নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
এটা ভুলে যাওয়া একটি ইতিহাস। ইসলামের শেষ নবী (সা) তখন শেষ নিদ্রায়। কে হবেন তখন মুসলমানদের নেতা তা নিয়ে বচসা শুরু হলো। আবু বকরকে খলিফা বানানোর জন্যে উমর উঠে পড়ে লাগলেন। সেজন্যে তিনি মানুষের উপর জোর খাটানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। সবাই ভয়ে যখন আবু বকরের নেতৃত্ব মেনে নেওয়া শুরু করলেন, হযরত আলী (আঃ) বেঁকে বসলেন। তিনি আবু বকরকে নেতা মানলেন না।
এটা শুনে উমর রেগে গিয়ে হযরত আলী'র বাসায় হানা দিলেন। হযরত আলী'র স্ত্রী বিবি ফাতেমা (আ) দরজা বন্ধ করে আগলে দাঁড়ালেন। হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর কন্যা বিবি ফাতেমা কিছুতেই নিজের স্বামীকে আবু বকরের দরবারে নিতে দিবেন না। এক পর্যায়ে, উমরের লাথিতে দরজা ভেঙ্গে পড়লো। দরজার একটি অংশ গিয়ে আঘাত করলো প্রিয় নবী (সা)-এর মেয়ের গায়ে।
সেই সময়ে বিবি ফাতেমা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। দরজার আঘাতে সাথে সাথে তাঁর গর্ভপাত হলো। আর, তাঁর রক্তাক্ত দেহের উপর দিয়েই মুসলমানদের কথিত দ্বিতীয় খলিফা উমরের বাহিনী হযরত আলীকে বেঁধে আবু বকরের দরবারে নিয়ে গেলো।
পরবর্তীতে, বিবি ফাতেমা মারা গেলে, তাঁর ওসিয়ত মোতাবেক আবু বকর আর উমরকে জানাযায় আসতে বাধা দেওয়া হয়।
এভাবেই, মুসলমানদের খলিফারা যুগে যুগে নারীদের অপমান করেছে। করেছে অত্যাচার। মুসলমানদের বিখ্যাত ইতিহাসবিদরাই তা লিখে গিয়েছেন। সেজন্যেই, ভালো মুসলমানরা আবু বকর, উমর, উসমান আর মুয়াবিয়াকে অভিসম্পাত করে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমি সত্য ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
ধন্যবাদ।
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩১
সাসুম বলেছেন: আপনার ঘটনা ঠিক আছে বাট বর্ণনা দুর্বল। ইসলামের রক্তাক্ত ইতিহাস বর্ণনা করতে চাইলে আরো সুন্দর ভাবে বর্ণনা করা যায়। আপনার বর্ননা সুন্দর হয় নাই। যদিও আপনার বাকি সব লিখার মত এটাও একটা লিখা আর কি।
আর নারীকে অবমাননার দায় পুরাটা ইসলাম কে না দিয়ে ততকালীন সমাজ ব্যবস্থার উপর আর ইসলামের প্রচারক দের দিতে চাই আমি। ইসলামের উপর দেয়ার সমস্যা যেটা সেটা হল- এতে করে কিছু না করা নিরীহ মোসলমান যারা তাদের উপর একটা অত্য্যাচারী ট্যাগ লাগে। ইসলাম একটা বিমূর্ত জিনিষ, এর দোষ গুণ খুজে লাভ নাই। দোষ গুণ খুজা উচিত যারা তৈরি করেছে তাদের।
বাই দা রাস্তাঃ ইসলামের মোট পার্ট দুইটা, বিফোর দা ডেথ অফ মুহাম্মাদ এবং আফটার দা ডেথ অফ মুহাম্মাদ। আমরা খালি বিফোর দা ডেথ এর কাহিনী নিয়েই বিজি, আফটার দা ডেথ এর নোংরামি ও রক্তাক্ত ইতিহাস জানিনা।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমার লেখার স্টাইলটা দূর্বল।
কিন্তু, সত্য তো সত্যই!
আর আমি ইসলামকে দোষারোপ করছি না।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আর, আমার লেখার কোন অংশ দূর্বল জানালে খুশি হবো।
ধন্যবাদ।
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৪
বংগল কক বলেছেন: নবিজীর আগে নাকি আরবরা মেয়েশিশুরে গর্ত খুইড়া জীবন্ত কবর দিত, ঘটনার বিস্তারিত কেউ কইতে পারবেন?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ঘটনার বিষয়ে আপনার কোন মতামত থাকলে জানাতে পারেন।
ধন্যবাদ।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৫
সোবুজ বলেছেন: মেয়ে শিশুকে জীবিত কবর দেয়ার ঘটনাটা যে ডাহা মিথ্যা কথা তার জীবন্ত প্রমান,প্রতিটা সাহাবীর একাধিক স্ত্রী ছিল।জীবিত কবর দিলে এতো মেয়ে পেল কোথায়।
ঘটনাটির বিস্তারিত জানা যাবে সিরাত গ্রন্থ থেকে।প্রায় প্রতিটা সিরাত গ্রন্থেই কিছুটা এদিক সেদিক করে লেখা আছে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
উমর নিজের মেয়েকে জীবন্ত কবর দিয়েছিলেন কি?
