নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
বাংলাদেশে বর্তমানে পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৪৪টি। এইসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বের হওয়া অনেক গ্র্যাজুয়েট দেশ-বিদেশের নামী-দামী প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন, সেই সাথে বিভিন্ন দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। অথচ, আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যে, বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং টেবিলের টপ ৫০০-তে নেই! এটি যেমন বিস্ময় জাগানিয়া, তেমনি লজ্জা ও অপমানের বিষয় বৈকি।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম একজন শিক্ষার্থীকে অনেক ভাবে সাহায্য করতে পারে। সেই সাথে দেশ ও জাতির সম্মানকে তুলে ধরতে পারে উর্ধে। নিজ কিংবা অন্যান্য দেশের চাকুরীদাতারা সব সময়ই চান সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে নিজের প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দিতে। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যা ঙ্কিং-এ জায়গা করে নেওয়া বিদ্যাপীঠগুলোর শিক্ষার্থীরা শুধু এভাবেই লাভবান হোন না, তারা বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সহপাঠীদের মাধ্যমে নতুন নতুন শিক্ষা যেমন আহরণ করতে পারেন, তেমনি সেইসব দেশে এলামনাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে উচ্চতর গবেষণা কিংবা চাকুরী ক্ষেত্রে সুযোগ পেয়ে থাকেন।
কোন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং-এ জায়গা করে নিতে পারাটা সেই দেশের জন্যে যেমন সুনাম বয়ে নিয়ে আসে, তেমনি হতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা আহোরণের উৎস। গ্রেট ব্রিটেনের অর্থনীতিতে বিদেশী শিক্ষার্থীদের অবদান বাংলাদেশী মুদ্রায় ৩০০০ বিলিয়ন টাকা। অন্যদিকে, ২০১৫-১৬ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের অবদান ২৭৫৫ বিলিয়ন বাংলাদেশী টাকা। এক্ষেত্রে, অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশী শিক্ষার্থীদের অবদান ২৬৮৮ বিলিয়ন টাকা, আর, কানাডাতে ১৫৯৬ বিলিয়ন টাকারও বেশি। এশিয়ার দেশগুলোও পিছিয়ে নেই। বিদেশী শিক্ষার্থীরা প্রত্যেক বছর মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে এনে দেয় প্রায় ১১৯ বিলিয়ন টাকা। দেশটি আশা করছে, ২০২০ সালের মধ্যে এই আয় ৩১৪.৬৮ বিলিয়ন টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে। বলাই বাহুল্য, বাংলাদেশ যদি এরকম একটি আন্তর্জাতিক শিক্ষা পরিবেশ তৈরী করতে পারে, তাহলে সুনামের সাথে সাথে বৈদেশিক মুদ্রার আয়ও বাড়বে। আর, সেজন্যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংমকিং টেবিলগুলোতে জায়গা করে নেওয়াটা বিশেষ প্রয়োজন।
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং-এ জায়গা করে নিতে হলে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আগে কিভাবে র্যা ঙ্কিং করা হয়, সে সম্পর্কে জানতে হবে। বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠানই এই কাজটি করে থাকে। এর মাঝে- ‘কিউ, এস, ওয়ার্ল্ড র্যােঙ্কিং অফ ইউনিভার্সিটি’, ‘একাডেমিক র্যাংকিং অফ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ’ এবং ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং’- এই তিনটি র্যাংকিং সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য এবং সম্মানের। তাই, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেষ্টা থাকে এগুলোতে যাতে জায়গা করে নিতে পারে।
‘কিউ, এস, ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং অফ ইউনিভার্সিটি’ ছয়টি ক্যাটাগরিতে কোন বিশ্ববিদ্যালয়কে পয়েন্ট দিয়ে থাকে। সেই ক্যাটাগরিগুলো হচ্ছে- (১) একাডেমিক খ্যাতি/সুনাম, (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জার্নাল আর্টিকেল সাইটেশন, (৩) শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, (৪) যে সব প্রতিষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাইদের চাকুরী হয়েছে সেখানে তাদের সুনাম, (৫)বিশ্ববিদ্যালয়ে কতজন বিদেশী শিক্ষক রয়েছেন তার সংখ্যা, এবং (৬)দেশী ও বিদেশী শিক্ষার্থীদের অনুপাত। এরমাঝে, একাডেমিক খ্যাতি বা সুনামের জন্য বরাদ্দ রয়েছে মোট পয়েন্টের ৪০%। