নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
বড় রহস্যময় কাহিনী। পৃথিবীর বিভিন্ন জাতির ইতিহাসে এই কাহিনী লিপিবদ্ধ। যে কাহিনীগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে- পৃথিবীতে এমন একটি ফোয়ারা আছে যার পানি পান করলে মানুষ চীর যৌবন প্রাপ্ত হয়! মহাবীর আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট সেই ফোয়ারার তালাশে বিশ্বভ্রমণে বের হয়েছিলেন। সাথী হিসেবে পেয়েছিলেন হযরত খোয়াজ খিজির (আঃ)-কে। তাঁদের একজন সেই অন্বেষণে হয়েছিলেন সফল, আরেকজন ইহজনমে আর সেই ফোয়ারার দেখা পাননি।
গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস বলেছেন- ইথিওপিয়ানদের দেশে এরকম একটি ঝর্ণা আছে। আর, প্রাচ্যের দেশগুলোর ইতিহাসে লেখা আছে, আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট এবং তাঁর সেবক 'অন্ধকারের দেশ' অতিক্রম করার সময় 'জীবনের জল'-এর ঝর্ণা খুঁজে পান। এই ভৃত্যকে একজন ঋষি হিসাবেও অভিহিত করা হয়। অন্যমতে, খোয়াজ খিজির-ই ছিলেন সেই ভৃত্য, যাকে পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে খুঁজে পাওয়া যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, খিজির ঋষি হিসাবে হযরত মুসা (আঃ)-এর সাথে দেখা করেছিলেন।
কোথায় আছে সেই যৌবনের ফোয়ারাঃ
ক্যারিবীয় অঞ্চলের স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, বাহামাকে ঘিরে থাকা পৌরাণিক বিমিনিতে জীবনের ফোয়ারা বা ঝর্ণাটি আছে। মহাকাব্য শাহনামায় উল্লেখিত আছে- এই রহস্যময় ঝর্ণা সূর্য যেখানে অস্ত যায়, সেই অঞ্চলেই অবস্থিত। বাইবেলে লেখা রয়েছে- বেথেসডা নামক জায়গায় এমন একটি জলাশয় আছে যার পানি থেকে হযরত ঈসা (আঃ) অসুস্থ মানুষদের সুস্থ করে তুলেছিলেন।
মহাবীর অ্যালেক্সান্ডার যেভাবে যৌবনের ফোয়ারার দেখা পেলেন নাঃ
পৌরাণিক কাহিনীতে আছে, অ্যালেক্সান্ডার দ্যা গ্রেট তাঁর সঙ্গী-সাথীসহ যখন 'অন্ধকারের রাজ্য'-এর কাছে আসলেন, তখন তিনি তাঁর সাথী হযরত ইলিয়াস (আ) এবং হযরত খিজির (আ)-কে বললেন- ''আমার এখানে দুটি পাথর রয়েছে যা তাদের নিজস্ব আলোতে জ্বলজ্বল করে। আমি সেগুলো থেকে একটি নেব এবং আপনারা অন্যটি নেবেন; এর সাহায্যে এই অন্ধকারে হয় আপনারা নাহয় আমি ঝর্ণাটি খুঁজে পাবো, যদি পাই তাহলে আমরা একে অপরকে জানাব।'' এই বলে তাঁরা অন্ধকারের রাজ্যে ঢুকে গিয়েছিলেন।
খিজির এবং ইলিয়াস এক পথে গিয়েছিলেন, আরেক পথে অ্যালেক্সান্ডার। পথে যেতে যেতে, খিজির আর ইলিয়াস রাত কাটাতে একটি ঝ্ররণার পাশে থামেন। সেখানে তাঁরা সংগের ভাজা মাছটি বের করতেই, তা পানির ছোয়া পেয়ে জীবিত হয়ে উঠে। খিজির বুঝতে পারলেন যে এই সেই ঝর্ণা। তিনি সাথে সাথে সেই ঝর্ণা থেকে পান করলেন। তাঁর সাথী হযরত ইলিয়াসকেও পান করতে বললেন।
অন্যদিকে, আলেক্সান্ডার অন্য পথে হন্যে হয়ে খুঁজেও এই ঝর্ণার দেখা পাননি। খোয়াজ খিজিরের সাথে তাঁর আর দেখা হয়নি। তবে, বিপদে পড়া অনেক মানুষকে খোয়াজ খিজির (আ) সাহায্য করেছেন বলে শোনা যায়।
===========
ছবিঃ উইকিপিডিয়া
সূত্রঃ ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট
===========================
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
পৃথিবীর অনেক জায়গা আছে যেখানে আধুনিক মানুষের পা পড়েনি।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৬
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: চমৎকার কিছু জানা গেলো-------
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
চমৎকার কিছু জানাতে পেরে ভালো লাগছে।
শুভেচ্ছা।
৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুসা (আ: ) নিজের জীবনী লিখননি, অন্যেরা লিখেছেন; সেখানে যদি খিজিরের কথা উল্লেখ থাকে, তার ১৫০০ বছর পর, আলেকজান্ডারের সাথে যদি খিজির নামে কেহ থাকে, তারা ২ জন কি একই ব্যক্তি বলে আপনার মনে হচ্ছে?
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
মহাবিশ্বে জীব সৃষ্টির ইতিহাস লক্ষ কোটি বছরের।
আপনার কি মনে হয়, এই লক্ষ কোটি বছর আগে একজন স্রষ্টা সব কিছু সৃষ্টি করে এতো দীর্ঘকালব্যাপী 'জীবিত' আছেন?
৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আবারো মন্তব্য করার জন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: আসলেই কি এমন কোনো ঝর্না আছে? যদি সত্যি সত্যি থাকতো তাহলেমানুষ এতদিনে তার সন্ধান পেয়ে যেত। পৃথিবীর এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মানুষের পা পরেনি। তাহলে কি ধরে নিবো এগুলো রুপকথা।