নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
সকাল ৮টা। সিলেটের বালুরচরের কালীবাড়ি মন্দিরে দাঁড়িয়ে আছি। ডিরেক্টর মহাশয়ের নির্দেশে আমাকে ঘন্টা বাজাতে হবে। মন্দিরের সেবায়েত মূল ফটক খুলে পূজার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এই সময় আমি ঘণ্টা বাজাবার অনুমতি চাইলাম। তিনি একবার আমার দিকে তাকিয়ে অনুমতি দিয়ে দিলেন।
আগে একবারই ঘন্টা বাজিয়েছিলাম। তাও ইংল্যান্ডে। কখনও মন্দিরে ঘন্টা বাজাবো তা ভাবিনি। ধর্ম ভীরু আমি আমাদের ডকুমেন্টারী'র ডিরেক্টরের নির্দেশে ঘন্টা বাজাতে লাগলাম। 'ঢং' 'ঢং' করে ঘন্টা বাজছে। পাহাড়ের উপরের স্তব্ধতা ভেঙ্গে খান খান করে দিচ্ছে আমার সেই ঘন্টা বাজানো। দূর থেকে সেই ঘন্টার শব্দ ধারণ করছেন ডিরেক্টর মহাশয়।
ঘন্টা বাজানো শেষে সেবায়েত মহোদয়ের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম তিনি আমাদের যদি একটি সাক্ষাৎকার দেন আমরা খুবই উপকৃত হবো। পূজা শেষে তিনি আমাকে দাঁড়াতে বলে ঘরের ভিতর চলে গেলেন। অন্য দিকে আমি ডিরেক্টরকে এসে বললাম যে, সেবায়েত সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হয়েছেন।
১০-১৫ মিনিট পরে সেবায়েত মহাশয় বেরিয়ে এলেন। পরনে সেবায়েতের বিশেষ পোশাক। আমরা মন্দিরের সামনেই তাঁকে একটি গাছের গুঁড়ির উপরে বসিয়ে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলাম। জেনে অবাক হলাম যে, তিনি শাহ জালাল (রহ)-এর মাযারে নিয়মিত যান। সেখানে গিয়ে ভক্তি করেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে হযরত শাহ জালাল (রহ) সিলেটে অত্যাচারী রাজা গৌড় গবিন্দকে সরিয়ে দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করছিলেন। সেবায়েত মহোদয়ের পূর্ব-পুরুষরাও মাযারে ভক্তি জানাতে যেতেন। তাঁর ছেলে-মেয়েরাও যান।
সিলেটে হিন্দুদের সংখ্যা অনেক বেশি। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি উদাহরণযোগ্য। একজন ধর্মীয় মহাপুরুষ সেই সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার মূলে রয়েছেন জেনে যে কেউই খুশি হয়ে উঠবেন।
১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:০১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ইয়েমেনের শাসকের ছেলেকে হযরত শাহ জালাল (রহ) সাথে করে নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর মাযার শাহ জালাল (রহ)-এর মাযারের পাশেই।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
২| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:১৮
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: সাম্প্রতিক সিলেট ভ্রমণে আমি উঠেছিলাম মাজার গেটের এক হোটেলে। মাজারের স্পিরিচুয়াল অরা অনুভব করা মুশকিল নয়, একটু অন্তর্মুখী স্বভাবের হলেই। মাজার সংলগ্ন ১৭৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত মসজিদে নামাজ পড়েছি। হজরতের কবরের পাশে বসে কিছুক্ষণ তাসবিহ পড়ার সুযোগও হয়েছে।
পুরো প্রসেসে সমস্যা এটাই যে - শাহজালাজ (রঃ) এর আধ্যাত্মিক শিক্ষা কি ছিল - এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারে না । মাজারেও না। সিলেটের কেউও না। ঢাকাতে তো না ই। অথচ, ওটা জানা দরকার ছিল। মাজার ঘিরে প্রচলিত আছে অসংখ্য বুজরকি কাণ্ড কারখানা। কিন্তু কেউ তার আত্মিক নূরের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সচেষ্ট নন।
হয়তো আমার খোঁজায়ও ত্রুটি ছিল। দুদিনের ট্যুরে কতোটুকুই বা সম্ভব।
১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনি মাযারে যে ধরণের পরিবেশ দেখেছেন, সেটাই তাঁর শিক্ষা।
ধন্যবাদ।
৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৪০
শায়মা বলেছেন: বাহ সেবায়েতের কথাগুলি জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:২৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
সিলেটে শাহ জালাল (রহ)-এর মাযার নিয়ে আমরা যে ডকুমেন্টারি বানাচ্ছি তাতে আরো তথ্য থাকবে, আপুনি।
আশা করি ভালো আছো।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৪০
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: শুধু ধন্যবাদ? ধন্যবাদ নিরন্তর না?
