নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
মৃতদের সাথে সাক্ষাত লাভ করা যায় কি? তাঁদের কাছে কিছু চাওয়া ইসলাম সমর্থন করে কি? চাওয়া গেলে সেইটা কিভাবে সম্ভব? কিছু ব্লগার অহেতুক ব্লগে এসে শিরক শিরক করছেন তাদের ভুল ভাঙ্গানোর জন্যেই আজকে লিখতে বসেছি।
প্রথমেই বলে নিচ্ছি, মৃতদের আত্মার সাথে সাক্ষাত লাভ করা যায়। মৃত ব্যক্তি অনেক অজানা বিষয় জীবিত ব্যক্তিকে জানাতে পারেন। জীবিতরা এমন সব জিনিস মৃতদের কাছ থেকে পেতে পারেন যা সেই মৃৎ ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ জানে না। এরই সম্পর্কে অসংখ্য প্রমাণাদি আছে।
এই সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে-
''আল্লাহ তা'আলা মৃত্যুর সময় আত্মাসমূহ কবজ করেন এবং নিদ্রার সময় ঐ আত্মাগুলোও কবজ করে নেন যেগুলো এখনও মৃত্যুবরণ করেনি। অতঃপর যার ওপর মৃত্যুর ফরমান জারী করেন, তাকে আর ফিরিয়ে দেন না। আর অন্যান্য রুহগুলোকে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্যে ছেড়ে দেন।'' (সূরা যুমার : আয়াত ৪২)
এই আয়াতের তাফসিরে সুদ্দী বলেন- আল্লাহ তা'আলা ঘুমন্ত অবস্থায়ও আত্মা কবজ করে থাকেন। অতঃপর জীবিত এবং মৃত ব্যক্তিদের আত্মাগুলো সাক্ষাতে একে অন্যকে চিনতে পারে, এবং পরস্পর আলোচনায় লিপ্ত হয়। অতঃপর জীবিত আত্মাগুলোকে তার দেহে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, মৃত ব্যক্তিদের আত্মা যখন আপন দেহে ফিরে যেতে চায়, তাকে বাধা দেওয়া হয়।
এই আয়াত এবং তাফসির থেকে এটা স্পষ্ট যে, জীবিত এবং মৃতদের আত্মাদের মধ্যে সাক্ষাত সম্ভব। এবারে কিছু মনীষী'র উদাহরণ দিবো-
স্বপ্নযোগে হযরত ওমর (রা)ঃ
আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রা) বলেনঃ ''আমি হযরত ওমর (রা)-কে স্বপ্নে দেখার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করতাম। অবশেষে আনুমানিক তাঁর শাহাদতের এক বছর পর তাঁকে স্বপ্নে দেখলাম। আমি দেখতে পেলাম, তিনি তাঁর ঘর্মাক্ত কপাল পরিষ্কার করছেন আর বলছেন- আমি অবসর পেয়েছি। যদি পরম করুণাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীইন আমাকে রক্ষা না করতেন, তাহলে, আমার ছাদ বিস্ফোরিত হয়ে ধুলিস্যাত হয়ে যেতো। আমি আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহে মুক্তি পেয়েছি, অন্যথায় ধ্বংস হয়ে যেতাম।''
স্বপ্নযোগে হযরত ওয়ায়েস করণী (রহ)ঃ
আবু ইয়া'কুব কারী একবার স্বপ্নে এক গৌরবর্ণ ও দীর্ঘদেহী এক ব্যক্তিকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন- এই ব্যক্তি কে? লোকেরা বললো- এই ব্যক্তি ওয়ায়েস করণী। আবু ইয়া'কুব কারী তাঁকে অনুসরণ করতে থাকলেন এবং বললেন- 'আমাকে কিছু উপদেশ দিন।' ওয়ায়েস করণী বললেন - ''আল্লাহ'র আনুগত্যের মাধ্যমে তাঁর রহমতের অনুসন্ধান করো। আর গুনাহসমূহের মধ্যে রয়েছে তাঁর শাস্তি, কাজেই উহা পরিত্যাগ করো। এর মধ্যে আল্লাহ থেকে নিরাশ হইয়ো না।'' এই বলে তিনি চলে গেলেন।
এক বৃদ্ধার গুপ্তধনের ঘটনাঃ
এক ধার্মিক বৃদ্ধা মহিলা মারা গেলেন। সেই মহিলার কাছে আরেকটি মহিলার সাতটি স্বর্ণমুদ্রা গচ্ছিত ছিল। দ্বিতীয় মহিলাটি এতে মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে আব্দুল্লাহর কাছে এসে ঘটনাটি বলে চলে গেলো। পরের দিন আব্দুল্লাহর সাথে আবার দেখা হলে, আব্দুল্লাহ মহিলাটিকে বললেন- ''বিরদ্ধা আমাকে বলেছে তার ছাদে সাতটি কাঠ আছে, সপ্তম কাঠে দীনারগুলো পশমি কাপড়ে জড়ানো, ওখান থেকে নিয়ে নাও।'' অতঃপর দীনারগুলো সেখানেই পাওয়া গেলো!
আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহ)-এর কাছ থেকে নির্দেশ লাভঃ
যারা শায়খুল ইসলাম ইবনে তায়মিয়া (র)-কে স্বীকৃতি দিতো না এমন কিছু লোক আল্লামা ইবনুল কায়্যিম জাওযিয়্যাহ (রহ)-কে বলেছে- ''আমরা তাঁকে স্বপ্নে দেখেছি এবং উত্তরাধিকার বণ্টনের নীতিমালা সম্পর্কিত কতিপয় জটিল বিষয়ে প্রশ্ন করেছি। তিনি এগুলোর সঠিক সমাধান বলে দিয়েছেন।''
এভাবেই, মৃতদের নিকট থেকে অনেক উপদেশ পাওয়া যায়। আর, এটা মুসলমানদের বড় বড় জ্ঞানীদের নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে এগুলো বর্ণনা করেছেন। আশা করি, যারা শিরক শিরক করেন, তাদের ভুল ভাঙবে।
১৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:২২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনার মন্তব্যটা এই পোস্টের স্কোপের বাইরে। কারণ, এ নিয়ে একটু রিসার্চের প্রয়োজন আছে।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
২| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টের বাইরে একটা মন্তব্য করি-
যেদেশের একজন প্রবাসী মারা গেলে চাঁদা তুলে তার মরদেহটি দেশে প্রেরন করতে হয়!সেদেশে ২৫ হাজার কোটি টাকায় ১৬টি যুদ্ধবিমান কেনার উদ্যোগ বিলাসিতা।
১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
দেশের কর্ণধাররা যেহেতু এই ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আপনার তা মন:পূত না হলে প্রতিবাদ করতে পারেন। এটা যেমন তাঁদের একটি গণতান্ত্রিক অধিকার, আপনারও তা-ই।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: আপ্নি দাবী করেছেনঃ মৃতের কাছে এমনকি চাওয়া যেতে পারে।
সূত্রঃ হযরত শাহ জালাল (রহ) সব ধর্মের মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৬ নাম্বার এর প্রতি মন্তব্য।
আপনাকে আমি প্রশ্ন করেছি মৃত ব্যক্তিদের কাছে চাওয়ার ব্যাপারে। আমি বলেছে সেটা শিরক। আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কারো কাছে কিছু চাওয়া সরাসরি শিরক। আমি যেই কারণে শিরক বলেছি তার সাথে এই পোস্টের কোন সর্ম্পক নেই।
ব্লগারদের বিভ্রান্ত করছেন কেন?
আপনি কুরআন শরীফের যেই আয়াত এর বঙ্গানুবাদ দিয়েছেন তা বাদ দিয়ে বাকি অংশ কোথা থেকে লিখেছে, কোন বই বা পৃষ্ঠা নাম্বার উল্লেখ করুন।
১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
সাহাবাদের একটি উৎকৃষ্ট গুণ হলো- 'শুনলাম এবং মানলাম'।
আপনার মাঝে সেই গুণ দেখছি না বলেই বইয়ের সূত্র উল্লেখের প্রয়োজন মনে করছি না।
আপনি বরং কোরআনের যে আয়াতই এখানে উল্লেখ করেছি, সেটা নিয়ে ভাবুন। ওটাই আপনাকে দিশা দিবে। নিজের উপর কনফিডেন্স রাখুন।
ধন্যবাদ।
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১২
নীল আকাশ বলেছেন: এই চারটা উদাহরণের কোথায় চাইবার কথা লেখা আছে?
