নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্ধকার দিকের দায়ভাগ কাদের- আব্বাসী, অটোমান না ইউরোপ/আমেরিকান সভ্যতার?

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

'

মুসলমানদের হাতে যখনই ক্ষমতা উঠেছে, তখনই তারা প্রথাগত জ্ঞানের প্রসারে স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয় না করে মসজিদ-মাদ্রাসা বেশি করেছে বলে অভিযোগ করা হয় প্রায়ই। এ ব্যাপারে অটোমান বা উসমানীয় রাজাদের প্রতি সবচেয়ে বেশি আঙ্গুল তোলা হয়। যেহেতু, আব্বাসি বা উসমানীয় রাজারা বেশি দিন ক্ষমতায় ছিলেন, সেহেতু তাদের দিকে খেয়াল বেশিই দেওয়া হয়ে যায়, যা আসলে ভুল।

সবচেয়ে বড় ভুল হচ্ছে, সকল অটোমান রাজাদের খলিফা হিসেবে ধরে নেওয়া। অটোম্যান বা আব্বাসীরা খলিফা কিনা তা নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। সবচেয়ে পপুলার মতামত হচ্ছে, ইসলামের শেষ নবী (সাঃ)-এর মৃত্যুর পর খেলাফত ৩০ বছর চলেছিলো। যেহেতু, অটোমান বা আব্বাসীরা খলিফাই ছিলেন না, সেহেতু তাদের কাছ থেকে ভালো তেমন কিছু আশা করাটাই উচিৎ নয়। তবে, বিশ্বের প্রথম দিকের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মুসলমানদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে শুনা যায়। ইউরোপের অন্ধকার যুগে মুসলমানদের হাতেই জ্ঞান-বিজ্ঞানের চাবিকাঠি ছিলো বলে মতামত প্রকাশ করেছেন অনেক ইউরোপীয় চিন্তাবিদ।

আরেকটা কথা বলতেই হবে। জ্ঞান কখনোই একক কোন সভ্যতার সম্পত্তি নয়। আজকের এই জ্ঞান-বিজ্ঞান মানব সভ্যতার ধাপে ধাপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মুসলমানরা যেমন নিজের একক কৃতিত্বের দাবী করতে পারে না, ঠিক তেমনি অন্য কোন সভ্যতাও করতে পারবে না।

ইসলামী সভ্যতার আগে যেমন পিথাগোরাসরা ছিলেন, তেমনি নিউটন আর আইনস্টাইনদের আগে ইবনে সিনা, আল-বিরুনীরা বিজ্ঞানের কর্ণধার হয়েছিলেন।

আর, সেজন্যেই, জ্ঞানের আলোর দিকের সকল কৃতিত্ব যখন এইসব সভ্যতা নিজেদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিয়েছে, অন্ধকার দিকের দায়ভাগটা কেন নিবে না? কেন তারা তা না করে একের দায় আরেকজনের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৭

কামাল১৮ বলেছেন: জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিল গ্রীকরা।সেখান থেকেই সারা বিশ্বে জ্ঞান বিজ্ঞান ছড়িয়ে পড়ে।আব্বসীয় খিলাফতের সময় ব্যাপক হারে জ্ঞান বিজ্ঞানের বই আরবিতে অনুবাদ হতে সুরু হয়।এটা করে মুতাজিলা সম্প্রদায়।তাঁরাই প্রথম প্রচার করে ইসলামকে যৌক্তিক হতে হবে।আব্বাসিয়দের পরে তাদেরকে খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হয়।ইবনে সিনা,আল আল বিরুনী এদেরকে মুরদাত বলা হয়।

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: আধুনিক বিশ্বে জ্ঞান বিজ্ঞানে শুধু মুসলমানরাই পিছিয়ে আছে।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৯