১৩ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনার কোনটা বেশি পছন্দ?
৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: শাহ জালাল সাহেবের মাঝারে গিয়ে আমি একবার বিপদে পড়েছিলাম।
আসলে পীর ফকির আর মাজারে আমার কোনো বিশ্বাস নেই। তাই সিলেট গিয়ে মাঝারে জুতো খুলি নি। আর সামনের দিকে মুখ দিয়ে মাঝার থেকে বের হই নি।
ঢাকা ফিরে এলাম। ফিরে আসার পর আমার গায়ের রঙ কালো হয়ে গেলো। ডাক্তার দেখালাম, ডাক্তার কিছু বলতে পারলো না।
শেষে আমি চিন্তা করে বের করলাম, মাঝারে বেয়াদবি করার কারনে গায়ের রঙ কালো হয়ে গেছে। এটা আমার শাস্তি। শেষে মুরুব্বীদের কথা মতো আবার সিলেট গেলাম। এবং শাহ জালাল সাহবের কাছে ক্ষমা চাইলাম। এরপর আমার গায়ের রঙ আবার ফিরে এলো।
খুবই গরম মাঝার। কাজেই সাবধান থাকাই ভালো।
১৩ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
এমনটা তো আগে শুনিনি!!!
আপনি নিশ্চয় ওযু ছাড়া হাফপ্যান্ট পড়ে গিয়েছিলেন।
৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
বর্তমান ইয়েমেন দেখছেন, কি অবস্হা?
যুগে যুগে, ইয়েমেনীরা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে অভাবের কারণে, ওরা ছিলো আরবী কাবুলীওয়ালা; তবে, ওদের বড় অংশ বিদেশ থেকে ফিরতো না।
১৩ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
বর্ত্মান ইয়েমেন আর আগের ইয়েমেনের অবস্থা এক ছিলো কি না জানি না।
তবে, তখনকার ইয়েমেনী বাদশাহ ভালো লোক ছিলেন না বলে মনে হয়।
ধন্যবাদ।
৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
উপরের ছবিতে আপনি আছেন?
১৩ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
জী আছি। আমি এই ডকুমেন্টারীর আইডিয়া জেনারেশন এবং রিসার্চের দায়িত্বে আছি।
ধন্যবাদ।
৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯
শায়মা বলেছেন: গুড!
ডকুমেন্টারী আমাদেরকে জানিও।
১৩ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
অবশ্যই জানাবো।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
মাথায় ক্যাপ?
১৩ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
জী।
১০| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
পান্জাবীতে তালি?
১৩ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
তালি এখনও পড়েনি যে!
১১| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
*** *** ***
আমি মাজার বিরোধী নই আমি মন্দির বিরোধীও নই। তবে ব্লগে অতি সচেতন অত্যাধুনিক ব্লগার আছেন যারা মাজার বিরোধী ! তারা এখন কোথায়? তারা তো আপনাকে দোযোখে নিয়ে যাবার কথা।
১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:১২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ইসলাম শান্তির বাণী শোনায়। এটাই আমি প্রমাণ করার চেষ্টা করেছি। সেটা মাযারের মাধ্যমে হোক কি অন্য রুপে!
অযথা গোল পাকিয়ে কি লাভ, ভাইয়া!!!!
