নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
বাংলাদেশের কিছু ইসলামী দল প্রচার করে থাকে যে, ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম। অথচ, ইতিহাস কিন্তু ভিন্ন কথা বলে! ইসলামি শাসনের মধ্যযুগেও নারী খলিফা ছিলেন। এমনকি তাঁদের নামে জুম্মা নামাজের খুৎবাও পাঠ করা হতো।
এমনই দুজন নারী ইমাম বা খলিফা হলেন- সৈয়দা আসমা বিনতে শিহাব আল-সুলাহিইয়াহ এবং সৈয়দা আরওয়া আল-সুলাইহি। এছাড়া, ১২৩৬ সালে দিল্লীর কুমারী রানি সুলতানা রাজিয়ার ইতিহাসও সবার অজানা নয়। ইরানের তুরকান অঞ্চলের রানি তুরকান খাতুন, ১২৫৭ থেকে ১২৮২ পর্যন্ত একটানা ২৫ বছর যার নামে মসজিদে খুতবা পড়া হতো। তাঁর কন্যা পাদিশা খাতুনও রাজ্য শাসন করেন। ইরানের সিরাজ অঞ্চলে আবশ খাতুন একটানা ৩৪ বছর রাজ শাসন করেছিলেন। তাঁর নামে খুতবা পাঠ করা হতো, ছিলো তাঁর নামাঙ্কিৎ মুদ্রা। ১৩৪৭ থেকে ১৩৮৮ সাল পর্যন্ত একটানা ৪১ বছর মালদ্বীপের সুলতানা ছিলেন খাদিজা, মরিয়ম ও ফাতিমা। তাঁদের সময়ে ইবনে বতুতা সরকারী কাজী হিসেবে নিয়োগ পান। মিসরের রানি সাজারাত আল দুরের নামে খুতবা পাঠ হতো। ইন্দোনেশিয়ায় ১৬৪১ থেকে ১৬৯৯ পর্যন্ত একটানা ৫৮ বছর ধরে শাসন করেছেন সুলতানা শাফিয়া, সুলতানা নুর নাকিয়া, সুলতানা জাকিয়া, ও সুলতানা কামালাত শাহ।
আমার আজকের পোস্টের উদ্দেশ্য কারো জীবনী আলোচনা করা নয়। গুগল মামার কাছে জিজ্ঞাসা করলেই এই মহান নারী ব্যক্তিত্বদের সম্পর্কে আরও ভালো ভাবে জানা যাবে। বরং, আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই, কেন বাংলাদেশের জনগণকে ঐ দলগুলো এইসব ইতিহাস থেকে অন্ধকারে রেখেছে? কোন উদ্দেশ্যে? এতে কি মুসলমানদের ভালো হচ্ছে? 'ইসলাম লিঙ্গ-নিরপেক্ষ নয়'- এই অপবাদ থেকে তারা কি আমাদের ধর্মকে রক্ষা করতে পারছেন?
অনেকেই বলবেন। এই নারীদের খলিফা হওয়াটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিলো। তাহলে, প্রশ্ন থেকে যাবে, এমন স্বনামধন্য মুসলমান এবং তাঁদের আশেপাশের মানুষেরা কি ভুল করেছিলেন? তা কি করে হয়!
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
থ্যাংক ইউ সো মাচ!
অল দ্যা বেস্ট।
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩০
গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: বাংলাদেশ এর কওমি নেতারা বঙ্গবন্ধু কে কেন জাতির পিতা বলা হয় এটা নিয়া অনেক হাওকাও করতো,ওরা বলতো ইব্রাহিম আঃ হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তো জাতির পিতা নয়।যেই মাত্র শেখ হাসিনা কওমি শিক্ষা কে জাতীয় করন করে বিএ পাসের মর্যাদা দিলেন অমনি কওমি নেতারা তাকে মানে শেখ হাসিনা কে কওমি মাতা বলে ডাকাতে লাগ্লেন। স্বার্থের কাছে সবই বিক্রি হয়।
এই ধরনের ইতিহাস আগেও ছিলো যেমন ১৯২৭ সালে তুর্কি অটোমান সুলাতেনের খিলাফত রক্ষা করার জন্য ২৭০০ কিমি দূরে এই ভারত উপমহাদেশে কওমি নেতারা আন্দোলন করলেন যদিও কামাল আতাতুর্ক ক্ষমতা নিয়ে নিলে এই আন্দোলন ঝিমিয়ে যায়।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমি যা লিখেছি তা ভুলে যাওয়া বা চেপে রাখা ইতিহাস।
কারা ভুলিয়ে দিলো আমাদের?