*কালজয়ী* বলেছেন: আলোচনার জন্য সুন্দর বিষয়ের অবতারনা করেছেন।

পৃথিবীতে অতীতে বিদ্যমান সভ্যতাগুলোর পরস্পরের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যেক সভ্যতাই কোন না কোন অপরাপর সভ্যতার জ্ঞান, বিজ্ঞান, নিয়ম-শৃঙ্খলা দ্বারা উপকৃত হয়েছে। আরবের ইসলামী সভ্যতার ক্ষেত্রে দেখা যায়, ইসলাম আসার আগের আরব সমাজে বিদ্যামান কু-প্রথা, ঐতিহ্য, কুসংস্কার আল্লাহ্‌র ওহীর বিধান অস্বীকার করছে ও পরিবর্তনের ডাক দিচ্ছে। ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (সঃ) তার শৈশবে আরবের যুদ্ধবিগ্রহের বিরুদ্ধে 'হিলফুল ফুজুল' নামে শান্তি সংঘ গঠন করেন ও রক্তপাত বন্ধের উদ্যোগ নেন; কন্যা শিশু জীবিত দাফন করার কু-প্রথা বন্ধ করেন। নবী মুহাম্মাদ (সঃ) ওহীর বিধান আসার আগেই কাজ শুরু করেছেন, যোগ্যতা অর্জন করেছেন, অতঃপর নবুয়ত লাভ করেছেন।

**বিশ্বের বহু সেরা সেরা বিজ্ঞানী কুরআন পড়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। যেমন বিশ্ববিশ্রুত বিজ্ঞানী ড. মরিস বুকাইলী, যিনি ‘বাইবেল, কুরআন ও বিজ্ঞান’ নামক একটি বই লিখেছেন।

**বহু বিজ্ঞানী ও গবেষক মুহাম্মদ, ইসলাম ও কোরআন সমর্থন করেছেন। কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগের প্রফেসর ও চেয়ারম্যান, শীর্ষস্থানীয় ভ্রূণতত্ত্ববিদদের অন্যতম কিথ মুর, কুরআনের এসব বক্তব্য ও সহিহ হাদিসের বিবরণ সম্পর্কে বলেন, ‘উনিশ শতক পর্যন্ত, মানবীয় বিকাশের ধাপগুলো সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না। উনিশ শতকের শেষ দিকে বর্ণমালার প্রতীকের ওপর ভিত্তি করে মানব ভ্রূণের বিকাশের বিভিন্ন ধাপ চিহ্নিত করা হয়।

**ফিলাডেলফিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগের প্রফেসর ও চেয়ারম্যান এবং ফিলাডেলফিয়ার টমাস জেফারসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্যানিয়েল বাও ইনস্টিটিউটের পরিচালক মার্শাল জনসন বলেন, ‘বিজ্ঞানী হিসাবে আমি ভ্রূণতত্ত্ব এবং ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজি বুঝতে পারি। আমাকে যদি আমার আজকের জ্ঞান ও বর্ণনার যোগ্যতাসহকারে সেই যুগে স্থানান্তর করা হয়, কুরআনে যে বর্ণনা রয়েছে সেভাবে বর্ণনা করতে পারব না।’

**কানাডার ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিন ও এনাটমি বিভাগের প্রফেসর ও চেয়ারম্যান টিভিএন পারসাদ বলেছেন-‘মুহাম্মাদ একজন সাধারণ লোক ছিলেন, ...... আমরা যে বিষয়ে আলোচনা করছি তা হলো চৌদ্দশ বছর আগে এ নিরক্ষর(!!!) লোক এমন গভীর কিছু উচ্চারণ করেছিল, যা বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক।


ওহীর বিধান (আল-কোরআন) জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্পর্কে কি বলে? কেন ইসলামে বিজ্ঞানের আবির্ভাব হল?? জানতে একটু ঘুরে আসি-----

আল্লাহতায়ালা কুরআনে কারিমে বলেন-‘শপথ বিজ্ঞানময় কুরআনের।’ (সুরা-ইয়াসিন:২)

‘পড় তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন; যিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন জমাট রক্তপিণ্ড থেকে। পড়; আর তোমার রব মহীয়ান; তিনি কলমের মাধ্যমে শিক্ষাদান করেছেন, মানুষকে তা শিখিয়েছেন, যা সে জানত না।’ (সুরা-আলাক্ক:১-৫)

আধুনিক বিজ্ঞানের অন্যতম সাফল্য মহাকাশবিজ্ঞান। এ বিষয়ে আল কুরআনে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। ‘অবিশ্বাসীরা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল; অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম এবং জীবন্ত সবকিছু পানি থেকে সৃষ্টি করলাম; তবুও কি তারা বিশ্বাস করবে না?’ (সুরা-আম্বিয়া:৩০)।পানি থেকে জীবন সৃষ্টির উল্লেখ হয়েছে এটিও সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক। সব জীবিত প্রাণী প্রটোপ্লাজম দিয়ে তৈরি, যার ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশই পানি।