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বাছাই করা ৭০,০০০ একাডেমিশিয়ানদের (শিক্ষক/গবেষক) মাঝে জরিপের মাধ্যমে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি কেমন তা যাচাই করে এই পয়েন্ট দেওয়া হয়। এরপরে, শিক্ষকদের জার্নাল আর্টিকেলগুলো কতবার দেখা হয়েছে এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্যে কতজন শিক্ষক রয়েছেন তার অনুপাতের জন্যে রাখা হয়েছে সমান ২০% পয়েন্ট। এছাড়া, বিশ্বের ৩৭,০০০ চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এলামনাইরা কেমন করছেন তার উপর রয়েছে ১০% পয়েন্ট। বাকি দুই ক্যাটাগরির জন্যে সমান ৫% করে পয়েন্ট বরাদ্দ।
‘একাডেমিক র্যাংকিং অফ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ (এ,আর,ডব্লু,ই)’ পূর্বে ‘সাংহাই যিয়াও টং ইনডেক্স’ নামে পরিচিত ছিলো। এই র্যাইঙ্কিং টেবিল মূলতঃ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কতটুকু গবেষণা সহায়ক পরিবেশ বিরাজ করছে, তার উপর গুরুত্বারোপ করে। এ,আর,ডব্লু,ই-এর ক্যাটাগরি ও পয়েন্ট বিন্যাস হচ্ছে- (১) নোবেল প্রাইজ এবং ফিল্ডস মেডেল জয়ী এলামনাই-এর সংখ্যা (১০%), (২)নোবেল প্রাইজ এবং ফিল্ডস মেডেল জয়ী শিক্ষক ও গবেষকের সংখ্যা (২০%), (৩) বাছাই করা ২১টি সাবজেক্ট ক্যাটাগরির জার্নাল সাইটেশনে যেসব শিক্ষক এগিয়ে আছেন তাঁদের সংখ্যা (২০%), (৪) পরিবেশ ও বিজ্ঞানের উপর জার্নাল আর্টিকেলের সংখ্যা, (৫) ‘বিজ্ঞান সাইটেশন ইনডেক্স’ এবং ‘সামাজিক বিজ্ঞান সাইটেশন ইন্ডেক্স’-এ প্রকাশিত আর্টিকেলের সংখ্যা (২০%), এবং (৬) শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ফলাফল। এ,আর,ডব্লু,ই প্রতি বছর ১২০০ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম র্যাংকিং টেবিলে প্রকাশ করে।
‘টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং’ বলে থাকে তারাই একমাত্র র্যাংকিং টেবিল যারা যারা শিক্ষাদান, গবেষণা, নলেজ ট্রান্সফার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক পরিবেশের সকল ক্ষেত্র যাচাই-বাছাই করে থাকে। এই র্যাং কিং টেবিল ১৩টি পৃথক কর্মক্ষমতা সূচক (performance indicator) ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে পয়েন্ট দিয়ে থাকে। যেসব ক্যাটাগরিতে যারা পয়েন্ট দেয়, সেগুলোর মধ্যে শিক্ষকতার জন্যে রয়েছে ৩০% পয়েন্ট। এই ক্যাটাগরিতে যেসব বিষয়গুলো যাচাই বাছাই করা হয়, সেগুলো হচ্ছে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, পি,এইচ,ডি-ব্যাচেলর ডিগ্রী শিক্ষার্থী অনুপাত, পি,এইড,ডি-ধারী শিক্ষকদের অনুপাত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়। এরপরে, সমান ৩০% পয়েন্ট বরাদ্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা এবং জার্নাল আর্টিকেলের সাইটেশনের জন্যে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কতটুকু আন্তর্জাতিক তার জন্যে রয়েছে ৭.৫% পয়েন্ট। এই ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে- দেশী ও বিদেশী শিক্ষার্থীর অনুপাত, দেশী ও বিদেশী শিক্ষকের অনুপাত এবং অন্যান্য দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগাযোগের মাত্রা। সর্বশেষে, ২.৫% পয়েন্ট বরাদ্দ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের অনুপাতে গবেষণাগুলো থেকে কি পরিমাণ আয় হচ্ছে তা থেকে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিভাবে জায়গা করে নিতে পারে এই র্যাংকিং টেবিলগুলোতে? এর উত্তরে বলা যেতে পারে- ‘বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং এলামনাইদের খোঁজ নিতে হবে।‘ দেশের নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে থেকে যারা জার্নাল আর্টিকেল প্রকাশ করছেন, তাদের সাইটেশন জানা কর্তৃপক্ষের জন্যে খুব একটা কঠিন বিষয় নয়। এজন্যে, প্রয়োজন সদিচ্ছা। এখানে একটা ব্যাপার লক্ষণীয় যে, আমাদের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশী শিক্ষক নেই বললেই চলে। সরকার এক্ষেত্রে একটি নীতিমালা তৈরী করে দিতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্যে যাতে তারা বিদেশী শিক্ষক নিয়োগ দিতে উৎসাহিত হয়। বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে বিদেশের মাটিতে নিজেদের কৃতিত্ব তুলে ধরা ছাড়া গত্যন্তর নেই। সেই জন্যে আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন পশ্চাৎপন্ন দেশগুলো