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই ঘটনাটা জানা ছিলো না।
কোনো সূত্র দিতে পারেন কোথায় পেয়েছেন?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
হযরত শাহ জালাল (র)-এর সফরসঙ্গী সৈয়দ নাসিরউদ্দিন সিপাহসালার (র)-এর একজন বংশধরের কাছে রক্ষিত রেফারেন্স থেকে।
জানতে চাওয়ার জন্যে ধন্যবাদ নিরন্তর।
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৮
সাসুম বলেছেন: @সোবুজ মেয়েশিশুদের জীবন্ত কবর দেয়ার ঘটনা মিথ্যা নয়৷ এটা আরবের কোন পারসোনাল কালচার ও না।
এটা একটা মর্মান্তিক ট্রাজেডি ছিল। সেই ধুধু আরবে কৃষি ছিল একমাত্র পেশা আর ছিল ট্রেডিং। বাট এই পেশার আড়ালে ছিল রোমান দের অত্যাচার আর ঋন পরিশোধ করতে না পারার প্রজন্মান্তরের কান্না।
তখনকার ঋন গুলো প্রজন্মান্তরে ট্রান্সফার হত। বাপে না পারলে ছেলে পরিশোধ করবে এবং ছেলে না পারলে নাতি এভাবে। ছেলেরা না হয় দাস হয়ে ঋন শোধ করল, মেয়েরা কি করবে??? এক্টাই কাজ ছিলঃ সেক্স স্লেভ আর বাকি জীবন বেশ্যার জীবন কাটানো। তো একজন বাবার কাছে তার নাড়ী ছেড়া ধন কন্যাকে তার পূর্বের ঋন শোধের জন্য একটু বড় হলেই বেশ্যার জীবনে পাঠানোর চেয়ে জন্মের সাথে সাথে জীবন্ত কবর দেয়া বেটার অপশান মনে হত।
৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৯
সোবুজ বলেছেন: @সাসুম,মক্কা মদিনায় আবার রোমানরা কবে আসলো।মক্কায় কোন আবাদ হতো না এখনো হয় না।আমার তো মনে হয় তারা এর নামও জানতো না। মদিনায় কিছু ইহুদি খৃষ্টান ছিল।আমরা আজকে ইসলামের ইতিহাস থেকে যেটা জানি সেটা লেখা হয় আব্বাসিয় খিলাফতের সময় এবং যারা লিখেছেন তারা কখনো মক্কা মদিনায় আসে নাই এবং তারা আরবি ভাষাও জানতেন না।রবি ঠাকুরের ভষায় বলি,’সেই সত্য যা রচিবে তুমি,ঘটে যা তা সব সত্য নহে’।
৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩০
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: দয়া করে আপনি রেফারেন্স দিবেন প্লিজ!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৪৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
তাজুল ভাই,
আমি ভেবেছিলাম আপনি এই বেদনাদায়ক ইতিহাসটা নিয়ে আলোচনা করবেন।
এটুকু প্রকাশ করাটা আমার কি উচিৎ হয়েছে? আশা করি, জানাবেন। আপনি হয়তো জানেন, ঘটনা আরও বড়।
আমি শেয়ার করবো কি? যদিও এতে আবু বকর আর উমরের উপর মানুষের ঘৃণা আরও বাড়বে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৩৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো মুসলিম কারা ,। যারা অভিসম্পাত করে আবু বক্কর, উমর ও উসমানকে ।
১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:০৩
আরইউ বলেছেন:
আপনি মন্তব্যের জবাবে লিখেছেন “হযরত শাহ জালাল (র)-এর সফরসঙ্গী সৈয়দ নাসিরউদ্দিন সিপাহসালার (র)-এর একজন বংশধরের কাছে রক্ষিত রেফারেন্স থেকে।”
আপনার রেফারেন্সতো শক্ত মনে হচ্ছেনা। মনে হচ্ছে আপনি ইতিহাসের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:১০
আরইউ বলেছেন:
ইসলাম ও নারী বিষয়ক একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে আপনি কোন উপযুক্ত তথ্যসূত্র ছাড়া কী উদ্দেশ্য পোস্টটি লিখেছেন বোঝা যাচ্ছেনা। আপনি সূত্র হিসেবে বলেছেন “হযরত শাহ জালাল (র)-এর সফরসঙ্গী সৈয়দ নাসিরউদ্দিন সিপাহসালার (র)-এর একজন বংশধরের কাছে রক্ষিত রেফারেন্স থেকে।” “রক্ষিত রেফারেন্স” বলতে আপনি কী বোঝাতে চেয়েছেন তা পরিষ্কার নয়। লিখিত/প্রকাশিত রেফারেন্স ছাড়া এমন বিষয়ে কিছু লেখা মনগড়া ইতিহাস লেখার সমতুল্য।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৫৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ইসলামের ইতিহাস যারা বর্ণনা করেছেন, তাঁদের কাকে কাকে আপনি রেফারেন্স হিসেবে মানেন? লিস্ট দিন। আমি তাঁদের থেকেই ঘটনাটির সূত্র আপনাকে জানাবো।
ঘটনা অনেক বড়। বেশি কচলাবেন না, প্লিজ। সব প্রকাশিত হলে আবুবকর আর উমরের উপর আরও ঘৃণা বর্ষিত হবে। যদিও, এর প্রয়োজন আছে।
ধন্যবাদ।
১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৮
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: শাইয়ান ভাই, আপনি যা লিখলেন, তা মোটামুটি ইমামি শিয়াদের ন্যারেটিভ । যা হোক, রাসুল (সঃ) এর ওফাতের পর সাকিফার ঘটনা স্মরণ করুন। আনসাররা মদিনার নেতৃত্ব নিজেদের হাতে রাখবার জন্যে যখন আনসারদের মধ্যে একজনকে খলিফা মনোনীত করবার জন্যে একমত হয়ে গিয়েছিলেন, তখন হজরত আবু বকর (রাজিঃ) এবং হজরত ওমর (রাজিঃ) ইন্টারভিন করেন এই বলে যে মুসলিম জাহানের খেলাফত যদি কুরাইশ বংশের হাতে না থাকে, তাহলে কেউ সেই নেতৃত্ব মানবে না। যদি রাসুল (সঃ) এর ওফাতের মুহূর্তের কেওস / ফেতনা আরও দীর্ঘায়িত হতো, আজকে ইসলাম যেই শেইপে আছে, সেই শেইপে না থাকার প্রভূত সম্ভাবনা ছিল।
আপনি যেই অপবাদ খোলাফায়ে রাশেদিনের প্রথম দুই খলিফার ব্যাপারে দিলেন, একটু চিন্তা করে দেখুন, কোন আহলে বায়েতের সদস্য কখনো এই অপবাদ দিয়েছেন কিনা, বা এই দুর্ভাগ্যজনক ভাষা ব্যবহার করেছেন কিনা ওনাদের ব্যাপারে। হায়দারে খোদা হজরত আলী (রাজিঃ ) ভয় পেয়ে হজরত আবু বকর এবং হজরত উমর, এমনকি হজরত উসমান (রাজিঃ ) এর খিলাফতের আমলে পরামর্শকের ভূমিকায় ছিলেন?
