নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
আসছে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ ভ্যালেন্টাইন্স ডে। ২০১৯ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ২০.৭ বিলিয়ন ডলারের ব্যাবসা করে, ২০১৮ সালে যা ছিলো ১৯.২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশেও এই দিবস ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত। উন্নত দেশগুলোকে অনুসরণ করে বাংলাদেশেও এই দিনটি বেশ ঘটা করেই পালন করা হয়। টিভি চ্যানেলগুলোতে বিশেষ অনুষ্ঠানের সাথে সাথে দৈনিক পত্রিকাগুলোও বেশ ফলাও করে এই দিবসটির প্রচার বেশ লক্ষণীয়। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন আসতে পারে, বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কেমন ব্যবসা করে এই দিনে?
ভ্যালেন্টাইনস দিবসে মূলতঃ তরুণদের পদচারণাতেই রাজপথে্র ফুটপাত তো বটেই রেস্টুরেন্ট আর ফাস্ট ফুডে'র দোকানগুলো মূখরিত হয়ে উঠে। বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী'র সংখ্যা ৭২.৮%, সে হিসেবে প্রায় ১০ কোটি মানুষ শিক্ষিত। ভ্যালেন্টাইনস দিবসটি মূলতঃ শিক্ষিত সমাজের মাঝেই আবর্তিত হচ্ছে আমাদের দেশে। আরো ভালো ভাবে বলতে গেলে দেশের তরুণ-যুবারাই এই দিবসটি পালন করে যাদের সংখ্যা এখন প্রায় ৫ কোটি।
যদি ধরে নেওয়া যায়, এই ৫ কোটি তরুণ-যুবার ৫০% ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন করে আর প্রত্যেকে গড়ে ১০০টাকা খরচ করে, তাহলে, এই দিনে নূন্যতম পক্ষে ২৫০ কোটি টাকা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যোগ হয়।
এতো গেলো ব্যক্তিগত লেন-দেনের হিসাব। টিভি চ্যানেলগুলো যে বিশেষ অনুষ্ঠান বা নাটকের আয়োজন করেছে, সেই হিসেবটা যোগ করলে আরো ৫০-৬০ কোটি যোগ হবে উপরের অংকের সাথে। তবে, এক্ষেত্রে ভারত অনেক এগিয়ে গিয়েছে। সূত্র মতে, ভারতে ২০১৯ সালে ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে ৩০,০০০ কোটি রুপি'র ব্যবসা হয়েছিলো।
যদিও, উন্নত দেশগুলো আমাদের দেশ থেকে অনেক এগিয়ে, তবে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও খুব একটা পিছিয়ে নেই। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও আরো ব্যাপক হারে ব্যবসা করতে পারবেন।
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৮
নাহল তরকারি বলেছেন: এগুলা সব ব্যাবসা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: মজার বিষয় হচ্ছে পৃথীবির সব দিবসই ব্যবসায়ীদের দ্বারা বেশী প্রচার প্রসার পেয়েছে।
এমনকি বড়দিনের মত একটা অনুষ্ঠানও তার দিন, তারিখ, মাস সব পরিবর্তন করে বর্তমানে ২৫ ডিসেম্বরে পালিত হচ্ছে। ক্রিসমাসের অরিজিনাল সবুজ কালার কোকাকোলার হাত ধরে এখন লাল সাদায় রুপান্তর নিয়েছে।
রমাদান যেখানে ত্যাগের মাস, সেখানে আমরা ভুরি ভোজের আয়োজন করছি। ঈদ যেখানে রোজাদারের আনন্দের দিন, সেখানে ঈদের জামা কিনতে বহু মানুষ রোজা ছেড়ে মার্কেটে দৌড়াচ্ছে শপিংএ!
একুশে ফেব্রুয়ারীও এখন এমন ব্যবসায়ীদের আওতায়!
ভ্যালেনটাইন্সডে আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগেও আমাদের দেশে ছিলো না; এখন এর বিশাল ব্যবসা।
জানেন কি না, এক সময় ডায়মন্ড এর জুয়েলারী হিসাবে কোন ভাত ছিলো না; আর এখন সেই জিনিষই বিক্রি হচ্ছে দেদারসে!