নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনসংখ্যা বিস্ফোরন কোন কোন দেশের জন্যে আশির্বাদ বয়ে নিয়ে আসে

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯



'জনসংখ্যা বিস্ফোরণ' কি একটি দেশের জন্যে ভালো ফলাফল বয়ে আনতে পারে?......অনেক ক্ষেত্রে, তা পারে।

ভারতের কথাই ধরুন না। ২০১০ সালের দিকে আমেরিকাতে ভারতীয়দের জনসংখ্যা ছিলো ২০ লক্ষের নিচে। এখন, তা ৩৯ লক্ষেরও বেশি!
বর্তমানে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩৩ কোটি ১০ লক্ষ। সেই হিসেবে, আমেরিকাতে ভারতীয় বংশোব্ধুত মানুষের অনুপাত ১%-এরও কম। তারপরও, এই ৩৯ লক্ষ মানুষ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভারত সফরে আগ্রহী করে তুলেছে। এটা ভারতীয়দের জন্যে একটি বড় এচিভমেন্ট। যদিও, সূত্র বলছে, আমেরিকাতে বসবাসরত বেশিরভাগ ভারতীয়ই ডেমোক্রেটিক দলের ভোটার তালিকাভুক্ত, তবুও, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফর সে দেশের আগামী ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে।

আর, যদি প্রভাব ফেলতে না-ও পারে, ক্ষতি নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবসার নতুন ক্ষেত্র হতে পারে ভারতের নগর-বন্দরগুলো। ২০১৮ সালে, আমেরিকা থেকে প্রায় ৩৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য ভারতে রপ্তানী হয়। ঐ একই সালের হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশে পণ্য রপ্তানী করে, সেগুলোর মাঝে ভারতের অবস্থান ১২তম।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: ট্রাম্প ভারতে গেলে ভার‌তের উন্নয়নই হবে। নতুন ব্যাবসায়িক চুক্তি হবে । ট্রাম্প ভোটে এগিয়ে থাকবে। মোট কথা দুই দেশের জন্যই সুফল বইতে থাকবে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: এই উন্নতি ছুঁয়ে যাক আমাদের দেশকেও।

ধন্যবাদ।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকায় আসলে, ভারতীয় আমেরিকা (নাগরিক) ৩৯ লাখ নয়, এদের মাঝে অনেকই "ওয়ার্ক পারমিটে" আছে। আমেরিকায় চীনা ও ভারতীয়দের সংখ্যা বাড়লে বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

আমেরিকাতে বর্তমানে ভারতীয়দের সংখ্যা আসলেই ৩৯ লক্ষ নয়। তা এখন ৪৫ লক্ষে দাঁড়িয়েছে।

অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ট্রাম্পের ভ্রমণ ভোট নিয়ে নয়।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

দু'দেশের সম্পর্কে উন্নয়নের সাথে সাথে চীনকে আরো একটু নাড়া দেওয়া।

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, "দু'দেশের সম্পর্কে উন্নয়নের সাথে সাথে চীনকে আরো একটু নাড়া দেওয়া। "

-আমেরিকানরা যা করে, উহা প্ল্যান করেই করে; আপনার ভাবনা সঠিক নয়।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: তারা প্ল্যান করে সব কিছু করে বলেই অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে।

ভারতকে কাছে টেনে চীনকে নাড়া দেওয়ার ব্যাপারটি জিও-পলিটিক্সের অংশ। এটা বুঝতে হবে।

ধন্যবাদ।

৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সত্যপথিক শাইয়্যান,






'জনসংখ্যা বিস্ফোরণ' কি একটি দেশের জন্যে ভালো ফলাফল বয়ে আনতে পারে?.
আপনি বলেছেন, অনেক ক্ষেত্রে, তা পারে। এক্ষেত্রে ভারতের উদাহরণ টেনেছেন আমেরিকাতে ভারতীয়দের সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে। আমেরিকাতে ভারতীয়রা বেশী বলেই কি ট্রাম্প সাহেব সেখানে যাচ্ছেন, না এর পেছনে শুধু জিওপলিটিক্সটাই আছে ?