হজরত ওসমান গনি (রাজি: ) র পর উমাইয়া বংশের অধিকাংশ শাসককেই, বিশেষ করে ইয়াজিদ ইবন মুয়াবিয়াকে , ইভেন সুন্নি ন্যারেটিভেও প্রশংসার চোখে দেখা হয় কি? আর ইমামি শিয়ারা আহলে বায়েতের যে বারোজন সদস্যকে নিজেদের ইমাম মনে করেন, তাদের সবাই তো সুন্নিদেরও নয়নের মনি। রাসুল (সঃ ) এর লহু যার শরীরে প্রবাহিত হয়, তাকে তাদের ভালো না বেসে কোন উপায় আছে?
শুভবুদ্ধির উদয় হোক সকলের মধ্যে। শুভকামনা।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
সাজিদ ভাই,
আমি সুন্নী বা শিয়া মতবাদ থেকে কিছু বলছি না। আমি এই দুই দলের কারো সাথেই নেই।
আমি সরাসরি আহলুল বায়াতের সূত্র ধরে বলছি।
আর, রাসূলুল্লাহ (সা)-এর বংশধর বা আহলুল বায়াতের মানুষেরা ৪-জন পুরুষ এবং ৪-জন নারীর উপর অভিসম্পাত দিতে বলেছেন।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৫
বংগল কক বলেছেন: মুতা বিয়া করার লাইগ্যা সুন্দরী রমনী খুঁজতেছি, লেখকের পরিবারে কোন সুন্দরী মেয়ে-বোন থাকলে আওয়াজ দিয়েন। আমি পাত্র হিসাবে খারাপ না, উপরন্তু প্রতি রাত্রের জন্য এক টেকা দেন মহর দেওয়ার সামর্থও আছে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
খুঁজতে থাকেন। হয়তো কাউকে পেয়ে যাবেন।
তবে, যুদ্ধবাজ কাউকে আমাদের দেশে সাদরে আমন্ত্রণ জানানোর কোন কারণ দেখছি না।
ধন্যবাদ।
১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫
নীল আকাশ বলেছেন: আপ্নি একজন ফালতু ব্লগার, এবং ততধিক ফালতু মিথ্যাচারে ভরা এই লেখা।
শিয়াদের রচিত এই বানোয়াট মিথ্যা কাহিনী এখানে তুলে দিয়েছেন কেন?
ইসলামী বিষয় নিয়ে লেখার আগে ভালোমতো ইসলামের ইতিহাস শিখুন।
অল্প জ্ঞান নিয়ে লাফায় কোলাব্যাং জাতীয় প্রানী। প্যাক, প্যাক।
ইসলাম ধর্ম নিয়ে গণ্ডমূর্খ ব্যক্তিদের ব্লগে লিখতে দিয়েছে কে?
আপনি না এর আগে শেখ মুজিবের দাদাকে চট্টগ্রামের ভুয়া মাজারের অধিকারী বায়জিদ বোস্তামীর সাথে মধ্য প্রাচ্য থেকে এইদেশ নিয়ে এসেছিলেন?
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনি পড়া-লেখা জানা মানুষ এইটা প্রথম শুনলাম!
শুভেচ্ছা।
১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩
আরইউ বলেছেন:
কোন তালিকা দিতে পারছিনা; আপনি লিখিত দালিলিক কোন প্রমান দেখান।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমার বাসায় আমন্ত্রিত। বই পড়ে দেখার জন্যে।
মডারেটর আমার বাসার ঠিকানা জানেন। তাঁর কাছ থেকে চেয়ে দেখতে পারেন। অথবা, ফেসবুকে নক করুন।
ধন্যবাদ,
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
অপ্রাসঙ্গিক হওয়ায় আপনার একটি কমেন্ট মুছে দিয়েছি।
আশা করি প্রসঙ্গে থাকবেন।
দুঃখিত।
১৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১
ইমরান আশফাক বলেছেন: এটা শিয়াদের রচিত মনগড়া কেচ্ছাকাহিনী ছাড়া আর কিছুই নহে। ওরা এইরকম আরও অনেক কেচ্ছাকাহিনী তৈরী করেছে। কিছু কিছু আলেম তো শিয়াদের মুসলিম বলা যায় কিনা এ ব্যাপারেই সন্দেহ পোষন করেন। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ প্রদান করুক, আমিন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ওসব গাল-গপ্প আমার সাথে করবেন না। আমি আপনার দুলাভাই নই।
ধন্যবাদ।
১৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫
জ্যাকেল বলেছেন: ইসলামের সুমহান বাণির প্রতি পরাজিত হয়ে শয়তান এইধরণের কাহিনী তৈরি করে তা কিছু মানুষদের হাতে দিয়ে দিয়েছে। এর ফলে কিছু হতাশ ও পথভ্রষ্ট মানুষ এইগুলো সামনে এনে কু-বিতর্ক/ফাসাদ শুরু করে যার ফলশ্রুতিতে পরে দাংগা/হাংগামা হয়।
পরিস্কারভাবে- আপনার উদ্দেশ্য খারাপ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনি কি আল্লাহর কাছ থেকে নতুন কন্ট্রাক্ট পেয়েছেন?