ভালো থাকুন নিরন্তর।
১২| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:১৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ওহাবিরা মাজার বিরোধী।তারা মক্কা মদিনার সকল মাজার ধংস করে ফেলে।এবং সেই সময় নবীর মাজার ধংস করে দিতে উদ্ধত হয়।কিন্তু সিআইএর পরামর্শে নিবৃত্ত হয়।তারা বলে সারা মুসলিম জাহান থেকে তোমরা বিচ্ছিন হয়ে যাবে।
১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ইসলাম কখনও অশান্তির বাণী ছড়ায়নি। এটা শাহ জালাল (রহ) প্রমাণ করেছেন।
অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে ইসলাম সব সময় রুখে দাঁড়াতে বলেছে। শাহ জালাল বাবাও তা-ই করেছেন।
ধন্যবাদ।
১৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:২৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভাইগো,
আমার কাছে হিন্দু বৌদ্ধ মুসলিম শিখ কারো সাথে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। সবাই আল্লাহর বান্দা। আমি সিলেটে গেলে হালুয়া খাওয়ার জন্য হলেও দরগাহ গেটে একবার যাই। আমার কোনো সমস্যা নেই। আমার সিলেটি আত্মীয় আত্মীয় পরিজন ঢাকা আসতে আমার জন্য এক কিলো হালুয়া নিয়ে আাসেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন দরগাহ নিয়ে আমার মনে কোনো ঝামেলা নেই।
১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ইয়াল্লাহ! আমি আপনাকে গোল পাকাবেন বলিনি তো!!!
আমি বলেছি যে, যারা গোল পাকায় তাঁদের আমন্ত্রন জানিয়ে লাভ কি!!!
ধন্যবাদ নিরন্তর।
১৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:২৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমি চিটাং মোছেন আউলিয়ার ভক্ত। আষাঢ় মাসে ওরস খাই
১৫ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:১৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ নিরন্তর।
১৫| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:২৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইসলাম যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আসছে বা ইসলাম শান্তির ধর্ম এই কথাটা কোরান বা হাদিস থেকে দেখান।এই কথাটা মুসলমানদের একটা প্রচার।
১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনি সূরা ফাতিহা ভালো করে পড়ুন।
ধন্যবাদ।
১৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:০১
নীল আকাশ বলেছেন: কোন মৃত ব্যক্তির কবরে যেয়ে তার জন্য দোয়া করার অনুমতি আছে।
কিছু এইসব মাজার ফাজারের কোন নিয়ম ইসলামে নেই। সর্ম্পূণ হারাম।
যেখানে খোদ সাহাবীদের কবর কার কোনটা চেনার কোন চিহ্ন রাখা হয় নি, সেখানে কবর পাকা করে এইসব মাজার বানানোর নিয়ম ইসলামে কবে থেকে আসলো? নাউজুবিল্লাহ!
একজন মানুষ মারা যাবার পর তার অবস্থা অসহায়ের চেয়ে খারাপ থাকে।
অথচ পথভ্রষ্ট মানুষজন এইসব মাজারে যেয়ে মৃতব্যক্তি কাছে সাহায্য কামনা করে যেটা সরাসরি ঈমানের পরিপন্থি।
এই নিয়তে কেউ যদি মাজারে যায় তাহলে সে সরাসরি শিরকের কাজ করলো।
১৪ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৪৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনি হয়তো এ সম্পর্কে গভীর কোন জ্ঞান রাখেন না।
মৃতের কাছে এমনকি চাওয়া যেতে পারে।
আর, না জেনে শিরক শিরক করলে, আপনি নিজেই গুনাহের মধ্যে পড়ে যাবেন।
তাই, সাবধান!
১৭| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এমনটা তো আগে শুনিনি!!!