মাজারে যেয়ে লোকজন মৃত ব্যক্তির কাছে আবদার করে এটা ওটার জন্য। এই উদাহরণগুলিতে সেই জিনিস কোথায় লেখা আছে?
১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনি যদি এই উদাহরণগুলো থেকে এখনও কোন সমাধানে পৌঁছাতে না পারেন, আপনাকে আর কি বলবো!!!
অবশ্য, আমি আপনাকে চিনি না। আপনার পরিচয় জানি না। তাহলে, কেন আপনাকে আমার শ্রমলব্ধ জ্ঞান বিতরণ করবো, বলুন তো? সব জ্ঞান তো সবার জন্যে নয়! যে জ্ঞান খুঁজে, জ্ঞান তো তাঁর জন্যে। আর, জ্ঞান চাইবার জন্যে বুদ্ধির একটি স্তরে যেতে হয়।
আপনি কি উপরিউক্ত জ্ঞান পাবার যোগ্য বলে দাবী করছেন? সেটা আগে প্রমাণ করবেন কি?
ধন্যবাদ।
৫| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:০৫
নতুন বলেছেন: (সূরা যুমার : আয়াত ৪২)
এই আয়াতের তাফসিরে সুদ্দী বলেন- আল্লাহ তা'আলা ঘুমন্ত অবস্থায়ও আত্মা কবজ করে থাকেন। অতঃপর জীবিত এবং মৃত ব্যক্তিদের আত্মাগুলো সাক্ষাতে একে অন্যকে চিনতে পারে, এবং পরস্পর আলোচনায় লিপ্ত হয়।
এটা তো তার ধারনা মাত্র। এটা কি কোন ভাবে প্রমান করা সম্বব?
আত্না একটা ধারনা মাত্র এই সম্র্পকে মানুষ কিছুই জানেনা অনেক বাপটার মানুষ এই ধারনাকে পুজি করে পীর মাজারের ব্যবসা করছে আমাদের দেশে। এটা সকল ধমের মাঝেই এই ধারনা আছে এবং অনেক ধমের ভন্ডরা এটা নিয়ে ধান্দা করে।
১৬ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনার কাছে এটা ধারণা মনে হলে, অন্য তাফসির খুঁজলেই তো হয়!!!
অন্য তাফসিরে কি পেলেন আশা করি জানাবেন, ভাই।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৬| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:০০
রানার ব্লগ বলেছেন: ব্লগে আজকাল প্লানচ্যাট হয় দেখছি !!!!
১৬ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
তাই!!! কিভাবে!!!!
ধন্যবাদ।
৭| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় শাইয়্যান ভাই, আমি সকলের বিশ্বাসকে সম্মান করি। আমি মনে করি কোন বিশ্বাস যদি কারো একান্ত ব্যক্তিগত হয় এবং সেটার প্রকাশ যদি সমাজে না হয়, তাহলে তিনি যা ইচ্ছে তাই বিশ্বাস করে নিজেকে সান্তনা দিতে পারেন। এতে কোন সমস্যা নেই। তবে কোন বিশ্বাস যদি কোন সিস্টেমের মুল কনসেপ্টকে বিপর্যস্ত করে, আঘাত করে তাহলে সেই বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তৈরী হবে, আলোচনা হবে। সেই প্রেক্ষাপট থেকেই আমি এই আলোচনায় অংশগ্রহন করছি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝার তৌফিক দান করুন। এবং আমরা না জেনে যদি কোন ভ্রান্ত ধারনা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করি, তাহলে আল্লাহ যেন আমাদেরকে ক্ষমা করেন।
ভাইয়া, আমি প্রথমেই স্বীকার করে নিচ্ছি, ধর্ম সম্পর্কে এখনও আমার অনেক কিছু জানার বাকি, আল্লাহর রহমতে আমি চেষ্টা করছি ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করতে এবং জানতে। ইসলামের সর্বোচ্চ বড় আকীদা বা ঈমানের বিষয় হলো, আপনি আল্লাহর সাথে কারো তুলনা করতে পারবেন না। সেটা পরোক্ষা বা প্রত্যক্ষ যেভাবেই হোক না কেন। যিনি এই কাজ করবেন আল্লাহ তাঁকে কখনও ক্ষমা করবেন না বলেই শুনেছি। কারন এটা শিরক। সবচেয়ে ভয়াবহ গুনাহ! তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাঁকে মাফ করতে পারেন। কারন তিনি বিচার দিনের মালিক।