ধন্যবাদ।
১৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: শাইয়্যান ভাই, অনেকেই আমাকে অনুরোধ জানিয়েছে পোস্টটি মুছে দেয়ার জন্য। কিন্তু আমি চাই না এই পোস্টটি মুছে দিতে। আমি চাই এখানে সুষ্ঠ ভালো আলোচনার মাধ্যমে সত্য মিথ্যা যাচাই হোক। আলোচনার সুবিধার্থে এখানে অনুগ্রহ করে তথ্যসুত্র যুক্ত করুন।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমার লেখাটি মুছে না দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
আমি রেফারেন্স সহকারে একটি নতুন পোষ্ট লিখবো।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
১৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২২
নতুন বলেছেন: এই বিষয়টা শুধু শিয়া পন্হিদের রেফারেন্সেই পাওয়া যায়।
ঘটনাটি কি কোন নিরেপক্ষ অথবা সর্বজন গ্রহন যোগ্য রেফারেন্স দিতে পারেন?
ফাতেমা রা: এর মৃত্যু এবং তার দাফনে আবু বকর রাঃ অথবা অন্য কেউ উপস্থিত না থাকা এই ঘটনার পক্ষ পায়। অবশ্য একটা বাগান নিয়েও আবু বকর রা: সাথে সম্ভবত ঝামেলা ছিলো।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
কথাটি ঠিক নয়। সুন্নিরাও লিখেছেন।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
২০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩৯
সাসুম বলেছেন: @কাভা ভাই, আপনাকে যারা রিকোয়েস্ট করছেন, তারা ঠিক কোন এংগেল থেকে রিকোয়েস্ট করছেন এই পোস্ট মুছে দেয়ার জন্য ??? আপনাকে আমি বললাম ব্লগে ইলজিকাল এবং কালা কুত্তার পশ্চাত দেশে জিনের দেখা পাওয়া লেখা মুছে দিন। আপনি মুছে দিবেন?? যদিও আপনি জানেন আমিও জানি কালা কুত্তার পশ্চাতদেশে জিনের দেখা পাওয়া অসম্ভব।
নবী মুহাম্মাদ এর সবচেয়ে প্রিয় কন্যা, ইসলামের অন্যতম প্রভাবশালী নারী এবং অন্যতম প্রভাবশালী খালিফা আলীর স্ত্রী ফাতেমা (রা) কিভাবে পরলোকগমন করেছিলেন- এর দুই ধরনের ন্যারেটিভ বাজারে আছে। একটা শিয়া ন্যারেটিভ আরেকটা সুন্নী ন্যারেটিভ। দুইটাই ইসলামিক রেফারেন্স এবং দুইটাই তাদের স্ব স্ব মজলিসের কাছে গুরুত্ব পূর্ন। এখন আপনাকে সুন্নী মজলিস আইসা মুছে দিতে বললে তো সেটা তাদের মামা বাড়ির আবদার হয়।
ইতিহাস কারা রচনা করে??? ইতিহাস রচনা করে বিজয়ী রা। উপরোক্ত ঘটনায় কারা বিজয়ী হয়েছিল???? যেহেতু উমার আর আবু বকর রা বিজয়ী হয়েছিল সো, ইতিহাস তাদের পক্ষেই কথা বলবে এটাই কি সত্য নয়???
এখন শায়ান এর যেটা উচিত ছিল- রেফারেন্স এড করা, যেটার কথাই আপনি বললেন। কিন্তু মজার বিষয় হল- আমাদের দেশে যেহেতু সবাই সুন্নী ঘরানার , সো যতই রেফারেন্স আসুক না কেন, পোস্ট দাতা এবং সেই সব রেফারেন্স এর মায়রে বাপ করা হবে এবং সেই সব রেফারেন্স মিথ্যা প্রমান করা হবে।
যাই হোক- আমি একদম শুরুতেই কমেন্টে বলেছি- শায়ান এর এই পোস্ট একটা দুর্বল পোস্ট এবং এতে আরো স্ট্রং আর্গুমেন্ট এবং প্রুফ এড করা দরকার ছিল। বাট, সেটার অপরাধে তার এই পোস্ট কে ডিলিট করার বা মুছে দেয়ার কারো কোন অধিকার নাই। আপনার ন্যারেটিভ এর সাথে যায়না তাই বলে, আরেক জনের গলা টিপে মেরে ফেলার চেস্ষ্টা বাক স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় হুমকি টাই।
বিঃদ্রঃ আমাদের এই দেশ থেকে যখন সকল নাস্তেক নাসারা বিদায় করা হবে, তখন তো আর শ্রেণি শত্রু খুজে পাওয়া যাবেনা, তখন আমরা শুরু করব আহমেদিয়া আর শিয়া দের কে দিয়ে। আপনার হয়ত চোখে পড়েনাই, এই পোস্টে এক সুন্নী ভাইজান শায়ান এর মা বোন বা পরিবারের কোন রমনী কে খুজেছে মুতা বিবাহ করার জন্য এবং এই জন্য প্রতি রাতে যথেষ্ট ভাল রকমের পেমেন্ট করতেও রাজি ছিল ( শায়ান সে কমেন্ট মুছে দিয়েছে )
২১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১১
নীল আকাশ বলেছেন: কা_ভা ভাইঃ
উনি আপনাকে এর কোন যথাযথ সূত্র দিতে পারবে না। এবং চোরের মত এই পোস্ট সরিয়ে দেবে। আরে আগেও শেখ মুজিবের দাদা না পরদাদাকে চট্টগ্রামের ভুয়া মাজারের অধিকারী বায়জিদ বোস্তামীর সাথে মধ্য প্রাচ্য থেকে এইদেশ নিয়ে এসেছিলেন। সেই পোস্টে আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, আপনি এসেও উনার কাছে প্রমান চেয়েছিলাম। চোরের মতো সেই পোস্ট উনি ডিলিট করে দিয়েছিলেন। বিশ্বাস না হলে উনার ব্লগ বাড়ি চেক করুন।
শিয়া সাইটগুলি এইসব মিথ্যাচার লালন পালন করা হয়
বিশ্বাস না হলে নিজেই দেখে আসুন।
শিয়া সাইটে মিথ্যাচারের ভয়াবহ নমুনা