আপনি নিশ্চয় ওযু ছাড়া হাফপ্যান্ট পড়ে গিয়েছিলেন।
না হাফ প্যান্ট পড়ি নাই। তবু ওজু করি নি।
১৭ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
জেনে সুখী হলাম। ধন্যবাদ নিরন্তর।
১৮| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০৯
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ নিরন্তর তো আপনি সবাইকেই কমবেশি উত্তর করেন। ভাবলাম আমার মন্তব্যে কোন কারনে বিরক্ত হয়ে, একটা কনফিউজিং প্রতিউত্তর, ধন্যবাদ দিয়ে পার করে দিলেন কিনা। : )
মাজারে শিন্নি পাকানো, গজার মাছের চাষ, ছাগল পালন, মোমবাতি, আগরবাতির ব্যবসা - এগুলো শাহজালাল (রঃ) এর আধ্যাত্মিক শিক্ষা , এমনটা মনে হয় না আপনি নিজেও মনে করেন।
ঢাকা থেকে শুভসকাল। সুন্দর হোক আপনার দিন।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৫১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
দেখুন, কাউকে ধন্যবাদ দিতে হলে বিভিন্ন ভাবে দেওয়া যায়। যাদের হাত ধরে মুসলমান হয়েছি, তাঁদেরকেও বিভিন্ন ভাবে ধন্যবাদ দেওয়া যায়।
ধন্যবাদ।
১৯| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৩৫
নীল আকাশ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি হয়তো এ সম্পর্কে গভীর কোন জ্ঞান রাখেন না। মৃতের কাছে এমনকি চাওয়া যেতে পারে।
আমি কোন বিষয়ে জ্ঞান রাখি সেটা আপনার জানার কথা নয়। আন্দাজে কারো সর্ম্পকে কিছু দাবী করবেন না।
আপনি সরাসরি কুরআনের আয়াতের বিপরীত কথা বলছেন। ২৯ পারার সুরাতুল হা-ক্কাহ্ এর ২৯ আয়াতে আছেঃ
مَا أَغْنَىٰ عَنِّي مَالِيَهْ ۜ (28) هَلَكَ عَنِّي سُلْطَانِيَهْ (29)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: “আমার সম্পদ আমার কোন কাজে আসল না। আমার সকল ক্ষমতা ধ্বংস হয়েই গেলো।“ (পারা-২৯, সূরা- হা-ক্কাহ্, আয়াত- ২৮-২৯) (ইয়াহ্ইয়াউল উলূম, ৫ম খন্ড, ২৩১ পৃষ্ঠা)
পবিত্র কুরআনে সুস্পষ্টভাবে মৃতব্যক্তি নিয়ে এভাবে ঘোষনা থাকার পরেও আপ্নি কিভাবে দাবী করছেন যে মৃত ব্যক্তির চাওয়া যায়? আপনি তো সরাসরি কুরআনের আয়াতের বিরোধিতা করছেন, নাউজুবিল্লাহ।
কারো মৃত্যুর পর তাঁর দো‘আর দ্বারা অসীলা করা সম্ভব নয়, তখন তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সত্তার দ্বারা অসীলা করাও সম্ভব নয় এবং তা জায়েযও নয়। যদি তা জায়েয থাকত তাহলে সাহাবীগণ উমার (রাদি)-এর যুগে ইসতিস্কার সলাতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চাচা আব্বাস (রাদি)-এর মাধ্যমে বৃষ্টির জন্য দো‘আ করতেন না। বরং রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অসীলায় পানি প্রার্থনা করতেন। কারণ তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ। তাঁরা (সাহাবীগণ) উমার (রাদি)-র যুগে আব্বাস (রাদি)-এর দো‘আকে মাধ্যম হিসাবে ধরে তার দ্বারা বৃষ্টি প্রার্থনা করেছেন। এ কারণে যে, তাঁরা জানতেন কোন অসীলাটি বৈধ আর কোনটি বৈধ নয়। অর্থাৎ জীবিত ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে মৃত ব্যক্তির দো‘আ বা তার সত্তার অসীলা ধরা বৈধ নয়। সে যে কেউ হোক না কেন। (সূত্রঃ “আল-কা‘য়েদাতুল জালীলাহ&rdquo
আপনি কি সাহাবীদের চেয়েও বেশি জ্ঞান রাখেন দাবী করছেন?
ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) এ ধরনের অসীলাকে অস্বীকার করে বলেছেনঃ ‘আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো মাধ্যমে চাওয়াকে আমি ঘৃণা করি।’ এমনটিই এসেছে “দুররুল মুখতার” সহ হানাফী মাযহাবের অন্যান্য গ্রন্থে।
আপনার মন্তব্যের সূত্র উল্লেখ করবেন।
এই পোস্টে আমি আবার ফিরে আসবো। শিরক কি এবং কে করে সেটা পরিষ্কার হওয়া দরকার সবার জন্যই।
১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
রাগ করবেন না। রাগ করলে মস্তিষ্কে শয়তান জায়গা নেয়।
আমি যেহেতু বলেছি, মৃতের কাছে চাওয়া যায় এবং এটা সালাফদের কাছ থেকে উদাহরণ আছে, সেহেতু এটা সত্যি।
আমি মন্তব্যে সূত্র উল্লেখ করার প্রয়োজন মনে করি না, কারণ, আপনি সেই সূত্রের যথার্থতা যাচাই করতে পারবেন না। যদি পারতেন, এভাবে শিরক শিরক করতেন না।
ধন্যবাদ।
২০| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫৯
নীল আকাশ বলেছেন: আমি মন্তব্যে সূত্র উল্লেখ করার প্রয়োজন মনে করি না, কারণ, আপনি সেই সূত্রের যথার্থতা যাচাই করতে পারবেন না। যদি পারতেন, এভাবে শিরক শিরক করতেন না।
আপনি যখন সূত্র ছাড়া কথা লিখেন সেটা কোন মানেই হয় না, ডাহা মিথ্যা কথা নিশ্চিত।
বুঝাই যাচ্ছে আপনার কাছে এর কোন প্রমাণ নেই। থাকলে দিতেন, এখন না পেয়ে পাশ কাটাচ্ছেন।
কোন সালাফ সাহাবীদের বিপরীতে আচরণ করেছে আমি তার নাম জানতে চাই?
