নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরুভূমিতে ব্যাঙ আছে কি?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:২৭



মরুভূমিতে পানির বড় অভাব। তাহলে, হযরত ইবরাহীম (আঃ )-কে যখন আগুনে ফেলা হয়, তখন তাতে পানি ছিটানো ব্যাঙ পানি পেলো কোথা থেকে? এমনই ছিলো ব্লগার চাঁদগাজী ভাইয়ের প্রশ্ন। উনার প্রশ্ন শুনে আমি বেশ ভাবনায় পড়ে গেলাম। তাই তো!!! মরুভূমিতে পানি, তাতে আবার ব্যাঙ! সেই ব্যাঙ আবার পানি ছিটালো কেমন করে! তবে, গুগল মামাতে একটু খোঁজ করতেই পেয়ে গেলাম এই প্রশ্নগুলোর উত্তর।

আরবের মরুভূমিতে সাত ধরণের ব্যাঙ বাস করে। এগুলো হচ্ছে- ১) Dhofar toad (Bufo dhurefencis), ২) Yemeni toad (Bufo tihamicus), ৩) Arabian toad (Bufo arabicus), ৪) Arabian five-fingered frog (bufo euphlyctus), ৫) European Greek toad (Bufo viradid), ৬) Middle East tree frog (Hyla savignyi), এবং ৭) marsh (pelophylax ridibundus)।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এসব ব্যাঙ পানি পায় কোথা থেকে? ধু ধু মরুর তপ্ত সূর্যালোকে পাতলা চামড়ার ব্যাঙের বেঁচে থাকারই কথা না! তাহলে, ব্যাঙগুলো থাকে কোথায়?

আসলে, শুস্ক মৌসুমে ব্যাঙগুলো বালির নিচে কোন আধারে লুকিয়ে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না বৃষ্টির দেখা মেলে। এই সময়ে তারা নিজের চারপাশে একধরণের আবরণ তৈরি করে যাতে পানি শুষ্ক হয়ে মারা না যায়।

এ থেকে বুঝতে পারা যায়, মরুভুমিতেও মাঝে মাঝে বৃষ্টি হয়। আর, যে সময় হযরত ইবরাহীম (আঃ )-কে আগুনে ফেলা হয়, তখন হয়তো শুস্ক মৌসুম ছিলো না। এরফলে, সেই ব্যাঙটি পানি ছিটাতে পেরেছিলো।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪০

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: যে জিনিস আপনি গুগল করে বের করলেন, একই জিনিস চাঁদগাজীও বের করতে পারতেন, তাই না? সমস্যা আসলে, কূপমণ্ডূকদেরও তো জীবিকা নির্বাহ করতে হয়, শারীরিক ও মানসিক উভয় প্রয়োজনে। হয়তো তিনি অন্যদের সঙ্গে কুতর্ক করার জন্য সরাসরি ভাতা পান, নয়তো মানসিক প্রয়োজনে তিনি কুতর্ক করেন। :)

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

আমার তাঁকে কূপমণ্ডূক মনে হয় না। একটু খাপছাড়া ধরণের, এই যা।

উনার প্রশ্ন আমাকে একটু গবেষণা করতে বাধ্য করে। এটা খুব ভালো একটা দিক।

ধন্যবাদ।

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মাহিরাহি বলেছেন: waterfalls rivers fog Oman

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

হযরত ইবরাহীম (আঃ )-কে যে জায়গায় আগুনে দিয়েছিলো, সে জায়গাটা কি এটা?

ধন্যবাদ।

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: অন্যদেরকে যিনি অকারণে খোঁচান, বাজে বকেন, তিনি নিঃসন্দেহে কূপমণ্ডূক অথবা মানসিক রোগী, কিংবা খোঁচানোর উপরই তাঁর অর্থনৈতিক আয়ের একটি অংশ নির্ভর করে; এছাড়া আর কী অন্যথা হতে পারে?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আপনি নিজে পোস্টের মূল বিষয়বস্তুর বাইরে গিয়ে কথা বলছেন না?