আমর ইব্নু ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে যাতুস সালাসিল যুদ্ধের সেনাপতি করে পাঠিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, মানুষের মধ্যে কে আপনার নিকট সবচেয়ে প্রিয়? তিনি বললেন, আইশাহ্! আমি বললাম, পুরুষদের মধ্যে কে? তিনি বললেন, তাঁর পিতা (আবূ বকর)। আমি জিজ্ঞেস করলাম, অতঃপর কোন লোকটি? তিনি বললেন, উমার ইব্ন খাত্তাব, অতঃপর আরও কয়েকজনের নাম করলেন। (সহী বুখারী আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩৯০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৩৯৭)
সহী হাদিসে আছে, মহানবী সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম প্রকাশ্যে বলেছেন যে হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু যেই পথে হাটেন সেই পথে খোদ শয়তান পর্যন্ত আসতে ভয় পায়।
আল্লাহ উনাকে মাফ করুক। উনি কত বড় পাপ করেছে জানলে খাওয়া দাওয়া ঘুম বন্ধ হয়ে যেতো।
উনি যদি ভুল স্বীকার করে আল্লাহর কাছে তওবা না করেন, বিনা কারনে খুফায়ে রাশেদিনের বিরুদ্ধে এত অশালীন মিথ্যাচার মন্তব্য করা কারনে কবীরা গুনাহের শাস্তি পেতে হবে।
২২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২১
নীল আকাশ বলেছেন: যারা কমন সেন্সহীন পোস্ট এবং মন্তব্য করেছে উপরে তাদের জন্যঃ
মুহাম্মাদ ইবনু হানাফীয়া (রহমাতুল্লাহি আলাহি) থেকে বর্ণিতঃ আমি আমার পিতা আলী (রাদিআল্লাহু আনহু)’কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ কে? তিনি বললেন, আবূ বকর (রাদিআল্লাহু আনহু)। আমি বললাম, অতঃপর কে? তিনি বললেন, উমার (রাদিআল্লাহু আনহু)। আমার আশংকা হল যে, অতঃপর তিনি উসমান (রাদিআল্লাহু আনহু)’র নাম বলবেন, তাই আমি বললাম, অতঃপর আপনি? তিনি বললেন, না, আমি তো মুসলিমদের একজন।
(সহী বুখারী আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩৯৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৪০৩)
যার স্ত্রীর গায়ে কেউ লাথি মারে তাকে নিয়ে কেউ এইধরনের মন্তব্য করে?
এতো বদ্ধ পাগল, পুরোপুরি উন্মাদ শ্রেনীর।
২৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে এলাম। দেখলাম। পড়লাম। এবং চলে গেলাম।
বোবার শত্রু নাই।
২৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নীল আকাশ - দুঃখজনক ব্যাপার হোল এই সব বানোয়াট আর মিথ্যা কথা বিশ্বাস করার লোকও ব্লগে আছে।
২৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০০
ঢাবিয়ান বলেছেন: ইরানিরা শিয়াপন্থী । তারা প্রচুর ইসলামিক সিরিয়াল বানিয়েছে ইসলামের ইতিহাস নিয়ে। বাংলাদেশের টিভি চ্যানলগুলোতেও অনেকগুলো সিরিয়াল প্রদর্শিত হয়েছে। ইউটীয়বেও প্রচুর ইরানি সিরিয়াল আছে। হযরত উমরের জীবন কাহিনী নিয়েও একটি সিরিয়াল আছে যেখানে ইসলাম ধর্ম কিভাবে এসেছে, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং নবীজির মৃত্যূর পর ধারাবাহিকভাবে কিভাবে একের পর এক খলিফা নির্বাচিত হয়েছে তা সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। শিয়াপথীদের বানানো এসব সিরিয়ালের কোথাও কোন খলিফা রাশেদীনকেই ছোট করা হয় নাই কারন শিয়া ধারা সৃষ্টি হয়েছে অনেক পরে , কারবালার ঘটনার পর। কেন যেন মনে হচ্ছে শিয়াদের নাম দিয়ে এই জাতীয় নোংরা গাল্গল্প বানাচ্ছে অন্য কেউ।
২৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:২৬
ঈশ্বরকণা বলেছেন: এই লেখার জন্য যেই রেফারেন্স দরকার সেটা এই লেখাতেই থাকবে আর অন্য লেখার জন্য যেই রেফারেন্স দরকার সেটা সেই লেখাতে দিতে হবে । এটাই তো ব্লগের নিয়ম। তাহলে আরেকটা লেখা রেফারেন্সসহ লিখবো বলে এই লেখার প্রাসঙ্গিক রেফারেন্স দিতে ব্লগারের অনীহাটা বুঝতে পারলাম না। এখন এই প্রশ্নবোধক পোস্ট যারা পড়বে তারা বাধ্য হবে রেফারেন্সের জন্য ব্লগারের আরেকটা পোস্ট পড়তে ! যদি না পরে তাদের কনফেউজড হবার সুযোগ থেকেই যাচ্ছে । নিজের পোস্টে ভিজিটর বারাবার এই ব্লগারের পন্থাটা অভিনব সেটা স্বীকার করতেই হবে । কা_ভা, এই লেখাতেই রেফারেন্স দেবার দরকারটা একটু জোরের সাথে ব্লগারকে বুঝিয়ে দিন প্লিজ। ব্লগের নিয়মগুলো একটু মেনে চলা দরকার সবারই ।
২৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনুগ্রহ করে এই ব্যাপারে আপনি সুনির্দিষ্ট রেফারেন্সসহ বিস্তারিত জানান।
২৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪৬
টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমি খুবই দুঃখিত ! এই কি সত্য পথিকের নমুনা ?
এমন সাহাবা বিদ্বেষও সামুতে দেখিতে হইলো ?