এতবড় ধৃষ্টতা কে ইসলামের নামে করেছে তার নামও আমি জানতে চাই।
ইসলামের নামি এইসব বানিজ্যিক ব্যবসা বন্ধ করা দরকার।
২১| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:০১
নতুন বলেছেন: একজন মৃত মানুষ কি করতে পারে অন্য মানুষের জন্য?
মানুষ যদি তার ভাবনা রেখে যায় তা অন্য মানুষের কাজে লাগে। জ্ঞান বেচে থাকে মানুষ মারা যাবার পরে।
তিনি কি দর্শন রেখে গেছেন?
মাজার পুরাই ব্যবসার স্থান। আপনি আজ থেকে মাজারে টাকা পয়সার সুবিধা বন্ধ করে দেন। ৩ মাস পরে ঐ মাজারে কেউ জাবেনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: হযরত শাহ্জালাল বাংলাদেশের সিলেটের আগমনের পূর্বে একটি স্বপ্ন দেখেন।
সেই স্বপ্নের বৃত্তান্ত পীর মুরশীদ ও মামা সৈয়দ আহ্মদ কবীর সোহ্রাওয়ার্দী এবং সংগীয় পীর বাহাউদ্দীন সোহ্রাওয়ার্দীর নিকট বর্ণনা করেন। স্বপ্নের বৃত্তান্ত শুনে অবিলম্বে হিন্দুস্তান যাত্রার আদেশ দেন। স্বপ্নের ইঙ্গিত মতে মুরশীদ একমুষ্ঠি মাটি তাঁর হাতে দিয়ে বলেন, এই মাটির বর্ণ,গন্ধ ও স্বাদ যেখানে পাইবে সেখানেই তুমি অবস্থান ঠিক করিবে।
তিনি আরও বললেন, এই মৃত্তিকা মুষ্ঠি যে স্থানে পরিত্যাগ করিবে সে স্থানের মহত্ত্বের আর তুলনা থাকিবে না। পীরের নির্দেশের পর হযরত শাহ্জালাল (রাঃ) বাংলাদেশে আসার আগে জন্মভূমি ইয়েমেন গমন করেন। সেখানে পূর্বপুরুষ ও মাতা-পিতার
মাযার যিয়ারত করেন এবং উলুহিয়াতের তত্ত্ব প্রচার করেন। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও গুণে আকৃষ্ট হয়ে দলে দলে লোক তাঁর দিকে ধাবিত হয়। এতে ইয়েমেনরাজ ঈর্ষান্বিত হয়ে হযরত শাহজালাল (রাঃ) কে বিষ মিশ্রিত শরবত দ্বারা কামালত পরীক্ষা করতে
চাইলেন। হযরত শাহ্জালাল (রাঃ) বিষ মিশ্রিত শরবত বিস্মিল্লাহ বলে পান করলে সে বিষের প্রতিক্রিয়ায় উল্টো ইয়েমেন রাজই মৃত্যুবরণ করে।
ইয়েমেনের পরবর্তী রাজা শাহ্জাদা আলী পিতার মৃত্যু এবং শায়খ জালাল (রাঃ) এঁর অলৌকিক ঘটনা দেখে তাঁর ভক্তে পরিণত হন এবং শাসকের তখ্তে (সিংহাসনে) না বসে শায়খ শাহ্জালাল (রাঃ) এঁর সাথী হতে চাইলেন কিন্তু হযরত শাহ্জালাল (রাঃ) তাকে রাজ্য পরিচালনার ভার দিয়ে ইয়েমেন হতে যাত্রা করেন।