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ইসলামী বিধান নিয়ে যারা ইসলামী ব্যক্তিত্ব তারা আলোচনা করলেই সুবিধা। ব্লাগে প্রায়সই এই রকম আলোচনা দেখা যায়, যারা ইসলাম সম্পর্কে তেমন ধারণাই রাখেন না, তারা বক্তব্য দিয়ে দেন। এটা ঠিক না।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ইসলামী ব্যক্তিত্বদের এসব নিয়ে পোস্ট দিতে দেখেছেন?
কেন দেননি?
ধন্যবাদ।
৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫২
গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: ঋণাত্মক শূণ্যে ইসলাম সম্পর্ক বলতে হলে স্কলার হতে হবে অন্যথায় বলা যাবে নাহ ।এমন কেন ?
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
'ইসলাম সম্পর্ক বলতে হলে স্কলার হতে হবে'---- এটাও একটি ইসলামী বক্তব্য। এই ব্লগারকে তো ইসলাম নিয়ে কথা বলতে দেখিনি!!!
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০২
রাজীব নুর বলেছেন: নারী তো মা। সন্তান জন্ম, দিয়ে লালন পালন করে বড় করে তোলেন।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
সাথে সাথে দেশও শাসন করতে পারেন।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সাসুম বলেছেন: এই বিষয়ে আলোচনা করার আগে আপনার জানার দরকার কেন ইস্লামে নারীকে পুরুষের নীচে স্থান দেয়া হয়েছে। আপনার জানা দরকার কেন নারীকে শস্যক্ষেত হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনার জানার দরকার কেন নারীকে শুধুমাত্র ভোগের বস্তু বা সেক্স স্লেভ হিসাবে গন্য করা হয়েছে। কেন ইসলাম নারীকে পুরুষের সম্পদ হিসাবে উপস্থাপন করেছে।
এই যে বাংলাদেশের ইস্লামিস্ট রা নারীকে নেতা হিসাবে চায়না এটা ত কোন আলগা ঘটনা নয়। এই যে হাজার বছরের হাজারো পুরুষ শাসক এর এগেইন্সটে মাত্র ২ জন নারী শাসক তাও একজন ইরানের অখ্যত এক অঞ্চলের শাসক আরেকজন হিন্দু অধ্যুষিত ভারতবর্ষের দিল্লীর অঞ্চলের শাসক ছিলেন। এদের উদাহরণ দিয়েই পুরা ইস্লামের আইন ও হাজার বছরের কালচার আর হিসাব নিকাশ ভুল প্রমান করতে চাইলে তো হবেনা, তাইনা? আপনার চেয়ে ইস্লামের যারা ব্যবসায়ী তারা অনেক বেশি বুঝদার এবং তাদের গ্রহনযোগ্যতা ও বেশি এটা বুজতে হবে
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনে সেই ব্যবসায়ীদের চেয়ে কম বুঝদার না!
ধন্যবাদ।
৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সাসুম বলেছেন: আমি ধর্ম ব্যাবসায়ীদের চেয়ে বুঝদার বেশি বলেই তো ধরতে পারছি ধর্ম ব্যবসায়ী দের ধান্দা। আপনি কম বুঝদার বলেই দুইটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা কে দিয়ে যেটা ধর্ম বলেনা সেটাকে জায়েজ করতে উঠে পড়ে গেছেন। যদি জায়েজ হত তাইলে ইস্লামিস্ট রাস্ট্র ও মোসল্মান দের পবিত্র ভূমি, ইয়েমেনে বছরের পর বছর জেনোসাইড চালানো সৌদি আরবে এত যুগেও মহিলা শাসক আসেনাই কেন? সেই দেশে কি যোগ্য মহিলারা জন্ম নেয়না? জর্ডান, কাতার, ইউ ই এ, ওমান, কুয়েত, ইরান, ইরাক, মিশর, আফগানিস্তান এসব সহীহ ও শুদ্ধ ইস্লামিস্ট দেশে মহিলা নেতা নাই কেন? কি দোষ করছে সেই সব দেশের মহিলারা?
