নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
বাংলাদেশে পতিতাবৃত্তিকে উৎসাহিত করা না হলেও তা নিষিদ্ধ নয়। বিশ্বের যে কয়টি মুসলিম দেশে পতিতাবৃত্তি আইনত নিষিদ্ধ নয়, সেগুলোর একটি হলো বাংলাদেশ। ২০০০ সাল। বাংলাদেশের একটি আদালত যুগান্তকারী একটি রায় দেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সহায়তায় টানবাজার ও নিমতলী যৌনপল্লী'র ১০০-জন বারবণিতা'র করা একটি মামলায় হাইকোর্ট রায় দেন যে, বাংলাদেশে যৌনকর্ম বৈধ। রাষ্ট্র বনাম বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা (২০০০) মামলার এই রায়ে আরো বলা হয় যে জীবন ও জীবিকার স্বাধীনতা এবং আইনের সুরক্ষার সাংবিধানিক অধিকার যৌনকর্মীদের জন্যেও প্রযোজ্য এবং তাদের জীবিকার অধিকার হরণ করা বেআইনি। উচ্চ আদালত আরো বলেন যে, অনৈতিক কার্যক্রম দমন আইন ১৯৩৩ (যাকে পতিতা আইনও বলা হয়) এবং ১৮৬০-এর দন্ডবিধি অনুসারে যৌনপল্লি পরিচালনা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের যৌনকর্মে নিয়োগ নিষিদ্ধ হলেও পেশাদার যৌনকর্ম কোনো আইনেই নিষিদ্ধ নয়।
যৌনকর্মীদের আভিধানিকভাবে রূপোপজীবিনী, হট্টবিলাসিনী, দেহপসারিণী, নগরবধূ, বারাঙ্গনা, বারবধূ, বারবিলাসিনী, গণেরুকা, দেহোপজীবিনী, বেশ্যা, রক্ষিতা, খানকি, জারিণী, পুংশ্চলী, অতীত্বরী, গণিকা, কুলটা, বারবণিতা, কুম্ভদাসী, নটি, রূপজীবা ইত্যাদি নামে ডাকা হয়ে থাকে। UNAIDS-এর ২০১৬ সালের এক হিসেবে, বাংলাদেশে পতিতাদের সংখ্যা ১ লক্ষ ৪০ হাজার জন। এখানে লক্ষণীয় যে, যৌন কাজে থাকা এই মানুষদের চার ভাগের তিন ভাগের বয়স ১৩ থেকে ২৫ বছর।
এই হট্টবিলাসিনীরা কোথায় বসবাস করে? মাসে তাদের আয় কত? তারা কিভাবে এই পেশায় আসেন? গণিকাদের অধিকার সম্পর্কে বাংলাদেশের আইন কি বলে? এই শীতে তারা ভালো আছে তো? স্বভাবজাত কৌতূহল থেকেই এমন কিছু প্রশ্ন মাথায় আসলো।
বাংলাদেশে ঘোষনা দিয়ে পতিতাবৃত্তিতে আসতে হলে সরকারীভাবে নিবন্ধন করতে হয়। নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে প্রথম শ্রেণির একজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি হলফনামায় এই ঘোষনা দিতে হয় যে- তিনি অন্য কোন পেশা খুঁজে পেতে সমর্থ নন, এবং তার ভরণপোষণের অন্য কোন ব্যবস্থা কিংবা তাকে সাহায্য করার কেউ না থাকায় তিনি স্বেচ্ছায় এই জীবিকা বেছে নিয়েছেন। তাছাড়া এই পেশা নির্বাচনে কোন মহল তার ওপর কোন প্রভাব বিস্তার করেনি বা চাপ সৃষ্টি করা হয়নি বরং তিনি জোরজবরদস্তি ছাড়াই নিজস্ব পছন্দে যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এরপর সেই ব্যক্তি এই পেশায় সম্মতি জানালে তাকে একটি সনদপত্র দেওয়া হয়।
এই প্রক্রিয়া থেকে একটি ব্যাপার লক্ষনীয়। আর সেটা হচ্ছে- হলফনামায় ভোরন-পোষন ও চাকরী না থাকাতেই যে পতিতারা এই পেশাটি বেছে নিচ্ছেন তা উল্লেখ করতে হবে। তাহলে এই দুই সমস্যার সমাধান যদি হয়ে যায়, তাহলে, এই পেশা থেকে এই লক্ষাধিক নারী বেরিয়ে আসবেন কি? এই নিয়ে একটু গবেষনা হওয়া প্রয়োজন।