ধন্যবাদ।

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশেও গরীবদের ভাংগা ঘরের কোণে "কুনো ব্যাং" লুকিয়ে থাকে; উহাকে ধরার চেষ্টা করলে , উহা ভয়ে হাতের মাঝে প্রস্রাব করে দেয়। আপনি কুনো ব্যাং খুঁজে পেলে উহার কাছে আগুন জ্বালায়ে দেখবেন, উহা ভয়ে প্রস্রাব করে দেবে; হযরত ইব্রাহিমকে পোড়ানোর ঘটনা 'তালমুদে' নেই; এগুলো বেদুইনদের গল্প।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

ব্যাঙ প্রশ্রাব করে দিয়েছিলো, এমন তো শুনিনি!!!

আর, ব্যাঙ যদি আগুনের তাপে প্রশ্রাব করে থাকে, তাহলে সেই জায়গায় আগুন এলো কোথা থেকে? আপনি কি বলতে চাচ্ছিলেন যে আগুনে ফেলে দেওয়ার ঘটনাটা সত্যি? না হলে ব্যাঙ প্রশ্রাব করলো কি করে?

আর, আগুনের ঘটনাটা সত্যি হলে, হযরত ইবারাহীম (আঃ )-এর ঘটনাটাও সত্যি।

এখন আপনাকে প্রশ্ন- হযরত ইবরাহীম (আঃ )-এর ঘটনাটা সত্যি হয়ে থাকলে, যে সোর্স থেকে এটা নেওয়া হয়েছে, সেটার বাকিটুকুও সত্যি। কারণ, ঐ সোর্স একটা ঘটনা সত্যি বলবে, আরেকটা মিথ্যা বলবে, তা কি করে হয়!

আরো প্রশ্ন, আপনি যেহেতু আগুনের ঘটনা সত্যি বলছেন, যেহেতু ব্যাঙ আগুনের তাপে প্রশ্রাব করেছিলো (এটা আপনার বক্তব্য), এটা কোন সোর্স থেকে বলছেন?

ধন্যবাদ।

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



এস এম মামুন অর রশীদ সাহেব উনার মন্তব্য নামের গার্বেজ ছেড়েছেন আপনার পোষ্টে, এরপর আসবে নীল আকাশ, রাশিয়া, এভো, ইত্যাদি, আপনার পোষ্টে গার্বেজ রাখার জন্য।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


সেটা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার। পোস্টের বিষয়ের বাইরে গিয়ে কথা না বললেই হলো।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধর্ম বিশ্বাসের বিষয়।
গুগল মুগলে না থাকলেও বিশ্বাসীদের কিছু আসবে যাবে না।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

আমি গুগল-মুগলের সব কিছু বিশ্বাস করি না, সোর্সের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করা ছাড়া।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



পোষ্টের সাথে আগের ছবিটার মিল ছিলো; গরীবদের ভাংগা ঘরের কোণে কুনো ব্যাং লুকিয়ে থাকে; এখন বস্তিতে গেলে কুনো ব্যাং পাওয়া যেতে পারে অনেক ঘরের কোণে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আমার ছোট খালু সিলেট ক্যাডেট কলেজের ডাক্তার ছিলেন। পাহাড়ী এলাকা ছিলো। উনার বাসাতে ব্যাঙ, বিচ্ছু, সাপ ঢুকে যেতো বলে বারান্দায় কার্বলিক এসিড রাখতেন।

আর, হযরত ইবরাহীম (আঃ )-এর অর্থনৈতিক অবস্থা কেম্ন ছিলো তা আমার জানা নেই। আপনার আছে কি?

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



বেদুইনরা যখন লেখাপড়া জানতো না, ইহুদীরা (এদের মাঝেও বেদুইন ছিলো ) লিখতে ও পড়তে পারতেন; এদের উভয় সংস্কৃতিতে, অনেক কিছুতে মিল ছিলো, ইহুদীদেরটা ছিলো লিখিত, বেদুইনদেরটা ছিলো মৌখিক।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

এতে কি কিছু প্রমাণ হয়? আরবদের মাঝে অনেক বেদুইন ছিলো। হযরত ইবরাহীম (আঃ ) কোন গোত্রের লোক ছিলেন? সেই গোত্র কি বেদুইন ছিলো?

