নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্ম প্রতিষ্ঠায় বাঙ্গালীদের অবদান (পর্ব-১)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫০



৯৮৮ খিস্টাব্দ। প্রাচীন চট্টগ্রামের এক রাজপুত্র সিংহাসনের মায়া ছেড়ে পুরো ভারত জুরে ঘুরে বেরিয়েছিলেন, প্রজ্ঞা লাভের উদ্দেশ্যে। পথে ঘুরতে ঘুরতে এক সময়ে তিনি নেপালে গিয়ে স্থায়ী হোন। সেখানেই তিনি এক বৌদ্ধ ভিক্ষুকে শিক্ষাগুরু হিসেবে পেয়ে 'নির্বাণ' বা 'সিদ্ধি' লাভ করেন। অনেকে বলে থাকেন, সরাসরি ঐশ্বরিক শক্তি থেকে তাঁর নির্বাণ লাভ হয়েছিলো। তাঁর নাম ছিলো তিলোপা।

বাংলা ভাষায় 'তিলোপা' কথাটির অর্থ 'তাহিনী নির্মাতা'। তিনি একজন কঠোর পরিশ্রমী বৌদ্ধ ভিক্ষু ছিলেন। জ্ঞানের দীর্ঘ অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে তিনি তিল পিষে জীবন নির্বাহ করেন। তিলোপা এরপরে নরোপা নামের একজনকে নিজের ছাত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তিলোপা'র মতো নরোপাও অভিজাত রাজবংশীয় ছিলেন। নরোপার আসল নাম ছিলো হয়- সামন্তভদ্র অথবা অভয়কীর্তি।

নরোপার সাথে যখন তিলোপার দেখা হয়, নরোপা তখন ঐতিহাসিক নালোন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগুরু। আর, তিলোপার নামডাক চারদিকে ছড়িয়ে গিয়েছে। যদিও, প্রথম দেখায় তিলোপার সহজ-সরল জীবন-যাপন দেখে নরোপা তিলোপাকে ঠিক চিনতে পারেননি। এরপরে, তিলোপা নির্বাণ লাভের জন্যে নরোপাকে ১২টি কঠিন কাজ এবং ১২টি অপেক্ষাকৃত সহজ কাজে সিদ্ধি লাভের নির্দেশ দেন। নরোপা আস্তে আস্তে করে নিজের অধ্যাবসায় দ্বারা এইসব কাজ নিজের আয়ত্তে আনতে সক্ষম হোন।

পরবর্তীতে, নরোপা নিজের ছাত্র হিসেবে মারপা-কে গ্রহণ করেন। এই মারপা-ই তিব্বতে নরোপা'র কাছ থেকে শেখা সকল শিক্ষা প্রচার করেছিলেন। তিব্বতিরা এখন নরোপাকে সর্বোচ্চ বৌদ্ধ মহাসিদ্ধদের মধ্যে একজন হিসেবে বিবেচনা করে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



বার্মার দিকে তাকিয়ে দেখেন, আরাকানের দিকে তাকিয়ে দেখেন, শতকারা ২০ জন মানুষ কাজ করে না, অন্যদের দেয়া খাবার খেয়ে এরা জীবন ধারণ করে, এদের কোন সংসার নেই, এদের কেহ কেহ রোহিংগা হত্যায় অংশ নিয়েছিলো, এরা বৌদ্ধভিক্ষু। আপনি বিশ্বাস করেন, এদের কোন জ্ঞান আছে? ঝাটা মারেন

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আমার মনে হয়, পরবর্তী প্রজন্মের লজ্জাজনক কাজের দায়ভার পূর্ববর্তী প্রজন্মের উপর দেওয়া উচিৎ হবে না।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭

সোবুজ বলেছেন: অতিশ দিপংঙ্কর কি তার সমসাময়িক।বুদ্ধের দর্শন ভালো।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


অতিশ দিপংঙ্কর তাঁর পরবর্তী সময়ের। তাঁকে নিয়ে পরের পর্ব।

ধন্যবাদ।

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন: আমার মনে হয়, পরবর্তী প্রজন্মের লজ্জাজনক কাজের দায়ভার পূর্ববর্তী প্রজন্মের উপর দেওয়া উচিৎ হবে না। শুভেচ্ছা নিরন্তর

-১১০০ বছর আগে, বাংলার মানুষ কয়জনে কি লিখতে জানতো? বৌদ্ধ ভিক্ষুরা কিছুটা লেখাপড়া জানতো, ওরা নিজেদের মানুষের উপর কি লিখে গেছে কে জানে! সেই সময়ের জীবনভাবনা আজকে আমাদের প্রতিবেশী আমাদেরকে দেখাচ্ছে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



বাঙ্গালীর শিক্ষিত হওয়ার ইতিহাস অনেক পুরনো বলেই জানি।

প্রত্যেক ধর্মেই ভালো ও খারাপ মানুষ আছে। হিরোশিমায় বোম্বিঙ্গের দায়ভাগ হযরত ঈসা (আ)-এর নয়। হযরত মুসা (আ) ইসরাইলীদের অত্যাচারের জন্যে দায়ী নন বলেই আমি মনে করি।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১

রাজীব নুর বলেছেন: খুব মন দিয়ে পড়লাম।
এ বিষয়ে জানার আগ্রহ আমার খুব বেশি।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আশা করি, কিছুটা জানাতে পেরেছি।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.