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার জন্য কোরানের একটি আয়াতের অপব্যাখ্যা করা হয়। সেটি হচ্ছে সুরা আল মায়েদার ৩৫ নং আয়াত। এখানে বলা হয়েছে, "হে ঈমানদার লোকেরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং তাঁর নৈকট্য লাভের উসিলা (উপায়) অন্বেষণ করো, আর তাঁর পথে জিহাদ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।" এই উসিলা শব্দটিকে অনেকই পীর, ওলি, আউলিয়া হিসাবে মনে করেন, তারা যুক্তি দেখান, ওলি আউলিয়ার সহচার্য নিলে তারা আল্লাহ নৈকট্য অর্জন করবেন। কিন্তু বিষয়টি ভুল বলে প্রমানিত হয়েছে। ইসলামি প্রেক্ষাপটে ওলি, আউলিয়া ইত্যাদি মানে হচ্ছে শিক্ষক। আপনি এদের থেকে ধর্ম বিষয়ে শিক্ষা নিতে পারেন। কিন্তু আল্লাহর কাছে চাওয়ার জন্য উনাদের উসিলার কোন প্রয়োজন নেই। কারন আল্লাহ তাঁর প্রতিটি সৃষ্টি সম্পর্কে অবগত আছেন, চেনেন ও জানেন। ফলে এখানে উসিলার কোন প্রয়োজন নেই।
এই উসিলা শব্দটি মুলত ব্যবহার করা হয়েছে - এমন কর্ম সম্পাদন করা, যার দ্বারা কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সান্নিধ্য অর্জন করতে পারেন। আর যে আয়াতটি আপনি এখানে বলেছেন, সেটা দ্বারা বুঝানো হয়েছে মানুষের মৃত্যুর কোন ঠিক ঠিকানা নেই। যে কোন সময় মানুষের মৃত্যু হতে পারে। আপনি আর এই ঘুম থেকে নাও উঠতে পারেন।
আমরা যদি কোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা তর্ক জেতার জন্য কোন আয়াতের অপব্যাখ্যা করি, তাহলে সেটা নিঃসন্দেহে কঠিন গুনাহ হবে। আমি মনে করি, যে বিষয়ে কোরানে সরাসরি আল্লাহর নির্দেশনা আছে, সেই বিষয়ে অন্য কোন রেফারেন্স এর প্রয়োজন নেই।
আমি ভুল কিছু বললে, আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুক। তবে মাজারে গিয়ে নাচানাচি, কোন পীরকে সম্মান জানাতে পিছন ফিরে না হাটা, ইত্যাদি কর্মকান্ডকে ইসলাম সমর্থন করে না।
১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
প্রিয় কাভা ভাই,
আমি আশা করি, আপনি এটা বলবেন না যে- জাতীয় সঙ্গীত বাজলে উঠে দাঁড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। আপনি নিশ্চয় এটাও বলবেন না যে- সম্মানিত ও প্রিয় কোন ব্যক্তি আপনার সামনে উপস্থিত হলে সেই সময়ে আপনি বসা থেকে উঠে দাড়ালে সেটা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যাবে।
আপনি নিশ্চয় কখনওই বলবেন না যে, অফিস বা ব্যক্তিগত ভাবে আপনি কোন মানুষের কাছে বিপদের সময় সাহায্য চাননি- সেটা এড দিয়ে হোক কি মৌখিক বা লিখিত।
প্রতিটি মতেরই (অপর ভাষায় তরিকা) একটি নির্দিষ্ট উপায় রয়েছে সম্মানিত এবং ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের কাছে নিজের চাওয়া তুলে ধরার। ইসলাম ভিন্ন মতকে কখনোই উপেক্ষা করে না।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
তরিকাকে পথ বলা যেতে পারে।
৮| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০১
মৃন্ময়ী শবনম বলেছেন: মোঘল সাম্রাজ্যের বাদশাহ বাবর থেকে শুরু করে বাদশাহ হুমায়ূন, বাদশাহ আকবর (আকবর দ্য গ্রেট) যে কোনো যুদ্ধের পূর্বে আজমীর খাঁজা মইনুদ্দিন চিশতী রাঃ দরগাহ থেকে আল্লাহর নামে অনুমতি প্রার্থনা করতেন। এটি বহুল স্বীকৃত ইতিহাস এটি কোনো হাদিস নয়। (আমি এখন আমার আব্বার অফিসে আছি, আব্বার কাছে জেনে ডাবল চেক করে লিখছি)
আপনার কাছে অনুরোধ আপনি মৃত মানুষের কাছে চাওয়ার বিষয়টি শক্ত দলিল বিশ্বস্ত হাদিস জানা থাকলে উপস্থাপন করবেন। আর সম্মানের বিষয়টি ভিন্ন। আমরা সকলে গ্রামের বাড়িতে গেলে দাদাজান বড় আব্বা বড় আম্মার কবরের পাশে দাড়িয়ে তাঁদের জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেনো তাঁদের বেহেস্ত নসীব দান করেন। আমরা তাঁদের কাছে কিছুই চাই না।
১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনার শ্রদ্ধেয় আব্বাকে কাশফ এবং মুরাকাবা কি তা জিজ্ঞাসা করবেন কি, প্লিজ? সেই হালতে চাওয়া যায় কি না সেটাও একটু জেনে নিবেন কি একটু?