থেকে মেধা-সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিজ প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসতে আলাদা করে স্কলা্রশিপের ব্যবস্থা করতে পারে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এক্ষেত্রে, প্রয়োজনে সেসব দেশে এজেন্ট নিয়োগ করা যেতে পারে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করাতে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এডুকেশন ফেয়ারের আয়োজন করতে হবে বিদেশের মাটিতে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে, যেসব বিদেশী শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ছেন বা ইতিমধ্যে শিক্ষা নিয়ে চলে গিয়েছেন, তারা কে কি অবস্থায় আছেন তার খোঁজ নেওয়া। এ থেকেও কিছু পয়েন্ট পাওয়া যাবে র্যা ঙ্গিং টেবিলে।
এক্ষেত্রে, বাংলাদেশ সরকারেরও অনেক কিছু করার আছে। বিমসটেক বা সার্ককে কাজে লাগিয়ে আন্তঃ-দেশীয় পাঠদান পদ্ধতি চালু করতে পারে সরকার। যেমন- বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় যদি ভারত কিংবা থাইল্যান্ডের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মিলে যৌথ ভাবে পাঠদান এবং ডিগ্রী দিতে চায়, তাহলে সরকার তাদেরকে বিশেষ কর রেয়াত বা পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে পারে। বাংলাদেশের ধনীক শ্রেণীদেরকেও সরকার উৎসাহ দিতে পারে, তাঁরা যাতে বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্যে স্কলারশীপ দিতে এগিয়ে আসেন।
এখানে আরেকটি প্রশ্ন আসতে পারে যে, ঐসব দেশের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে কেন আসবে? একজন শিক্ষার্থী যখন উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন পাঁচটি ধাপে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে। সেগুলো হচ্ছে- ১ম ধাপঃ দেশে না বিদেশের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবে, ২য় ধাপঃ বিদেশ পড়তে চাইলে কোন দেশে যাবে, ৩য় ধাপঃ বিদেশের কোন শহরে থাকবে, ৪র্থ ধাপঃ কোন বিষয়ে পড়া-লেখা করবে, ৫ম ধাপঃ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে। বাংলাদেশ সরকার এক্ষেত্রে শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করতে পারে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যাতে কোন সেশন জ্যাম না থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশী শিক্ষার্থীদের থাকার জন্যে বিশেষ পরিবেশ নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সাহায্য করতে পারে।
যদিও র্যাংকিং টেবিলে জায়গা পাওয়াই সব কিছু না, এছাড়া আরো অনেক কিছুই আছে যা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উন্নতি সাধন করলে ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। সেগুলোর মাঝে কিছু হচ্ছে- ‘শিক্ষার্থিদের কাউন্সেলিং এবং মেন্টরিং’-এর ব্যবস্থা করা, এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিতে উৎসাহ প্রদান করা প্রভৃতি। তবে, বিদ্যাপীঠে বিদেশী শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের আগমন যে প্রতিষ্ঠান, দেশ ও জাতির জন্যে উন্নয়ন সাধন করে, তা বলাই বাহুল্য
এখানে একটা ব্যাপার খুব গুরুত্বপূর্ণ। করোনা পরিস্থিতিতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই খারাপ অবস্থায় আছে। তাই বলে, শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া, পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ নেই। অনলাইনে সব কিছুই হচ্ছে। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগুলোর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। পাঠদান পদ্ধতি যুগোপযোগী করতে হবে।
আমাদের সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এসব ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে প্রশাসনকে। তাহলেই, সম্ভব এগিয়ে যাওয়া।
১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
অনেক কিছুই তো হয়ে যাচ্ছে। হয়ে যাবে এক সময়। আমি আশাবাদী।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২| ১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪১
কহেন কবি কালীদাস বলেছেন: আপনি একটা দেশের ইউনিভার্সিটি গুলোতে ছাত্র রাজনীতি চালু রেখে আশা করেন কিভাবে যে ওয়ার্ল্ড রাঙ্কিং এ বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে?
