নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছেলেটি থাকলো না

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪১



ছেলেটার নাম জিশান। স্কুল বন্ধ, তাই, বাবার সাথে চা বেঁচতো। আমাদের বাসার পাশের এলাকাতেই তাকে বেশি পাওয়া যায়। চা খাওয়ার পরে খদ্দেরদের রেখে যাওয়া কাপ পরিষ্কারে বাবাকে সাহায্য করে। আমি একদিন তাদের ভ্রাম্যমান চা-এর দোকানটার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ, ফর্সা ছেলেটার দিকে তাকিয়ে থমকে দাঁড়ালাম। কি সুন্দর ছেলে! এই চা-ওয়ালার সাথে কি করছে!

চা-ওয়ালার সাথে আলাপ জুড়ে দিয়ে জানতে পারলাম যে এটা তার ছেলে। কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেললো লোকটা। জানতে পারলাম- এই করোনাকালে ব্যবসা খুব খারাপ যাচ্ছে। ছেলেটার স্কুল বন্ধ। তাই, কাজে নিয়ে এসেছে। ছেলেটার জন্যে আমার খুব মায়া হলো।

আমার বিশুদ্ধ পানি'র প্রোগ্রামে দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করলাম। চা-ওয়ালা রাজি হয়ে গেলো। আমার Water Project-এ নিয়ে এসেছি। ছেলেটিকে সারা দিন বসে থাকতে হয়। কাজ বলতে পানির জারটা দেখে রাখা। আর কোন কাজ নেই। ছেলেটিকে বেঞ্চে বসে থাকতে হয়। তৃতীয় দিন। ছেলেটির হাতে জাফর ইকবাল স্যারের টুকুনজিল বইটি তুলে দিয়ে বলেছিলাম- রোজ ২ পৃষ্ঠা করে পড়বে। এটা তোমার ডিউটি।

জিশান বেশি দিন থাকলো না। ইদের পরে আর কাজে আসেনি। হয়তো চা বেচাটাই তার কাছে বেশি আকর্ষণীয়। বাবার হাত ধরে সারা দিন এলাকায় এলাকায় ঘুরে বেড়ানো, হরেক রকম মানুষের দেখা পাওয়া, মাঝে মাঝে বাবা-র চা-এর জারের সাথে ঝোলানো প্যাকেট থেকে ১-২টা বিস্কিট চেয়ে খাওয়া- সারা দিন এক জায়গায় বসে থাকার চেয়ে অনেক আনন্দের।

সে যেখানেই থাক, ভালো থাকুক- বাবার সাথে।



ছবিঃ টুকুনজিল পড়ছে জিশান

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



তার বেতন, ছুটি, পেনশনের কি চুক্তি ছিলো?

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


না। সে অপ্রাপ্ত-বয়স্ক। অপ্রাপ্ত-বয়স্কদের জন্যে এটা প্রযোজ্য নয়।

তবে, তার বাবাকে মাসিক একটা টাকা দিতাম। আর, ছেলেটিকে দুপুরের খাবার আর নাস্তা।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


তার চাকুরীর ভবিষ্যত নেই দেখে সে চাকুরী ছেড়ে পর্যটক হয়ে গেছে

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


কথাটা আমারও মনে হয়েছে।

তবে, এটা চাকরী ছিলো না। ভবিষ্যতে হয়তো হতো।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখনো পদটি খালি থাকলে, কোথায় কিভাবে আবদন করতে হবে?

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আমাদের বাসার কেয়ারটেকার কাজটি নিয়েছেন।

আপনি বই পড়ার চাকরী খুঁজছেন জানলাম।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৬

কামাল১৮ বলেছেন: আমার মেয়ের গাড়ীর ড্রাইভার কয় দিন পর চলে যায়।আমার কৌতুহল হলো কেন ড্রাইভার কয়দিন পর চলে যায়।একজনকে বললাম,কাজ কেমন লাগছে?
- খুব খারাপ,সাড়ে নয়টা থেকে চারটা পর্যন্ত বসেথাকা এটা কোন কাজ হলো।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

সত্যিই বসে থাকাটা কোন কাজ নয় যদি না সেই সময়টাকে কাজে লাগানো যায়।

শুভেচ্ছা ।

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮

কল্পদ্রুম বলেছেন: ভালো কাজই করেছিলেন। আপনার অনুমানই হয়তো সঠিক। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে চা বিক্রি করতে ঐ বয়সে বেশি মজা লাগার কথা।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

এই ধরণের ছেলেদের পড়ালেখায় দ্রুত ফিরিয়ে আনতে হবে।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০০

রাজীব নুর বলেছেন: এই রকম ছেলের সংখ্যা সারা বাংলাদেশে অনেক। একসময় তাঁরা নেশা করে নষ্ট হয়ে যায়। এদের কি সরকারের কোনো মাথা নেই?

১২ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

সরকার যদি ভেবে ফেলে, জনগণ আছে কি করতে!!!

আমাদেরকেও তো করতে হবে অনেক কিছু।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.