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৯| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: শ্রদ্ধেয় মডারেটরের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলছিঃ
===================================
ইসলামে কোন মৃত ব্যক্তির উসিলা করে চাওয়ার অনুমতি নেই। যে বলে এইসব তার ইসলাম সর্ম্পকে কোন জ্ঞানই নেই। সাহাবীরা যা করে গেছেন তার যেকোন ব্যতয় ইসলামের হুকুম আহকামের বিরোধী। এটা স্বয়ং মহানবী ঘোষনা করে গেছেন। উসিলা কে হতে পারে সেটা নিয়ে আমি উনার আগের পোস্টেই লিখেছিঃ
কারো মৃত্যুর পর তাঁর দো‘আর দ্বারা অসীলা করা সম্ভব নয়, তখন তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সত্তার দ্বারা অসীলা করাও সম্ভব নয় এবং তা জায়েযও নয়। যদি তা জায়েয থাকত তাহলে সাহাবীগণ উমার (রাদি)-এর যুগে ইসতিস্কার সলাতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চাচা আব্বাস (রাদি)-এর মাধ্যমে বৃষ্টির জন্য দো‘আ করতেন না। বরং রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অসীলায় পানি প্রার্থনা করতেন। কারণ তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ। তাঁরা (সাহাবীগণ) উমার (রাদি)-র যুগে আব্বাস (রাদি)-এর দো‘আকে মাধ্যম হিসাবে ধরে তার দ্বারা বৃষ্টি প্রার্থনা করেছেন। এ কারণে যে, তাঁরা জানতেন কোন অসীলাটি বৈধ আর কোনটি বৈধ নয়। অর্থাৎ জীবিত ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে মৃত ব্যক্তির দো‘আ বা তার সত্তার অসীলা ধরা বৈধ নয়। সে যে কেউ হোক না কেন। (সূত্রঃ “আল-কা‘য়েদাতুল জালীলাহ)
ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) এ ধরনের উসীলাকে অস্বীকার করে বলেছেনঃ ‘আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো মাধ্যমে চাওয়াকে আমি ঘৃণা করি।’ এমনটিই এসেছে “দুররুল মুখতার” সহ হানাফী মাযহাবের অন্যান্য গ্রন্থে।
আমি যা বলি সেটা তথ্য সূত্র উল্লেখ করে বলি। আন্দাজে মনগড়া কিছু বলি না।
আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন,
‘‘আল্লাহ ছাড়া এমন কোন সত্তাকে ডেকোনা, যা তোমার কোন উপকার করতে পারবে না এবং ক্ষতিও করতে পারবে না। যদি তুমি এমন কারো তাহলে নিশ্চয়ই তুমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহ যদি তোমাকে কোন বিপদে ফেলেন, তাহলে একমাত্র তিনি ব্যতীত আর কেউ তা থেকে তোমাকে উদ্ধার করতে পারবে না।’’ (ইউনুসঃ ১০৬, ১০৭)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে বলেছেনঃ
‘‘জেনে রাখ! দুনিয়ার সকল মানুষ মিলেও যদি তোমার উপকার করতে চায়, তথাপিও তারা শুধু তোমার ততটুকু উপকারই করতে পারবে, যা আল্লাহ তোমার জন্য লিখে দিয়েছেন। আর যদি তারা মিলিত হয়ে তোমার ক্ষতি করতে চায়, তথাপি তারা শুধু সেই পরিমাণ ক্ষতিই করতে পারবে, যা আল্লাহ তাআলা তোমার উপর লিখে দিয়েছেন’’।
(মুসনাদে আহমাদ। ইমাম আলবানী সহীহ বলেছেন। দেখুনঃ শাইখের তাহকীকসহ মিশকাত, হাদীছ নং- ৫৩০২)
স্বয়ং আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে কিছু চাওয়া সরাসর হারাম। যেটা এটা বিশ্বাস করবে তার ঈমান পূর্ণাঙ্গ নয়।
ব্লগে আজকাল আসতেই ইচ্ছে করে না এইসব ফালতু আজগুবি পোস্টের জন্য।
যে যার মতো ইচ্ছে করলো আর ইসলামে হুকুম আহকাম নিয়ে লিখে দিল, শ্বশুর বাড়ি আবদার যেন?