আমাদের দেশের তিনটা জায়গা আমার মতে পুরোপুরি শেষ।
১। খাদ্য (পা থেকে মাথা পর্যন্ত ভেজাল)
২। শিক্ষা (প্রশ্ন ফাঁস নিয়মিত হয়)
৩। চিকিৎসা (আর বললাম না, ব্লগের ডাক্তার রা খেপে যাবে!)
পাকিস্তানের মতো দেশের দুইটা বিশ্ববিদ্যালয় রাঙ্কিং এ থাকে!! আর আমাদের!
শুধুমাত্র দুইটা কাজ করলেই হবে।
১। বাংলাদেশের সব পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র রাজীতি চিরতরে বন্ধ করে দিতে হবে।
২। বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক নিয়োগ সম্পূর্ণ যোগ্যতার ভিত্তিতে করতে হবে।
মজার ব্যাপার কি জানেন, এই দুইটার কোনটাই হবে না।লিখে রাখেন।
১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ছাত্র রাজনীতিতে শুদ্ধি অভিযান প্রয়োজন, এটা ঠিক আছে।
কিন্তু, পুরোপুরি বন্ধ? এতে কাজ হবে কিনা সে সম্পর্কে আমি সন্দিহান। কারণ, আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই রাজনীতি'র হাতেখড়ি হওয়া প্রয়োজন।
ধরুন, আমাদের একজন ভালো বিজ্ঞান মন্ত্রী দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে পাশ করা একজন রাজনীতিবীদ ছাড়া তো এই পদে কাউকে বসানো সম্ভব নয়!
একই কথা প্রযোজ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী'র ক্ষেত্রে। তাই না?
ভালো থাকুন নিরন্তর।
৩| ১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০১
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: উচ্চশিক্ষাকে সরকারি করণ করা থেকে বাদ দিয়ে প্রাইভেটাইজেশন পদ্ধতি চালু করা দরকার। দেশ বরেণ্য সহ সকল কোম্পানি কে স্কলারশিপ দানে উৎসাহিত করতে হবে। মিডিয়া এবং খেলায় একরোখা দৃষ্টিতে স্পন্সর না করে প্রতিষ্ঠান অথবা ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য আগ্রহী করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের কর আদায়ে ছাড় দেওয়া সহ অন্যান্য সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি অটোমেটিক্যালি চলে যাবে। ছাত্র রাজনীতি না থাকলে শিক্ষক নিয়োগ নিরপেক্ষ হবে, শিক্ষার একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি হবে।
শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দিতে পারলে দেশের মানুষ যখন বিদেশে যেয়ে কামলা না খেটে দক্ষতা দেখাতে পারবে তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় মানুষ আগ্রহী হবে।
১৩ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
উচ্চ শিক্ষায় পাবলিক ও প্রাইভেট - দু'টোই দরকার।
তবে, সবার আগে দরকার অবকাঠামো। উচ্চ শিক্ষালয়গুলো'র অবকাঠামো উন্নয়ন করা দরকার।
যেমন- আহসান মঞ্জিল, লালবাগের কেল্লা, গণ ভবনকে ঘিরে ৩টি ভার্সিটি হতে পারে। এরকম প্রত্যকে জেলার পুরোনো স্থাপনা ঘিরে একেকটি বিশ্ববিদ্যালয় করা যেতে পারে।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৪| ১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি প্রশ্নপত্র ফাঁসের সময়ের ছাত্র?
১৩ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আরেররররররররররর!!!!!!!!!!!!!!!!!!! ভায়া!!!!!!!!!!!!!!!!!! খেপছেন কেন আবার!!!!!!!!!!!
