নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাহন হিসেবে বিভিন্ন ধরনের জাহাজ ব্যবহার করা হয়। এই জাহাজগুলো বিভিন্ন ভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে। এইসব জাহাজের সংখ্যা জাহাজ নিয়ে যে কোনো গবেষণা করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসূত্র হিসেবে কাজ করে। জাহাজকে বিভিন্ন আকার এবং প্রকার অনুযায়ী শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে। বিভিন্ন গবেষক বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করে জাহাজ শ্রেণীবদ্ধ করেছেন। এগুলোর যে কোন একটিকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা বেশ জটিল।
বেশ কয়েকটি গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ড শিপিং ফ্লীটকে কাজের ভিত্তিতে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। তাদের মতে, জাহাজ তিন ভাগে বিভক্ত- কার্গো বা মালবাহী, নন-কার্গো বা মালবাহী নয় এমন জাহাজ এবং সামরিক। কার্গো বহরে ৪ ধরনের জাহাজ রয়েছে- কনটেইনার ভেসেল, সাধারণ কার্গো ভেসেল, ট্যাঙ্কার এবং বাল্ক/কম্বাইন্ড ক্যারিয়ার। অমালবাহী জাহাজগুলো হল- যাত্রীবাহী, মাছ ধরার জাহাজ, টাগবোট এবং অন্যান্য (গবেষণা কাজে নিযুক্ত জাহাজ)।
অন্যদিকে, Equasis-এর এক গবেষণায়, বিশ্ব বণিক জাহাজের বহরকে ১২টি বিভিন্ন প্রকারে বিভক্ত করা হয়েছে। এই গবেষণা আরও বিষদ ভাবে মালবাহী জাহাজ এবং ট্যাঙ্কারকে বিভিন্ন উপ-শ্রেণীতে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। একইভাবে, এন্দ্রেসেন এবং তাঁর গবেষক দল একটি গবেষণায় জাহাজকে ৯টি প্রকার এবং ৩টি আকারে বিভক্ত করেছেন। তাঁরা তাঁদের গবেষণায় নতুন এক ধরণের জাহাজকে তালিকাভুক্ত করেছেন যার নাম- রেফ্রিজারেটেড কার্গো। মজার বিষয় হল, ডালসোরেন এবং তাঁর গবেষক দল ৭ আকারের ১৫ ধরনের জাহাজ উপস্থাপন করে বিশ্ব নৌবহরকে আরও বিস্তারিত বিভাগে বিভক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন।
মূলতঃ, করবেট এবং ফিশবেকক সামুদ্রিক নৌবহরকে এই দুটি বিস্তৃত বিভাগে ভাগ করেছেন-
১) পরিবহন (বাল্ক কার্গো, সাধারণ কার্গো, যাত্রী) এবং
২) অ-পরিবহন (মাছ ধরা, পরিষেবা নৈপুণ্য, সামরিক এবং অন্যান্য)।
যাইহোক, জাহাজের ওজনকে ভিত্তি করে গ্রস টন (জিটি), ডেডওয়েট টন (ডি,ডব্লিউ,টি) বা কম্পেন্সেটেড গ্রস টন (সিজিটি) অনুযায়ী, জাহাজের প্রধানত তিনটি আকার থাকে- ছোট, মাঝারি এবং বড়। যদিও, ইকুয়েসিসের রিপোর্টে আকারের দিকে থেকে আরেক প্রকারের জাহাজ আছে, সেটি হচ্ছে- 'খুব বড় জাহাজ'। একটি বিস্তৃত তদন্তের পর, এন্দ্রেসেন এবং তাঁর গবষক দল এই তিনটি জাহাজের আকার উল্লেখ করেছেন- ৫০০০ DWT, ৫০০০-্১,০০,০০০ DWT এবং ১,০০,০০০ DWT বা তার বেশি।
=====================
এই লেখাটি আমার মাস্টার্স ডিজার্টেশন থেকে নেওয়া
=================================
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
পরের পোস্টে জাহাজের ইঞ্জিন নিয়ে লিখবো। ধন্যবাদ নিরন্তর।
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমাদের ব্লগে জাহাজী অর্থাৎ সী ম্যান ছিলেন।
জাহাজ নিয়ে আরোও লিখুন। পোস্টটি প্রিয়তে রাখছি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
২০১৮ সালের ২৯ শে মে ব্লগার জাহাজী শেষ পোস্টটি করেছিলেন। এরপরে একদম হাপ্যিস!!!
লাইক আর প্রিয়তে রাখার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মাদার ভেসেল, ফাদার ভেসেল, ফিডার ভেসেল, ব্রেসট ফিড ভেসেল, লাইটার ভেসেল, হেভিয়ার ভেসেল এগুলি নিয়ে একটু আলোকপাত করেন।
সমুদ্রে জাহাজ ডুবলে খবরে তেমন আসে না কেন?
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
মাডার ভেসেল আছে। ফিডার ভেসেলও আছে। কিন্তু, ফাদার ভেসেল পেলেন কই!
ধন্যবাদ।
৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ঠিকই বলেছেন, ফাদার ভেসেল না থাকলে ফিডার ও লাইটার ভেসেল আসল ক্যামনে!
বেশ ভাল কিছু তথ্য পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আরো লেখা আসবে। পুরো রিসার্চ রাইটিংটাই বাংলা করছি। পড়ার নিমন্ত্রণ রইলো।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বেশ, জাহাজ সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু জিনিস জানা হলো।