স্বল্প জ্ঞান নিয়ে ইসলাম সর্ম্পকে কিছু লেখা উচিত না।
লেখক'কে বলছিঃ
আমার জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে খোঁজ নেয়া উচিত ছিল আমি কে? আমি কোনকিছু না জেনে আপনার মতো এইসব ফালতু আজগুবী পোস্ট/মন্তব্য দেই না। ইসলাম নিয়ে পড়ুন।
আল্লাহ পবিত্র কুরআন শরীফে প্রথমেই বলেছেন ইকরা, যার মানে হলো পড়। পড়ুন, জানুন, তারপর লিখুন। না পড়ে, না জেনে এইসব লিখবেন না।
১০| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫৩
মৃন্ময়ী শবনম বলেছেন: মোরাকাবা অর্থ ধ্যান, গভীর চিন্তা। সুফি বা সাধু সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত বিশেষ এক তন্ময়তা বা সম্মোহিত অবস্থা। জগতের সকল ধর্মের নিগুঢ় ব্যবস্থাপত্র হচ্ছে মোরাকাবা।
হযরত নবী করিম (স.) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে এমন কেহ-ই নেই, যার সাথে অচিরেই তার প্রভু কথাবার্তা বলবেন না। সে সময় প্রভু এবং তার মাঝে কোন দোভাষী কিংবা কোন প্রতিবন্ধক থাকবে না” (বুখারি: ৬৯৩৫)
পবিত্র কোরআনের বহু স্থানে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নিদের্শনা আছে। এরশাদ হয়েছে, “ওহে যারা ঈমান এনেছ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেক্বিনদের বা সত্যবাদীদের সঙ্গী হয়ে যাও” (সূরা তাওবাহ: ১১৯)।
আপনাকেও শুভেচ্ছা নিরন্তর।।
১৬ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
অচিরেই আল্লাহ কথা বলবেন। তার আগ পর্যন্ত কি কোন দোভাষী দরকার?