মহাজগৎ সদা সম্প্রসারণশীল। এ প্রসঙ্গটিও আল কুরআনে রয়েছে- ‘আমি আমার ক্ষমতাবলে আকাশ নির্মাণ করেছি এবং আমিই একে সম্প্রসারিত করছি।’ (সুরা-যারিয়াত:৪৭)

মহাবিশ্বে সবকিছুই ঘূর্ণায়মান বা চলমান। এ বিষয় সম্পর্কে আল কুরআনের বর্ণনা : ‘আল্লাহই দিন ও রাত করছেন, সৃষ্টি করেছেন চন্দ্র ও সূর্য। প্রত্যেকেই নিজ নিজ গতিতে কক্ষপথে সন্তরণ করছে।’ (সুরা-ইয়াসিন:৩৮-৪০)। ‘তিনিই সূর্যকে তেজষ্কর ও চন্দ্রকে জ্যোতির্ময় করেছেন এবং তার তিথি নির্দিষ্ট করেছেন।’ (সুরা-ইউনুস:৫)

ভূ-তত্ত্ব বিজ্ঞান প্রসঙ্গে আল কুরআনে সবিস্তারে আলোচিত হয়েছে-
‘আমি কি ভূমিকে বিছানা ও পর্বতকে কীলক সদৃশ করিনি?’ (সুরা-নাবা:৬-৭)

আল-কুরান চিন্তা করতে উৎসাহী করে। ‘তারা কি সূক্ষ্মভাবে কুরআন নিয়ে চিন্তাভাবনা করে না, যদি এটি আল্লাহ ছাড়া আর কারও কাছ থেকে হতো, তারা এতে বহু অসামঞ্জস্য খুঁজে পেত।’ (সুরা-নিসা:৮২)

মুসলমানরা স্বয়ংসম্পূর্ণ কারণ তাদের নবী মুহাম্মাদ, কোরআন ও ইসলাম জ্ঞানী-বিজ্ঞানী ও আদর্শ মানব হতে প্রেরণা দেয় এবং অপরাপর ধর্মের জ্ঞানী-গুণীদের সম্মান-মর্যাদা দিতে আহবান জানায়।


কমেন্ট বড় হয়ে যাওয়ায় ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
নিরন্তর শুভকামনা। পোস্টে +++

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৪৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সময়ের সাথে সাথে মুসলমানরা শিক্ষা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়েছে যার বিবিধ ঐতিহাসিক কারণ আছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে আমরা আমাদের অতীত গৌরবের সাফল্য নিয়ে এখনো আত্মতৃপ্তিতে ভুগছি, কিন্তু যুগের সাথে নিজেকে যথেষ্ট শিক্ষিত ও বিজ্ঞানমনস্ক হিসাবে গড়ে তুলতে পারছি না। এটাই নির্মম সত্য।

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪

আবদুল মমিন বলেছেন: স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সময়ের সাথে সাথে মুসলমানরা শিক্ষা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়েছে যার বিবিধ ঐতিহাসিক কারণ আছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে আমরা আমাদের অতীত গৌরবের সাফল্য নিয়ে এখনো আত্মতৃপ্তিতে ভুগছি, কিন্তু যুগের সাথে নিজেকে যথেষ্ট শিক্ষিত ও বিজ্ঞানমনস্ক হিসাবে গড়ে তুলতে পারছি না। এটাই নির্মম সত্য

জ্ঞান বিজ্ঞান একটি সুতোয় গাথা পঙ্কতি মালা মাত্র পৃথিবী জন্মের শুরু থেকে সমাপ্তি প্রযন্ত বিভিন্ন জাতী গোষ্ঠী এই মালা জপেই যাবে এবং সকলেই তাদের আগেকার জাতীর রেখে যাওয়া সূত্রের ভিত্তিতে নতুন সভ্যতা বিনির্মাণ করবে । এতে সব সময় ই অতীতের সভ্যতা সমালোচনার মুখমুখি হতে থাকবে কারন সময়ের সভ্যতা অতীতের যে কোন সভ্যতা থেকে অগ্রসর থাকবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.