অর্ধমুদ যব খরচ এর সমান সাওয়াবে পৌঁছুতে পারেনা। (সূত্রঃ বুখারি ৩৩৯৭)। হযরত জাবির (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, ‘জাহান্নামের আগুন সে মুসলমানকে স্পর্শ করতে পারে না, যে আমাকে দেখেছে। অর্থাৎ আমার সাহাবীরা কিংবা আমাকে যারা দেখেছে তাঁদেরকে দেখেছে। অর্থাৎ তাবেয়ীরা।’ (তিরমিজি : ৩৮০১)। আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, ‘যে আমার সাহাবীদেরকে কষ্ট দিল সে যেন আমাকে কষ্ট দিল; যে আমাকে কষ্ট দিল সে যেন আল্লাহকে কষ্ট দিল। যে আল্লাহকে কষ্ট দিল, অচিরেই আল্লাহ তাকে পাকড়াও করবেন।’ (সূত্র মুসনাদে আহমাদ ১৯৬৪১)।
আপনার মতো কপট ইসলামের শত্রুদের জন্যই আল্লাহ নাযিল করেছিলেন এই আয়াতঃ "বরং আমি মিথ্যার উপর সত্য নিক্ষেপ করি, ফলে তা মিথ্যাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় এবং নিমিষেই তা বিলুপ্ত হয়। আর তোমাদের জন্য রয়েছে দুর্ভোগ তোমরা যা বলছো তার জন্য”। (সূত্রঃ সুরা আম্বিয়া, আয়াতঃ ১৮)
১৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হযরত আবু বকর (রা) ও হযরত ওমর (রা) অত্যাচারি ছিলেন, এমন গল্প সঠিক নয়। এগুলো ইসলামের শত্রুরা বানিয়েছে। আর অনেকে না বুঝে সে সব গল্প প্রচার করেছে। এসব গল্প আমরা বিশ্বাস করি না।
২০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫
নীল আকাশ বলেছেন: সাহাবীদের নামে অপবাদ দেয়া আপনার এই পোস্টে কারা লাইক দিয়েছে সেটাও সবার জানা উচিতঃ
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১৪
সাসুম বলেছেন: আপনি দয়া করে আল তারাবীর হাদিস গুলোর রেফারেন্স যুক্ত করুন। সুন্নী হুজুর ও আলেম ওলামায়ে খুশবু দের কাছে উনি বেশ জনপ্রিয় ও গ্রহনযোগ্য।
এরপর,
ব্লগে রেফারেন্স দেয়ার একটা লজিকাল সিস্টেম আছে। সেটা হল- ডাইরেক্ট লিঙ্ক উল্লেখ করে দেয়া, কিংবা ডাইরেক্ট সোর্স উল্লেখ করে দেয়া যাতে এক ক্লিকেই পাওয়া যায় কোথায় আছে এই কাহিনী এবং বই থেকে হলে সে বইয়ের পাতার ছবি তুলে বা স্ক্যান করে দেয়া।
আপনি একটা আলোচনার পোস্টে এর কিছুই করেন নাই, আপনার এই পোস্ট ব্লগ হিসেবে একটা যাচ্ছেতাই পোস্ট।
এখানে পাঠক দের হাতে এত সময় নেই আপনার দেয়া সূত্রের জন্য হাজার হাজার বার গুগুল সার্চ করবে বা বই কিনে বসে থাকবে।
কাউকে কিছু জানানোর একটা এফারমেটিভ উপায় আছে, উলটা পালটা ভাবে জানাইতে চাইলে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে।
যেহেতু এটা কন্টিনিউ আলোচনার পোস্ট, আপনার সকল সূত্রের লিংক বা ছবি বা এক্সাক্ট সুত্র সরবরাহ করুন।