@কাভা ? শিয়াদের অপপ্রচারের সত্যাসত্য নির্ণয়ের যোগ্যতা ব্লগারদের নেই। ব্লগ এইডার জায়গাও না ! দয়া করিয়া এই পোস্ট ডাস্টবিনে ফেলিয়া আমাদের মনঃকষ্ট দূর করিবেন কি ?
কাহারও সঠিক ইতিহাস ও এই অপপ্রচারের বিষয়ে জিজ্ঞাসা থাকিলে মাসিক আল কাউসার, দরসে মানসুর বা আহলে হক মিডিয়াতে প্রশ্ন করিতে পারে !
২৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শাইয়্যান ভাই,
এত সেনসেটিভ, এত গুরুত্বপূর্ন ইস্যুতে এত হালকা লেখা যায়না ভায়া।
আরেকটু স্টাডি করে আরেকটু তথ্য দিয়ে একটা সমৃদ্ধ লেখা হতে পারতে সত্যসন্ধানীদের ভাবনার খোরাক।
এখানে আপাতত কিছু রেফারেন্স সহ তথ্য দিলাম-
আশাকরি আলোচনায় গতি দেবে।
মা ফাতেমার (আঃ) মৃত্যু ও নানাবিধ গোপণ রহস্য' Dr.samiul Haque
প্রশ্ন: উৎসুক হৃদয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এমন হতে পারে যে, কী কারণে হযরত ফাতেমা সালামুল্লাহি আলাইহা নবী (সাঃ) এর ওফাতের মাত্র তিন মাসের মধ্যে মারা যান? তবে কি তিনি কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, নাকি তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। যদি স্বাভাবিক মৃত্যু না হয়ে থাকে, তবে কেন আমরা আলেম ওলামাদের মুখ থেকে তার কারণ সম্পর্কে কিছু শুনতে পাই না?
৩০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পূর্ন অংশ
মা ফাতেমার (আঃ) মৃত্যু ও নানাবিধ গোপণ রহস্য' Dr.samiul Haque
ভূমিকাঃ নূরনবী পাক মুহাম্মদ সাল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও আহলে বায়াতকে ভালবাসার কারণে অনেক বাধার সম্মুখিন হতে হয়েছে। একদিন আমার বড় ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করে বলল যে, তুই যে মাযহাবের অনুসরণ করিস, আলেম ওলামারা কেন তার বিরোধিতা করে? আমি বললাম : ভাই জান! যে আলেম ওলামারা আমার মাযহাবের বিরেধিতা করে, তাদেরকে প্রশ্ন করো যে, হযরত ফাতেমা জাহরা কত বছর বয়সে মারা গিয়েছেন? তাঁর মৃত্যুর কোন কারণ ছিল কি? নাকি তিনি স্বাভাবিক মৃত্যু বরণ করেছিলেন। যদি তুমি আমার এসব প্রশ্নের উত্তর এনে দিতে পার, তবে আমি তোমাকে বলব যে, এসব আলেমরা কেন আমাদের বিরোধিতা করে।
আমার সেই ভাই ১৮ মাস হল মারা গেছেন, কিন্তু তিনি আমাকে সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যেতে পারেন নি; হয়তো আলেমদের কাছ থেকে গ্রহণযোগ্য কোন উত্তর পান নি। তবে এ কথা সত্য যে, তারপর থেকে আমার ভাই কখনো আমার সাথে বিরোধিতা করেন নি। আমি নিজেও যখন উপরোক্ত প্রশ্নাদির উত্তর জানতে পেরেছি, তখন থেকেই আমি আহলে বাইতকে ভালবাসতে উদ্বুদ্ধ হয়েছি এবং আমি মনে করি: যেকোন বিবেকবান মুসলমানই এসব প্রশ্নের উত্তর জানলে নবীর আহলে বাইতকে আগের চেয়ে আরো বেশি ভাল বাসবে।
যেহেতু প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে ভূমিকা টেনে পাঠকবর্গকে বিরক্ত করেছি, তাই এ পর্যায়ে উপরোক্ত প্রশ্নাদির জবাব সংক্ষেপে উল্লেখ করব তার পর সম্ভব হলে প্রতিটি প্রশ্নে জবাব বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করব ইনশা আল্লাহ।
সংক্ষিপ্ত উত্তর
ঠিক যেভাবে প্রশ্নে উল্লেখ করেছি যে, নবী (সাঃ) এর ওফাতের তিনমাসের মধ্যেই ফাতেমা জাহরা মুত্যু বরণ করেছিলেন, তার এ মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল না। রাসূল (সাঃ) এর ওফাতের পর হযরত আলীকে জোর করে বাইয়াত করানোর জন্য তাকে যখন বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে আসা হয়, তখন হযরত ফাতেমা বাধা দেন এবং আগন্তক লোকদের সামনে তিনি যান। যাতে তারা আলীকে নিতে না পারে। কিন্তু এই বাধাই অবশেষে ফাতেমার মৃত্যুর কারণ হয়ে যায়। এ জন্য বলা যায় যে, নবী (সাঃ) এর মৃত্যুর পর তাঁর রেখে যাওয়া বেলায়াতের রক্ষক হিসেবে প্রথম শহীদ হল হযরত ফাতেমা সালামুল্লাহি আলাইহা।
অথচ আলেম ওলামারা এ বিষয়ে কোন কথা বলেন না। হয়তো কেউ কেউ তার কারণ জানেন না, অথবা জেনে বুঝেও তা বলেন না। কারণ তখন হয়তো তাদের মতাদর্শ প্রশ্নের সম্মুখিন হবে!
ফাতেমার আঃ মৃত্যুর মূল রহস্য
প্রশ্ন ৩ : ফাতেমা আঃ এর মৃত্যুর মূল রহস্য কী?