অংকে ভুল!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
৫| ১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সত্যপথিক শাইয়্যান ভাই,
তুরস্কের ইউনিভার্সিটি ফুডকোর্টগুলোতে যে ধরনের ফুড পাওয়া যায় তা বাংলাদেশের প্রাইম শপিং মলগুলোর ফুডকোর্টে স্বপ্নেও ভাবা যায় না। এছাড়া কাছাকাছি দেশ সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি ফুডকোর্টগুলোর ফুড তুলনাহীন। আপনার মনে হবে শুধু খাবারের জন্য এই সব ইউনিভার্সিটিতে পড়া উচিত।
আমার উদ্দেশ্য ফুডকোর্টের খাবার না। আমার উদ্দেশ্য ইউনিভার্সিটির পড়ালেখার মান, শিক্ষকদের পড়ালেখার মান, রাজনীতি মুক্ত পড়ালেখা ও রাজনীতি মুক্ত পরিবেশ। আমাদের দেশে যেখানে প্রতিটি শিক্ষক রাজনীতির পকেটে বসে শিক্ষকতা করছেন সেখানে ছাত্ররাজনীতি কিভাবে মুক্ত থাকে? ছাত্ররাজনীতি এদেশ পঙ্গু করে দিচ্ছে। আমি হলফ করে বলতে পারি ছাত্ররাজনীতি এদেশের পড়ালেখা শিক্ষা অবকাঠামো নষ্ট করে ফেলছে।
আপনি যা যা পোস্টে উল্লেখ করেছেন তার সবই অ্যাপ্লিকেবিল, আমি ১০০ তে ১০০ সমর্থন করি। শুধুমাত্র ছাত্র - শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করুন তাহলে এদেশে পড়ালেখার মানোন্নয়ন হবে নয়তো ততোদিন বাংলাদেশের সামান্যতম সচেতন মাতাপিতা তাদের সন্তানদের প্রবাসে পড়ালেখা করতে পাঠাতেই থাকবেন এবং এই রাইট তাদের আছে। - এর বেশী আর কিছু বলার নেই আপনি বিস্তারিত জানেন বুঝেন। ধন্যবাদ।।
১৩ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ঠাকুরমাহমুদ ভাই,
মূল্যবান মতামতের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
বিদেশে ফুড কোর্টগুলোতে চাকরী করেন মূলতঃ শিক্ষার্থীরা। অন্ততঃ, যুক্তরাজ্যে তা-ই দেখে এসেছি। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা দেশে কি তা পারবেন? আমি দেশের ফিরে একবার পার্ট টাইম জবের অফার করেছিলাম সিলেটের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসনের বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের। তারা অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
বিদেশের শিক্ষার্থীরা জবের পাশাপাশি চ্যারিটি কাজে ভলান্টিয়ার হয় স্কিলস বাড়ানো ও সোসাইটিকে কিছু দেওয়ার জন্যে। আমাদের দেশে এটা বিরল।
ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে দেশের ভবিষ্যত রাজনীতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। আমি বলবো, ছাত্র রাজনীতিকে আমূল সংস্কার করতে হবে। বাইরের দেশেও কিন্তু, ছাত্র রাজনীতি আছে।
ইউরোপের ছাত্র ইউনিয়নগুলো খুবই শক্তিশালী। আমি নিজে একটি ছাত্র ইউনিয়নে প্রতিনিধিত্ব করেছি। আমি জানি, একটি কার্যকর ছাত্র ইউনিয়ন কেমন হতে পারে।
তাই, প্লিজ, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করবেন না। বরং, কিছু দিন স্থগিত রেখে এর সংস্কার করুন।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৬| ১৩ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭
কহেন কবি কালীদাস বলেছেন: আপনি বলেছেন,
-আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই রাজনীতি'র হাতেখড়ি হওয়া প্রয়োজন।
আপনার প্রথম টার উত্তরঃ
কোন প্রয়োজন নেই বাংলাদেশের মত দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ছাত্র রাজনীতির। আমরা জাতি হিসেবে নিকৃষ্টও প্রজাতির (শুধুমাত্র পাকিরা আমাদের নিচে আছে)। ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সুফল আমার নিজের চোখে দেখা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। ওই দুই বছর আমি আজীবন মনে রাখব। কারনঃ
১। বিশ্ববিদ্যালয়য় পুরা রাজনীতি মুক্ত ছিল
২।এলাকায় কোন ভাই, কোন বাপের জন্মদিন-মৃত্যুদিন এর নামে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাইক বাজান হতো না
৩।সকারি কোন কাজে ঘুস লাগতো না
৪।খাবারে ভেজাল ছিল না
আপনি বলেছেন,
-ধরুন, আমাদের একজন ভালো বিজ্ঞান মন্ত্রী দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে পাশ করা একজন রাজনীতিবীদ ছাড়া তো এই পদে কাউকে বসানো সম্ভব নয়!আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই রাজনীতি'র হাতেখড়ি হওয়া প্রয়োজন।
আপনার দুই নাম্বার এর উত্তরঃ
আমাদের ভালো বিজ্ঞান, আইন মন্ত্রির জন্য নষ্ট ছাত্র রাজনীতি করা কাউকে দরকার নাই। শুধু দরকার ভালো মন্মানসিকতার ভালো জ্ঞান সম্পর্কিত কাউকে। আর কিছুইনা। রাজনিতিদিবকে এই ধরনের পোস্ট এ বসালে কি হয় টা তো আমরা দেখতেসি।
আর বিদেশের ছাত্র ইউনিয়ন ওরা কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করে না। শুধুমাত্র ছাত্রদের দাবি দাওয়া তুলে ধরে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৭
বিজন রয় বলেছেন: এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে, ওটা হবে, এটা হবে।
আর কবে হবে??