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনার কি বাংলাদেশের নারী নেতৃত্বের উদাহরণের দিকে চোখ পড়ে না?
৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০২
সাসুম বলেছেন: বাংলাদেশের ইস্লামিস্ট দেশ না। আপনার চোখ ঠিক করুন।
তবে আপনাদের চেস্টা বৃথা যাবেনা।
যেভাবে আগাচ্ছে দেশ ও সরকার খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ এর নাম বাংলাস্তান হতে যাচ্ছে। তবে এরপরের কাহিনি খুব সুবিধার হইবেনা আর কি। যাই হোক, তালগাছ আপনার। যেম্নে ভাবেন তেমনি হোক।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ইস্লামিস্ট দেশ বলতে ইসলামে কিছু নেই। কখনো ছিলো না।
দয়া করে নতুন কিছু ইসলামে যোগ করবেন না।
৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ‘সহীহ বুখারী’ সহ বিভিন্ন ‘হাদীস গ্রন্থে’ নবী করীম ﷺ-এর নিম্নোক্ত বানীটি বিভিন্ন সহীহ ও বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হয়েছে- لن يفلح قوم ولوا امرهم امراة –‘ওই জাতি কখনই সফলতা অর্জন করতে পারবে না, যে জাতি তাদের বিষয়গুলোকে কোনো নারীর দায়িত্বে সোর্পদ করে দেয়’। [সহীহ বুখারী, হাদীস ৪৪২৫, ৭০৯৯
আপনি যদি বলেন হাদিস মানিনা তবে কোরানেও এই ব্যাপারে ইঙ্গিত রয়েছে। সমস্ত ইসলামী আলেমগণ একমত হয়েছেন যে, নারীকে রাষ্ট্র চালানোর ভার দেওয়া ইসলামী দৃষ্টিতেবেআইনি বা হারামও বলতে পারেন।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
সেই সময়ে রাজতন্ত্র ছিলো। এখনকার সময়ের মতো ৫ বছরের সরকার ব্যবস্থা ছিলো না।
তাই, এখনকার সময়ের আইন ভিন্ন হতে পারে।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৬
বিটপি বলেছেন: ইরানে বা ভারতে নারীরা ক্ষমতায় থেকেছেন, তার মানে এই নয় যে নারী নেতৃত্ব জায়েজ করা হয়েছে। ঐসব দেশে নারীরা রাজ্য শাসন করেছেন কারণ ঐ সময়ে ক্ষমতায় বসার উপযুক্ত কোন পুরুষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর বাধ্য হলে নাজায়েজ কাজ করা ইসলামে স্বীকৃত একটি বিষয়। সুলতানা রাজিয়ার সময়কাল খুব শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু মাত্র চার বছর পরেই তার ভাই তাকে বন্দী ও হত্যা করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে। পিতা ইলতুতমিশ পুত্রের অযোগ্যতা জানতেন বলেই তার পরিবর্তে কন্যাকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী করে দেন।
সবুজ ছাগলা একটা প্রশ্ন করেছে, বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্র কিনা। বাংলাদেশ যদি ইসলামী রাষ্ট্র না হয়, তাহলে জর্ডান, কাতার, ইউ ই এ, ওমান, কুয়েত, ইরান, ইরাক, মিশর, আফগানিস্তানও ইসলামী রাষ্ট্র না। এসব কোন দেশেরই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নয়।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ইসলামে 'ইসলামী শাসনব্যাবস্থা'-এর কথা বলা হয়েছে। ইসলামী রাষ্ট্রের কনসেপ্টটি নতুন।
ধন্যবাদ।
১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪
জ্যাকেল বলেছেন: ক্ষমতার কাঙাল পুরুষরা ইসলামে দেওয়া নারীদের অধিকারগুলো লুকিয়ে রাখতে চাইত। তাই তারা নানা রকমের হাদীস সামনে আনতে থাকে যা বর্তমানে ইসলাম বিদ্বেষীরা ব্যবহার করছে। অথচ কমন সেন্স থেকে দেখলেই ইসলামের ব্যাপারে আর সন্দেহ থাকার কথা না।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস ইউ রাইট।