নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
ঘটনা ০১ঃ
বাংলাদেশে দূর্নীতি অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। আমি প্রথম মুখোমুখি হই ২০০৭/২০০৮ সালের দিকে। বাবা তখনো সরকারী চাকরী করছেন। আমাদের মিরপুরে একটি জায়গা ছিলো। সরকারী চাকুরীজীবীদের জন্যে রুপনগরে একটি আবাসিক প্রকল্প আছে। সেইখানে আব্বা লটারির মাধ্যমে একটি জায়গা পেয়েছিলেন। কিন্তু, কেন জানি রেজিস্ট্রি করাননি।
আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে ঢাকা আসার পরে ঘটনাটা মা'র কাছ থেকে জানতে পারি। তারপরে, নিজ উদ্যোগে ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে কিছু দিন দৌড়াদৌড়ি করার পরে বুঝতে পারলাম, এখানে ঘাপলা আছে। রেজিস্ট্রি অফিসার আমার কাছে ৫০,০০০ টাকা দাবী করেন ভূমিটি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার মাধ্যমে। তিন মাস ধরে চেষ্টা করেও যখন হলো না, একজন পরিচিতজনের মাধ্যমে আবার চেষ্টা করলাম। এবারে, রফা হলো ২০,০০০ টাকায়! তারপরও, বাবা কিছুতেই রাজি হলেন না। অগত্যা, সেই ভূমি রেজিস্ট্রি করতে আমাকে পুরো ১৮ মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিলো।
ঘটনা ০২ঃ
বাবা সবে অবসর গ্রহণ করেছেন। কয়েক মাস পরে পেনশনের টাকা উঠানোর জন্যে বাবার সাথে এজি অফিসে গিয়েছি। এজি অফিসের 'ভদ্রলোক' চা খাওয়ার জন্যে ৪০,০০০ টাকা দাবী করলেন। আমার আবার দয়ার শরীর। বাবাকে বললাম- ''দিয়ে দাও না, আব্বু। এতো টাকা পাচ্ছো পেনশন থেকে, কিছু টাকা বেচারাকে দিয়ে দিলেই হয়!''
বাবা দিলেন এক বকা। বললেন- ''ইগু ঘুষ চার। আমি ঘুষ দিতাম নায়।'' (লোকটা ঘুষ চাচ্ছে। আমি ঘুষ দিবো না।)
সেই পেনশনের টাকা উঠাতে বাবাকে ৩ বছর অপেক্ষা করতে হয়!
ঘটনা ০৩ঃ
ইংল্যান্ডে পড়তে যাওয়ার আগে পাসপোর্ট করতে হয়েছিলো। পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময়ে বাসায় একজন অফিসার এসে হাজির। একটা ফর্মে সাইন করে দিয়ে এক গাল হেসে মানুষটি বললেন- ''ভাই, চা খাওয়ার জন্যে ৫০০ টাকা দেন।''
এবারে কি করেছিলাম আমার ঠিক মনে নেই!!!
ঘটনা ০৪ঃ
''যে দেশে ঘুষ নেওয়া একটি কালচার, সেখানে ঘুষ দেওয়াটা পাপ নয়।'' কথাটা আমার এক মামা'র যিনি ঘুষ থেকে বাঁচার জন্যে সরকারী চাকরী ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরে, নিজে এই দেশে প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের মাঝে অন্যতম ছিলেন। অনেক দিন পরে এটা তাঁর উপলব্ধি।
১৮ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৫৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমার কেন যেন মনে হয়, উনি অসহায়!
আমার মনে হওয়ার পিছনে কোন যুক্তি নেই!
ধন্যবাদ নিরন্তর।
২| ১৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:০৭
আমি সাজিদ বলেছেন: বিচারপতি তোমার বিচার করবে কারা?
১৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:১১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
বিচারপতিরাই যথেষ্ট নিজেদের বিচার করতে!!!
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৩| ১৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সরকারী অফিসে নামাজের জায়গাটা খুব সুন্দর করে তৈরি করা হয়। নামাজের চমৎকার ব্যবস্থা থাকে। আমাকে একজন সরকারি উঁচু পর্যায়ের কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা পরামর্শ দেয়ার জন্য পারিতোষিক নেন। তিনি বলতে চাচ্ছেন যে এটাকে ঘুষ বলা যাবে না। আমাদের একজন অর্থমন্ত্রী ঘুষকে স্পিড মানি বলে হাল্কা করার চেষ্টা করেছিলেন। অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন যে এতো ফেরেশতা কোথায় পাবো। ওনার কথায় মনে হয়েছে এই বদগুলি নিয়েই প্রশাসন চালাতে হবে। একটা কথা আছে যে ঠগ বাছতে গাও উজার। আমাদের দেশের অবস্থা সেই রকম। ঘুষ দাতাও প্রায়শই নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ঘুষ দেয়। ঘুষ গ্রহিতা স্বার্থ উদ্ধারের পদ্ধতি বাতলে দেন। আমাদের দেশে মসজিদে দান নেয়ার সময় অর্থের উৎস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হয় না। কারণ সেটা করতে গেলে অনেক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়ে যাবে। অনেক ঘুষখোরের মুখে দেশ ও জাতি নিয়ে অনেক আদর্শবাদী কথা শুনেছি। দুঃখজনক হোল এই ঘুষখোরদের মধ্যে দেশের অনেক শীর্ষস্থানীয় বিশেষায়িত এবং সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চরম মেধাবিরা আছেন। আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
১৮ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
''যে দেশে ঘুষ নেওয়া একটি কালচার, সেখানে ঘুষ দেওয়াটা পাপ নয়।''
এটা আমার ইন্টার্নশীপ জমানার শিক্ষা।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
৪| ১৮ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৭
ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: ৪,৪২,৩০০,০০,০০ ০০০
ঠিক মত লেখা হয় নি, তাই অংকটি ঠিক "," (কমা) বসিয়ে ঠিক করে দিলাম
১৮ ই মে, ২০২১ রাত ৮:২৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
৫| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ৯:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অথচ ঢাকা নাকি মসজিদের শহর!!!
হায়
ধর্মবেত্তারাও আজ ঘুষের টাকায় মসজিদে এসি লাগিয়ে জান্নাতি সূখ অনুভব করে!!!
তবে আর কে কারে বাঁচাবে!!???
১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৩১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ঘুষটা আমাদের কালচারের অংশ হয়ে গিয়েছে, ভায়া!!!
ধন্যবাদ নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী খুব ভালো করেই জানেন তাঁর দলের লোক কতখানি দূর্নীতিবাজ। তিনি দূরনীতিবাজদের ভালোবাসেন। এই জন্য দূর্নীতিবাজরা বুক ফুলিয়ে চলে।