প্রশ্ন দিয়ে শুরুর লেখার মধ্যে কিন্তু কোনও বিশ্লেষিত উত্তর নেই। দেশে জনসংখ্যা বেশী হলে বাজারটা হয়তো বড় হবে কিন্তু লোকেদের যদি ক্রয় ক্ষমতা নাই-ই থাকে তবে বেশী জনসংখ্যা কোনও কাজে আসার কথা নয়, সেখানে কোনও ব্যবসা হবেনা। জনসংখ্যা তখন সে দেশটির জন্যে অভিশাপ হয়েই দাঁড়ায়।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস ভাই,

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনের কথা আমি বলতে পারবো না। তবে, জিওপলিটিক্সটাই শুধু মূখ্য কি না, সেটা হয়তো কোন দিনই প্রকাশ হবে না। তবে, আমার ধারণা, এখানে এটা একটা মূখ্য ভূমিকা রেখেছে।

আর, ভারতকে রাশিয়া থেকে দূরে রাখতে, আমেরিকা অনেক কিছুই করতে পারে।

ব্যবসায়িক স্বার্থ তো আছেই, আগামী ভোটের কথাও 'হয়তো' চিন্তা করছেন ট্রাম্প।

আসলে 'ক্রয় ক্ষমতা' না বাড়ার একটি কারণ হচ্ছে 'স্টেবল পলিটিক্স' বা 'গুড গভার্নেন্স'-এর অভাব। ভারতে এটি এখন আর কোন সমস্যা নয়। মোদি শক্ত হাতেই দেশের হাত ধরেছেন।

জনসংখ্যা কোন সমস্যা নয় সেটা চীনের উদাহরণ থেকে বুঝা যায়। সোভিয়েত রাশিয়ার বিশাল জনগোষ্ঠীও 'বোঝা' হিসেবে ছিলো না।

ভারত যেভাবে এগুচ্ছে, তা অব্যাহত থাকলে, একদিন সোভিয়েত রাশিয়ার মতো উত্থান ঘটতে পারে এই দেশের।

ভালো থাকুন নিরন্তর।

৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৪

ঊণকৌটী বলেছেন: ভূল বলেছেন জন বিস্ফোরন দেশের আশীর্বাদ নয়, অভিশাপ,আসলে একটা দেশের শিক্ষিত জনসাধারণ দেশকে আগেয়ে নিয়া যেতে পারে। অশিক্ষিত মানুষ দেশের বোযা হয়।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

'শিক্ষা' আসলে আপেক্ষিক একটি ব্যাপার। আপনি এটাকে বিভিন্ন ভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারেন।

তাই, কে শিক্ষিত আর কে নয় তার মাপকাঠি বের করা সত্যিই কঠিন ব্যাপার।

শুভেচ্ছা।

৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার ভাবনার সাথে একমত নই।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

কারণটা ব্যাখ্যা করলে হয়তো আমরা একটি ডায়ালগের মধ্যে দিয়ে যেতে পারতাম।

ধন্যবাদ।

৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: ট্রাম্পের চেয়ে মোদি বেশি বুদ্ধিমান।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
প্রকৃত বুদ্ধিমত্তার কোন স্কেল আছে বলে জানা নেই। আপনার জানা আছে কি?

আজকাল আই,কিউ দিয়ে বুদ্ধিমত্তা মাপা যায় না। ই,আই দিয়েও মাপা হয়।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৮

নাসির ইয়ামান বলেছেন: পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষই দরকারী, সৃষ্টিকর্তা মহৎ উদ্দেশ্য সামনে রেখেই এঁদের সৃষ্টি করেছেন !

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: সহমত। ধন্যবাদ।

১০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সত্যপথিক শাইয়্যান,





ধন্যবাদ প্রতি মন্তব্যের জন্যে।

জনসংখ্যা তখনই আশীর্বাদ হয়ে ওঠে যখন তাদের হাতগুলো কর্মীর হাত হয়ে ওঠে। আর এই কর্মীর হাত গড়ে তুলতে লাগে, আপনার কথা মতো- স্টেবল পলিটিক্স ও গুড গভার্নেন্স। আর এ দু'টো তখনই মিলবে যদি ভিশনারী কোনও সরকার ক্ষমতায় থাকেন।
ভারত সেদিন থেকেই তার বাঁকা মেরুদন্ডে মাঞ্জা মেরেছে যেদিন থেকে সে বিদেশী জিনিষ আমদানীকে শেকল পড়িয়ে দেশীয় শিল্পকে অবারিত হতে দিয়েছে। এটা মোদীজি বা কারো একার কারিশমা নয় , কারিশমা ভারতবাসীর নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর অকৃত্রিম প্রচেষ্টার। অবশ্য মোদিজীর শক্ত হাতের ফস্কা গেঁড়োও আছে অনেক, তাতে অর্থনীতি ঝুলে গেছে অনেকখানি।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস ভাই,

আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, জনগণ সব সময়ই সরকারের চেয়ে বেশি স্মার্ট। তাই, সরকার ব্যবস্থা ধসে গেলেও, কোন ভূমির জনগণ ঠিকই বেঁচে থাকে।

ভারতবাসীও এর ব্যতিক্রম নন। অন্যান্য দেশের মতোই, তাঁরাও সরকারের সাথে মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।

এবার আসি, শ্রী নরেন্দ্র মোদী'র সরকার ব্যবস্থায় ভারতের কি উন্নতি হয়েছে।

স্ট্যাটিস্টিক্স বলছে, ভারতের রপ্তানী বেড়েই চলছে। ২০১৯ সালে স্মরণ কালের সর্বোচ্চ পরিমাণ পণ্য রপ্তানী করেছে ভারত। তা থেকে আয় হয়েছে ৩৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ, ২০১০ সালে তা ছিলো মাত্র ২১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার!

অন্যদিকে, আমদানী'র পরিমাণও সর্বোচ্চ ছিলো ঐ একই সালে, ৫১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১০ সালে ভারত আমদানী করতো ৩২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এর মানে, ভারতের মূল অর্থনীতি অনেক পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে গত ১০ বছরে!

এছাড়াও, ভারতীয়দের পার্চেজিং পাওয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে এই সময়ে। মাথাপিছু জিডিপি ২০১০ সালে ছিলো ৪৪৫১.২ মার্কিন ডলার। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮৯৯.২০ মার্কিন ডলার!

মোদি ম্যাজিক, তা-ই না?

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
প্রকৃত বুদ্ধিমত্তার কোন স্কেল আছে বলে জানা নেই। আপনার জানা আছে কি?
আজকাল আই,কিউ দিয়ে বুদ্ধিমত্তা মাপা যায় না। ই,আই দিয়েও মাপা হয়।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।

অবশ্যই বুদ্ধি মাপা যায়।
মানুষের আত্মার ওজন যদি মাপা যায় তাহলে বুদ্ধির স্কেল মাপা যাবে না কেন??

১২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: দেশের তুলনায় জনসংখ্যা বেশি হলে সমস্যাই বেশি। তবে তাদের উৎপাদনশীল ও কর্মক্ষম করতে পারলে ভাল হয়।

১৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চাঁদগাজী মহাশয়ের সংগে সুর মিলিয়ে বলতে হয় আমেরিকায় চীনা ও ভারতীয়দের সংখ্যা বাড়লে বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

১৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ভারত সফরের সাথে ভোটের কোন সম্পর্ক নেই, ০.০১% ও না। ট্রাম্প মোট জনসংখ্যা ১% বা তারও কম ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের ভোট নিয়ে চিন্তিত নন, কারণ তাদের ভোটে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসেনি এবং সে ভালো করেই জানে যে মূলত তাদের ভোট সে পাবে না। এমনকি আফ্রিকান আমেরিকান এবং হিসপ্যানিক (জনসংখ্যার প্রায় ২৫%) ভোটও সে তেমন একটা পান নি। তিনি মূলত হোয়াইট আমেরিকানদের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। শুনলে অবাক হবেন যে তিনি সংখ্যার দিক থেকে তার প্রতিদ্বন্দী হিলারির চেয়েও ২৮ লাখেরও বেশী কম ভোট পেয়েছেন। তারপরেও প্রেসিডেন্ট হয়েছেন শুধু ইলেকটোরাল ভোট বেশী পেয়ে। আশা করছি বুঝতে পারছেন।

