নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রেট ব্রিটেনের ৭৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ধর্মঘটে শিক্ষা কার্যক্রম অচলঃ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা বিপাকে

০১ লা মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৫

যুক্তরাজ্যের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৪টি দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী থেকে চলতে থাকা এই ধর্মঘটে সেই দেশের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে ব্রিটেনে পড়তে যাওয়া কয়েক হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী'র ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ধর্মঘটের ৪টি কারণঃ

১) নারী শিক্ষিকা ও এথনিক মাইনোরিটি থেকে আসা শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য
২) শিক্ষা কার্যক্রমে নিরাপত্তাহীনতা
৩) বেতনে ক্রমাগত অধঃপতন
৪) অতিরিক্ত কাজের চাপ


১) নারী শিক্ষিকা ও এথনিক মাইনোরিটি থেকে আসা শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যঃ

ব্রিটেনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাদা চামড়ার শিক্ষকদের যে পরিমাণ বেতন দেওয়া হয়, সেই পরিমাণ বেতন পান না নারী এবং কালো বা বাদামী চামড়ার এথনিক মাইনোরিটি থেকে উঠে আসা শিক্ষকগণ। এই মনস্তাত্ত্বিক চাপের ফলে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে বাধাগ্রস্থ হোন বলে অনেক শিক্ষক জানিয়েছেন।


২) শিক্ষা কার্যক্রমে নিরাপত্তাহীনতা

অনেক শিক্ষকদের টেম্পরারী কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ৪৬% বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৬০% কলেজে শিক্ষকরা 'জিরো আওয়ার কন্ট্রাক্ট'-এ কাজ করছেন। এর অর্থ, কাজ না করলে কোন বেতন দেওয়া হয় না তাঁদের। শিক্ষকতার মতো আদর্শিক চাকরীতে এটা অপমানজনক একটি ব্যাপার। যে পরিমাণ মানসিক চাপের মাঝে একজন শিক্ষককে জীবন অতিবাহিত করতে হয়, তাতে করে কিছু অবসর সময় তাঁদের প্রাপ্য। অথচ, এই সময়টাতে তাঁদেরকে কোন বেতন ছাড়াই কাটাতে হয়।


৩) বেতনে ক্রমাগত অধঃপতন

২০০৯ সাল থেকে শিক্ষকদের বেতন কাঠামোয় অবনমন ঘটেছে। এই সময় থেকে আজ পর্যন্ত, শিক্ষকরা আগের চেয়ে ২০% কম বেতন পাচ্ছেন। অথচ, অন্যদিকে, ব্রিটেনে দিনকে দিন মুদ্রস্ফিতি'র উর্ধ-গতিতে দৈনন্দিন পণ্যের মূল্য বেড়েই চলেছে। শিক্ষরাও তো মানুষ! তাঁরা চলবেন কি করে!


৪) অতিরিক্ত কাজের চাপ


ব্রিটেনের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকদের যে পরিমাণ কাজের চাপ সহ্য করতে হয়, তা সত্যিই ভয়াবহ। এমনকি, তাঁরা অনেক সময় ক্লাস নেওয়ার বাইরে শিক্ষার্থীদের যে সময় দিয়ে হয় কিংবা মার্কিং করতে হয়, এমন কার্যক্রমে ভালো করে সময় দিতে পারেন না। ভালো করে মার্কিং না করতে পারাটা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে দারুণ প্রভাব ফেলে।

ব্রিটেনের বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা যেভাবে বিপাকেঃ

ব্রিটেনে বর্তমানে কয়েক হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী রয়েছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো'র এই ধর্মঘট যারা এই বছরের বেতন দিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। কারণ, ক্লাস না থাকায়, তাঁদেরকে ঘরে বসে বা কাজ করে সময় কাটাতে হচ্ছে। এটা প্রকৃত শিক্ষার্থীদের জন্যে অনেক বড় একটি মানসিক চাপ।


বাংলাদেশী সংবাদ মাধ্যমগুলো'র নিশ্চুপতাঃ

ব্রিটেনের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ধর্মঘট স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলোর একটি যাতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও বিপদে পড়েছেন। অথচ, এ নিয়ে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোর নিশ্চুপতা সত্যিই অবাক করে।





মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: এই ধর্মঘট সাময়িক। চিন্তার কিছু নেই।

০১ লা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: মার্চের বেশিরভাগ দিনই বন্ধ। বিপদটা সেইখানে।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

২| ০১ লা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: এই ধর্মঘট সাময়িক। চিন্তার কিছু নেই।

০১ লা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: শিক্ষকদের দুর্দশা লাঘব করে প্রয়োজন।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৩| ০২ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:০৬

কনফুসিয়াস বলেছেন: বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম গুলো কানা। ওরা শুধু ইরান আমেরিকার যুদ্ধ আর বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাসড়ক দেখে আর কোন কিছু ওদের দৃষ্টিগোছর হয়না।

৪| ০২ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৪৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শুভ কামনা রইলো।

৫| ০২ রা মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪০

একাল-সেকাল বলেছেন:
বাংলাদেশেই যে পরিমান সংবাদ প্রতিদিন তৈরি হয় তার কাভার দিতেই গলধঘর্ম সংবাদ মাধ্যম। যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যে আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন সক্রিয় না থাকলে সেখানকার যুদ্ধের খবরও হয়ত অজানাই থেকে যেত।

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫৭

সুমন কর বলেছেন: দুঃখজনক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.