যদি আমাদের দেশের রূপোপজীবিনীরা রাজি থাকেন, সরকার কি করতে পারেন তাদেরকে পুনর্বাসন করার জন্যে? শুধু সরকার কেন, সমাজের ধনবান হিতৈষী ব্যক্তিরা এইক্ষেত্রে কি করতে পারেন? চটজলদি একটি হিসেব করে ফেলা যাক।
বাংলাদেশে একটি ৩ বেড রুমের একটি ফ্ল্যাট ১৫০০০ টাকায় ভাড়া পাওয়া যায়। এই ৩ রুমের ফ্ল্যাটে যদি ৬ জন থাকতে পারেন আর ৬- জনের একটি পরিবারের নূন্যতম সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেঁচে থাকতে ২৫০০০ টাকা প্রয়োজন হয়। সেই হিসেবে, এই ১ লক্ষ ৪০ হাজার কুম্ভদাসিনীর প্রতি ৬ জনকে একটি গ্রুপে ভাগ করলে ২৩,৩৩৪টি পরিবার হয়। এই পরিবারগুলোর জন্যে মাসে যদি ৪০,০০০ টাকা খরচ করা হয়, তাহলে এক বছরে সরকারের খরচ হবে ১১২০,০৩,২০,০০০ বা প্রায় ১১২০ কোটি টাকা।
এখন সরকার ও সমাজ-হিতৈষীরা কি করতে পারেন এক্ষেত্রে? বাংলাদেশের একটি পত্রিকা কয়েক দিন আগে খবর প্রকাশ করেছে যে, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের বিদেশী বায়াররা ৬০০% পর্যন্ত লাভ করে থাকেন। ঢাকা ট্রিবিউনের একটি রিপোর্টে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান একটি কাপড়ের খুচরা মূল্য রাখছে ৩৪৭৫ টাকা যা বাংলাদেশ থেকে তাদের বানিয়ে নিতে খরচ পড়েছিলো মাত্র ২৭৩ টাকা! আরেকটি ফরাসী প্রতিষ্ঠান মেয়েদের দু'টি কাপড় বাংলাদেশ থেকে তৈরী করে নিয়েছিলো ২৯৪ এবং ৪২২ টাকায়। সেই দু'টি কাপড় ফ্রান্সে বিক্রি হয় যথাক্রমে ১৩৫৪ টাকা এবং ২০৭৪ টাকায়!
এক্ষেত্রে, বাংলাদেশের সরকার যদি পাব্লিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় কয়েকটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা করে পূনর্বাসিত গণিকাদের চাকরী'র ব্যবস্থা করে দেয় এবং বিদেশে নিজস্ব আউটলেট তৈরী করে তাঁদের তৈরী পোশাকগুলো বিক্রির ব্যবস্থা করেন, তাহলে সহজেই এই অসম্মানজনক পেশা থেকে আমাদের নারীরা বেরিয়ে আসতে পারবেন। একই কথা খাটে যদি সরকার পাব্লিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে পূনর্বাসিত এইসব নারীদের দিয়ে পরিচালিত কয়েকটি ফার্মাসিউটিকেল কোম্পানী স্থাপন করতে পারেন। বাংলাদেশের ফার্মেসীগুলোতে মহিলা কর্মী নাই বলেই চলে। সেগুলোতেও কর্মসংস্থান হতে পারে এই নারীদের।
আর, এভাবেই হতে পারে সমাজের অবহেলিত এইসব নারীদের সমস্যার সমাধান।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
হ্যাপি নিউ ইয়ার!
অনেক দিন পরে, ভায়া!
কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হবেই! এই নিয়ে যে কোন আইডিয়া শেয়ার করলে আমি পাশে আছি।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
কোন মুসলিম দেশে পতিতবৃত্তি নেই?
কোন কোন মুসলিম দেশে পতিতবৃত্তি থেকে আয়কে পারিবারিক আয় হিসেবে সাদরে গ্রহন করে থাকে?