জানাবেন।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
১১| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:২০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় শ্যাইয়ান ভাই,
আমরা যদি ইসলামি শরিয়তের কথা বলি, ইসলামি রুলস এন্ড রেগুলেশনের কথা বলি, তাহলে স্পষ্টভাবে বলতে হবে, কারো সম্মানার্থে দাঁড়ানোর কোন বিধান নেই। দাঁড়িয়ে সম্মান জানানোর শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য প্রযোজ্য। এই বিষয়ে সুরা বাকারাহ তে বলা হয়েছেঃ “আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও”। [সূরা বাকারাহ ২:২৩৮]
আর যেহেতু আমাদের সমাজের একটা বড় অংশ অন্য ধর্মকে কনভার্ট হয়ে আসছে, ফলে এখানে এমন অনেক রীতি আছে যা ইসলাম দ্বারা সমর্থিত নয় কিন্তু যুগযুগ ধরে চলে আসছে। যেমন কাউকে দেখে সম্মান সুচকভাবে দাঁড়ানো, পায়ে ধরে সালাম করা। এটা ইসলামিক রীতি অনুসারে গ্রহনযোগ্য নয়। আমরা এই রীতিগুলো নিজেরা বানিয়েছি অন্য কালচার ও ধর্মকে অনুসরন করে। মানতে আমাদের কষ্ট হলেও, এটাই সত্য, এটাই ফ্যক্ট।
আপনি অবশ্যই আমার চেয়ে ভালো জানেন। আমি সেই কারনে বাড়তি কোন কথা বলে হাস্যরস সৃষ্টি করতে চাই না। তবে একটা হাদীস আপনার সাথে শেয়ার করতে চাই। যদিও অনেক সময় আমি অনেক হাদীসের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি, তথাপি এই হাদীসটিকে সহীস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ( আমি হাদীসের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে মাঝে মাঝে প্রশ্ন তুলি। এর অর্থ এই নয় যে আমি রাসুল (সাঃ) যা বলেছেন তা মানি না বা তা অস্বীকার করি। আমি বিশ্বাস করি, রাসুল সাঃ যা বলেছেন তা আল্লাহর নির্দেশেই বলেছেন। আমি শুধু সন্দেহ করি, যারা রাসুলের বানীকে সংরক্ষন করেছেন তারা সঠিক লিপিবদ্ধ করেছেন কি না)
হাদীসে বলা আছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবায়ে কিরামগণ সরাসরি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্ব শরীরে কোন মজলিসে আগমন হলেও দাঁড়াতেন না। যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘সাহাবায়ে কিরামের নিকট রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অপেক্ষা কোন ব্যক্তিই অধিক প্রিয় ছিলো না। অথচ তাঁরা যখন তাঁকে দেখিতেন তখন দাঁড়াতেন না। কেননা, তাঁরা জানতেন যে, তিনি ইহা পছন্দ করেন না‘। (তিরমিযি, এই হাদীসটি হাসান ও সহীহ)
যাইহোক, আমি এই নিয়ে তর্ক করে কারো মনোবেদনার কারন হতে চাই না। সুফিবাদ আছে, আবার অনেক তরিকাও আছে। যে যার মত যা ইচ্ছে পালন করুন। আল্লাহ সব বিচার করার মালিক।
তবে আমি এনটিভিতে আপনার জিজ্ঞাসার ১৯২১তম পর্বে একটি প্রশ্ন শুনেছিলাম, সেটা নেটে খুঁজতে গিয়ে পেলাম। সেখানে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো যে, ইসলাম ধর্মে আমাদের রাসূলের (সা.) মতে তরিকা কয়টি ও কী কী? একজন মুসলমানকে কি শরিয়ত ছাড়াও অন্য তরিকার কাজ—সাধন-ভজন করতে হবে?
উত্তর দিয়েছেন ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। তিনি বলেছেন,
ইসলাম ধর্ম যেমন একটি, তেমনি তরিকাও একটি, দ্বীনও একটি, রাসূলও একজন, কিতাবও একটি, নবীও একজন—সবই এক। এখানে দ্বিতীয় কোনো তরিকা নেই, একটাই তরিক, সেটা হচ্ছে মুহাম্মদ (সা.)-এর দেখানো তরিকা, সেটা হচ্ছে সুন্নাতে মুহাম্মাদিন (সা.) বা মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নাহ। এর বাইরে কোনো সাধনা নেই, ভজন নেই। এর বাইরে যাঁরা চিন্তা করেছেন, তাঁরা নতুন কিছু তৈরি করেছেন, এটি বিভ্রান্তি, এটি পথভ্রষ্টতা।
ভালো থাকবেন ভাইয়া। শুভেচ্ছা রইল।
১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনি অনেকগুলো বিষয় একসাথে নিয়ে এসেছেন। আমি এক এক করে আপনার উত্তর দিবো।
১) দাঁড়িয়ে সম্মান জানানো প্রসঙ্গেঃ
যারা দাঁড়িয়ে সম্মান জানানোর প্রত্যাশা করে এবং যারা অহংকারী, তাদেরকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানানো নিষিদ্ধ। কিন্তু, রাসূলুল্লাহ (সা) এছাড়া অন্যদের সম্মান জানাতে বলেছেন। এই সম্পর্কে, হাদিসগুলো নিম্নরূপ-
==< হজরত কাব ইবনে মালেক (রা.)-এর দীর্ঘ একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমি মসজিদে প্রবেশ করলে তালহা (রা.) আমার দিকে আনন্দিত হয়ে বসা থেকে উঠে দৌড়ে এগিয়ে এলেন এবং অভিনন্দন জানালেন। (সহিহ বুখারি : হাদিস-৪৪১৮)
==< কোনো ব্যক্তির বিপদে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে এগিয়ে যাওয়াও মুস্তাহাব। (ফাতহুল মুলহিম : ৩/১২৭) সাত.