ট্রাম্পের সফর মূলত ব্যবসায়িক। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য ঘাটতির উপর জোর দিয়েছেন, বাংলাদেশও সেই প্রচেষ্টার বাইরে নয়। আমি মনে করি তিনি সেদিক থেকে অনেকটাই সফল। আমেরিকায় ভারতের রপ্তানি বেড়ে যাওয়াটাই মূল ইস্যু নয়, সামগ্রিকভাবে রপ্তানি বৃদ্ধির হারটা কমে যাওয়া, একই সাথে আমাদানী বেড়ে যাওয়াই মূল চিন্তার কারণ। ভারত ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে আমেরিকায় রপ্তানি বৃদ্ধি করেছে ১১.৯%। অন্যদিকে একই সময়ে আমেরিকা থেকে আমদানী বৃদ্ধি করেছে ৩০.৬%(১)। মানে দাঁড়ালো, ভারত ২০১৭ এর তুলনায় ২০১৮ তে অনেক বেশী আমদানী করেছে আমেরিকা থেকে এবং সেই তুলনায় রপ্তানি ততটা বাড়েনি ট্রাম্প এটাই চাচ্ছিলেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে দেয়া। একজন আমেরিকান হিসেবে আমিও এটাই চাই। কয়েক বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি করার জন্যেই তিনি ভারত সফর করছেন এবং সেটা তিনিও বেশ ক'বার বলেছেন। সেটাকে যদি ভারতীয়রা তাদের সফলতা মনে করে, ক্ষতি নেই।

ভারতের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার অনেক কমে গেছে মোদির সময়ে, এটা ভারতীয়দের সামনে বেশ ভোগাবে। প্রবৃদ্ধির হার ধরে না রাখতে পারাটা সমস্যার বিষয়, বিশেষ করে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য।

চীনের উপর একক নির্ভরতা যত কমানো যায়, ততই মঙ্গল। মূলত আমেরিকার সাথে ব্যবসা করেই চীন বিগত কয়েক দশকে এতটা ফুলে ফেপে উঠেছে। তাদের এই অর্থনৈতিক উন্নতি এশিয়াতে আমেরিকার প্রভাবকে অনেকটাই চ্যালেঞ্জ করছে, এটা অনেক সিরিয়াস বিষয়। ট্রাম্পের মতো ব্যবসায়ী এই ব্যাপারটাকে ভালোভাবে দেখছেন না। বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য চীনের শত শত বিলিয়ন ডলারের রপ্তানী পণ্যের উপর আমেরিকা নতুন কর বসিয়েছে বা প্রতিবন্ধকতা দিয়েছে তাদের মুনাফা কমিয়ে দেয়ার জন্য, যেটা কম বেশী চীনের অর্থনীতির চাকাকে মন্থর করে দিয়েছে। এটা এক ধরনের বাণিজ্য যুদ্ধ বলতে পারেন। ট্রাম্প সেই ক্যামেরা দিয়েই সব দেশকে দেখছে বা মাপছে। ভারত বা বাংলাদেশ কেউই এর বাইরে নয়।

পুরো বিষয়গুলোই বাণিজ্য কেন্দ্রিক। আমেরিকায় কত ভারতীয় আমেরিকান আছে বা জনগন মূল ইস্যু নয়। তবে তিনি এটাও চান না যে প্রতিবছর অবাধে এত ভারতীয় বা বাদামী চামড়ার লোক আমেরিকায় আসুক। তিনি সে ইস্যুতেও অনেক কঠোর হয়েছেন। মেক্সিকোতো চাপে পড়ে ৩০০+ ভারতীয়দেরকে আমেরিকায় ফেরত পাঠালো যারা অবৈধভাবে আমেরিকায় আসার জন্য সে দেশে অবস্থান করছিলো। কিছু বিষয় ছাড়া তার অনেক পদক্ষেপই প্রশংসার দাবী রাখে।

ধন্যবাদ।

১। সূত্র

১৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জনসংখ্যান জন্মান্তরে বিভিন্ন ফ্যাক্ট কাজ করে। আবহাওয়া, অনুকূল পরিবেশ, খাদ্যভাস, দৈহিক মিলনের সময়কাল, জিনগত এবং বংশগত ভূমিকা ইত্যাদি। ভারতীয় উপমহাদেশ জনসংখ্যা জন্মের অনুকূল পরিবেশ বিদ্যামান। প্রকৃতি অনুযায়ী চলছিল। মাঝখানে প্রকৃতির মাঝে আমরা বা হাত ঢুকিয়েছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।

যা হউক, ট্রাম্পের ভারত সফর মোদির জন্য স্পেশাল, কারণ মোদি বর্তমানে দেশে এবং দেশের বাহিরে কিছুটা হলেও সমালোচিত হচ্ছেন। মোদি দ্বারা ভারতীয়দের নতুন করে কিছু দেওয়ার নাই। ধর্মীয় ইস্যু চাঙ্গা করে মোদি এতোদিন দু’হাতে বগল বাজিয়েছেন। এখন পটল তুলার সময় হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.