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
এই ওয়েবসাইট থেকে কিছুটা ধারণা পেতে পারেন- Click This Link
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুসলিম দেশগুলোর অর্থনৈতিক বিশৃংখলা পতিতাবৃত্তির মুল কারণ; ইউরোপ ও আমেরিকায় ইহা লোভ ও সামাজিক অবক্ষয়।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ইউরোপের সব দেশের অবস্থা সমান নয়।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: স্বদিচ্ছা থাকলে এই মেয়েগুলিকে পুনর্বাসন করা সরকারের পক্ষে সম্ভব। বিত্তশালী মানুষ এগিয়ে আসলে আরও সহজে সম্ভব। বাংলাদেশে কোন মেয়ে স্বেচ্ছায় পতিতাবৃত্তি করতে চায় বলে মনে হয় না। এই মেয়েগুলিকে ছোট বয়সেই পাচার ও নির্যাতনের মাধ্যমে এই পেশায় আনে এক শ্রেণীর অপরাধীরা। পরে আর এই মেয়েগুলির পক্ষে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া সম্ভব হয় না।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
বাংলাদেশের পতিতাদের পূণর্বাসন প্রয়োজন।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২১
সাসুম বলেছেন: পতিতাবৃত্তি পতিতাবৃত্তি দুনিয়ার সবচেয়ে আদিম পেশা এবং কেয়ামতের আগের দিন ও এই পেশা থাকবে।
এই যে এরা পতিতা মানে তারা একটা জিনিষের সাপ্লাই দেয়, কিন্তু এর ডিমান্ড কাদের? সমাজের মানুষের ডিমান্ড আছে বলেই তো তারা সাপ্লাই দেয়।
এখন সমাজ এদের কে সমাজচ্যুত করছে কেন?? আগে এই প্রশ্নের সমাধান জরুরি।
সমাজ যদ্দিন টিকে থাকবে ততদিন পতিতা লাগবে। এখন সমাজের পতিতা দের কে বের করে দিলে বা আপ্নার কথামত অন্য কাজে লাগালে সমাজের পুরুষদের পেইড সেক্স এর ডিমান্ড পূরন করবে কে? বাংলাদেশের জোর করে পতিতাবৃত্তি তে বাধ্য করানোর কারন এক্টাই, ডিমান্ড অনেক সাপ্লাই এর চেয়ে। আগে এই প্রশ্নের উত্তর খুজে বের করেন। এরপর বাকি সমাধান।
আগে ডিমান্ড লাইন বন্ধ করেন, পরে সাপ্লাই লাইন কাইটেন। ডিমান্ড লাইন চালু রাইখা সাপ্লাই লাইন কাইটা ফেললে ডিমান্ড ফুল্ফিল করতে ঘরের মা বোন ধরে টানাটানি লাগবে।
আপনার ইন্টেনশান মহৎ ( ধার্মিক দিক থেকে) বাট বাস্তব বড্ড তিতা ও ডিফারেন্ট।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
সমাজ ও দেশের অর্থনীতিতে 'ডিমান্ড ও সাপ্লাই'-এর থিওরি অনেক সময় ব্যার্থ।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
পতিতাবৃত্তি থেকে আয়কে ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো ও মিশরে পারিবারিক আয় হিসেবে সাদরে নেয়া হয়।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমিও এরকম কোথায় যেন শুনেছিলাম।
ঐ দেশগুলোর সব পরিবারেই কি এই অবস্থা?
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫০
সাসুম বলেছেন: আপনি ভুলে আছেন স্যার। দুনিয়ার সব থিউরি মারা খাবে, একমাত্র টিকে রইবে ডিমান্ড আর সাপ্লাই থিউরি।
ডিমান্ড আছে বলেই সাপ্লাই আসবে। চুরি করে হোক, জোর করে হোক বা নিজ ইচ্ছায় হোক।
এই কারনে, ডিমান্ড বিদ্যমান থাকা অবস্থায় সাপ্লাই লাইন কাটলে ডিমান্ড এর জন্য ঘরের মা বোণ ধরে টান পড়বে।
এই সেক্স বিজনেস এটা পুরাটাই ডিমান্ড এর উপর নির্ভর করে। আপনি মক্কা শহরে মসজিদুল হারামের আশে পাশে একদম বিনা পয়সায় এই সাপ্লাই দিলেও বিজনেস মাইর যাবে কারন সেখানে মানুষ শুদ্ধ হতে যায় তাই ডিমান্ড নাই। যেহেতু ডিমান্ড নাই মোটাদাগে তাই সাপ্লাই দিয়েও কাজ হবেনা।
এই কারনে, দয়া করে ডিমান্ড অফ না কইরা সাপ্লাই লাইন ধইরা টান দিবেন না প্লিজ।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমি মোটেও ভুল বলছি না।
আরো একটু পড়াশোনা করে কমেন্ট করলে ভালো হতো না?