উত্তর : এ পশ্নের উত্তর দেয়ার পূর্বে তার দৈহিক আঘাতের কারনাদি সম্পর্কে অবগত হওয়া প্রয়োজন।
ফাতেমা আঃ এর দৈহিক আঘাত প্রাপ্তির মূল কারণ সমূহ নিম্নরূপঃ
১- নবীর মৃত্যুতে গভীর শোক, সমবেদনা ও কান্না।
২- নবীর ওসি অর্থাৎ হযরত আলীর মজদুরিয়াত ও নিঃসঙ্গতার কারণে আত্মিক শোক ও প্রতিরক্ষা ছিল দৈহিক আঘাতের দ্বিতীয় কারণ।
ইবনে শাহর অশুব (মৃ: ৫৯৯ হি.) বর্ণনা করেছেনঃ
“উম্মে সালমা ফাতেমার ঘরে প্রবেশ করে বলল : ওহে নবী কন্যা! কিভাবে রাত কাটালেন।
ফাতেমা বললেন : শোক ও দুঃখ-ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে রাত কাটিয়েছি। শোক এই কারণে যে, প্রিয় নবীকে হারিয়েছি ও দুঃখ এই জন্য যে, তাঁর স্থলাভিষিক্তের উপর আরোপিত জুলুম। আল্লাহর কসম করে বলছি: এতে নবীর উত্তরসূরীর প্রতি অবমাননা হয়েছে (মানাকিবু অলে আবি তালিব, ২/২০৫।)।[1]
৩- ফাতেমা আঃ এর পবিত্র পদ ও মর্যাদার অবমাননা ছিল তৃতীয় কারণ (নাহজুল বালাগার শারহ, ইবনে আবিল হাদিদ, ১৬/২১৪) ।
আল্লামা তাবারসি (মৃ: ষষ্ট হিজরি) বর্ণনা করেছিন:
[ফাদাকের খোৎবা সমাপ্তির পর ফাতেমা বলেছিলেন :
لَیتَنِی مِتُّ قَبلَ هینَـتِی وَ دُونَ ذِلَّتِی...
হায়, যদি এমন জুলুমের স্বীকার হবার পূর্বে মারা যেতাম! (এহতিজাজ, খন্ড ১, পৃ ১০৭)।
অতএব, বলা যায় যে, ফাতেমার শোকের কারণ শুধু পিতার মৃত্যুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং তার সাথে আরে দু’টি ব্যাথা যোগ হয়েছিল।
৪- ফাতেমার বাড়িতে হামলার সময় তাঁর দেহে মারাত্মক আঘাত হানা হয়েছিল। অন্য ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয় : তার পিতার বিরহ বিচ্ছেদের সাথে সাথে তাকে এমন আঘাত করা হয়েছিল, যার ফলে তিনি ধরাশায়ি হয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না।
কাজি নোমানি মাগরিবি বর্ণনা করেছেন :
[عَن أبِی عَبدِاللهِ جَعفَرِبنِ مُحَمَّدٍ الصادِقِعلیهالسّلام عَن أبِیهِعلیهالسّلام: قالَ:]
إنَّ رَسُولَ اللهِصلّیاللهعلیهوآله أسَرَّ إلی فاطِمَةَعلیهاالسّلام أنَّها أولی(أوَّلُ) مَن یَلحَقُ بِهِ مِن أهلِ بَـیتِهِ فَلَمّا قُبِضَ وَ نالَها مِن القَومِ ما نالَها لَزِمَت الفِراشَ وَ نَحَلَ جِسمُها وَ ذابَ لَحمُها وَ صارَت کَالخَیالِ. *
ইমাম জাফর সাদিক আঃ তাঁর পিতার কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন : রাসূল (সাঃ) ফাতেমাকে চুপিসারে বললেন : তাঁর ওফাতের পর তার আহলে বাইতের মধ্য থেকে সর্ব প্রথম যে তাঁর সাথে গিয়ে মিলিত হবে, সে হল ফাতেমা আঃ। অতঃপর যখন নবী (সাঃ) মৃত্যু বরণ করলেন এবং তার ঘরে হামলা করে তাকে আহত করা হল, তখন তিনি শয্যাশায়ী হয়ে গেলেন, ক্রমশ দূর্বল হয়ে পড়লেন ও এমন ভাবে শুকিয়ে গেলেন যেন মনে হয়েছিল শুকনো কাঠি হয়ে গেছেন (দায়ায়িমুল ইসলাম, ১/২৩২)।
শেখ তুসি বর্ণনা করেনঃ
وَ المَشهُورُ الَّذِی لاخِلافَ فِیهِ بَـینَ الشِیعَةِ أنَّ عُمَرَ ضَرَبَ عَلی بَطنِها حَتّی أسـقَطَت...
শিয়াদের মধ্যে এ বিষয়ে প্রসিদ্ধি রয়েছে ও কোনরূপ মতপার্থক্য নেই যে, ফাতেমার পেটে ওমর এমন আঘাত হেনেছিল যে কারণে গর্ভের সন্তান পড়ে যায় (তালখিছুশ শাফি, ৩/১৫৬)।
মুহাম্মদ ইবনে জারির ইবনে রুস্তম তাবারি (মৃ: চতূর্থ হিজরি) বর্ণনা করেন:
فَلَمّا قُبِضَ رَسُولُ اللهِصلّیاللهعلیهوآله وَ جَری ما جَری فِی یَومِ دُخُولِ القَومِ عَلَیها دارَها وَ إخراجِ ابنِ عَمِّها اَمِیرِالمُؤمِنِینَ علیهالسّلام وَ ما لَحِقَها مِن الرَجُلِ أسـقَطَت بِهِ وَلَداً تَماماً وَ کانَ ذلِکَ أصلَ مَرَضِها وَ وَفاتِها.