==<আগত কোনো ব্যক্তিকে সম্মান ও একরাম করে দাঁড়ানো যে ব্যক্তি নিজে তার প্রত্যাশী ও আগ্রহী নয়, এর বিধান বর্ণনায় বিজ্ঞ আলেমগণের মতবিরোধ থাকলেও অগ্রগণ্য মতানুসারে তা জায়েজ। (ইলাউস সুনান : ১৭/৪২৯)
==<হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, বনু কুরাইজার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় রাসুলুল্লাহ (সা.) হজরত সাদ ইবনে মুয়াজ (রা.)-কে ডেকে পাঠালে সাদ (রা.) একটি গাধায় চড়ে আসেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে বললেন, তোমরা তোমাদের নেতা সাদের দিকে দাঁড়িয়ে এগিয়ে যাও। (সহিহ মুসলিম : হাদিস-১৭৬৮)
==<ফাতেমা (রা.) যখনই রাসুল (সা.)-এর কাছে আসতেন, রাসুল (সা.) তাঁর দিকে দাঁড়িয়ে অগ্রসর হতেন, চুমু খেতেন, রাসুল (সা.)-এর নিজের জায়গায় তাঁকে বসাতেন। (সুনানে তিরমিজি : হাদিস-৩৮৭২)
আশা করি আমি আপনার ভুল ভাঙাতে পেরেছি।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
একই সঙ্গে নিচের হাদিসগুলোও যুক্ত, যদি হাদিস নাম্বার চাইলে দিতে পারবো না-
==<হযরত ইকরামা রা. সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত আছে যে, মক্কা বিজয়ের পর তিনি এতো দিশেহারা হয়ে পড়লেন যে, দেশ ছেড়ে পালানোর উদ্দেশ্য নিয়ে সমুদ্রের তীরে উপনীত হন এবং একটি নৌকায় চড়ে বসেন। সহসা নৌকাটি দুর্যোগের কবলে পড়লে যাত্রীদের একজন দেবতাদের সাহায্য কামনা করতে বলে। কিন্তু অন্যান্য যাত্রীরা বললো : "এমন কঠিন বিপদে দেবতাদের দ্বারা কাজ
হবেনা। তোমরা সবাই শুধু আল্লাহকে ডাকো।" এ কথাটা ইকরামার অন্তরে গভীরভাবে বদ্ধমূল হলো, তিনি ভাবলেন, তাহলে তো মুহাম্মদ সা.-এর ধর্মই সত্য। তিনি অন্য একটি নৌকায় চড়ে ফিরে গিয়ে রসূল সা.-এর দরবারে হাজির হলেন, এ সময়ে রসূল সা. তাঁকে স্বাগত জানাতে উঠে দাঁড়ান।
হযরত আদি বিন হাতেমকেও স্বাগত জানাতেও অনুরূপভাবে রসূল সা.-এর উঠে দাঁড়ানোর উল্লেখ হাদিসে রয়েছে।
==< বায়হাকীতে হযরত আবু হুরায়রার বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে, রসূল সা. মসজিদে থেকে ফিরে এলে সাহাবিগণ তাঁর সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে যেতেন।
==< অনুরূপভাবে হযরত কা'ব ইবনে মালেক ও তাঁর দুই সাথি আলস্যবশত যুদ্ধে যাননি। তাঁদের তওবা কবুল হওয়ার পর
হযরত কা'ব রসূল সা.-এর সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে উপস্থিত জনৈক সাহাবি তাকে স্বাগত জানাতে ও খোশ আমদেদ বলতে উঠে দাঁড়ান। হযরত কা'বের কাছে এই সাহাবির দাঁড়ানোর এতো বড় মহানুভবতা মনে হয়েছিল যে, তিনি তা কোনো দিন ভুলতে পারেননি এবং তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ ছিলেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে হচ্ছে, জীবিত মানুষ থেকে মৃত মানুষের ক্ষমতা বেশী?