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অনেক গুলি বিষয়ই আগে জানা ছিলোনা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ফ্লাই ওভারের নিচগুলোতে অন্ধকার এক রাজ্য গড়ে উঠেছে। খুব খারাপ লাগে মাঝে মাঝে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের এখানে তিন বেড রুম এঁর একটি ফ্লাট ভাড়া ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।
তবে গোড়ান, বনশ্রী, নন্দীপাড়া, বাসাবোতে ভাড়া কিছুটা কম।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:১১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
মিরপুরে এখনো ১৫০০০ টাকায় ৩ বেডরুমের বাসা পাওয়া যায়।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
১০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:০৪
তাহমিদ রহমান বলেছেন: যারা স্বেচ্ছায় এই পেশায় আসে, তাদের ব্যাপারে রাষ্ট্রের কিছু করার নাই,যেহেতু আইনত বৈধ পেশা। তবে বাধ্য হয়ে যারা পতিতাবৃত্তি করছেন, তাদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব পুরোপুরিভাবেই রাষ্ট্রের।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
শুধু রাষ্ট্রের উপর ছেড়ে দিলে কি চলবে, ভাইটি?
নিজেও কিছু করুন!
শুভেচ্ছা।
১১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:২৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনেকদিন আগে আমার জেলা শহরে রাস্তায় এক পতিতা টাকার জন্য ঝগড়া বাধিয়ে দেয় । কাস্টোমার ছিলো ছাত্রনেতা।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমাদের লোভ-লালসা কমাতে হবে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
১২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫
কানিজ রিনা বলেছেন: বেশ্যার কোন জেন্ডার নাই, পতিতার কোন জেন্ডার আছে?
অর্থাৎ নারী-পুরুষ উভয়, মহিলা পতিতার যদি বেশ্যা ডাকা হয় তাহলে পুরুষরা বেশ্যা নয় কেন? ওদের নিয়ে যারা আনন্দ ফুর্তি করে।
সবচেয়ে বড় সমাধান হবে, যেসব পুরুষ ওদের নিয়ে টাকা পয়সা দিয়ে আনন্দ করে, তাদের সাথেই মহিলা পতিতাদের
সরকারিভাবে বিয়ে দেয়া। কারণ টাকাপয়সা না থাকলেতো মহিলা পতিতা চালানো যায় না, নয় কি?
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
এক নারীকে একজনের সাথেই বিয়ে দেওয়া যায়। রুলস ভাঙলে অন্য কথা।
ধন্যবাদ, আপু।
১৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫
কানিজ রিনা বলেছেন: বেশ্যার কোন জেন্ডার নাই, পতিতার কোন জেন্ডার আছে?
অর্থাৎ নারী-পুরুষ উভয়, মহিলা পতিতার যদি বেশ্যা ডাকা হয় তাহলে পুরুষরা বেশ্যা নয় কেন? ওদের নিয়ে যারা আনন্দ ফুর্তি করে।
সবচেয়ে বড় সমাধান হবে, যেসব পুরুষ ওদের নিয়ে টাকা পয়সা দিয়ে আনন্দ করে, তাদের সাথেই মহিলা পতিতাদের
সরকারিভাবে বিয়ে দেয়া। কারণ টাকাপয়সা না থাকলেতো মহিলা পতিতা চালানো যায় না, নয় কি?