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩১

মাহিরাহি বলেছেন: লেখক বলেছেন:

হযরত ইবরাহীম (আঃ )-কে যে জায়গায় আগুনে দিয়েছিলো, সে জায়গাটা কি এটা

না, তা নয়। এমনিতেই দেয়া।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

এইখানে দু'টি মত আছে।

একদল দক্ষিণ ইরাকের উরের একটি স্থানকে সেই জায়গা বলে উল্লেখ করেছেন। আরেকদল বলছেন যে তুরস্কের উরফা নামক স্থানে হযরত ইবারাহীম (আঃ )-কে আগুনে ফেলে দেওয়া হয়।

ধন্যবাদ।

১০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৪

মাহিরাহি বলেছেন: It was narrated from Abu Hurayrah (may Allah be pleased with him) that the Messenger of Allah (peace and blessings of Allah be upon him) said: “The Hour will not begin until the land of the Arabs once again becomes meadows and rivers.

উপরের হাদিস (নেট থেকে নেয়া)।অনুযায়ী এক সময় আরবে আবার তৃণভূমি ও নদী দেখা দেবে।

once again (আরেকবার) মানে আগে তৃণভূমি ও নদী ছিল।

হাদিসটি শকিং।

http://www.bbc.com/earth/story/20150223-arabia-was-once-a-lush-paradise

উপরের বিবিসির লিংকে গিয়ে দেখুন, এক সময় আরব বিশ্ব সবুজ শ্যামল ছিল।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:০৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ওয়াও!!!! সাঙ্ঘাতিক তো!!!!!!!!!

ধন্যবাদ।

১১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০২

মাহিরাহি বলেছেন: নাসার ছবি দেখুন, আরব আবার সবুজ হয়ে উঠছে।

https://www.nasa.gov/topics/earth/features/saudi-green.html



https://www.bbc.com/news/world-middle-east-26841410

০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:০৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
দেখলাম। সত্যিই দারুণ! ওয়াও!!!!!

শুভেচ্ছা।

১২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২১

রেজওয়ান ইসলাম বলেছেন: সত্য জানা এক রকম মজা,অন্যকে খোচানো আরেক করম মজা।কে কিসে মজা পাবে তা রুচির উপর নির্ভরশীল।

১৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


১২ নং কমেন্টে টাইপো আছে, উহা মুছে দেবেন প্লীজ:

যখনই বিশ্বে ভালো কিছু ঘটে, মাহিরাহি'রা উহাকে হাদিস বলে চালিয়ে দেয়; এটা হলো মোল্লাদের চালাকী। মোহাম্মদ(স: ) ততকালীন মক্কার লোকদের মাঝে জ্ঞানী মানুষ ছিলেন; তিনি ইহুদী ও খৃষ্টানদের সংস্কৃতি দেখে অনেক কিছু শিখেছিলেন, তিনি বুঝতেন যে, আরবী বেদুইনদের মাঝে ঐক্য আনতে পারলে, একটা বিরাট সমাজ গড়ে উঠবে। উনি বুদ্ধি করে, যদি লিখতে ও পড়তে শিখতেন, সেটা হতো আরো বড় ব্যাপার।

১৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সৌদি আরবে সাগর আছে, হ্রদ আছে বৃষ্টি হয় শীত কালে । আলবা প্রদেশে শীত এবং গরম এর মাঝামাঝি আবহাওয়া । শীতেকালে বৃষ্টি হয়ে মরুভূমির গর্তে পানি জমা হয়ে অনেকদিন থাকে। মধ্যপাচ্যের দেশ কয়েকটি দেখেছি।

১৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



@নেওয়াজ আলি,

ওখানকার লোকদের দেখলে মনে হয়, মানুষের গায়ে আগুন লাগায়ে দেয়?

১৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এত মাথা ঘামানোর কি আছে?

১৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: মরুভূমিতে ব্যাঙ থাকা বা না থাকার সাথে ধর্মের কোনো সম্পর্ক আছে কি ? ধর্ম হচ্ছে শতভাগ বিশ্বাসের বিষয় - কোনো কিছু দিয়ে প্রমানের চেষ্টা করার মানে হচ্ছে নিজের ধর্ম-বিশ্বাসে দুর্বলতা প্রমান করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.