নবী (সাঃ) যখন ইন্তেকাল করলেন, তারপর যেদিন ফাতেমার ঘরে হামলার ঘটনা ঘটল, আমিরুল মুমিনিনকে জোরপূর্বক বের করে আনা হল এবং ঐ পুরুষের দ্বারা যে বালা ফাতেমার উপর আসল, যে কারণে তাঁর গর্ভের পূর্ণ ছেলে-সন্তানের গর্ভপাত ঘটল। আর এটাই ছিল তাঁর অসুস্থতা ও মৃত্যুর মূল কারণ (দালায়েল উল ইমামাহ/২৭)।
আল্লামা হিল্লি (মৃ: ৭২৬ হি.) বর্ণনা করেন,
وَ ضُرِبَت فاطِمَةُعلیهاالسّلام فَألقَت جَنِیناً اسمُهُ مُحسِنٌ...
ফাতেমাকে আঃ এমন আঘাত হানা হল, যে কারণে তার গর্ভের সন্তান ‘মোহসেন’ পড়ে গেল ... (শারহুত তাজরিদ/৩৭৬)।
অতএব, উপরোক্ত কারণাদি পর্যালোচনা করার পর প্রমাণিত হয় যে, ফাতেমা জাহরা আমিরুল মুমিনিন হযরত আলীর পৃষ্ঠপোষকতা করার কারণে আত্মিক ও দৈহিক ভাবে মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হন। আর তাই ছিল তাঁর মৃত্যু ও অসুস্থতার মূল কারণ। যে আঘাত খলিফার দরবারি লোকদের পক্ষ থেকে ফাতেমার ঘরে হানা হয়েছিল।
মুহাম্মদ ইবনে জারির ইবনে রুস্তম তাবারি (মৃ: চতূর্থ হিজরি) বর্ণনা করেনঃ
[عَن أبِیبَصِیرٍ عَن أبِی عَبدِاللهِعلیهالسّلام: قالَ:]
وَ کانَ سَبَبُ وَفاتِها أنَّ قُنفُذاً مَولی عُمَرَ لَکَزَها بِنَعلِ السَیفِ بِأمرِهِ، فَأسـقَطَت مُحسِناً وَ مَرِضَت مِن ذلِکَ مَرَضاً شَدِیداً...
ইমাম আবু আব্দিল্লাহের কাছ থেকে আবু বাছির বর্ণনা করেছেন : ওমরের নির্দেশে তার ভৃত্য ‘কুনফুয’ তরবারির গিলাফ দিয়ে ফাতেমাকে আঘাত হেনেছিল, যে কারণে মুহসিনের গর্ভপাত ঘটে এবং সে কারণেই ফাতেমা আঃ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন… (দালায়েল উল ইমামাহ/৪৫)।
কাফয়ামি (মৃ: ৯০৫ হি.) বর্ণনা করেছেন :
إنَّ سَبَبَ وَفاتِهاعلیهاالسّلام هُوَ أنَّها ضُرِبَت وَ أسـقَطَت.
নিশ্চয় ফাতেমার মৃত্যুর কারণ হল: তিনি আঘাত প্রাপ্ত হলেন ও তাতে গর্ভপাত হল (মেসবাহ/৫২২)।
প্রিয় পাঠকবর্গ! উপরোক্ত বিষয়াদি থেকে সত্যই কি বলা যায় না যে, ফাতেমা জাহরার মৃত্যু ছিল শাহাদাতের মৃত্যু?
তাবারসি বর্ণনা করেন :
وَ حالَت فاطِمَةُعلیهاالسّلام بَـینَ زَوجِها وَ بَـینَهُم عِندَ بابِ البَیتِ فَضَرَبَها قُنفُذٌ بِالسَوطِ عَلی عَضُدِها، فَبَـقِیَ أثَرُهُ فِی عَضُدِها مِن ذلِکَ مِثلَ الدُملُوجِ مِن ضَربِ قُنفُذٍ إیّاها فَأرسَلَ أبوبَکرٍ إلی قُنفُذٍ إضرِبها، فَألجَـأها إلی عِضادَةِ بَـیتـِها، فَدَفَعَها فَکَسَرَ ضِلعاً مِن جَنبِها وَ ألقَت جَنِیناً مِن بَطنِها، فَلَم تَزَل صاحِبَةَ فِراشٍ حَتّی ماتَت مِن ذلِکَ شَهِیدَه ...
হযরত ফাতেমা তাঁর স্বামি ও আক্রমনকারী ব্যক্তিদের মাঝে দাড়িয়ে প্রতিরোধ করেছিলেন, তখন ‘কুনফুয’ ফাতেমার উরুতে এমন আঘাত হানল যে, তার দাগ বেন্ডেজের আকার ধারণ করল। আবুবকর কুনফুযকে ফাতেমাকে মারার জন্য পাঠিয়েছিল! তাই কুনফুয ফাতেমাকে ঘর থেকে আছার দিয়ে ফেলে দিল, তখন তাঁর উরুর হাড় ভেঙ্গে গেল ও পেটের সন্তানের গর্ভপাত ঘটল। অতঃপর দীর্ঘ শহ্যাশায়ী হল এবং সে অবস্থাতেই শহীদি মৃত্যু বরণ করলেন …(এহতেজাজ, ১/৮৩)।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
প্রিয় ভৃগু ভাই,
অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন ঘটনাগুলো নিয়ে লেখার জন্যে।
আমি চেয়েছিলাম, আহলে বায়াতের পরিবারের কাউকে দিয়ে একটি লেখা আমার ব্লগে প্রকাশিত হোক। সেজন্যে, নিজে কিছু দিতে চাইনি এই বেদনাদায়ক ইতিহাস সম্পর্কে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৩১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১৮
মানুষ০২০৮ বলেছেন: আমি প্রকৃত সত্য জানতে চাই। যে পরিবারেই জন্মগ্রহন করি না কেন, সত্য জেনে তা অনুসরন করে মৃত্যু বরণ করতে চাই। দয়া করে নিরেট কিছু বই অথবা রেফারেন্স দিন যেন আমি আহলে বাইত সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে পারি। আমি প্রকৃত মুসলিম হতে চাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৭
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: গল্পটা ভালো ছিলো । নারীবাদীদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।
তবে রেফারেন্স না দিলে এই গালগল্পো রিপোট খাবে ।