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
বিভিন্ন এন,জি,ও তাদের পূনর্বাসনের ব্যাবস্থা করছে।
আবারো ধন্যবাদ, আপু।
১৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৪
নতুন বলেছেন: আমাদের দেশে বা সমাজে কোন নারী সেচ্ছায় পতিতাবৃত্তিতে আসেনা।
তাদের ফুসলিয়ে এনে বিক্রি করে পরে তারা বুঝতে পারে সমাজে স্থান পাবেনা তখন মানিয়ে নেয়।
শুধু আমাদের দেশে নয় বরং বিশ্বেই পতিতাবৃত্তি বন্ধ হবেনা। এটা অসম্ভব। তাই যদি দেশে পতিতাবৃত্তি বন্ধের পেছনে কাজ করেন তবে সেটা আপনার ভুল ধারনা হবে বলেই আমি মনে করি।
বরং যাতে কোন নারীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা না হয় সেটার জন্য কাজ করা উচিত।
কোন নারীকে দাসীর মতন আটকে রেখে পতিতাবৃত্তি না করানো হয়।
কোন কম বয়সীকে যেন পতিতাবৃত্তিতে না নামানো হয়।
আর বাস্তবতা হচ্ছে এই কাজের ডিমান্ড আছে তাই এর যোগান থাকবেই। তাই যেন নারীদের অন্যায় ভাবে যেন পতিতা না বানানো হয় সেটার পেছনে কাজ করা উচিত।
বর্তমানে অনেক বিবাহিত স্বামী স্ত্রী টাকার বিনিময়ে এইসব করছে। অনন্তত এখানে নারীটি সেচ্ছায় করছে এবং নিযাতিত হচ্ছে না।
সরকারের উচিত যারা পতিতা বৃত্তি করবে তাদের লাইসেন্স দেওয়া, নিরাপত্তা দেওয়া এবং স্বাস্হ সেবা দেওয়া। যাতে এখানে অন্যায় এবং রোগ ছড়ানো দুটাই কমে।
১৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
১৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪৭
সাসুম বলেছেন: আপনি আমার মন্তব্য নেয়ার মত প্রজ্ঞা ধারন করতে পারেন না এটা স্বীকার করলেই লেঠা চুকে যায়। আপনার কি ধারনা আমি পড়ালেখা না জানাশোনা কম করে সাপ্লাই আর ডিমান্ড এর থিউরি নিয়ে আসছি?
মানে আপনার নিজের তালগাছ থিউরির সাথে না গেলেই আমার পড়ালেখার অভাব?
আপনার কাজ করার দরকার হল কাউকে যেন জোর করে বা বাধ্য করে এই পেশায় না আনা হয়। অথচ আপনি পেশাকেই বন্ধ করতে চাচ্ছেন।
আপনার কি মাথায় একবার ও আসল না সাপ্লাই অফ করলে ডিমান্ড এর কি হবে? এটা তো একদম কমন জিনিস!!
তবে আপনার জন্য আশার আলো আছে। বর্তমান আওয়ামী মূস্লিম লীগ দেশকে বাংুস্তান বানানোর দিকে নজর দিচ্ছে। সো যদি আপনার এই দাবি যায়গামত পৌছাতে পারেন আশা করি আইন পাশ করাতে পারবেন।
আপনার জন্য বেস্ট উইশেস
১৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:২৪
গরল বলেছেন: সমাজে যেমন মেথর, ঝারুদার বা মুচি দরকার আছে, তেমন পতিতারও দরকার আছে। আমি ডিসকভারি চ্যানেলের এক প্রতিবেদনে দেখেছিলাম, এক বাবা তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে মাসে একবার করে নিয়মিত পতিতার কাচে নি্যে যায়। অনেক শারিরীক ও মানসিক প্রতিবন্ধী, যাদেরকে কোন মেয়ে কোনদিন বিয়ে করবে না তাদের তো শেষ ভরসা পতিতা। তাছাড়াও অনেক সক্ষম কিন্তু বিপত্নিক এবং পরিবারের জন্য হয়ত বিয়ে করতে চাচ্ছে না বা পারছে না তারা কোথায় যাবে? বা বয়সের কারণে বিয়ে করতে পারে না কিন্তু এখনও সক্ষম। এছাড়াও পতিতা না থাকলে সমাজে অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে, ধর্ষণ বৃদ্ধে পাবে আরও ওনেক ধরনের অপরাধ বেড়ে যাবে কারণ প্রাকৃতিক জিনিসকে তো আর দমিয়ে রাখা যাবে না। যেকোন সমাজ বিজ্ঞানী বলতে পারবে এই পেশাটা কতটা জরুরী সমাজের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নতুন বছররে নতুন ভাবনায় স্বাগত!
কিন্তু বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে?
সবতো হাসপালক! নিজের গায়ে জল না লাগিয়ে আখের গুছানোতে ওস্তাদ!
তারপরো স্বপ্নরা থাকুক- একদিন পূরণ হবে বলে।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা
হ্যাপি নিউ ইয়ার ভায়া